ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে কেনো ন্যাটো জোটে দেখতে চায় না তুরস্ক?

প্রকাশ: ০৯:২৩ এএম, ১৭ মে, ২০২২


Thumbnail ফিনল্যান্ড-সুইডেনকে কেনো ন্যাটো জোটে দেখতে চায় না তুরস্ক?

ন্যাটোর সচিবালয় থেকেও পরিষ্কার বলা হয়েছে উত্তর ইউরোপের দুটি দেশ- যাদের একটির (ফিনল্যান্ড) সাথে রাশিয়ার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে- সদস্যপদের জন্য আবেদন করলে যত দ্রুত সম্ভব তা অনুমোদনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উত্তর ইউরোপের দুটি দেশ ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রেক্ষাপটে তারা পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ঢোকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু দেশ দুটির এই সিদ্ধান্তে তুরস্ক বাগড়া দিতে পারে বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

ন্যাটো জোটে নতুন কোনও দেশকে সদস্য হিসেবে নিতে হলে জোটের ৩০ সদস্য দেশের সবাইকে একমত হতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি সদস্য দেশের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

কিন্তু যে দেশটির সেনাবাহিনী জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম- সেই তুরস্ক স্পষ্টভাবে বলে চলেছে ন্যাটোতে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডকে নেওয়ার প্রশ্নে তাদের চরম অস্বস্তি রয়েছে। এ উদ্যোগে বাধা দেবে আঙ্কারা।

এমনকি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান  এক সংবাদ সম্মেলেনে বলেছেন, তুরস্ককে রাজি করাতে নিজ নিজ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আঙ্কারা পাঠানোর কথা জানিয়েছে ফিনল্যান্ড–সুইডেন। এর প্রয়োজন নেই। তাঁদের সফরের ফলে দেশ দুটির ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে অবস্থান পরিবর্তন করবে না তুরস্ক।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের বলেন, তুরস্ক চায় না ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন ন্যাটো জোটের সদস্য হোক। তিনি বলেন, “সুইডেন বা ফিনল্যান্ডকে নিয়ে যা হচ্ছে তা আমরা দেখছি। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের মনোভাব ইতিবাচক নয়।”

এরদোয়ান সেসময় গ্রিসের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ১৯৫২ সালে ন্যাটোতে গ্রিসের সদস্যপদ সমর্থন করে তুরস্ক ভুল করেছিল যে ভুল তিনি আর করতে চান না। তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে বৈরিতা বহুদিনের এবং ন্যাটো সদস্য হয়েও তারা নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করেছে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের ব্যাপারে তুরস্কের আপত্তি?

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দুই দেশের ব্যাপারে তুরস্কের বহুদিনের অভিযোগ যে তারা তুরস্কের কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী পিকেকেকে সমর্থন যোগায়, গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়।

এরদোয়ান বা তার মন্ত্রীরা অবশ্য তাদের উষ্মা চেপে রাখেননি। এরদোয়ান তার স্বভাবসুলভ চাঁছাছোলা ভাষায় বলেন, “সবচেয়ে বড় কথা, স্ক্যান্ডিনেভিয়ান এই দেশগুলো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সরাইখানা, ... তাদের সমর্থন করা সম্ভব নয়।”

সন্ত্রাসী সংগঠন বলতে তিনি যে পিকেকে এবং সিরিয়ায় তাদের শাখা বলে পরিচিত কুর্দি মিলিশিয়া গোষ্ঠী ওয়াইপিজিকে বুঝিয়েছেন- তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।



সুইডেনের ব্যাপারে তুরস্ক বিশেষভাবে ক্ষ্যাপা। কারণ সুইডেন প্রকাশ্যে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে কুর্দি মিলিশিয়া ওয়াইপিজিকে সমর্থন দিয়েছে। এ কারণে গত বছর এপ্রিলে আঙ্কারায় সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।

সুইডেনে পার্লামেন্টে এখন ছয়জন এমপি রয়েছেন যারা জাতিগত কুর্দি এবং তারা কুর্দি ইস্যুতে সোচ্চার।

তবে আমেরিকা এবং ন্যাটো জোটের অনেক সদস্য এখনও মনে করছে না যে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের সদস্যপদের প্রশ্নে তুরস্ক শেষ পর্যন্ত ভেটো দেবে।

ফিনল্যান্ড–সুইডেনের ন্যাটোর সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও। তিনি বলেছেন, ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের ন্যাটোতে যুক্ত হওয়া রাশিয়ার জন্য নিরাপত্তাজনিত হুমকি বয়ে আনবে না। তবে পশ্চিমা দেশগুলোকে সতর্ক করে পুতিন বলেন, প্রতিবেশী দেশে অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করলে তার পরিণতি ভোগ করতে হবে। এর আগেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, ন্যাটোতে যোগ দিলে ফিনল্যান্ড বড় ‘ভুল করবে’।

রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। তবে ৫৫ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে নিয়োগপ্রাপ্ত সেনার সংখ্যা মাত্র ১৩ হাজার। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে দুটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অভিজ্ঞতা রয়েছে দেশটির। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চলা এসব লড়াইয়ে ফিনল্যান্ড অনেক ভূমি হারিয়েছে। সেই অভিজ্ঞতা ভোলেনি দেশটির মানুষ। তাই সোভিয়েত উত্তরসূরি রাশিয়া তাদের দেশে হামলা চালাতে পারে, এ আশঙ্কায় ভুগছে ফিনল্যান্ডের বেশির ভাগ মানুষ। এ জন্য ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে সম্মতি রয়েছে তাদের।

একই আশঙ্কা থেকে সুইডেনও ন্যাটোয় যুক্ত হতে চায়। গত সোমবার রাজধানী স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়ে ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন। তিনি বলেন, তাঁর দেশ ন্যাটোর সদস্যপদ পাওয়ার আবেদন করবে। সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এক যুগ থেকে আরেকটি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি।’

দরকষাকষির সুযোগ তুরস্কের?

তুরস্ক বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিশ্লেষক শুক্রবার তার এক বিশ্লেষণে লিখেছেন, সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের ন্যাটো সদস্যপদ নিয়ে আঙ্কারা সমরাস্ত্র ক্রয় করা নিয়ে আমেরিকার সাথে দরকষাকষি করতে চাইছে।

“আমি মনে করি এরদোয়ান আমেরিকার কাছ থেকে আধুনিক ফাইটার জেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় নিয়ে দরকষাকষির একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন,” লিখেছেন টিম অ্যাশ যিনি বর্তমানে ব্লু বে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্ট্রাটেজিস্ট হিসেবে কাজ করছেন।

“কিন্তু এরদোয়ানের এই অবস্থান পশ্চিমা দেশের রাজধানীগুলোতে ভালো চোখে দেখা হবে না। এটিকে দেখা হবে পশ্চিমা জোট থেকে তুরস্কের দূরে সরে যাওয়ার আরেকটি অধ্যায় হিসেবে।”

তুরস্ক ইউক্রেনের কাছে সামরিক ড্রোন বিক্রি করেছে, কিন্তু রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তারা মানেনি। এখনও রুশ বিনিয়োগ এবং পর্যটক তুরস্কে আসছে যা নিয়ে অনেক পশ্চিমা দেশ নাখোশ।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি শুক্রবার বলেন, বাইডেন প্রশাসন সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের প্রশ্নে তুরস্কের অবস্থান সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছে।

ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ রবিবার বলেছেন, “তুরস্ক পরিষ্কার করেছে যে সদস্যপদে বাধা তৈরি তাদের উদ্দেশ্য নয়। সুতরাং আমি নিশ্চিত যে তুরস্ক যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তা নিয়ে বোঝাপড়া সম্ভব।”


সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী মাগডালেনা এন্ডারসন এবং ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন

সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে শিগগিরই একটি সরকারি প্রতিনিধিদল আঙ্কারায় যাবে। তবে তিনি বলেন, ন্যাটোর বড় এবং প্রভাবশালী সব দেশ সুইডেনের সদস্যপদের পক্ষে এবং সেসব দেশের সাথে ‘সুসম্পর্ক রাখা তুরস্কের প্রয়োজন’।

যুদ্ধবিমান এবং ক্ষেপণান্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় নিয়ে আমেরিকার সাথে তুরস্কের দীর্ঘদিন ধরে একটি টানাপড়েন চলছে।

তবে অস্ত্র ছাড়াও এই সুযোগে পিকেকের প্রতি সমর্থন কমানো নিয়ে সুইডেন ও ফিনল্যান্ডের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি আদায়ের সুযোগ হয়তো তুরস্ক ছাড়তে চাইবে না।

বার্লিনে শনিবার ন্যাটো মন্ত্রীদের বৈঠকের আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসগলু সাংবাদিকদের বলেন, সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ‘প্রকাশ্যে পিকেকে এবং ওয়াইপিজির সাথে সম্পর্ক রাখছে এবং সমর্থন দিচ্ছে যারা তুরস্কে হামলা করছে এবং তুর্কি সৈন্য এবং তুর্কি জনসাধারণকে হত্যা করছে’।

তিনি বলেন, “তুরস্কের জনগণের বিশাল অংশ এ দেশগুলোর ন্যাটো সদস্যপদের বিরোধিতা করছে...সুতরাং ন্যাটো জোটের অন্যান্য মিত্র এবং এই দুই দেশের সাথে আমাদের আলোচনা দরকার।” সূত্র: বিবিসি 

ফিনল্যান্ড   সুইডেন   তুরস্ক   ন্যাটো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:৪০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আরবি ভাষার মুখপাত্র পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। খবর রয়টার্স।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, হালা রাহারিত দুবাই আঞ্চলিক মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন এবং ১৮ বছর আগে একজন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইন-এ তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে ১৮ বছর মর্যাদাপূর্ণ সেবা প্রদান করার পর আমি এপ্রিল ২০২৪ সালে পদত্যাগ করেছি’।

প্রায় এক মাস আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর অ্যানেল শেলাইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তা জোশ পল গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন।
 
দেশটির শিক্ষা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, তারিক হাবাশ, যিনি ফিলিস্তিনি-আমেরিকান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন। 
  
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়াও সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। 
 
এর মধ্যে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতি সরাসরি এবং নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিকভাবে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।

গাজা নীতি   মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচন: মোদির ম্যাজিক কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ ধাপে। আজ দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল জানা যাবে। বিশ্বের বৃহত্তম এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। 

নির্বাচনের আগে ভারতের নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত জরিপ হয়েছে তার সবগুলোতেই নরেন্দ্র মোদির বিপুল বিজয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের ভোটপ্রাপ্তি সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের ভোট প্রাপ্তির হার সবচেয়ে বেশি হলে ৪২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হলে ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আসনের হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অবস্থান ৪১১ থেকে ৩৭৩ এর মধ্যে এবং ইন্ডিয়া জোট ১৫৫ থেকে ১০৫ এর মধ্যে উঠানামা করবে বলে বিভিন্ন জরিপের হিসেবে বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর অনেকেই ভারতের এই জরিপ শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। 

অনেকেই মনে করছেন যে, এই নির্বাচনে কতগুলি ইস্যু বড় রকমের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য ভারতের মুসলমান ভোটারদেরকে একাট্টা করেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি তা বুঝতে পেরেছে। আর এ কারণে এবার মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দানে বাধা দেওয়া হচ্ছে-এমন অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে ট্রেন বন্ধ রেখে মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। 

নরেন্দ্র মোদি ইন্ডিয়াকে যে ক্ষমতাবান এবং উন্নয়নের রোল মডেলের নীতি নিয়ে টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন সেটি এখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে কৃষকদের নাজুক পরিস্থিতি নরেন্দ্র মোদি ম্যাজিককে ফিকে করে দিয়েছে। অনেকেই এই নির্বাচনে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। 

অনেকে মনে করছেন যে, ২০০৪ সালে ভারতের চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ম্যাজিক দেখিয়েছিল। সে সময় বিজেপির ইন্ডিয়ার সাইনিং স্লোগানের আড়ালে সকলে জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপি জোটের। কিন্তু সেই নির্বাচনে সকল জরিপকে মিথ্যে প্রমাণ করে কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছিল। এবার নির্বাচনে তেমন কোন ফলাফল হবে কিনা তা নিয়ে নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলছে। 

তবে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা তেমন কোন সম্ভাবনা দেখছেন না। বরং তারা মনে করছেন যে, ভারতে শেষ পর্যন্ত বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটই বিজয়ী হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি এবং তার নেতৃত্বে জোট যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট আশা করেছিল সে সংখ্যাগরিষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। তবে এই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট বিজয়ী হলেও নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক অনেকটাই ফিকে হয়ে যাকে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি   কংগ্রেস   বিজেপি   ইন্ডিয়া জোট   এনডিএ জোট   লোকসভা ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৭:৩৫ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় তিন প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক থাকায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

সাহারা থান্ডারকে এই প্রচেষ্টার সমর্থনে ইরানের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের তদারকিকারী প্রধান ফ্রন্ট কোম্পানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সাহারা থান্ডারকে সমর্থন করার জন্য ভারত-ভিত্তিক তিনটি কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে তারা হল জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট। শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা   ইরান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্ক জাকারবার্গকে টপকে তৃতীয় শীর্ষ ধনীর আসনে ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

মার্ক জাকারবার্গ টপকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনীর অবস্থানে উঠে এসেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক। ফলে বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনীর জায়গা দখল করতে চলেছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটার শেয়ার বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে ১১ শতাংশ কমেছে। প্রতিষ্ঠানটি দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে নিজেদের বিক্রয় প্রত্যাশার চেয়ে কমতে পারে এমন পূর্বাভাসের পর এ পতন হয়েছে।

ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচক অনুসারে, মেটার শেয়ার পতনের ফলে মার্ক জাকারবার্গের সম্পত্তি কমে এখন ১৫৭ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। অন্যদিকে ইলন মাস্কের সম্পদ ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ১৮৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে এ দুই বিলিয়নিয়ার নিজেদের অবস্থান থেকে ছিটকে যান। গত তিন মাসে টেসলার গাড়ি সরবরাহ কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো জাকারবার্গ মাস্ককে ছাড়িয়ে যান।

এর আগে ফোর্বস প্রকাশিত ২০২৪ সালের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে নিয়েছেন ফ্রান্সের বিলাসবহুল পোশাক ও দ্রব্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান লুই ভুতোঁ মালিক বার্নার্ড আর্নল্ট ও তার পরিবার। তার সর্বমোট সম্পদমূল্য ২৩৩ বিলিয়ন ডলার।

এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। বর্তমানে তার সম্পদের পরিমাণ ১৯৫ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজস। গত বছরের তুলনায় এবার তার সম্পদমূল্য বেড়েছে প্রায় ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তার মোট সম্পদমূল্য ১৯৪ বিলিয়ন ডলার।

১৭৭ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। গতবার সম্পদমূল্য ছিল ৬৪ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার।


মার্ক জাকারবার্গ   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন