ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শ্রীলঙ্কাকে মার্কিন বলয়ে ফেরানোর প্রচেষ্টায় জুলি চাং

প্রকাশ: ১২:৩২ পিএম, ১৪ জুন, ২০২২


Thumbnail শ্রীলঙ্কাকে মার্কিন বলয়ে ফেরানোর প্রচেষ্টায় জুলি চাং

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা। লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্য ও জ্বালানি তেলের তীব্র সংকট এবং অসহনীয় বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে রাজপথে নেমে এসেছে দেশটির সাধারণ মানুষ। সন্দেহাতীতভাবেই, ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকটও পৌঁছেছে চরমে।

এমন অবস্থায় শ্রীলঙ্কাকেন্দ্রিক ভূরাজনৈতিক তৎপরতায় নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ সক্রিয়তার পুরোধা হিসেবে রয়েছেন শ্রীলঙ্কায় নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চাং। শ্রীলঙ্কাকে পুনরায় মার্কিন প্রভাববলয়ে নিয়ে আসতে বদ্ধপরিকর তিনি।

রনিল বিক্রমাসিংহেকেই এ মুহূর্তে শ্রীলঙ্কায় মার্কিন ও পশ্চিমা স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে দেখছেন জুলি চাং। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আগের মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্ট্যাটাস অব ফোর্সেস এগ্রিমেন্ট (সোফা) চুক্তির সপক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। এমনকি চুক্তির মার্কিন শর্তগুলো নিয়ে কোনও ধরনের দ্বিমতও ছিল না তার। সে সময় মার্কিন শর্তমাফিক চুক্তি সই হলে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ভারত মহাসাগরের নিরাপত্তা কাঠামোর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেওয়া সম্ভব ছিল বলে মনে করছেন রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। 

চলমান সংকটের মধ্যে শ্রীলঙ্কায় বিশেষ করে রনিল বিক্রমাসিংহে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই দ্বীপদেশটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা আনুকূল্যের মাত্রা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয়তা একটু একটু করে বাড়তে দেখা যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কায় চীনের প্রভাব মোকাবেলায় ভারতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রনিল বিক্রমাসিংহেকে নির্ভরযোগ্য সহযোগী হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন। 

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার দায়িত্ব নেবার পর প্রথম উচ্ছ্বসিত সমর্থনও এসেছিল শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চাংয়ের পক্ষ থেকে।

এ প্রসঙ্গে জুলি চাংয়ের মন্তব্য ছিল, "প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রনিল বিক্রমাসিংহের নিযুক্তি এবং দ্রুত একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গড়ে তোলার উদ্যোগ হল সংকট নিরসন এবং স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার পথে প্রথম পদক্ষেপ।" 

জুলি চাং মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে শ্রীলঙ্কায় দায়িত্ব নেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। দেশটিতে ওই সময় সংকট ঘনীভূত হতে হতে তীব্রতর মাত্রা পাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটিতে বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন জুলি চাং। এরই মধ্যে শ্রীলঙ্কার অনেক জায়গা ঘুরে এসেছেন তিনি। দেশটির সরকার ও বিরোধীপক্ষের প্রায় সব দলের সঙ্গেই আলোচনায় বসেছেন। এমনকি প্রথমবারের মতো কোনও মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে শ্রীলঙ্কার বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গেও কথা বলেছেন। এছাড়া স্থানীয় বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সব পক্ষের সঙ্গেই আলোচনা হয়েছে জুলি চাংয়ের।

বর্তমানে শ্রীলঙ্কায় মার্কিন সফট পাওয়ারকে (বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক বা বাণিজ্যিকভাবে প্রভাব বিস্তারের সক্ষমতা) শক্তিশালী করে তোলার প্রয়াস নিয়েছেন জুলি চাং। বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শ্রীলঙ্কায় ইউএসএআইডির সহায়তা কার্যক্রম জোরালো হয়ে উঠেছে। মার্কিন বিনিয়োগ বাড়ানোর তাগিদে শ্রীলঙ্কার সক্ষমতা বাড়ানোর কথাও বলছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। একই সঙ্গে দেশটির কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়টিও তার আলোচনায় উঠে এসেছে।

শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতিকে দেশটিকে চীনা প্রভাববলয়ের বাইরে নিয়ে আসার সুযোগ হিসেবে দেখতে পাচ্ছেন পশ্চিমাপন্থী পর্যবেক্ষকরা। সম্প্রতি নিক্কেই এশিয়ান রিভিউয়ে প্রকাশিত এক নিবন্ধে নিউইয়র্কভিত্তিক থিংকট্যাংক প্রতিষ্ঠান এশিয়া সোসাইটি পলিসি ইনস্টিটিউটের সাউথ এশিয়া ইনিশিয়েটিভস বিষয়ক পরিচালক অখিল বেরি বলেন, "আইএমএফ যখন শ্রীলঙ্কাকে সহযোগিতা করার পথ খুঁজছে, ঠিক সে সময় যুক্তরাষ্ট্রেরও দেশটির জন্য আর্থিক সহযোগিতার প্যাকেজ নিয়ে এগিয়ে আসা উচিত, যাতে সাধারণ শ্রীলঙ্কানরা তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পায়। আবার একই সঙ্গে তা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেও ইন্দো-প্যাসিফিকে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে।" 

জুলি চাংয়ের ভাবনাও অনেকটা একই রকম। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, মানুষ এখন পরিবর্তন চাচ্ছে। তারা প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন চায়। দেশের রূপান্তর চায়। এর সঙ্গে গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, সুশাসনের মতো বিষয়গুলোও জড়িয়ে রয়েছে। শ্রীলঙ্কায় চলমান অস্থিরতার মধ্যেও আমি অনেক সুযোগ দেখতে পাচ্ছি।

এছাড়া শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোয় মার্কিন আগ্রহের কথাও তার বক্তব্যে উঠে এসেছে। 


শ্রীলঙ্কা   আমেরিকা   অর্থনীতি   বিনিয়োগ   ঋণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুশরা বিবির পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরা দম্পতির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয়। ইমরান কারাগারে থাকলেও বুশরাকে ইসলামাবাদের বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা বলে তাকে বাড়িতেই বন্দী রাখার আদেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার।

গৃহবন্দী রাখার এ আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বুশরা বিবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার আইনজীবী নাঈম পানজুথা এ কথা বলেছেন।

বুশরা বিবির আইনজীবীরা তাকে কারাগারে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কারাগারেই আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান।

ইমরানের ইসলামাবাদের বাড়িটিকে সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গৃহবন্দী অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিষ মেশানো খাবার দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বুশরা। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


ইমরান খান   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিঙ্গাপুরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিঙ্গাপুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক বিমানঘাঁটিতে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।  

বুধবার (০৮ মে) সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক বিবৃতিতে জানায়, সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তেনগাহ বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানের পাইলট সফলভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। বিমানের পাইলটের সুস্থ আছেন এবং তিনি হাঁটতে পারছেন। বর্তমানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় অন্য কোনও কর্মকর্তা আহত হননি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমটি বলছে, উড্ডয়নের সময় বিমানটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন পাইলট জরুরি প্রক্রিয়া মেনে পদক্ষেপ নেন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অত্যাধুনিক বিমানবাহিনী রয়েছে সিঙ্গাপুরের। নগর রাষ্ট্রটিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বিরল। এর আগে, ২০১০ সালে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ উন্মুক্ত মাঠে জরুরি অবতরণ করে।


সিঙ্গাপুর   যুদ্ধবিমান   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণহারে অসুস্থতার ছুটি ক্রুদের, ৭৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অন্তত ৭৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কারণ ক্রুরা হঠাৎ গণহারে অসুস্থতার ছুটি নিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ারলাইনটির চাকরির নতুন নিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রুরা এবং এর প্রতিবাদ করছে তারা। তবে এয়ারলাইনটির কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কিছু কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানায়। এতে ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের ঘটনা ঘটছে। আমরা ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।

মুখপাত্র বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কারণ এটা আমাদের সার্ভিসের প্রতিফলন নয়।

এয়ারলাইনটি জানায়, ভুক্তভোগীদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে অথবা নতুন করে শিডিউল দেওয়া হবে।


অসুস্থ   ছুটি   ক্রু   ফ্লাইট   বাতিল   এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০ এর বেশি বোমা হামলার হুমকি

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ও স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই হামলার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। এছাড়া হুমকির বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। খবর এএফপি।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লোভাকিয়ায় মঙ্গলবার স্কুল ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মূলত ইমেইলে করে এসব হুমকি দেওয়া হয় এবং এতে দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হুমকির ঘটনায় তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি চিফ রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেছেন, 'সন্ত্রাসী হামলার মতো বিশেষ গুরুতর অপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।'  

রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেন, 'মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা বা ছয়টা থেকে স্কুলগুলোতে ইমেইল আসতে শুরু করে। এর মধ্যে বোমা হামলার প্রায় ১ হাজার হুমকি স্কুলগুলোতে এসেছে এবং ১০০টিরও বেশি ব্যাংক এই ধরনের হুমকি পেয়েছে।'

দেশটির পুলিশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লিখেছে, 'পুলিশ সম্পূর্ণ গতিতে কাজ করছে, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে এবং অপরাধীকে শনাক্ত করতে কাজ করছে।'

এএফপি বলছে, অপরাধীদের সম্ভাব্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।

ব্রাতিস্লাভা স্ব-শাসিত অঞ্চলের মুখপাত্র লুসিয়া ফরম্যান এএফপিকে বলেছেন, দেশটি পরিচালিত কয়েক ডজন স্কুলে বোমা হামলার হুমকি নথিভুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, 'আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি, শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এখন বিষয়টি দেখছে।'


স্লোভাকিয়া   বোমা হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়া ২১ ভাগই বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সবচেয়ে বেশি অভিবাসী হচ্ছে যেসব দেশের নাগরিকরা সেই বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ঝুঁকি নিয়ে যত মানুষ ইউরোপে ঢুকেছে, তার মধ্যে ২১ শতাংশ বাংলাদেশি। 

এই তথ্য জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাতের কারণে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি সংখ্যায় অভিবাসী হয়েছেন। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ অভিবাসী হচ্ছেন কি না, সেটা বোঝার জন্য তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণার প্রয়োজন। 

বাংলাদেশ সফরে আসা আইওএমের এই শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন। তিনি এর আগে ওই হোটেলে 'আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রতিবেদন-২০২৪' প্রকাশ করেন।  

আইওএমের চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, গত বছর বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর প্রভাব ও সংঘাতের কারণে নতুন বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। এটা চমকে দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ এখন জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করেন।

অ্যামি পোপের মতে, কোন কোন উপাদান মানুষকে অভিবাসনে বাধ্য করে, তার যথাযথ চিত্র নেই। তাই সঠিক চিত্র বোঝার জন্য সরকারগুলোকে বিনিয়োগ করতে হবে।

২১% বাংলাদেশি

বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, এসব অভিবাসীর অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ির প্রবণতা ২০১৫ সাল থেকে বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৫ হাজার অভিবাসী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৫২৪ জন মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরে, যে রুট (পথ) দিয়ে সাধারণত বাংলাদেশের মানুষেরা ইতালিতে যান।

বাংলাদেশি কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশি মারা গেছেন ২৮৩ জন (ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে)।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ১৬ হাজার ২০০ নাগরিক এই পথ দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন উল্লেখ করে অ্যামি পোপ বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ৩ হাজার ৪২৫ জন। ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে অনিয়মিত অভিবাসনের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অপতথ্য অভিবাসনের ক্ষেত্রে কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, মানব পাচারকারীরা পরিশীলিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। কারণ, তারা সারা বিশ্বের পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখে। কাজেই অভিবাসী হতে আগ্রহী লোকজনের জন্য যে পর্যাপ্ত বৈধ পথ নেই, শুধু সেটিই নয়, অভিবাসনের বৈধ উপায় সম্পর্কে জানার বিষয়ে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হয় না। এমনকি বৈধ পথে অভিবাসনের জন্য তাদের কী ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এর উপায় কী সে সম্পর্কে তথ্য তাঁরা যথাযথভাবে জানতে পারেন না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে মানব পাচারকারীদের প্রতিহত করতে হলে মানুষকে বৈধ অভিবাসনের পথ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানাতে হবে বলে উল্লেখ করেন অ্যামি পোপ।


আইওএম   অ্যামি পোপ   ভূমধ্যসাগর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন