ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার কাছে লুহানস্কের পতন কি তবে আসন্ন?

প্রকাশ: ১১:৩৬ এএম, ৩১ মে, ২০২২


Thumbnail রাশিয়ার কাছে লুহানস্কের পতন কি তবে আসন্ন?

রুশ সেনারা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাসের প্রধান শহর সেভেরোডনিয়েস্ক শহরে ঢুকে পড়েছে বলে জানিয়েছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। 

সেভেরোডনিয়েস্কের শহরটির প্রধানের উদ্ধৃত করে ইউক্রেনের একটি সংবাদ ওয়েবসাইট খবর দিয়েছে রাশিয়ান সৈন্যরা নোভোয়াদার এবং স্টারোবিলস্ক নামে দুটি এলাকা দিয়ে শহরে ঢুকে পড়েছে। তারা প্রায় ১০০ মিটার এলাকার দখল নিয়ে নিয়েছে বলে তিনি জানান।

ইউক্রেনের স্থানীয় প্রশাসনের প্রধান রোমান ভ্লাসেঙ্কো রুশ সৈন্যদের শহরে ঢুকে পড়ার কথা স্বীকার করলেও তিনি বলেন, তাদের সৈন্যরা এখনও রুশ সৈন্যদের প্রতিহত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তবে লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সেরহি হাইদাই পরিস্থিতিকে খুবই কঠিন বলে বর্ণনা করেছেন।

“সেভেরোডনিয়েস্কের অবকাঠামোগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এবং শহরের ৬০ শতাংশ আবাসিক ভবন এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে সেগুলো আর মেরামত করা সম্ভব নয়,” বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, “শহর থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেবার এবং ত্রাণ সহায়তা পৌঁছনোর মূল সড়কও এখন আর নিরাপদ নয়।”

এই শিল্প শহরটির ওপর এত তীব্র বোমাবর্ষণ হচ্ছে যে হাইদাই বলেন, তারা হতাহতের সংখ্যা গণনাও বন্ধ করে দিয়েছেন।

রুশ সৈন্যরা সেভেরোডনিয়েস্ক এবং প্রতিবেশি শহর লিসিচ্যানস্ক দখলের জন্য কয়েক সপ্তাহ ধরে তুমুল লড়াই চালাচ্ছে।

পুরো লুহানস্ক এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে রাশিয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই দুটি শহরের দখল নেওয়া। 

ডনবাস সঙ্কটে- ইউক্রেনের উপদেষ্টা

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা ইউরি স্যাক বিবিসিকে বলেছেন যে রাশিয়া "ছোট ছোট পকেটে ইউক্রেন সৈন্যদের দলগুলোকে ঘিরে তাদের কোণঠাসা করে ফেলেছে। তাদের ধ্বংস করে দেবার চেষ্টা করছে।"

তিনি বলছেন, "ইউক্রেন সশস্ত্র বাহিনী এলাকাগুলো ধরে রাখার জন্য লড়ছে। তবে রুশ সৈন্যদের গোলাগুলির শক্তি অনেক বেশি। প্রতিদিন চব্বিশ ঘণ্টা একনাগাড়ে তারা এসব এলাকায় কামান থেকে গোলাবর্ষণ করছে।

"তারা বেসামরিক মানুষের বাড়িঘর এবং ইউক্রেনের সামরিক স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি বেসামরিক অবকাঠামোগুলোতেও আঘাত করছে," বলছেন মি. স্যাক।

"পরিস্থিতি খুবই, খুবই কঠিন।"

ইউরি স্যাক বলছেন রুশ শক্তিমত্তার বিরুদ্ধে লড়তে যে ধরনের ভারি অস্ত্র প্রয়োজন যা পাঠাতে তারা পশ্চিমের দেশগুলোকে অনেক দিন আগেই অনুরোধ জানিয়েছিল, সেসব অস্ত্র এখনও এসে না পৌঁছনয় লড়াই তাদের জন্য কঠিন হচ্ছে।

ডনবাস কেন রুশদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

রাশিয়া সেভেরোদনিয়েস্ক শহরটির দখল নিলে পুরো লুহানস্ক এলাকা তাদের দখলে চলে আসবে এবং এটা হবে রাশিয়ার জন্য একটা বড় কৌশলগত অর্জন। লুহানস্ক ডনবাসের একটা গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এবং ইউক্রেনের ভারি শিল্প এলাকা।

ডনবাস দখল করাকে রাশিয়া এখন চূড়ান্ত অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং এখানে কোনরকম শর্ত রাশিয়া আমলে নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

ডনবাসের মানুষ মূলত রুশ ভাষাভাষী। দোনেৎস্ক আর লুহানস্ক বিস্তৃত খনিসমৃদ্ধ এলাকা এবং এই এলাকার সাথে রাশিয়ার একটা ঐতিহাসিক সম্পৃক্ততা আছে।

ফলে এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ রাশিয়া যে কোন মূল্যে নিতে চায়- তাদের ভাষায় এই এলাকা তারা "স্বাধীন" করতে চায়। অর্থাৎ ক্রাইমিয়ার পর এই এলাকা রাশিয়া তার দেশের অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।

মি. লাভরভ বলেছেন, "রুশ ফেডারেশন দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ক এলাকাকে স্বাধীন রাজ্য বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই দুই এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ রাশিয়ার জন্য শর্তহীন অগ্রাধিকার।"

ইউক্রেনও চাইছে না এই এলাকা রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যাক। কিন্তু এই এলাকার পতন তারা ঠেকাতে পারবে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

'সেভেরোডোনিয়েস্ক নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় এখন'

রাশিয়া লুহানস্ক, বিশেষ করে সেভেরোদনিয়েস্ক দখলের জন্য সর্ব শক্তি প্রয়োগ করছে। যদিও তারা এখনও পুরোপুরি সাফল্য পায়নি বলে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন।

তবে বিশ্লেষক অধ্যাপক মাইকেল ক্লার্ক বিবিসিকে বলেছেন যে সেভেরোদনিয়েস্ককে রক্ষা করার চেষ্টা কতটা সঙ্গত সেটা নিয়ে ইউক্রেনকে এখন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

কারণ তিনি বলছেন খুব দ্রুত সেভেরোদনিয়েস্ককে সব দিক থেকে ঘিরে ফেলা হবে। ফলে ইউক্রেনের সৈন্যদের আরও পশ্চিমে নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়াটা সমীচীন হবে কিনা।

"ইউক্রেনের সেনারা চাইছে শেষ পর্যন্ত লড়তে," তিনি বলছেন। তিনি আরও বলছেন এই শহর দখলের লড়াইয়ের কেন্দ্রে রয়েছে শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী, যা প্রবাহিত হয়েছে পশ্চিম দিকে।

"এই নদীর পশ্চিম অংশে ইউক্রেন বাহিনীর চারটি বিগ্রেড রয়েছে। রাশিয়ানরা চাইছে এই চারটি বিগ্রেডকে কব্জা করতে। সেটা তারা করতে পারলে এই ব্রিগেডগুলোর রীতিমত সমস্যায় পড়বে।"

অধ্যাপক ক্লার্ক বলছেন, "ইউক্রেনের লড়াই টিকিয়ে রাখতে হলে এই চারটি সেনা বিগ্রেডের টিকে থাকা খুবই জরুরি।" সূত্র: বিবিসি বাংলা 

রাশিয়া   ইউক্রেন   ডনবাস   লুহানস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালাল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৮:৫৮ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।

এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি হামলার তথ্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।

গত বছরের অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়।

গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন। 


ইসরায়েল   বিমানঘাঁটি   ড্রোন   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় আরও ৩৯ জন নিহত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহত হল প্রায় ৩৫ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গত অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৭৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ হাজার ২৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এমন তথ্য দিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া এই হামলায় অন্তত ৭৯ হাজার ২০৫ জন আহত হয়েছেন বলেও মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে ইসরায়েল চারটিগণহত্যাচালিয়েছে এবং এতে অন্তত ৩৯ জন নিহত আরও ৬৪ জন আহত হয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না বলেও জানানো হয়।


গাজা   ইসরায়েলি   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশ: ০৮:৩৩ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাদের হামলায় গাজা ধ্বংস নগরীতে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়ে আসছে বহুদেশ। তবু্ও হামলা অব্যাহত রেখেছে তারা। এবার উপত্যাকায় যুদ্ধের পর নিজেদের পরিকল্পনা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে উপত্যাকায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাহিনীতি মিসর, সংযুক্ত আবর আমিরাত মরক্কোকে সেনা সরবরাহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

ওয়াশিংটনের দাবি, গাজায় যুদ্ধ শেষ হলে হামাসকে ঠেকাতে এবং উপত্যাকাকে নিরাপদ করতে এমন পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে তারা।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনের প্রস্তাব মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মরক্কো বিবেচনা করে দেখছে। তবে তারা এজন্য একটি শর্ত দিয়েছে। এমন কোনো প্রস্তাব বাস্তবায়নের আগে তিনটি দেশই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে স্বীকৃতি চায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনীতে নিজের সেনা যুক্ত করার প্রস্তাব সৌদি আরবসহ অন্য আরব দেশগুলো নাকচ করে দিয়েছে। তবে তারা উপত্যাকায় এক ধরনের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের পক্ষে সায় দিয়েছে। কেননা যুদ্ধ শেষে গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের প্রত্যাহারের পর সেখানে আর কোনো সেনা থাকছে না।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েনের বিরোধিতা করে আসছে। পশ্চিমা এক কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েল এটি নিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলতে চায় না। আরব দেশগুরো পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে। যদিও পশ্চিমাদের মধ্যে খুব কম দেশ স্বীকৃতির কাছাকাছি রয়েছে।


গাজা   শান্তিরক্ষী   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পুতিনপন্থি প্রধানমন্ত্রীকে গুলির নেপথ্যে পশ্চিমা শক্তি?

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিমা শক্তিগুলো যখন কূটনীতি আর রাজনীতিতে পরাজিত হয় তখন গুপ্তহত্যার মতো ঘৃণ্য পথ বেছে নিতে দ্বিতীয়বার ভাবে না । তারই সবশেষ নজির দেখা গেল পুতিন ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য স্লোভাকিয়ায়।

পুতিনকে সমর্থন করার মূল্য হয়তো নিজ জীবন দিয়েই দিতে হবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকোকে। বুধবার এক সরকারি বৈঠক শেষে বেরিয়ে আসার পর তাকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। কিন্তু কেন এই হত্যাচেষ্টা?

স্লোভাকিয়ার হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সরকারি বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পর রবার্ট ফিকোকে লক্ষ্য করে গুলি করে এক বন্দুকধারী। সময় তাকে একাধিকবার গুলি করা হয়, বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসা চলছে তার।

ঘটনাস্থল থেকেই ওই বন্দুকধারীকে আটক করা হয়। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ ফিকোকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা একটি কালো গাড়িতে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে একজনকে হাতকড়া পরায় পুলিশ।

বুধবার সন্ধ্যায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট কালিনাক জানান, গুলির ঘটনায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ফিকোর। স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে গুলির ঘটনায় আটক সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।

গেল সেপ্টেম্বরে স্লোভাকিয়ায় জাতীয় নির্বাচনে জয় পায় ফিকোর দল স্মের–এসডি। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন ফিকো। তারপরই জানুয়ারিতে তিনি ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেন।

ছাড়া তিনি রাশিয়ার ওপর আরোপিত পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ঘোর বিরোধিতা করে আসছিলেন স্লোভাক রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য পদের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে তাতেও বিরোধিতা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। ফিকোর এমন মস্কোপন্থি অবস্থানের কট্টর সমালোচনা করে আসছিল পশ্চিমারা।

ফিকোর ওপর এমন ন্যক্কারজনক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের অধিপতি জানান, এই বর্বরোচিত অপরাধের পক্ষে কোনো যুক্তি থাকতে পারে না। সময় স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীকে একজন সাহসী এবং শক্ত মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন তিনি। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


পুতিনপন্থি   প্রধানমন্ত্রী   পশ্চিমা শক্তি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যা, শীতল লাভায় ৬৭ জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০৩:২৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশে হড়কা বান, শীতল লাভাস্রোত ভূমিধসে ৬৭ জন নিহত হয়েছেন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ২০ জন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনুসন্ধান জারি রেখেছে প্রদেশ প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দিনজুড়ে ভারী বর্ষণের জেরে বন্যা শুরু হয় পশ্চিম সুমাত্রার অন্তত ৩টি জেলায়। ওই দিনই সন্ধ্যার পর সক্রিয় হয় প্রদেশটিতে অবস্থিতি জীবন্ত আগ্নেয় পর্বত মাউন্ট মারাপি।

শীতল লাভাকে ইন্দোনেশীয়ায় বলা হয় লহর। এটি এক ঘন কাদার মতো মিশ্রন যার গঠন উপাদান আগ্নেয় ছাই, পাথরের ধ্বংসাবশেষ এবং পানি। সাধারণ অগ্নুৎপাতজনিত সাধারণ লাভার সঙ্গে শীতল লাভার পার্থক্য হলোএই লাভায় উত্তাপ কম থাকে।

ইন্দোনেশিয়ার মাউন্ট মারাপি থেকে মাঝে মাঝেই শীতল লাভার উদ্গিরণ হয়। গত ডিসেম্বরে মাউন্ট রে এরকমই এক লাভা উদ্গিরণের জেরে পশ্চিম সুমাত্রায় ২০ জন নিহত হয়েছিলেন।

বৃষ্টি, হড়কা বান লাভায় প্রদেশটির তিন জেলায় ৫২১টি বাড়ি, ৭৯ হাজার ৩৭ একর পরিমাণ জমির ফসল এবং ১৯টি সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে প্রদেশ প্রশাসন।


ইন্দোনেশিয়া   বন্যা   শীতল লাভা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন