ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ডনবাস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে: জেলেনস্কি

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ২০ মে, ২০২২


Thumbnail ডনবাস পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে: জেলেনস্কি

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চল রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) গভীর রাতে দেওয়া ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ কথা বলেন। 

জেলেনস্কি বলেন, ‘(ডনবাসে) দখলদাররা আরও শক্তি প্রয়োগের চেষ্টা করছে। এই অঞ্চলটি নরকে পরিণত হয়েছে এবং এটি মোটেই বাড়িয়ে বলা নয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ওডেসা অঞ্চল-সহ মধ্য ইউক্রেনের শহরগুলোতে ক্রমাগত রুশ হামলা চলছে। আর ডনবাস সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।’ জেলেনস্কির ভাষায়, ‘এটি যতটা সম্ভব ইউক্রেনীয়কে হত্যা করার, যতটা সম্ভব বাড়িঘর, সামাজিক সুবিধা এবং উদ্যোগগুলোকে ধ্বংস করার জন্য ইচ্ছাকৃত এবং অপরাধমূলক প্রচেষ্টা।’ 

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় এই ভূখণ্ডটি মূলত একটি শিল্প এলাকা এবং বর্তমানে এই অঞ্চলকে ঘিরেই সামরিক আক্রমণ পরিচালনা করে আসছে মস্কো। বিদ্যমান এই পরিস্থিতিতে পূর্ব ইউরোপের এই দেশটির জন্য লাখ লাখ কোটি মার্কিন ডলার সহায়তার অঙ্গীকার করেছে বিশ্বের ধনী দেশগুলো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মূলত রুশ-ভাষী মানুষকে রক্ষা এবং রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের রক্ষার কথা বলে দোনেতস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত ডনবাস ভূখণ্ড দখলের চেষ্টা করছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। আর এতেই রুশ সেনাদের ব্যাপক গোলাবর্ষণে বিধ্বস্ত হচ্ছে ইউক্রেনের এই শিল্প এলাকা। 

যদিও ইউক্রেনকে ফ্যাসিস্টদের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য মস্কো তার এই আক্রমণকে একটি ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ বলে দাবি করে আসছে। আর এর বিপরীতে কিয়েভ ও তার পশ্চিমা মিত্রদের দাবি, এটি আসলে ভিত্তিহীন যুদ্ধের অজুহাত।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সৈন্যরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে ইউক্রেনে এই হামলা শুরু করে। একসঙ্গে তিন দিক দিয়ে হওয়া এই হামলায় ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পড়েছে বৃষ্টির মতো।

আর সপ্তাহখানেক বাদেই ইউক্রেনে চলমান রুশ অভিযান তিন মাস পার করবে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ইউক্রেনের জন্য প্রায় ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের নতুন সহায়তা অনুমোদন করেছে। এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মার্কিন সহায়তা প্যাকেজ।

ডনবাস   রাশিয়া   ইউক্রেন   ন্যাটো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাপানে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ

প্রকাশ: ০৯:২৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নতুন এক ধরনের সম্পর্ক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এশিয়ার দেশ জাপানে। ইংরেজিতে যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ’। দেশটির যুব সমাজের মধ্যে ক্রমশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এই প্রবণতা।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সম্পর্কে জড়িতরা যৌন সম্পর্ক না গড়ে প্লেটনিক অংশীদার হয়ে উঠছে। জাপানের জনসংখ্যা ১২ কোটি ৪০ লাখ। তার মধ্যে শতকরা প্রায় এক ভাগ এমন সম্পর্ককে বেছে নিচ্ছে। অর্থাৎ এমন সম্পর্কে লিপ্ত মানুষের সংখ্যা হাজার হাজার। তারা অভিন্ন মূল্যবোধ এবং স্বার্থের ভিত্তিতে জড়াচ্ছে এ সম্পর্কে।

এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ একটি এজেন্সির নাম কালারাস। নতুন এই প্রবণতা সম্পর্কে ডাটা শেয়ার করেছে তারা। তাদের তথ্যানুযায়ী, ২০১৫ সালের মার্চ থেকে এই ধরনের বৈবাহিক সম্পর্কে যুক্ত হয়েছেন জাপানের ৫০০ মানুষ। এমনকি কোনও কোনও সম্পর্কে সন্তান লালন-পালন করছে।

ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ : ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ হচ্ছে এমন একটি সম্পর্ক যেখানে অংশীদাররা আইনগতভাবে দম্পতি। কিন্তু তাদের মধ্যে কোনও রোমান্টিক ভালোবাসা বা যৌন সম্পর্ক নেই। তারা একসঙ্গে বা আলাদাভাবে বসবাস করতে পারেন। কৃত্রিম পদ্ধতিতে দম্পতিরা সন্তান নেওয়ার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন।

এই সম্পর্কে লিপ্ত দু’জন ব্যক্তি অবাধে অন্যদের সঙ্গে বিয়ে বাদে সম্পর্ক গড়তে পারেন। কারণ, এ বিষয়ে পারস্পরিক সমঝোতার চুক্তি থাকে। তিন বছর ধরে এমন সম্পর্কে লিপ্ত আছেন এমন একজন বলেছেন, ফ্রেন্ডশিপ ম্যারিজ হল- এমন একটি ব্যবস্থা যেমন একই স্বার্থে একজন রুমমেট খুঁজে নেওয়া। আমি কারও গার্লফ্রেন্ড হতে চাই না। কিন্তু আমি একজন ভালো বন্ধু হতে চাই। আমি এমন একজনকে চাই, যার সঙ্গে একই আনন্দ ভাগ করতে পারব। চ্যাট করতে পারব। হাসি-তামাশা করতে পারব।

এই অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রথাগত রোমান্টিক ভালোবাসা বা একজন বেস্টফ্রেন্ডকে বিয়ে করা নয়। পক্ষান্তরে এই ব্যবস্থার অধীনে দম্পতিরা বিয়ের আগে দেখা-সাক্ষাৎ করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এমনকি দিনের পর দিন দিন তাদের জীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। যেমন- তারা একসঙ্গে খাবার খেতে চায় কি না। কীভাবে তারা খরচ করবে। কে কাপড় লন্ড্রি করবে। কীভাবে রেফ্রিজারেটরের জন্য জায়গা বের করবে।

কারা বেছে নিচ্ছেন এই প্রথা? এই রীতিতে যারা আগ্রহী তাদের গড় বয়স ৩২.৫ বছর। জাতীয় গড়ের চেয়ে তাদের আয় বেশি। অযৌন সম্পর্কে লিপ্ত এবং সমকামিতায় লিপ্ত ব্যক্তিরাও এ সম্পর্কে জড়িত হচ্ছেন। তারা প্রচলিত বিয়ে থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। অনেক সমকামী আছেন, যারা প্রচলিত বিয়ে বা ভালোবাসার সম্পর্ক পছন্দ করেন না। তারা সামাজিক চাপে থাকেন। ফলে তারাও এখন এই প্রবণতাকে আলিঙ্গন করছেন। যদিও এই সম্পর্কের ইতি হচ্ছে বিচ্ছেদের মধ্য দিয়ে, তবে সুবিধা হল তারা পলিসি সুবিধা পাচ্ছে। কালারাস বলেছে, এই সম্পর্ক রোমান্টিক না হলেও শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ এই সম্পর্কের দম্পতিরা একসঙ্গে সুখেই বসবাস করছেন। অনেক ক্ষেত্রেই কিছু দম্পতির একসঙ্গে সন্তানও আছে।


জাপান   জনপ্রিয়   ফ্রেন্ডশিপ   ম্যারিজ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোভিশন সং কনটেস্টে ইসরায়েলি গায়িকা, বিক্ষোভে উত্তাল সুইডেন

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলি এক গায়িকাকে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়ায় প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুইডেন। বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ এর প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামে। ‘ইউরোভিশন সং কনটেস্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের আগে বৃহস্পতিবার ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ দেশটির মালমো শহরের রাস্তায় নামে। এ প্রতিবাদে অংশ নেন বিশ্বব্যাপী পরিচিত পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, গণহত্যায় অভিযুক্ত কোনো দেশের প্রতিযোগী এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে না। খবর বিবিসির।

পরিবেশ আন্দোলনকারী গ্রেটা থুনবার্গ বলেন, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আমাদের নৈতিক দায়বদ্ধতা। ইউরোভিশন সং কনটেস্ট চলাকালে যদি হাজার হাজার মানুষ প্রতিবাদ জানায়, তাহলে তা আয়োজকদের কাছে একটি শক্তিশালী বার্তা দেবে ও পরিবর্তন আনতে বাধ্য করবে। এক বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, তিনি চান ইউরোভিশন সংগীত প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলকে অযোগ্য ঘোষণা করা হোক। যেমনটি রাশিয়াকে করা হয়েছিল ইউক্রেনে পুরোদস্তুর রুশ আগ্রাসন শুরুর পর।

সুইডিশ পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই প্রতিবাদকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা ও কেফিয়াহ নিয়ে রাস্তায় জড়ো হতে থাকেন। সে সময় তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মিছিল করে ও ফিলিস্তিনি পতাকার রঙের স্মোক ফ্লেম জ্বালায়। প্রতিবাদকারীরা জানিয়েছেন, তারা শনিবার (১১ মে) ফাইনালের আগে আবারও মিছিল করবেন।

জানা গেছে, বুধবার রিহার্সাল করার সময় থেকেই দুয়োধ্বনি শুনে আসছিলেন গোলান। তবে তার বক্তব্য ছিল, তিনি তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত ও কোনো কিছুই তাকে থামাতে পারবে না। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের পর ‘হারিকেন’ নামক একটি গান গেয়ে প্রতিযোগিতার ফাইনালে পৌঁছেন গোলান। জার্মান বার্তাসংস্থা ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, গোলানকে তার গানের নামও বদল করতে হয়েছে। প্রথমে তার গানের নাম ছিল ‘অক্টোবর রেইন’।

গত বছর ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে ঢুকে হামাসের চালানো হামলার সঙ্গে মিল থাকায় গোলানকে তার গানের নাম বদল করতে বলা হয়। গানের এ প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা হলো ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)। ইবিইউ জানিয়েছে, ইউরোভিশন হলো অরাজনৈতিক সংগঠন।

কিন্তু সমালোচকরা বলেছেন, ২০২২ সালে ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া ও বেলারুশের প্রতিযোগীদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। এ বছরের প্রতিযোগিতায় ফিলিস্তিনি পতাকাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের প্রশ্ন, রাশিয়া ও বেলারুশ যদি নিষিদ্ধ হতে পারে, তাহলে ইসরায়েল কেন নিষিদ্ধ হতে পারবে না।

এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় গোলানকে শুভকামনা জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দাবি, সুইডেনে সফলভাবে গানের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার মাধ্যমে ইসরায়েলিদের মন জয় করে নিয়েছেন এ গায়িকা।


সুইডেন   বিক্ষোভ   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার ৫০০ মসজিদ ধ্বংস, নিহত শতাধিক ইমাম

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ ভূখণ্ড গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। এতে করে এখন পর্যন্ত গাজার হাজারো হাসপাতাল, বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে। এই আগ্রাসনে শত শত মসজিদও গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। এখন পর্যন্ত বহু ইমাম এবং ধর্মবিষয়ক ব্যক্তিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৩০০ ইমাম ও ধর্মীয় ব্যক্তিদের হত্যা করেছে। এছাড়া তারা ৫০০ এর অধিক মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি আংশিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে অসংখ্য মসজিদ। এ তালিকায় ঐতিহাসিক আল ওমারি মসজিদও রয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) মিডল ইস্ট আইয়ের এক প্রতিবেতনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের এ বর্বরতা থেকে রেহায় পায়নি গির্জাও। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলায় ঐতিহাসিক সেন্ট প্রোফাইরিস গির্জাসহ আরও তিনটি গির্জা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কোরআন পডকাস্ট ইনস্টিটিউটও হামলার শিকার হয়েছে।

ফিলিস্তিনের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, ফিলিস্তিনিদের বিশ্বাসকে ভেঙে দিতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্থাপনা ও ব্যক্তিত্বরা আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে সুরক্ষিত। তাদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধ।

তিনি জানান, ধ্বংসপ্রায় মসজিদেই তারা নামাজ আদায় করছেন। এছাড়া সেখানেই নতুন উদ্যোমে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমও চালু করেছেন তারা।

তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতি আমাদের বার্তা হলো আমরা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধ করার জন্য পাশে চায়। বিশেষ করে আরব বিশ্বের ইসলামী ব্যক্তিত্বদের প্রতি আমাদের আহ্বান হলো আমাদের জনগণের ওপর চলমান ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে কাজ করুন।


গাজা   ইসরায়েল   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস

প্রকাশ: ০৭:৫৫ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস হয়েছে সাধারণ পরিষদে। শুক্রবার (১০ মে) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপিত হয়। পরে বিপুল ভোটে এটি পাস হয়। রায়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এদিন প্রস্তাবের পক্ষে সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলসহ ৯টি। আর ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল ২৫টি দেশ।

বিপুল ভোটে প্রস্তাব পাস হওয়ায় ফিলিস্তিনের জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পাওয়ার দাবি আরও জোড়ালো হলো। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য এখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত মাসে ১৫ সদস্যের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই সেই আবেদন নবায়ন করে পুনরায় জমা দেয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই আজ ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব হওয়ায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে কিছু অতিরিক্ত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবে ফিলিস্তিন। যেমন, সাধারণ পরিষদের অ্যাসেম্বলি হলে জাতিসংঘের অন্য সদস্যদের মতো একটি আসন পাবে তারা। তবে ভোট প্রয়োগের কোনো ক্ষমতা তাদের হাতে থাকবে না।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এরই মধ্যে অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপন বিস্তৃত করে চলেছে ইসরায়েল। বিষয়টিকে বেআইনি বলে মনে করে জাতিসংঘ। তাই জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ পেতে বারবার চাপ দিচ্ছে ফিলিস্তিন।


ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুইজ্জুর দাবির মুখে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার ভারতের

প্রকাশ: ০৮:৩৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দাবির মুখে দেশটি থেকে ভারতের সব সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নয়াদিল্লি। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মালদ্বীপ সরকার ভারতকে শুক্রবারের (১০ মে) মধ্যে দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সেনা সরিয়ে নেয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। তার আগেই দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সামরিক সদস্যদের সরিয়ে নিয়েছে ভারত। এর আগে, সোমবার (৬ মে) রাতে অর্ধেকের বেশি সেনা সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। দেশটিতে অবস্থান করছিল ৮০ জনের বেশি ভারতীয় সেনা।

গত বছর নির্বাচনী প্রচারে ভারত বিরোধী অবস্থান নিয়ে বড় জয় পান মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। ভারতের বিরুদ্ধে অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে হস্তক্ষেপের অভিযোগও তোলে মুইজ্জু সরকার। ক্ষমতায় এসেই নয়াদিল্লিকে দেশ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেয়ার বার্তা দেন তিনি। বর্তমানে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে দেশটি।

মোহাম্মদ মুইজ্জু   নয়াদিল্লি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন