ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অস্ত্রের প্রসারে লাগাম টেনে ধরতে হবে: জো বাইডেন

প্রকাশ: ০৬:৪৫ পিএম, ২৬ মে, ২০২২


Thumbnail অস্ত্রের প্রসারে লাগাম টেনে ধরতে হবে: জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেড়েই চলছে বন্দুক হামলা। অস্ত্রের সহজলভ্যতা ও অস্ত্র রাখার বৈধতার শিথিলতার কারণেই প্রায়ই এমন বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মনে করেন অস্ত্রের প্রসারে লাগাম টেনে ধরার সময় চলে এসেছে। 

সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের টেক্সাস রব এলিমেন্টারি স্কুলে মঙ্গলবার (২৪মে) বন্দুক হামলায় ১৯ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন শিক্ষক মারা যান। ঘটনাক্রমে সেদিনই দেশটির রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির একটি প্রাথমিক স্কুলেও ঘটেছিল পৃথক একটি হামলা। কেউ নিহত না হলেও আহত হয় তিনজন শিক্ষার্থী।

তার আগের দিন সোমবার(২৩মে) দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য পেনসিলভেনিয়ার বৃহত্তম শহর ফিলাডেলফিয়ার একটি হাইস্কুলে গোলাগুলির ঘটনায় আহত হয়েছিল তিন কিশোর। তারও আগে, গত সপ্তাহে মিশিগান, লুইজিয়ানা ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যের তিন গ্র্যাজুয়েট স্কুলে ঘটেছিল বন্দুক হামলা। 

যুক্তরাষ্ট্রের নেভাল পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কুলের সেন্টার ফর হোমল্যান্ড ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটির কে-টুয়েলভ স্কুল শুটিং ডেটাবেইজের প্রধান গবেষক ডেভিড রিডম্যান এক সাক্ষাৎকারে রয়টার্সকে বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলোতে মহামারির মতো বাড়ছে বন্দুক হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা। তার কাছে থাকা পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি ২০২২ সালের ৫ মাসে প্রতিদিনই দেশটির কোনো না কোনো স্কুলে বন্দুক হামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪মে) টেক্সাস রব এলিমেন্টারি স্কুলে এক বন্দুকধারীর নির্বিচার গুলিতে নিহত হয় ১৯ জন শিক্ষার্থী ও ২ জন শিক্ষক। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পুরো বিশ্ব যখন বাকরুদ্ধ, সেসময় দেশটির বিশেষজ্ঞরা সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন— যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বন্দুক হামলা ও গোলাগুলি প্রায় মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে। তবে অধিকাংশ ঘটনা ছোট পরিসরে ঘটায় তা সংখ্যক মানুষের নজরে আসছে না।

রয়টার্সকে রিডম্যন বলেন, সরকারি এক গবেষণায় জানা গেছে চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে ১৩৭টি স্কুলে গোলাগুলি হয়েছে। হিসেবে দেখা যায়, ২০২২ সালে প্রায় প্রতিদিনই একটি করে হামলা হয়েছে দেশটির স্কুলগুলোতে। গত বছর ২০২১ সালে এই হামলার সংখ্যা ছিল ২৪৯টি।

স্কুলের এলাকার মধ্যে বন্দুক উঁচিয়ে আস্ফালন, গুলিবর্ষণ বা স্কুলের সম্পত্তিতে গুলি- এ ধরনের প্রতিটি ঘটনা হিসাবে আনা হচ্ছে এ গবেষণায়। 

‘সবচেয়ে লক্ষ্যণীয় ব্যাপার হলো, স্কুলগুলোতে পদ্ধতিগত বন্দুক সহিংসতা নাটকীয়ভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে হাইস্কুলগুলোতে। শিক্ষার্থীদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় তাদের মধ্যকার সব দ্বন্দ্ব গোলাগুলির পর্যায়ে গিয়ে শেষ হচ্ছে,’ রয়টার্সকে বলেন রিডম্যান।

তিনি আরও জানান, টেক্সাসের রব এলিমেন্টারি স্কুলে হামলার আগ পর্যন্ত গত ৫ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে যত বন্দুক হামলা হয়েছে, তাতে নিহত হয়েছেন ২৭ জন, আহত হয়েছেন ৭৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৭ জনই শিক্ষার্থী।

যুক্তরষ্ট্রে দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে নির্বিচার গুলিবর্ষণ। তবে দেশটির স্কুলগুলোতে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর তিনটি বন্দুক হামলা ঘটেছে গত এক দশকের মধ্যে। বন্দুকসহিংসতা বিষয়ক মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভায়োলেন্স প্রজেক্টের সহ প্রতিষ্ঠাতা জেমস ডেন্সলি রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নির্বিচার গুলিবর্ষণের যেসব ঘটনায় চার জন বা তারও বেশি মানুষ নিহত হয় সেগুলোর তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রজেক্ট।

ডেন্সলির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে স্কুলে প্রথম ভয়াবহ বন্দুক হামলাটি ঘটে ২০১২ সালে। ওই বছল স্যান্ডি হুক প্রাথমিক স্কুলে এক বন্দুকধারী ২৬ শিশু ও এক স্কুলকর্মীকে হত্যা তরে। তারপর ২০১৮ সালে ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডে মার্জারি ডগলাস হাইস্কুলে গোলাগুলির ঘটনায় প্রাণ হারান ১৭ জন এব সর্বশেষটি হলো টেক্সাসে ঘটা হত্যাকাণ্ড। 

যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগামী শিশুরা প্রাণঘাতী হামলার ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকি এড়াতে মার্কিন শিশুরা অল্প বয়স থেকেই নিয়মিত ‘অ্যাকটিভ শুটার ড্রিল’ অনুশীলন করে; এটি একপ্রকার আত্মরক্ষার কৌশল এবং এতে বন্দুকধারীর হামলা হলে শ্রেণিকক্ষের লাইট বন্ধ করে ও প্রবেশপথ আটকে দিয়ে কীভাবে লুকিয়ে থাকতে হবে, তা শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়।

আগাম সতর্কতা হিসেবে অনেক স্কুলে প্রধান গেট বন্ধ করার পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের দরজাও বন্ধ করে রাখা হয়। এভাবে সম্ভাব্য বন্দুকধারীদের ঠেকিয়ে রাখার আশা করে তারা। টেক্সাসে স্কুলগুলোর জন্য একটি মার্শাল কর্মসূচীও আছে, ‍যার আওতায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পিস্তল-রিভলবার জাতীয় হ্যান্ডগান বহন করার অনুমতি রয়েছে।

গোলাগুলির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্কুলের নিরাপত্তাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রে একটি শিল্পও গড়ে উঠেছে। বহু স্কুলে বুলেট-প্রুফ দরজা ও জানালা, বিশেষ তালা লাগানো হয়েছে; বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। কিছু স্কুল সশস্ত্র রক্ষী ভাড়া করে পাহারা জোরদার করেছে। 

কিন্তু তারপরও এসব উদ্যোগ প্রায়ই স্কুল ক্যাম্পাসে বন্দুকের প্রবেশ ও প্রাণঘাতী হামলা ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ডেন্সলি।

যুক্তরাষ্ট্র   বন্দুক হামলা   স্কুল   টেক্সাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বাংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।

সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে র্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

এ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ ছাড়া বিশ্বনেতারা ইরানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।


ইরান প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক, বিদেশি শিক্ষার্থীরা ফিরতে চান দেশে

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু সহিংসতা-পরবর্তী থমথমে পরিস্থিতিতে শঙ্কা কাটেনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী অভিভাবকদের। এখন শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই দেশে ফিরতে চাচ্ছেন। ওই এলাকার নিরাপত্তায় প্রায় - হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

কিরগিজস্তানের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি ডা. জেরিত ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ‘বর্তমানে কিরগিজস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষকরাও স্থানীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করছেন, তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। আমরা শিক্ষার্থীদের হোস্টেল থেকে বের হতে দিচ্ছি না। তবে আনুষঙ্গিক কেনাকাটার জন্য তাদের বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত।

কিরগিজস্তানের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় হাজার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন, যাদের সবাই মেডিকেল শিক্ষার্থী। ডা. জেরিত বলেন, ‘এখানে প্রথম দ্বিতীয় বর্ষের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলকভাবে হোস্টেলে থাকতে হয়। তৃতীয় বর্ষে ওঠার পর কেউ চাইলে বাইরে চলে যেতে পারেন। ফলে প্রথম দ্বিতীয় বর্ষের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বর্তমানে তাদের হোস্টেলে অবস্থান করছেন। অন্যরা বাইরের বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন।

হামলার ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘হোস্টেলে মিসরীয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সমস্যা হয়। পরে মিসরীয় শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের মারধর করেন। ঘটনাটি তিন-চার দিন আগের। এরপর সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলছিল। কিন্তু পরে সেই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

কিরগিজস্তানে স্থানীয়দের সহিংসতায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ছাড়া তাসখন্দে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে শিগগিরই কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেক সফর করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা উজবেকিস্তানে আমাদের দূতাবাসের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। দূতাবাস কিরগিজস্তানের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী কিরগিজ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগ রাখছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে কোনো গুরুতর আহত বা প্রাণহানির খবর নেই। দূতাবাস এরই মধ্যে তাদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে একটি জরুরি যোগাযোগ নম্বর শেয়ার করেছে, যাতে বিষয়ে যে কোনো সমস্যার জন্য তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, তাসখন্দে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুস্থতা সম্পর্কে জানতে শিগগিরই বিশকেক সফর করতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গত ১৩ মে কিরগিজ মিসরের ছাত্রদের মধ্যে মারামারির একটি ভিডিও ভাইরাল হলে স্থানীয় জনতা বিদেশি ছাত্রদের বিরুদ্ধে সহিংস হয়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সংঘবদ্ধ জনতা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বিদেশি ছাত্রদের পেটাচ্ছে। ওই সংঘাতের কারণে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সেখানকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। দেশটিতে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে কিরগিজস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী . হাছান মাহমুদ বলেন, কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সে দেশের সরকারকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।


কিরগিজস্তান   শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তুর্কি ড্রোনে রাইসির হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত

প্রকাশ: ০৯:২০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তুরস্কের আকিনসি ড্রোন দুর্ঘটনাকবলিত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করেছে। উদ্ধারকারী দল ওই স্থান থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন। সোমবার (২০ মে) এমন তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

তবে হেলিকপ্টারে থাকা প্রেসিডেন্ট রাইসি তার সফরসঙ্গীরা বেঁচে আছেন কিনা, সে বিষয়ে এখনো গণমাধ্যমকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।

এর আগেত রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ।

সোমবার (২০ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর রাশিয়া, আজারবাইজান, আর্মেনিয়া এবং ইরাক উদ্ধারকাজে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে।

হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ঘটনার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুর্ঘটনার খোঁজ নিচ্ছেন।


তুর্কি ড্রোন   রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে জীবিত উদ্ধার করা নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

প্রকাশ: ০৯:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনার খবর বলছে, এখনো প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে।

ফলে ঘটনাস্থলে আরও কয়েকটি উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়েছে। তাই সময় যতো যাচ্ছে রাইসিকে জীবিত উদ্ধার করা নিয়েও ততো উদ্বেগ বাড়ছে।

খবরে বলা হয়েছে দুর্ঘটনা কিংবা হার্ড ল্যান্ডিংয়ে বাধ্য হওয়া রাইসির হেলিকপ্টারটির নির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায়নি।

ইরানিদের রাইসির জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।

বৈরি আবহাওয়ার কারণে আকাশপথে রাইসির অবস্থা শনাক্ত করার কাজও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে ইরান কর্তৃপক্ষ। ফলে স্থলপথে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।


রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইব্রাহিম রাইসির উত্থান পতন

প্রকাশ: ০৮:৪৮ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

তিন বছর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া ইব্রাহিম রাইসিকে (৬৩) মনে করা হয় একদিন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উত্তরসূরি হবেন তিনি। রোববার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় জলাধার প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে।

এই দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যু হলে তা হবে ইরানের জন্য বিরাট এক ধাক্কা। দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে ইরানের। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি তেহরানের পার্শ্ববর্তী শহর কারাজের প্রসিকিউটর-জেনারেল নিযুক্ত হন।

১৯৮৯ থাকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত রাইসি তেহরানের প্রসিকিউটর-জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে তিনি এক দশক জুডিশিয়াল অথোরিটির উপপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে তাকে বিচার বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।

কট্টরপন্থী হিসেবে পরিচিত রাইসি পরবর্তীতে ৮৮ সদস্যের বিশেষজ্ঞ সভার উপচেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।। সর্বোচ্চ ধর্মী নেতা নির্বাচনসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে সভা। ২০২১ সালে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন করে ইরানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইব্রাহিম রাইসি।


ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন