ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তান ভেঙ্গে তিনভাগ হবে, আশংকা ইমরানের

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ০২ জুন, ২০২২


Thumbnail পাকিস্তান ভেঙ্গে তিনভাগ হবে, আশংকা ইমরানের

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, রাষ্ট্রের এই প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানটি যদি সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে পাকিস্তান ভেঙে তিন ভাগ হয়ে যাবে। 

গতকাল বুধবার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খান দেশটির একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে তাঁর দেশ আত্মহত্যার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যাবে। তাঁর দেশ খেলাপি হওয়ার দিকে যেতে পারে।

ইমরান খান আরও বলেন, ‘যদি এস্টাবলিশমেন্ট (পাকিস্তান সেনাবাহিনী) সঠিক সিদ্ধান্ত না নেয়, তাহলে আমি লিখে দিতে পারি, তারা ধ্বংস হবে (পাকিস্তান ও এস্টাবলিশমেন্ট)। সশস্ত্র বাহিনীই প্রথমে ধ্বংস হবে।’

ইমরান সতর্ক করে বলেন, দেশ ধ্বংস হলে সেটি খেলাপি হবে। তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের কথা বলবে। ঠিক যেমনটা গত শতকের নব্বইয়ের দশকে ইউক্রেন করেছিল।

ইমরান খান বলেন, ভারতীয় চিন্তন প্রতিষ্ঠানগুলো বেলুচিস্তানকে আলাদা করার কথা বলছে। তাদের তেমন পরিকল্পনা আছে। এ জন্যই তিনি চাপ দিয়ে যাচ্ছেন। তবে তিনি ঠিক কাকে চাপ দিচ্ছেন, তা উল্লেখ করেননি।

পিটিআই প্রধান বলেন, সব উপায়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করবে পাকিস্তানের বর্তমান জোট সরকার। যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ইসরায়েলি জোটকে খুশি রাখতে সব সময়ই কাজ করে এসেছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ নওয়াজের (পিএমএল-এন) সর্বোচ্চ নেতা নওয়াজ শরিফ ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) কো-চেয়ারম্যান আসিফ আলী জারদারি।

ইমরান খান বলেন, পাকিস্তানের বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা দেশকে শক্তিশালী করা নয়। তাঁকে যখন ক্ষমতাচ্যুত করা হয়, তখন তাঁর উদ্যাপন ভারতে এমনভাবে হয়েছে, যেন নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একজন ভারতীয়।

পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, তিনি স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন বলে তাঁকে ভারত পছন্দ করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া কথিত হুমকির চিঠির বিষয়টি তদন্ত করতে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়ালের প্রতি ফের আহ্বান জানিয়েছেন ইমরান খান। এই চিঠিতে পিটিআই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার হুমকি ছিল বলে দাবি ইমরান খানের।

পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে ফের ইসলামাবাদ অভিমুখে ‘মার্চ’ করবেন বলে জানান পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান। তবে তিনি বলেন, তাঁর এই প্রতিবাদী কর্মসূচি আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।

ইমরান খানের বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন পিএমএল-এনের নেতা তালাল চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মানসিকভাবে অসুস্থ একজন ব্যক্তিই কেবল এমন কথা বলতে পারেন।

তালাল চৌধুরী বলেন, ‘ইমরান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এখনই সময়। আজাদি মার্চে আদালতের নির্দেশনা লঙ্ঘনের বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। তাই আমি মনে করি, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তাঁর বিরুদ্ধে নিজেদের ভূমিকা পালন করবে।’

৯ এপ্রিল পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান খান। তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্র ছিল বলে অভিযোগ ইমরান খানের।

সূত্রঃ জিও নিউজ 


পাকিস্তান   ইমরান খান   শাহবাজ শরীফ   অর্থনীতি   সংকট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে কঠোর হুশিয়ারি দিলেন পুতিন

প্রকাশ: ০৩:১৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলকে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই খবর জানিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রিয়া নভোস্তি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন- হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনী রাফা সীমান্ত ক্রসিং নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সে সঙ্গে শহরটিতে বিমান হামলা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এতে দুঃখিত হয়েছেন পুতিন। প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, রাফা শহরে ইসরায়েলকে কঠোরভাবে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে। ইসরায়েলের ট্যাংক বহর ফিলিস্তিনের সীমান্ত নগরী রাফাতে প্রবেশ করেছে যা খুবই উদ্বেগজনক। 

পুতিনের বার্তা গোটা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি বলেন, রাশিয়া এই অনুপ্রবেশকে আগ্রাসন এবং ১০ লাখেরও বেশি নাগরিকের এলাকায় একটি অস্থিতিশীলতার কারণ হিসেবে দেখছে।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের বিভিন্ন ধারা কঠোরভাবে মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন, রাফা শহরে মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার মতো যে কোন হুমকিকে আগ্রাসন হিসাবে বিবেচনা করবে মস্কো।



ইসরায়েল   পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুদের সংখ্যা: রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৩:০৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে গত ৬৫ বছরে হিন্দু জনগোষ্ঠী কমেছে। অন্যদিকে এই সময়ের মধ্যে বেড়েছে সংখ্যালঘু বা মুসলিমদের সংখ্যা। ১৯৫০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত ভারতের জনসংখ্যার ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদ। 

১৯৫০ সালে ভারতে মুসলিম ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। এরপর ২০১৫ সাল পর্যন্ত মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের জনসংখ্যার ১৪.১৫ শতাংশ মুসলিম। শিখ জনসংখ্যা ১.২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৮৫। বৃদ্ধির হার ৬.৫৮ শতাংশ। এছাড়া খ্রিষ্টান জনসংখ্যা ৫.৩৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে খ্রিষ্টান জনসংখ্যার হার ২.২৪ থেকে ২.৩৬ শতাংশ হয়েছে। 

অন্যদিকে ১৯৫০ সালে ভারতের নাগরিক ছিলেন ৮৪ শতাংশ হিন্দু। পরের ৬৫ বছরে এই চিত্রটা পালটে গেছে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ৮ শতাংশ কমেছে হিন্দুর সংখ্যা। 

এই সমীক্ষাতে দেখা গেছে, মিয়ানমারেও সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে, এছাড়া হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে নেপালে। ১৬৭টি দেশের সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যার সঙ্গে তুলনা করে এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর ইকনমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল। 

এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় হিন্দুদের সংখ্যা ভারতে ধারাবাহিকভাবে কমেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই রিপোর্ট প্রমাণ করছে, ভারতে সংখ্যালঘুরা কেবলমাত্র সুরক্ষিতই নয় বরং সংখ্যার হারে ক্রমবর্ধমান। 

এদিকে, ভারতেরে উল্টো চিত্র বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে। এই দুই দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা (হিন্দু) বেড়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। বাংলাদেশে ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৮.৫ শতাংশ হিন্দু নাগরিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু বেড়েছে ৩.৭৫ শতাংশ। এই ৬৫ বছরের মধ্যে আফগানিস্তানে হিন্দুদের সংখ্যা বেড়েছে ০.২৯ শতাংশ।


ভারত   মুসলিম   হিন্দু   সংখ্যালঘু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় হামলা নিয়ে বাইডেনের কড়া হুঁশিয়ারি

প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর। তবে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা এই শহরে বড় ধরনের হামলার বিরোধিতা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েলকে শক্তি যুগিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই তিনিই এখন রাফায় অবস্থানকারী ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য মানবিকতার বুলি প্রকাশ করলেন। 

বুধবার (৯ মে) তিনি জনসম্মুখে ঘোষণা করেন, ইসরায়েলি যদি রাফায় অভিযান চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবে না। খবর রয়টার্সের 

সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট করতে চাই, যদি ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালায় তাহলে আমি তাদের কোনো অস্ত্র সরবরাহ করবো না। 

গাজায় ইসরায়েল অভিযান চালানোর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই প্রথম তেল আবিবের বিরুদ্ধে জনসম্মুখে শক্ত ভাষায় কথা বললেন। 

তিনি স্বীকার করেছেন, গাজায় বেসরকারি নাগরিকদের হত্যায় ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করছে। গত সাত মাসের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল বাহিনী হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ সময়ের মধ্যে তারা ৩৪ হাজার ৭৮৯ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। 

ইসরায়েলকে ২ হাজার পাউন্ড বোমা দেওয়ার বিষয়ে বাইডেনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এসব বোমা এবং অন্য উপায়ে গাজার বেসরকারি নাগরিকদের হত্যা করা হয়েছে। 

মার্কিন সরকারের একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, রাফাতে হামালার বিষয়ে ওয়াশিংটন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। এরই অংশ হিসেবে বোমার একটি চালায় আটকে দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাড এরদান ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, বিশ্বাস হচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখতে পারে।


রাফা   হামলা   বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মিসরে ইসরায়েলি গোয়েন্দাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০১:২৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মিশরের বন্দরনগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশী জিব কিপার নামে এক ইসরায়েলি গোয়েন্দাকে গুলি করে করা হয়েছে। ফিলিস্তিনপন্থি মিসরীয় একটি সশস্ত্র গ্রুপ এ হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে।

ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ইহুদিবাদী ব্যবসায়ীকে মঙ্গলবার (৭ মে) আলেক্সান্দ্রিয়ায় হত্যা করা হয়। খবর টাইমস অব ইসরাইল ও আল-মায়াদিন টিভির।

ইরানি সংবাদমাধ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিসরের বন্দরনগরী আলেক্সান্দ্রিয়ায় ব্যবসায়ীর ছদ্মবেশে থাকা ইহুদি সেনাদের হয়ে কাজ করা গোয়েন্দা কর্মকর্তাকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। তবে ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ওই ইসরায়েলি ব্যবসায়ী ছিলেন। তাকে গত মঙ্গলবার হত্যা করা হয়।

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই তেলআবিবের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছে ফিলিস্তিনপন্থি বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। শুধু তাই নয় লেবানন, ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীকে লক্ষ্য করে নিয়মিত হামলাও চালিয়ে আসছে তারা। সবশেষ গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফাহতে স্থল অভিযানকে কেন্দ্র করে নেতানিয়াহু প্রশাসনকে সতর্ক করে মিসর।

জানা যাচ্ছে, সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করায় ইহুদি সেনাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে মিসরভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠনগুলো। নিজেদের গোয়েন্দা দক্ষতা কাজে লাগিয়ে তারা ছদ্মবেশী ওই ইসরায়েলিকে হত্যা করেছে।

নিহত জিব কিপার ছিলে এলএলসি গ্রুপ নামক একটি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ওই কোম্পানি মিসর থেকে সবজি ও ফল রপ্তানি করে। মিসরের আলেক্সান্দ্রিয়ায় গ্রুপটির সদরদপ্তর অবস্থিত এবং ইসরাইল ও ইউক্রেনে এটির দপ্তর রয়েছে।

ইসরাইলি ওয়াইনেট নিউজ ওয়েবসাইট জানিয়েছে, জিব কিপার কানাডার পাসপোর্ট নিয়ে মিসরে প্রবেশ করেছিল। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ‘ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশন’ নামের একটি সংগঠন এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। ‘ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশন’ নিজেদের গত বছর জুন মাসে তিন ইসরাইলি সেনাকে হত্যা করে মৃত্যুবরণকারী মিসরীয় যুবক মোহাম্মাদ সালাহ’র অনুসারী বলে দাবি করে।

সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা একজন ‘অপরাধী ইসরায়েলি এজেন্টকে’ হত্যা করেছে। নিহত ইহুদিবাদী মিসর থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের পক্ষে লোক নিয়োগ করত বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। ভ্যানগার্ডস অব লিবারেশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইহুদিবাদী শত্রুর বিরুদ্ধে মিসরীয় জনগণের সংগ্রামের পথে কিপারের হত্যাকাণ্ড একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মিশরীয় পুলিশ বাহিনীর সদস্য ২৩ বছর বয়সি মোহাম্মাদ সালাহ গত বছরের জুন মাসে সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলে প্রবেশ করে ইহুদিবাদী সেনাদের বিরুদ্ধে এক বীরোচিত অভিযান চালান। তার হামলায় তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার পর দখলদার সেনাদের পাল্টা হামলায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।


মিসর   ইসরায়েল   গোয়েন্দা   গুলি   হত্যা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে অর্থনীতির চাকা ঘুরাতে গাঁজার চাষ

প্রকাশ: ০১:০৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানি আইনে গাঁজার চাষ নিষিদ্ধ হলেও দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে হাজার হাজার হেক্টর জমি রয়েছে যেখানে শত শত বছর ধরে গাঁজার চাষ হচ্ছে। 

দীর্ঘ সময় ধরে চরম অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। রাজনৈতিক অস্থিরতা, প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ও দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, করোনা মহামারি, বৈশ্বিক জ্বালানি সংকট এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেশটির অর্থনীতিকে নাজুক করে তুলেছে। সংকট মোকাবিলায় বিদেশি সাহায্যের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে উচ্চসুদে ঋণও নিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প চিন্তা-ভাবনা করছে পাক কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা করা হচ্ছে গাঁজা চাষের। 

গাঁজা সাধারণত মাদক হিসেবেই বেশি পরিচিত। তবে এর কিছু ভেষজ গুণ রয়েছে এবং ওষুধ হিসেবেও এর প্রয়োগ হয়। মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায় অনেক দেশেই এটি নিষিদ্ধ। আবার ওষুধি ব্যবহারের জন্য অনেক দেশই এর ব্যবহার বৈধ করেছে। এমনকি বহুদিন নিষিদ্ধ থাকলেও সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও গাঁজা দিয়ে ওষুধ তৈরির অনুমতি দিয়েছে। দিনদিন এর চাহিদা বাড়ায় আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর একটা বড় বাজার তৈরি হয়েছে। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বিকাশমান সেই বাজারের সুযোগ নিতে চাচ্ছে পাকিস্তান। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গাঁজা চাষ বিষয়ক একটি অধ্যাদেশও জারি করেছে দেশটি।


গাঁজা   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন