ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরানের আজাদি মার্চ স্থগিত, জনমনে বিস্ময় ও সংশয়

প্রকাশ: ১১:৩৪ এএম, ২৯ মে, ২০২২


Thumbnail ইমরানের আজাদি মার্চ স্থগিত, জনমনে বিষ্ময় ও সংশয়

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার (২৬মে) হঠাৎ করেই 'হাকিকি আজাদি মার্চ' কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এতে বিস্ময় প্রকাশ করে অনেকেই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আজাদি মার্চ থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন ইমরান খান। কিন্তু হঠাৎ তাঁর এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। 

তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় ক্ষমতাসীন জোটকে ছয় দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। অন্যথায় পরবর্তী সময় আরও বেশি লোকজন নিয়ে রাজধানীতে ফিরে আসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

অবশ্য হঠাৎ এই কর্মসূচী থেকে সরে আসায় তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। অনেকে এর মধ্যে সমঝোতার আভাসও পাচ্ছেন। একইসাথে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের বিষয়টিও গুঞ্জনের পালে হাওয়া দিচ্ছে। 'আজাদী মার্চ' রাজধানীমূখী না হয়ে সমাবেশে সীমাবদ্ধ থাকার পেছনে সেনাবাহিনীর কলকাঠি দায়ী বলে ধারণা করা হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। 

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সরকার-পিটিআই মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ায় চাপ বাড়তে থাকে। শক্তিশালী স্টেকহোল্ডারদের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল—এমন পরিস্থিতিতে অর্পিত দায়িত্বের বিষয়ে পুরোপুরি সজাগ থেকে দীর্ঘ সময় ধরে তারা নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারেন না।

বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে বলে, প্রতিষ্ঠানগুলোর অতীত ভূমিকার বিষয়ে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলের মনোভাব একই। একমাত্র পার্থক্য হলো রাজনৈতিক দলগুলো আর একই অবস্থানে নেই। সূত্রটি বলছে, আস্থার সংকট রয়েছে। এই মুহূর্তে কেউ কাউকে বিশ্বাস করছে না।

সাধারণ নির্বাচনের বিষয়ে সূত্রটি বলেছে, সেনাপ্রধানের অবসরে যাওয়ার এক মাস আগে চলতি বছরের অক্টোবরেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা প্রবল। স্পিকারের দপ্তরেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে সেখানে আরও দর-কষাকষি হতে পারে। 

তড়িঘড়ি করে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণার বিষয়ে পিটিআইয়ের একজন নেতা বলেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন ইমরান। এর পেছনে বাস্তব কারণ ছিল। তিনি বলেন, যাহোক, সব স্টেকহোল্ডারের স্বার্থই রক্ষা হয়েছে, যাকে ‘উইন-উইন সিচুয়েশন’ বলা যেতে পারে। সমাবেশের উপস্থিতি প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, ‘কখনো সংখ্যাটা মুখ্য, কখনো প্রতীকী বার্তা; গত রাতের (বুধবার রাত) সমাবেশ ছিল অনেকটাই প্রতীকী।’

আরেক পিটিআই নেতা বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে নেতা-কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচিতে রাখার কোনো ধরনের প্রস্তুতি ছিল না। ব্যাপক জনসমাগমে সরকার বিচলিত হতে পারে, এমন আশঙ্কার বিষয়ও ছিল। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে না গিয়ে শুধু শক্তি প্রদর্শনের সিদ্ধান্তে যায় পিটিআই।

ওই নেতা আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে, সেনাবাহিনীর সঙ্গে নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়াতে পারেন, এমন আশঙ্কা থেকে তড়িঘড়ি করে কর্মসূচি শেষ করে দেন ইমরান। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কয়েক হাজার মানুষের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা ঠেকাতে কারা সেনাবাহিনীকে ডেকে এনেছে। এটা ছিল জনগণকে সেনাবাহিনীর মুখোমুখি করার চেষ্টা।

ছয় দিন পর কর্মসূচিতে ফেরার বিষয়ে এই পিটিআই নেতা বলেন, কর্মসূচিতে ফেরার সিদ্ধান্ত এখন পর্যন্ত বহাল। পরবর্তী রাজনৈতিক জমায়েতে সর্বোচ্চ আদালত প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবেন না বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। এটি পিটিআইকে আরও স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ করে দেবে।

ইমরানের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে সূত্রটি বলেছে, জনগণ সুপ্রিম কোর্টের দিকে তাকিয়ে আছে, যেখানে বিশ্বের কোথাও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমোদন অস্বীকার করা হয় না বলে তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে গত ৯ এপ্রিল ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন ইমরান খান। এরপর নতুন নির্বাচনের দাবিতে চাপ সৃষ্টির জন্য দেশজুড়ে একের পর এক সমাবেশ করেন তিনি। সবশেষ ২৫ মের আজাদি মার্চ ছিল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অংশ। যদিও শেষ পর্যন্ত সেটা হয়ে ওঠেনি।
যাহোক, লংমার্চ ও আলটিমেটামের একটি অর্জন হলো—বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ঘোষণা।

আজাদি মার্চ   পাকিস্তান   ইমরান খান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ব্রিটিশ জাহাজে সরাসরি আঘাত হানল হুথি

প্রকাশ: ০৮:১৮ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

হুথিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে এক টেলিভিশন ভাষণে এই দাবি জানিয়েছে, ব্রিটেনের একটি তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজে সরাসরি আঘাত হেনেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

তিনি জানিয়েছেন, তাদের যোদ্ধারা নৌ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ব্রিটেনের তেলবাহী ট্যাংকার ‘আন্দ্রোমেদা স্টারে’ সরাসরি হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছে।

এছাড়া ইয়েমেনের সাআদা অঞ্চলের আকাশসীমায় ব্রিটেনের একটি ড্রোন ভূপাতিত করার তথ্যও জানান তিনি।

গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে চলাচল করা ইসরায়েলি জাহাজে হামলা শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। তারা জানায়, ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর প্রতি একাত্মতা প্রকাশের অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হামলা চালালে তাদেরকেও বৈধ লক্ষ্যবস্তু ঘোষণা করে হুথি।

ব্রিটেনের সমুদ্র নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা আমব্রে শুক্রবার লোহিত সাগরে একটি জাহাজের কাছে হামলা হওয়ার তথ্য জানিয়েছিল। ওই সময় ধারণা করা হয়েছিল, হুথিরা নতুন করে আবারও কোনও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।

এর কয়েক ঘণ্টা পর হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারে জানান, তাদের যোদ্ধাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে ব্রিটিশ জাহাজে। লাল ও কালো রঙের এই ট্যাংকারটি বেশ বড় একটি জাহাজ। হামলার সময় এতে কি পরিমাণ তেল ছিল তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। এছাড়া জাহাজটি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়টিও এখনও স্পষ্ট নয়।


ব্রিটিশ   জাহাজ   আঘাত   হুথি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ওয়াশিংটন বার্লিন দুবাই নিয়ে বিশেষ উৎকণ্ঠা

প্রকাশ: ০৮:১২ এএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাইসহ বিশ্বের প্রভাবশালী দেশে অবস্থিত বাংলাদেশের বাণিজ্যিক মিশনগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সরকার। এ মিশনগুলোকে রপ্তানি আয়ের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল তা পূরণ করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, অনেক মিশনের রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের চেয়েও কমে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় যে দেশগুলোর ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে স্থাপিত গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলো টার্গেট অর্জন করতে পারছে না; সরকারের দুশ্চিন্তার এটিই প্রধান কারণ। মিশনগুলো টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হলে রপ্তানি আয় কমে যাবে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত আরও ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এর মধ্যে জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে কৌশলগত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬২৬ কোটি ডলার। টার্গেটের চেয়ে প্রায় ৪৫৪ কোটি মার্কিন ডলার বা ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ কম রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে। বৈদেশিক মিশনগুলো টার্গেট অর্জনে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই সরকারের লক্ষ্য অনুযায়ী রপ্তানি আয় বাড়ছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরকারি তথ্য বলছে, একক মিশন হিসেবে ওয়াশিংটন থেকে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় আসে জার্মানির বার্লিন মিশন থেকে। এ দুটি মিশনেই রপ্তানি আয় টার্গেটের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে ওয়াশিংটনে রপ্তানি আয় লক্ষ্যের চেয়ে প্রায় ১২ দশমিক ৫ এবং বার্লিন থেকে প্রায় ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। শুধু তাই নয়, এ দুটি মিশনে গত বছরের চেয়েও রপ্তানি আয় কমে গেছে চলতি বছর। ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ মিশনের মধ্যে বেলজিয়ামের ব্রাসেলস, ফ্রান্সের প্যারিস, স্পেনের মাদ্রিদও রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই মিশন। চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ প্রান্তিকে টার্গেটের চেয়ে প্রায় ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ রপ্তানি আয় কমেছে। আলোচ্য সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর মধ্যে কানাডার অটোয়া, ভারতের নয়াদিল্লি, মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন, সিঙ্গাপুর এমনকি জাপানের টোকিও মিশনও রপ্তানি লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনা মহামারির পর গত দুই বছর জাপানের টোকিও মিশন রপ্তানি আয় বেশ ভালো করেছে। সরকার এটিকে নতুন বাজারের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় হিসেবে দেখেছে। তবে চলতি অর্থবছরে টোকিও মিশনের রপ্তানি চিত্রটি নেতিবাচক হয়ে গেছে, যা উদ্বেগের। একইভাবে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিশন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের রপ্তানি চিত্রটিও উদ্বেগজনক।

ইপিবির জরুরি বৈঠক : বিশ্বের প্রভাবশালী মিশনগুলোর রপ্তানি লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থতার বিষয়টি সামাল দিতে গত বৃহস্পতিবার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইপিবি। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও এ এইচ এম আহসান প্রভাবশালী দেশগুলোয় রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ওয়াশিংটন, বার্লিন, দুবাই, টোকিওর মতো গুরুত্বপূর্ণ মিশনগুলোর রপ্তানি আয় কেন কমে যাচ্ছে-এ বিষয়ে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএকে যত দ্রুত সম্ভব লিখিত কারণ জানাতে বলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ইপিবির এক সূত্র জানান, যেসব মিশন রপ্তানি টার্গেট পূরণ করতে পারেনি, সেগুলোর কাছেও চিঠি পাঠানো হবে। কেন রপ্তানি বাণিজ্য হ্রাস পাচ্ছে, কোথায় চ্যালেঞ্জ-এ বিষয়ে মিশনগুলোর ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইপিবির এক কর্মকর্তা জানান, রপ্তানি বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬১টি মিশন রয়েছে বাংলাদেশের। এসব মিশনকে প্রতি বছর রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। এসব মিশনের কাজই হচ্ছে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানোর জন্য বহুমাত্রিক উদ্যোগ নেওয়া। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট দেশে সরকার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সরকার ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের কার্যকর সংযোগ স্থাপন, সম্ভাবনাময় পণ্যের বাজার সৃষ্টি, কোনো চ্যালেঞ্জ থাকলে সরকারকে দ্রুত অবহিত করাসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশি পণ্যের দূত হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি রপ্তানির গতি বাড়াতে আমদানিকারকের সঙ্গে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকের পরিচয় করিয়ে দেওয়াও এসব মিশনের মূল কাজ। তবে এতে ব্যর্থ হচ্ছে অধিকাংশ মিশন। বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রপ্তানি আদেশ বাড়ানোর ক্ষেত্রে মিশনগুলো সরাসরি কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। দু-একটি মিশন ব্যবসায়ীদের সহায়তা করলেও পর্যাপ্ত নয়। রপ্তানি কমে যাওয়ার মূল কারণ ইউরোপ-আমেরিকায় বিক্রি কমে গেছে। তারা ক্রয়াদেশও কম দিচ্ছে। এর ফলে আমাদের কারখানাগুলো সক্ষমতার ৫০ ভাগের বেশি কাজ করতে পারছে না। এর প্রভাব পড়ছে এশিয়ার দেশগুলোতেও। এ অবস্থায় ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা যদি আরও বেড়ে যায় তবে রপ্তানি  খাত আরও বেশি হুমকির মুখে পড়বে।


ওয়াশিংটন   বার্লিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজা নীতির বিরোধিতা করে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্রের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১০:৪০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের নীতির বিরোধিতা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আরবি ভাষার মুখপাত্র পদত্যাগ করেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। খবর রয়টার্স।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, হালা রাহারিত দুবাই আঞ্চলিক মিডিয়া হাবের ডেপুটি ডিরেক্টর ছিলেন এবং ১৮ বছর আগে একজন রাজনৈতিক ও মানবাধিকারবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে স্টেট ডিপার্টমেন্টে যোগ দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইন-এ তিনি লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গাজা নীতির বিরোধিতা করে ১৮ বছর মর্যাদাপূর্ণ সেবা প্রদান করার পর আমি এপ্রিল ২০২৪ সালে পদত্যাগ করেছি’।

প্রায় এক মাস আগে, পররাষ্ট্র দপ্তরের মানবাধিকার ব্যুরোর অ্যানেল শেলাইন পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) কর্মকর্তা জোশ পল গত অক্টোবরে পদত্যাগ করেন।
 
দেশটির শিক্ষা বিভাগের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা, তারিক হাবাশ, যিনি ফিলিস্তিনি-আমেরিকান, চলতি বছরের জানুয়ারিতে পদত্যাগ করেছিলেন। 
  
৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু। এছাড়াও সেখানে তীব্র মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। 
 
এর মধ্যে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা ও গণহত্যার প্রতি সরাসরি এবং নির্লজ্জ সমর্থনের জন্য ওয়াশিংটন আন্তর্জাতিকভাবে এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর কাছে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।

গাজা নীতি   মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচন: মোদির ম্যাজিক কি ফুরিয়ে যাচ্ছে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ ধাপে। আজ দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১ জুন পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল জানা যাবে। বিশ্বের বৃহত্তম এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ভোটের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। 

নির্বাচনের আগে ভারতের নির্বাচন নিয়ে যে সমস্ত জরিপ হয়েছে তার সবগুলোতেই নরেন্দ্র মোদির বিপুল বিজয়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য জরিপগুলোতে দেখা যাচ্ছে যে, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে এনডিএ জোটের ভোটপ্রাপ্তি সর্বোচ্চ ৫২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ। সেখানে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের ভোট প্রাপ্তির হার সবচেয়ে বেশি হলে ৪২ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন হলে ৩৯ দশমিক ৮ শতাংশ। আসনের হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের অবস্থান ৪১১ থেকে ৩৭৩ এর মধ্যে এবং ইন্ডিয়া জোট ১৫৫ থেকে ১০৫ এর মধ্যে উঠানামা করবে বলে বিভিন্ন জরিপের হিসেবে বলা হচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণের পর অনেকেই ভারতের এই জরিপ শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন। 

অনেকেই মনে করছেন যে, এই নির্বাচনে কতগুলি ইস্যু বড় রকমের প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সময়ে মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য ভারতের মুসলমান ভোটারদেরকে একাট্টা করেছে। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি তা বুঝতে পেরেছে। আর এ কারণে এবার মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দানে বাধা দেওয়া হচ্ছে-এমন অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন এলাকা থেকে। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণে ট্রেন বন্ধ রেখে মুসলিম ভোটারদেরকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর প্রকাশিত হয়েছে। 

নরেন্দ্র মোদি ইন্ডিয়াকে যে ক্ষমতাবান এবং উন্নয়নের রোল মডেলের নীতি নিয়ে টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছেন সেটি এখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাবের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বলে অনেকে মনে করেন। তাছাড়া নিম্ন আয়ের মানুষ বিশেষ করে কৃষকদের নাজুক পরিস্থিতি নরেন্দ্র মোদি ম্যাজিককে ফিকে করে দিয়েছে। অনেকেই এই নির্বাচনে যে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে সেই পূর্বাভাস শেষ পর্যন্ত সফল হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। 

অনেকে মনে করছেন যে, ২০০৪ সালে ভারতের চতুর্দশ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ম্যাজিক দেখিয়েছিল। সে সময় বিজেপির ইন্ডিয়ার সাইনিং স্লোগানের আড়ালে সকলে জয়ের সম্ভাবনা দেখেছিল অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বে বিজেপি জোটের। কিন্তু সেই নির্বাচনে সকল জরিপকে মিথ্যে প্রমাণ করে কংগ্রেস বিজয়ী হয়েছিল। এবার নির্বাচনে তেমন কোন ফলাফল হবে কিনা তা নিয়ে নানা রকম জল্পনা কল্পনা চলছে। 

তবে নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা তেমন কোন সম্ভাবনা দেখছেন না। বরং তারা মনে করছেন যে, ভারতে শেষ পর্যন্ত বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ জোটই বিজয়ী হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি এবং তার নেতৃত্বে জোট যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ট আশা করেছিল সে সংখ্যাগরিষ্ট অনেকটাই কমে যাবে। তবে এই নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদির এনডিএ জোট বিজয়ী হলেও নরেন্দ্র মোদির ম্যাজিক অনেকটাই ফিকে হয়ে যাকে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি   কংগ্রেস   বিজেপি   ইন্ডিয়া জোট   এনডিএ জোট   লোকসভা ভোট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:১১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। চলছে গণগ্রেপ্তার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শৃঙ্খলা ভঙের কারণে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এরই মধ্যে দেশটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশিসহ ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মায়মুনা ইসলাম নুহার রুমমেটসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম জেলার সদ্বীপ উপজেলা বাসিন্দা মনির হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করছে। এই বিক্ষোভের জেরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৮ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে। এর মধ্যে তার মেয়ে মায়মুনা ইসলাম নুহাও রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার গণহত্যার প্রতিবাদে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মুখ সারির প্রতিবাদী হিসেবে কাজ করছেন তার মেয়ে নুহা। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নুহার রুমমেট ও মিনেসোটার কংগ্রেসওমেন ইলহান আবদুল্লাহি ওমরের মেয়ে ইসরা হিরসিসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নুহা ফুল স্কলারশিপ নিয়ে নিউরো সায়েন্সের তৃতীয় সেমিস্টারে পড়াশোনার পাশাপাশি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিও করছেন। গ্রেপ্তার এড়াতে নুহা লুকিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করেন তার বাবা। তিনি আরও জানান, মেয়ে নুহা এবং তার সহপাঠীরা আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় ইসরায়েলের ফান্ড প্রত্যাখানের দাবি জানাচ্ছেন। তারা অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধেরও দাবি জানাচ্ছেন। ইহুদি সম্প্রদায়ের অনেকেও তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

মনির হোসেন বলেন, নুহা ও তার সঙ্গীরা ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড, এমআইটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবতার পক্ষের আন্দোলনে ক্রমশ যুক্ত হতে শুরু করছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন