ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিরল মাংকিপক্স বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে যেভাবে

প্রকাশ: ০১:০৯ পিএম, ২১ মে, ২০২২


Thumbnail বিরল মাংকিপক্স বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে যেভাবে

বিশ্বের অন্তত ১১ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাংকিপক্স। আফ্রিকা থেকে ছড়ানো এই রোগে এরই মধ্যে এসব দেশে প্রায় ১০০ জনের এই রোগ শনাক্ত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।
  
সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইতোমধ্যে শুক্রবার (২০ মে) ডব্লিউএইচওর ইউরোপীয় শাখা জরুরি বৈঠকও করেছে।

চলমান সংক্রমণ পরিস্থিতিকে ইউরোপে মাঙ্কিপক্সের সবচেয়ে বড় প্রাদুর্ভাব বলে উল্লেখ করেছে জার্মানি। রয়টার্সের প্রতিবেদেনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সুইডেন ও যুক্তরাজ্য- ৯ ইউরোপীয় দেশে শনাক্ত হয়েছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগী। স্পেনে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি- ২৪ জন।

এছাড়া সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সন্দেহভাজন আরও ৫০ জনের মাংকিপক্স শনাক্তের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সন্দেহভাজন এসব মাংকিপক্স রোগী কোন কোন দেশের তা জানানো হয়নি।

মাংকিপক্স রোগ কী?

এই রোগ ছড়ায় মাংকিপক্স নামে এক ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে এটি অনেকটা জল বসন্তের ভাইরাসের মতো। তবে এর ক্ষতিকারক প্রভাব কম, এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর সংক্রমণের হারও কম। পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার নিরক্ষীয় বনাঞ্চলে এই রোগের প্রাদুর্ভাব বেশি।

মাংকিপক্স দু'ধরনের হয়ে থাকে - মধ্য আফ্রিকান এবং পশ্চিম আফ্রিকান।

ব্রিটেনে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন যে দু'ব্যক্তি এরা সম্প্রতি নাইজেরিয়া সফর করেছেন। এরা সম্ভবত পশ্চিম আফ্রিকা ধরনের মাংকিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

তৃতীয় যে ব্যক্তি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি একজন স্বাস্থ্যকর্মী। তিনি রোগীদের কাছ থেকে এই ভাইরাস পেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

মাংকিপক্সের উপসর্গ কী?

এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হচ্ছে জ্বর, মাথাব্যথা, হাড়ের জয়েন্ট এবং মাংসপেশিতে ব্যথা এবং দেহে অবসাদ।

জ্বর শুরু হওয়ার পর দেহে গুটি দেখা দেয়। এসব গুটি শুরুতে দেখা দেয় মুখে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে হাত এবং পায়ের পাতাসহ দেহের সব জায়গায়।

এই গুটির জন্য রোগী দেহে খুব চুলকানি হয়। পরে গুটি থেকে ক্ষত দেখা দেয়। গুটি বসন্তের মতোই রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠলেও দেহে এসব ক্ষত চিহ্ন রয়ে যায়।

কীভাবে ছড়ায় মাংকিপক্স?

সংক্রমিত রোগীর ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে, ত্বকের ক্ষত থেকে এবং নাক, মুখ ও চোখের ভেতর দিয়ে এই ভাইরাস মানুষের দেহে প্রবেশ করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বানর, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, এমনকি মাংকিপক্সে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত বিছানাপত্র থেকেও এই ভাইরাস অন্যকে সংক্রমিত করতে পারে।

কতটা বিপজ্জনক এই মাংকিপক্স?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই ভাইরাসের প্রভাব বেশ মৃদু। এর বৈশিষ্ট্য জল বসন্তের মতোই, এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন।

কীভাবে মাংকিপক্সের প্রকোপ ঘটছে?

এই রোগ প্রথম ছড়িয়েছিল একটি বানর থেকে। এরপর ১৯৭০ সাল থেকে আফ্রিকার ১০টি দেশে মাংকিপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম এই ভাইরাসে রোগী শনাক্ত হয় ২০০৩ সালে। সেটাই ছিল এই ভাইরাস আফ্রিকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ার প্রথম কেস। যুক্তরাষ্ট্রে এপর্যন্ত ৮১টি কেস ধরা পড়েছে।

মাংকিপক্সের সবচেয়ে বড় প্রকোপ দেখা দেয় নাইজেরিয়াতে, ২০১৭ সালে। সে দেশে মাংকিপক্সের প্রথম কেস ধরা পড়ার ৪০ বছর পর। এতে ১৭২ জন আক্রান্ত হন।

মাংকিপক্সের চিকিৎসা কী?

এই ভাইরাসের কোন চিকিৎসা নেই। তবে যে কোন প্রাদুর্ভাবের মতোই উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়ে এর প্রকোপ রোধ করা যায়।

গুটি বসন্তের টিকা ৮৫% কার্যকর বলে দেখা গেছে। মাংকিপক্সের জন্য এখন এই টিকাই ব্যবহার করা হচ্ছে।

মাংকিপক্স নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাপক হারে ছড়িয়ে না পড়লে এই ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই।

ইংল্যান্ডের পাবলিক হেলথ বিভাগের কর্মকর্তা ড. নিক ফিন বলছেন, এটা বুঝতে হবে যে মাংকিপক্সের ভাইরাস খুব সহজে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে না।

সে কারণেই এখন পর্যন্ত মাংকিপক্স নিয়ে শঙ্কার কিছু নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। সূত্র: বিবিসিবাংলা 

মাংকিপক্স   বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। সেখানে সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে। খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির। এ ধ্বংসযজ্ঞ যখন পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন সামনে এলো গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করুণ চিত্র।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী খুবই কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৭৭ হাজার ৮৬৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। হতাহতের শিকার এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।


গাজা   অন্তঃসত্ত্বা   নারী   পানিশূন্যতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেফতার ২৫

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাইডেন প্রশাসন। চলছে ধরপাকড়।

সর্বশেষ শার্লটসভিলের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শিবির ভেঙে দিয়েছে মার্কিন পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের তাদের ওপর পিপার (মরিচ) স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখান থেকে অন্তত ২৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট জিম রায়ান বলেন, বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু স্থাপন করে আন্দোলন করতে থাকে। তারা অবস্থান থেকে সরে যেতে অস্বীকার করার পর তাদের ছত্রভঙ্গ করতে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীকে ডাকা হয়।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে তাদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সংঘর্ষ বাঁধানো ও হামলার চেষ্টা করে। ফলে পুলিশ ওই সমাবেশকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং যারা সেখান থেকে সরে যেতে অস্বীকার করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ক্যাম্পাসভিত্তিক এই আন্দোলন থেকে ইতোমধ্যে দুই হাজার চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে তারপরও দমে যাননি শিক্ষার্থীরা। তারা অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন ও গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।  


ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ   ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যাল   গ্রেফতার ২৫  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেক্সিকোতে তাঁবু গেড়ে অবস্থান শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডাসহ বিশ্বের আরও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। লন্ডন, প্যারিস ও রোম থেকে সিডনি, টোকিও, বৈরুতসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই- ‘গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভবনের বাইরে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নেয় শত শত শিক্ষার্থী। ফিলিস্তিনের সহমর্মিতায় বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়েও। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ-কারীদের হটাতে যে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে, সেটাও তাদের প্রতিবাদে শামিলে উৎসাহিত করছে বলে জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।

এদিকে, মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিদাদ ন্যাসিওনাল অটোনোমা ডি মেক্সিকোতে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে কমপক্ষে ৪০টি তাঁবু খাটানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ‘গাজায় সাম্রাজ্যবাদী গণহত্যা’ বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বলে জানান। এসব বিক্ষোভে আরবের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইহুদি শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মেক্সিকোর সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   মেক্সিকো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানেও ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১০:৫৬ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এরই মধ্যে দেশটির ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভ চলছে। মার্কিন প্রশাসনের ব্যাপক ধরপাকড় সত্ত্বেও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বিক্ষোভকারীরা। তাদের দাবি- ‘গাজায় গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠানস্থলেও মঞ্চের সামনে বিক্ষোভ করেছেন ফিলিস্তিনপন্থীরা। তবে এই বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। অন্যদিকে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে বিক্ষোভকারীদের।

স্থানীয় সময় শনিবার এসব ঘটনা ঘটে। আগামী দিনগুলোয় স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নতুন করে অশান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

অ্যান আরবর স্টেডিয়ামে বসেছিল মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ডজন শিক্ষার্থী মাথায় ঐতিহ্যবাহী কেফিয়েহ আর স্নাতক টুপি পরে মঞ্চের সামনে দিয়ে হেঁটে যান। তাদের হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফিলিস্তিনের পতাকা ছিল। এ সময় দর্শকেরা উল্লাস করে বিক্ষোভকারীদের উৎসাহ দেন।

ক্যাম্পাস পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের ঘিরে ফেলে স্টেডিয়ামের পেছনের অংশে নিয়ে যায়। তবে কাউকে আটক করা হয়নি এবং অনুষ্ঠানেরও কোনও ব্যাঘাত ঘটেনি। বিশ্ববিদ্যালয়টির মুখপাত্র কলিন ম্যাসটনি এসব তথ্য জানান।

এক বিবৃতিতে কলিন বলেন, আগেও মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।

তবে শনিবার চার্লটসভ্যালে ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লনের ওপর দিয়ে টেনে আনতে দেখা যায় পুলিশকে।  


মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়   ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ এখন ভারতেও

প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডাসহ বিশ্বের আরও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। লন্ডন, প্যারিস ও রোম থেকে সিডনি, টোকিও, বৈরুতসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই- ‘গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও।

দেশটির খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর দাবিতে জড়ো হন।

২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তার ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ১০০ মিটারের মধ্যে সব ধরনের বিক্ষোভ-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক নারী শিক্ষার্থী গ্রেফতার হন। গ্রেফতার অচিন্থিয়া শিবালিঙ্গম যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। প্রিন্সটন অ্যালামনাই উইকলিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীরা তাঁবু ফেলেন। সে সময় পুলিশ সেখান থেকে আচিন্থিয়া এবং হাসান সাঈদকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তারা দু’জনই যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।


ইসরায়েলবিরোধী   ছাত্র   আন্দোলনে   বিক্ষোভ   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন