ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্ব পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশ ১৭৭ তম

প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ১৩ জুন, ২০২২


Thumbnail বিশ্ব পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশ ১৭৭ তম

পরিবেশগত পারফরম্যান্স সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৭৭তম হয়েছে বাংলাদেশ। এ তালিকায় সবার তলানিতে রয়েছে প্রতিবেশী ভারত। আরেক প্রতিবেশী পাকিস্তানের অবস্থান বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ ওপরে। সম্প্রতি প্রকাশিত পরিবেশগত পারফরম্যান্স সূচকের (ইপিআই) দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

বিশ্বের ১৮০টি দেশের পরিবেশগত পারফরম্যান্স তুলনা ও বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে ইপিআই-২০২২। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন দেশের পরিবেশগত পারফরম্যান্সের ওপর নম্বর দিয়ে এই র‌্যাংকিং নির্ধারণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটি ও কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি। গত এক দশকে এসব দেশের পরিবেশগত অবস্থান কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, সেই চিত্রও তুলে ধরা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

পরিবেশগত পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২৩ দশমিক ১০। গত এক দশকে দেশটির পয়েন্ট কমেছে ১ দশমিক ৯০। এক্ষেত্রে পাকিস্তান পেয়েছে ২৪ দশমিক ৬০। এক দশকে তাদের পয়েন্ট বেড়েছে ১ দশমিক ৪০। তবে প্রতিবেশী ভারতের পয়েন্ট ০.৬০ কমে দাঁড়িয়েছে সর্বনিম্ন ১৮ দশমিক ৯০।

বাস্তুতন্ত্রের প্রাণশক্তিতে গত এক দশকে ৪ দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমেছে বাংলাদেশের। এ বিষয়ে দেশটির সংগ্রহ ২৯ দশমিক ৪০ পয়েন্ট এবং অবস্থান ১৫৯তম।


বাস্তুতন্ত্র পরিষেবায় গত এক দশকে বাংলাদেশ পয়েন্ট হারিয়েছে ১৮ দশমিক ৭০। এ বিষয়ে তাদের সংগ্রহ ১৪ দশমিক ৯০ পয়েন্ট, অবস্থান ১৫৫তম। ফিশারিজে এক দশকে ১০ পয়েন্ট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৫ দশমিক ১০, অবস্থান ২০তম। অ্যাসিডিফিকেশনে গত এক দশকে ১৪ দশমিক ৭০ পয়েন্ট হারিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৯তম স্থানে, সংগ্রহ ২৫ দশমিক ৮০ পয়েন্ট।

স্বাস্থ্যে গত এক দশকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ২ দশমিক ৬০ বেড়ে হয়েছে ১৮ দশমিক ১০, অবস্থান ১৬৬তম। বাতাসের মানের হিসাবে গত এক দশকে বাংলাদেশের পয়েন্ট বেড়েছে ০.২০। ১৪ দশমিক ৪০ পয়েন্ট নিয়ে এক্ষেত্রে তাদের অবস্থান ১৭৩তম। বিশুদ্ধ পানি পানের ক্ষেত্রে গত এক দেশকে ৫ দশমিক ৭০ পয়েন্ট বেড়েছে বাংলাদেশের। ২৭ দশমিক ৪০ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি এ তালিকায় রয়েছে ১২৯তম স্থানে।

পরিবেশে ভারী ধাতুর উপস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত এক দশকে বাংলাদেশের পয়েন্ট ৯ দশমিক ৪০ বেড়ে ২২ দশমিক ৮০ হয়েছে, অবস্থান দাঁড়িয়েছে ১৭২তম। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়ও উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। এতে গত এক দশকে এক পয়েন্ট বেড়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০ দশমিক ৫০, অবস্থান ১৬০তম।

জলবায়ু নীতির ক্ষেত্রে কিছুটা অবনতি হয়েছে। এ বিষয়ে গত এক দশকে বাংলাদেশ ১ দশমিক ৬০ পয়েন্ট হারিয়েছে। ১৮ দশমিক ৮০ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান এখন ১৭১তম।

এবারের র‌্যাংকিংয়ে পরিবেশগত পারফরম্যান্সে সবার শীর্ষে রয়েছে ডেনমার্ক। তাদের ইপিআই স্কোর ৭৭ দশমিক ৯০। গত এক দশকে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির ইপিআই স্কোর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৯০। ৭৭ দশমিক ৭০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। এক দশকে তাদের উন্নতি হয়েছে ২৩ পয়েন্ট।


শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যথাক্রমে ফিনল্যান্ড, মাল্টা, সুইডেন, লুক্সেমবার্গ, স্লোভেনিয়া, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড ও আইসল্যান্ড। তাদের পয়েন্ট ৭৬ দশমিক ৫০, ৭৫ দশমিক ২০, ৭২ দশমিক ৭০, ৭২ দশমিক ৩০, ৬৭ দশমিক ৩০, ৬৬ দশমিক ৫০, ৬৫ দশমিক ৯০ এবং ৬২ দশমিক ৮০।

এছাড়া ফ্রান্স ১২তম, জার্মানি ১৩তম, অস্ট্রেলিয়া ১৭তম, ইতালি ২৩তম, নিউজিল্যান্ড ২৬তম, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩৯তম এবং যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ৪৩তম স্থানে।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে জাপান। ৫৭ দশমিক ২০ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান ২৫তম। ৫০ দশমিক ৯০ পয়েন্ট নিয়ে ৪৪তম স্থানে সিঙ্গাপুর।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবার ওপরে যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান। ৪৩ দশমিক ৬০ পয়েন্ট নিয়ে ব্রাজিল ও জর্ডানের সঙ্গে যৌথভাবে ৮১তম অবস্থানে রয়েছে তারা। গত এক দশকে আফগানিস্তানের পরিবেশগত পয়েন্ট বেড়েছে ২৩ দশমিক ৯০।

এক দশকে ৭ দশমিক ৯০ পয়েন্ট হারিয়ে ৮৫তম স্থানে ঠাঁই পেয়েছে ভুটান। তাদের বর্তমান পয়েন্ট ৪২ দশমিক ৫০। সমুদ্রবেষ্টিত দেশ মালদ্বীপ রয়েছে তালিকার ১১৩তম স্থানে। এছাড়া শ্রীলঙ্কা ১৩২তম, নেপাল ১৬২তম, পাকিস্তান ১৭৬তম, বাংলাদেশ ১৭৭তম এবং ভারত রয়েছে ১৮০তম স্থানে।


বাংলাদেশ   পরিবেশ   সূচক   দূষণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ছাত্র আন্দোলনে কেন বার বার জড়াচ্ছে মার্কিন শিক্ষার্থীরা?

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। গত ১৭ এপ্রিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর দাবানলের মত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে বিশ্বের বিভিন্ন  দেশে। 

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে মারমুখী অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক ক্যাম্পাসে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু। শুধু তাই নয়, তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রাণঘাতী নয়, এমন গ্রেনেড ও গুলিও ব্যবহার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গ্রেপ্তার করেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায়, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও পিছপা হয়নি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা এখনও অটুট। 

মূলত, দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ইতিহাস বহু পুরনো। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন এটাই প্রথম নয়। প্রায় প্রতি বছরই মার্কিন শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিক্ষোভ বা আন্দোলন করতে দেখা যায়। আর এই আন্দোলন গুলো সব সবসময় তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য  করে না। বরং বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা তারা আন্দোলন করে।   

এর আগেও, ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামে যুদ্ধের সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দেশের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিল। আর এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় মাত্র ৭ দিনে ৭০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)। কিন্তু তারপরেও দমিয়ে রাখতে পারেনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তারা কমান্ড দিয়ে গেছে। 

সেসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলেও চলমান আন্দোলনের  কোনো দাবি এখনও পর্যন্ত মেনে নেয়নি মার্কিন সরকার। 

দীর্ঘ ৫৬ বছর পর আবারও যখন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্ষতির কথা না ভেবে আন্দোলনের জড়ালো তখন শুধু একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, কেন বারবার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়?

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় থাকে মানবতাবাদ। যেখানে ধর্ম,বর্ণ বা জাতি কোনটাই ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে না। এখন যে আন্দোলনটা চলমান সেখানেও সবাই মুসলমান বা সবাই ইহুদি নয়। সব ধর্মের ছেলেমেয়েরাই রয়েছে আন্দোলনে। এমনকি অনেক ইহুদি ছেলেমেয়েরাও এ আন্দোলনে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় যে মানবতাবাদ সেটা স্পষ্ট হয়েছে।

আর এই মানবতাবাদী চিন্তা থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


ছাত্র আন্দোলন   মার্কিন শিক্ষার্থী   ফিলিস্তিন   ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আর্জেন্টিনার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৩০০ শতাংশ

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত মার্চের তুলনায় এই মাসে আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। মার্চে এই হার ছিল ১১ শতাংশ। এপ্রিলে তা হয়েছে আট দশমিক আট শতাংশ। এটাকেই তাদের জয় হিসাবে দেখছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের অফিস।

তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন মাসিক মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ২৫ শতাংশ। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমানোই হবে তার প্রথম কাজ।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তার মৃত্যু-পরোয়ানায় সই করা হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারি রিপোর্ট বলছে, এপ্রিলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার দেখানো হয়েছে ২৮৯ দশমিক চার শতাংশ।

মিলেই যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন আর্জেন্টিনার অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। মুদ্রাস্ফীতিতে আর্জেন্টিনা বিশ্বের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি। মিলেই কড়া হাতে অর্থনীতির হাল ধরেন। সরকারি খরচ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কম করার চেষ্টা করেন।

তিনি ৫০ হাজার সরকারি চাকরি শেষ করে দেন। সরকারি কাজের জন্য নতুন বরাদ্দ দেয়া বন্ধ করেন। তেল পরিবহনে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করেন। আইএমএফ এবং বিনিয়োগকারীরা এই সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আইএমএফ মঙ্গলবারই আর্জেন্টিনাকে ৮০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

মিলেইয়ের সমালোচকরা দাবি করেছেন, তার নীতির ফলে গরিব শ্রমিকদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, গরিবদের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। তার সমালোচকদের মতে, খরচ কমানো অর্থ না থাকার কারণে এটা ঘটেছে।

আর্জেন্টিনার জিডিপি এই বছর দুই দশমিক আট শতাংশ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক মন্দার দিকে যেতে পারে মেসির দেশ।


আর্জেন্টিনা   মুদ্রাস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এবার জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’। 

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।


জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সুইজারল্যান্ডে ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও পুলিশ

প্রকাশ: ১০:২৬ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ মে) স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় ক্যাম্পাসে ঢুকে শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হওয়ার এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের অভিযানে সপ্তাহব্যাপী চলা বিক্ষোভের আপাতত ইতি ঘটল। সুইস দৈনিক লে টেম্পসের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, অন্তত ২৫ জন পুলিশ সদস্য অতর্কিতভাবে বিক্ষোভস্থলে প্রবেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছিলেন।

পুলিশের অভিযানের সময় অনেক শিক্ষার্থী ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা আন্দোলনকারীদের স্থাপন করা ক্যাম্প ভেঙে দেয়। শিক্ষার্থীদের অপরাধীর মতো চেপে ধরে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়।

এরপর তাদের জড়ো করার পর ভূগর্ভস্থ পার্কিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পুলিশের গাড়িতে তোলার আগ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনপন্থি স্লোগান দিতে থাকেন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। শক্ত অবস্থানে আছে পুলিশ।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা যুদ্ধ বন্ধ এবং ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নের দাবি জানান।


সুইজারল্যান্ড   ফিলিস্তিন   পুলিশ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে আরও অস্ত্র দিতে বাইডেনের মরিয়া চেষ্টা

প্রকাশ: ০৯:১১ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বোমা সরবরাহ স্থগিত রাখলেও ইসরায়েলকে আরও ১০০ কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্র দিতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে তিনি কংগ্রেসের অনুমোদন চেয়েছেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সহায়তার আওতায় ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অস্ত্র দিতে চাচ্ছে তার মধ্যে ট্যাংক খাতে রয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ডলার, আরও ৫০০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে কৌশলগত যানবাহনে এবং ৬০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে মর্টার শেলে। 

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে শেষ হয়ে আসা ইসরায়েলি অস্ত্রভাণ্ডার পূর্ণ করতে এসব অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য, সবকিছু ইসরায়েলে পৌঁছাতে কয়েক বছর লেগে যাবে।

সম্প্রতি ইসরায়েলে বড় আকারের বোমা সরবরাহ স্থগিত রেখেছে বাইডেন প্রশাসন। গাজার রাফায় এসব বোমা ব্যবহৃত হতে পারে এমন আশঙ্কায় ওইসব তা সরবরাহ স্থগিত রেখেছে আমেরিকা।


ইসরায়েল   বাইডেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন