তুরস্ক রাষ্ট্রীয় নাম পরিবর্তন করে এখন থেকে ‘তুর্কিয়ে’ নামে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিতি পাবে। তুরস্কের নাম বদলের জন্য করা অনুরোধে জাতিসংঘ সম্মতি জানানোর পর তুরস্ক এখন থেকে নতুন নাম পাচ্ছে বলে বিবিসি সূত্রে জানা গেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান গত বছর বলেছিলেন, ‘তুর্কিয়ে নামটিই ভালোভাবে তুর্কি জাতির সংস্কৃতি, সভ্যতা ও মূল্যবোধের পরিচয় বহন করে।’
ইতিমধ্যে তুরস্কের বেশিরভাগ মানুষ দেশের নাম তুর্কিয়ে বলেই জানে। এছাড়া ইংরেজিত তুর্কি নামটি দেশে–বিদেশে কয়েক বছর ধরে ব্যবহার হচ্ছে।
এরদোয়ান গত বছর দেশের নতুন নামকরণ নিয়ে প্রচারণা শুরু করলে জাতিসংঘ সহ আরও কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে তুরস্কের নাম বদলানোর অনুরোধ জানানো হয়।
গতবছর নাম বদলের প্রস্তাব ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটি নাম পরিবর্তন করে ফেলে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ সপ্তাহে তুরস্কের কাছ থেকে নাম বদলের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পাওয়ামাত্রই পরিবর্তনের কাজটি সেরে ফেলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৬৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৭৬৫ জন।
গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের এই সংঘাতের কারণে সেখানে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরায়েল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে। তবে ইসরায়েল বরাবরই বিষয়গুলো অস্বীকার করে আসছে।
সংস্থাটি বলছে, নতুন করে সহায়তা কার্যক্রমের অনুমতি দেওয়া হলেও ধারাবাহিকতা না থাকলে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে চলা এই খাদ্য সংকট নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে ত্রাণ কার্যক্রম আরও বাড়াতে হবে এবং তা চলমান রাখতে হবে।
গত ৭ অক্টোবরের পর প্রথমবারের মতো বেইত হানুন (ইরেজ) ক্রসিং খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি ইসরায়েলের সঙ্গে গাজা উপত্যকার উত্তর দিকের একটি সীমান্ত ক্রসিং। জর্ডান থেকে ওই ক্রসিং দিয়ে ৩১টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি গাজায় যুদ্ধ বন্ধসহ হামাসের সঙ্গে কোনও যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন না। ইসরায়েলি গণমাধ্যমগুলো এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মন্তব্য করুন
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করায় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন রয়েছেন, যিনি একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টে কাজ করে।
নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।
আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়।
বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর গ্রেপ্তারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব।
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলা। বুধবার(১ মে) তিনি এই ঘোষণা দেন।
এক এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে রঙ্গিলা জানিয়েছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাচ্ছেন, আর এতে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।
মোদির মিমিক্রি করেই মূল জনপ্রিয়তা পান রঙ্গিলা। এবার ভোটে তিনি মোদিকেই চ্যালেঞ্জ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গণমাধ্যমের রঙ্গিলা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে তিনি মোদির অনুসারী ছিলেন। তার সমর্থনে অনেক ভিডিও শেয়ার করেছেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিপক্ষে ভিডিও শেয়ার করেছেন। আর এসব ভিডিও দেখে যে কারো মনে হতেই পারে তিনি আগামী ৭০ বছর কেবল বিজেপিকেই ভোট দেবেন। তবে গত ১০ বছরে পরিস্থিতি পাল্টেছে অনেকটা। এবার তিনি মোদির বিরুদ্ধেই লোকসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
চলতি সপ্তাহেই বারানসিতে গিয়ে মোদির বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ভারত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
মন্তব্য করুন
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান প্রদেশে ৫ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে দেশটিতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলেছে, ইরানে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের ছিল মাত্রা ৪ দশমিক ৫।
ইরানের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র (এনসিএম) বলেছে, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২৩ মিনিটের দিকে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে।
দেশটির গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, কেরমান প্রদেশের ফারিয়াব জেলায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল বলে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও ক্ষয়ক্ষতি অথবা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
এর আগে, বুধবার ইরানের একই প্রদেশে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি বড় টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় ইরানের অবস্থান। যে কারণে দেশটিতে প্রায়ই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার, এমনকি শক্তিশালী ভূমিকম্পও আঘাত হেনে থাকে।
ইরানে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার সবচেয়ে প্রাণঘাতী এক ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ১৯৯০ সালে। ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৩ লাখের বেশি আহত হন। এছাড়া এই ভূমিকম্পে গৃহহীন হয়ে পড়েছিলেন দেশটির আরও পাঁচ লাখ মানুষ।
এরপর ২০০৩ সালে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রাচীন নগরী বাম প্রায় মাটির সাথে মিশে যায়। এতে এই শহরে কমপক্ষে ৩১ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
এছাড়া ২০১৭ সালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ৬০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন। ওই ঘটনায় আহত হন আরও ৯ হাজারের বেশি মানুষ।
মন্তব্য করুন
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা। আর এই বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি এই নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাও।
প্রতি বছর প্রায় সব দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে। বিশ্বের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তাহলে, এত এত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন কিভাবে এড়িয়ে যাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর! এ কেমন মার্কিন মানবাধিকার!
প্রায় এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলো।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ভূলুন্ঠিত মানবাধিকার: সতর্ক করবে কে?
কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি, এমোরি ইউনিভার্সিটি, জর্জটাউন ইউনিভার্সিটি, নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি ও হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় আরো অন্তত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ হয়েছে। এছাড়া কিছু হাইস্কুলেও বিক্ষোভ হয়েছে।
ইতিমধ্যে বিভিন্ন কিছু মার্কিন গণমাধ্যম বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো নির্যাতন এর ভিডিও তুলে ধরেছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৯০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অথচ বিষয়টি নিয়ে এখনও নির্বিকার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।
শুধু এখানেই শেষ নয় যুক্তরাষ্ট্রে হরহামেশাই চলছে বর্ণবিদ্বেষ। যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় বর্ণবাদী হত্যা-নির্যাতন-বৈষম্য-অবিচার অতি সাধারণ নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের অভিযানে শতাধিক গ্রেপ্তার
সম্প্রতি, যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশের নির্যাতনে এক কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের অনাকাঙিক্ষত মৃত্যু হয়েছে। ওহাইও রাজ্যের ক্যান্টর শহরে গ্রেফতারের সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক টাইসন নামের ২০ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে।
ওহাইও রাজ্যের পুলিশ ঘটনাটির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, একটি বারের মেঝেয় ফেলে ফ্রাঙ্ক টাইসনের ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে হাতকড়া পরাচ্ছে কয়েকজন পুলিশ সদস্য। আর তিনি বারবার বলছেন, ‘আমি শ্বাস নিতে পারছি না। এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। রয়টার্সের এর প্রতিবেদন
মর্মান্তিক এই চিত্রটি আবারও মনে করিয়ে দিলো ২০২০ সালের জর্জ ফ্লয়েড হত্যার কথা। পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যু হয় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েড নামক এক যুবকের। ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে মার্কিন পুলিশ। মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে গ্রেফতারের সময় ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডকে ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরেছিল পুলিশ। সে সময় ফ্লয়েডও বলেছিলেন, 'আই কান্ট ব্রেথ (আমি শ্বাস নিতে পারছি না)।’ কিন্তু এরপরও তার ঘাড়ের ওপর থেকে পা সরায়নি পুলিশ। এতে তার মৃত্যু হয়।
মার্কিন পত্রিকা গুলোতে অপেরেশন গেট্টো স্টর্ম শিরোনামে এক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে প্রতি ২৮ ঘণ্টায় একজন কৃষ্ণাঙ্গ নর, নারী বা শিশু বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার শিকার হচ্ছে।
মার্কিনদের এ কেমন সাদা-কালো বিদ্বেষী মানবাধিকার! যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী মানুষগুলো কি কোনদিন সত্যিকারের মানবাধিকারের দেখা পাবে!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার
মন্তব্য করুন
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৫৬৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৭ হাজার ৭৬৫ জন। গাজা উপত্যকায় দীর্ঘদিনের এই সংঘাতের কারণে সেখানে খাদ্য সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় বিষয়ক কার্যালয় (ওসিএইচএ) বলেছে, ইসরায়েল গত এপ্রিলে গাজার উত্তরে সহায়তা মিশনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করায় অসংখ্য মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে সৌদি আরব। মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বৃহস্পতিবার (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েল বিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে একজন রয়েছেন, যিনি একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টে কাজ করে।
লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের বারানসি আসনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিপক্ষে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন কমেডিয়ান শ্যাম রঙ্গিলা। বুধবার(১ মে) তিনি এই ঘোষণা দেন। এক এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্টে রঙ্গিলা জানিয়েছেন, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই তিনি সবার কাছ থেকে ভালোবাসা পাচ্ছেন, আর এতে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করছে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা। আর এই বিক্ষোভকারী যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে মার্কিন পুলিশ। এমনকি এই নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাও। প্রতি বছর প্রায় সব দেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে। বিশ্বের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সোচ্চার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।