ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাহুল গান্ধীকে ৩দিনে ৩০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশ: ১০:০২ এএম, ১৬ জুন, ২০২২


Thumbnail রাহুল গান্ধীকে ৩দিনে ৩০ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তিন দিন ধরে দফায় দফায় প্রায় ৩০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে আবার এক দিনের বিরতি দিয়ে চতুর্থ দফায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। 

জানা গেছে, রাহুলকে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার দিল্লির এপিজে আব্দুল কালাম রোডে ইডির সদর দপ্তরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার দু দফায় প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবেক কংগ্রেস সভাপতিকে। বলো সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ।

যদিও ইডির একটি সূত্রের দাবি জিজ্ঞাসাবাদ নয়, বেশি সময়টাই চলে যাচ্ছে রাহুলের আগের দেওয়া বয়ান সংশোধনে। ওই সূত্রের দাবি, রাহুলের আগের যে বয়ান লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, তার সঙ্গে বর্তমান বয়ানের অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের আমলে সাত বছর আগে এই ন্যাশনাল হেরাল্ড-কাণ্ডেই সোনিয়া গান্ধী ও রাহুলকে ক্লিনচিট দিয়ে মামলা বন্ধের সুপারিশ করেছিল ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)’।

সংস্থার তৎকালীন যুগ্ম-উপ পরিচালক রাজন কাটোচ অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো রিপোর্টে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের দুই শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। কিন্তু সেই মামলাতেই চতুর্থ বার রাহুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হলো। কংগ্রেসের পাশাপাশি একাধিক বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দাবি তোলা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার দফায় দফায় ৮ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পরও সাবেক কংগ্রেস সভাপতির কাছ থেকে ‘সন্তোষজনক জবাব’ মেলেনি বলে ইডির একটি সূত্রে জানানো হয়েছে। তাই তাকে ফের বুধবার ডাকা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতির পর রাত প্রায় ৯টা পর্যন্ত চলে জিজ্ঞাসাবাদ। এর আগে সোমবার দু’দফায় নয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল রাহুলকে।


রাহুল গান্ধী   কংগ্রেস   ইডি   জিজ্ঞাসাবাদ   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে সিআইএ-মোসাদ’র হাত আছে কি?

প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে। যদিও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। রাইসির এই হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত আছে নাকি সিআইএর কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

তবে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই । এমন তথ্যই জানিয়েছে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

দূর্যোগপূর্ণ বৈরি আহহাওয়ার মধ্যেও প্রেসিডেন্ট রাইসি প্রকল্প উদ্বোধন করতে গেলেন, সেখানে বাঁধ উদ্বোধন করার পর এক ভাষণে রাইসি ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের সমর্থনের উপর জোর দেন। এটাই কি রাইসির জন্য কাল হয়ে দাড়াঁল। নাকি পরিকল্পিত ভাবে রাইসির মৃত্য নিশ্চিত করলো ষড়যন্ত্রকারিরা। এর জন্য কি তবে ইসরায়েল দায়ি এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। এ ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার।

অনেকেই মনে করছেন রাইসির এই আকস্মিক মৃত্যর পিছনে রহস্য রয়েছে। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইরান একটি সামাজিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল রাইসি এমন সময়ে প্রেসিডেন্ট হন। এবং পারমানবিক কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চাপে কঠিন সময় পার করছে। গত বছর ৭ অক্টোবর গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়, তা আঞ্চলিক উত্তেজনা আবার তুঙ্গে নিয়ে যায়। কয়েক দফা পাল্টা-পালটি ঘটনার পর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ইরান সরাসরি ইসরায়েলের উপর শত শত ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন নিক্ষেপ করে। তাহলে কি সুস্পষ্ট হচ্ছে রাইসির মৃত্যর কারণ রহস্যে ঘেরা? কিছু কারণ উল্লেখ করা যাক..

১। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করতে যাবেন। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে তাকে হেলিকপ্টারেই কেন যেতে হবে।

২। যেহতেু সিমান্তবর্তি এলাকায় ইব্রাহিম রাইসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাবেন সেহেুত দেশটির আবহাওয়া দপ্তর কেন আগে সতর্ক করলেন না।

৩। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাধারনত আকাশপথে কোন যানবাহন চলাচল করেনা। করলেও তা আবহাওয়া বিশ্লেষনের মাধ্যমে যাতে কোন ঝুঁকি না থাকে তা নিশ্চিত হয়ে হেলিকপ্টার বা বিমান চলাচল করে। সেখানে এই ঝুঁকি নিয়ে কেন উদ্বোধন করতে গেলেন রাইসি।

৪। যেহেতু হেলিকপ্টার একটি সাধারন হালকা আকাশপথের চলাচলের মাধ্যম সেহেতু একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট কেন হেলিকপ্টারেই যাবে। দেশটিতে আবহাওয়ার দূর্যোগ চলা সর্তেও এরকম পরিস্থিতিতে কেন হেলিকপ্টারটি চালান হলো।

৫। আকাশপথের হালকা বাহন হচ্ছে হেলিকপ্টার। পাইলট বা চালক যেহেতু দেখছে আবহাওয়া যাতায়াতের অনুকূলে সেহেতু পাইলট কেন যাত্রা শুরু করে।

৬। সাধারণত যে কোন দেশের রীতি হলো প্রেসিডেন্ট, ফরেন মিনিষ্টার ভিন্ন ভিন্ন হেলিকপ্টারে যাতায়ত করে। তাহলে তারা সবাই একই হেলিকপ্টারে কেন উঠলো? এমনকি হেলিকপ্টারের পাইলট কে ছিল। তাহলে কি হেলিকপ্টারের পাইলটকে নিজের আয়েত্বে নিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হচ্ছে সংশয়।

৭। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হেলিকপ্টারে করে কেন সফরে গেলেন ইব্রাহিম রাইসি।

পাকিস্তানের তৎকালিন জেনারেল জিয়াউল হক বাওয়ালপুর গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনের তৈরি এম-৩১ ট্যাংকের মহড়া দেখতে, রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৩৩০ মাইল দক্ষিণে বাহওয়ালপুর টেস্ট ফিল্ডে যান। ট্যাংকের মহড়া দেখে ফেরার পথে বিধ্বস্ত হয় লকহিড মার্টিনের তৈরি সি-১৩০বি বিমানটি, উড্ডয়নের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মাটিতে আছড়ে পড়ে ৬০-৭০ ডিগ্রি কোণে। আর এতেই মারা গেছেন জেনারেল জিয়াউল হক। একইভাবে সিআইএর কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়েছে। নাকি হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত রয়েছে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।।


ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   সিআইএ   মোসাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যু: এশিয়া ও ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত খবরের মধ্যে গাজা যুদ্ধের পর যুক্ত হল রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রেসিডেন্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন ভূরাজনীতির প্রভাবশালী দুই কর্তা ব্যক্তির মৃত্যুতে অনেকটাই পাল্টে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। তবে কি মৃত্যু থেকে সবচেয়ে লাভবান হবে ইসরায়েল? এমন প্রশ্ন ও উঠে আসছে।  

রাইসির মৃত্যু শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বরং প্রভাব ফেলবে মধ্য এশিয়া ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতেও। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে যে বিপুল পরিমাণ ড্রোন সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছিল তেহরান এখন সেই পদক্ষেপ কতটা ধারাবাহিক থাকবে সে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে অনেক মহলে। এছাড়াও রাইসির নেতৃত্বে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তেহরান।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংঘাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে ইব্রাহিম রাইসি হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। গেল কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল তেহরান। বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থ সমরাস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা ছিল ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী। নতুন প্রেসিডেন্ট এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠবেন কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে।

এসব গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ইসরায়েলের স্বার্থের জন্য ক্রামাগত হুমকি তৈরি করে আসছিল। এর মধ্যেই গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির সরকার সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের ইস্ফাহান শহরে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনার আগে কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ ইসরায়েলের হামলার সাহস করতে পারে, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।

শুধু হামলা নয় কয়েক দশক ধরে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট ইসরায়েল পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পালিত কুকুর হিসেবে পরিচিত সুন্নি প্রধান দেশ সৌদি আরবও। আর পশ্চিমা এসব শক্তির কোনো তোয়াক্কা না করে পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। এমনকি বেশ কয়েকবার ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন সদ্য নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট। বলা হচ্ছে রাইসির মৃত্যু প্রভাব ফেলতে পারে দেশটির পরমাণু কর্মসূচিতেও।


রাইসি   মৃত্যু   এশিয়া   ইউরোপী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি কী হত্যাকাণ্ডের শিকার

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চিরশত্রু ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের চক্ষু শূল ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের জাঁদরেল নেতা ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি । আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও কখনো মাথা নত করেননি। রাজি হননি আপোষেও।

তাইতো হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মার্কিন সিনেটর রিক স্কট। এই উচ্ছ্বাস শুধু মার্কিন সিনেটরেরই নয়, যেন ইসরায়েল-আমেরিকার প্রতিচ্ছবি। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরানো একমাত্র প্লেয়ার ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তাকে শেষ করতে পারলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলের দিকে মিসাইল তাক করার মতো আর কেউ নেই তা ভালো করেই জানেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার। এমনকি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েও ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফেরাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে রাইসিকে টার্গেট করতে পারে বাইডেন প্রশাসন সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   রাইসি হত্যাকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে উচ্ছ্বসিত মার্কিন সিনেটর

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। তবে এই দুর্ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একধরনের উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে একজন মার্কিন সিনেটরকে।সোমবার (২০ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরার প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর সোমবার রিক স্কট নামে এক রিপাবলিকান আইন প্রণেতা ইরানের প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।পোস্টে তিনি বলেন, ‌‘তাকে (রাইসি) ভালোবাসা বা সম্মান নয়, এমনকি কেউ তাকে মিসও করবে না। যদি তিনি মারা যান, আমি সত্যিই আশা করি ইরানি জনগণ তাদের দেশকে খুনি স্বৈরশাসকের হাত থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে।


ইরানি   প্রেসিডেন্ট   মার্কিন সিনেটর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসি শহীদ হয়েছেন: ইরানি গণমাধ্যম

প্রকাশ: ১১:৫১ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২০ মে) ইরানের গণমাধ্যমের খবরে কথা বলা হয়। তবে রাইসির শহীদ হওয়ার বিষয়টি ইরান সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।

ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তাঁর দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি শহীদ হয়েছেন। ইরানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও একই খবর দিয়েছে।

ইরানের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে।


রাইসি   শহীদ   ইরানি   গণমাধ্যম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন