ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেন যুদ্ধে কেনো এত রুশ জেনারেলদের মৃত্যু হচ্ছে?

প্রকাশ: ১০:১১ এএম, ২১ জুন, ২০২২


Thumbnail

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ চালাচ্ছে রাশিয়া। প্রায় চার মাসে হতে চলল এই অভিযান। যুদ্ধের এই সময়ে ইউক্রেনের বেশ কিছু শহর ও নগর দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। বর্তমানে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ডোনবাস এলাকা দখলে মরিয়া রাশিয়া। এরই মধ্যে সেখানকার অধিকাংশ অংশ কবজায় নিয়েছে রুশ সৈন্যরা।

তবে ইউক্রেন এখনও পর্যন্ত নিজেদের সাধ্যমতো রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।

মে মাসে পূর্ব ইউক্রেনের ডোনবাস অঞ্চলে একটি অত্যাধুনিক রুশ এসইউ-২৫ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। জ্বলন্ত সেই বিমানটির ছবি অনেকগুলো প্রশ্নের জন্ম দেয় বিশ্লেষকদের মধ্যে। প্রশ্নগুলো ওঠে বিমানটির পাইলট ও তার মৃত্যু নিয়ে।

প্রথম প্রশ্ন, এত আধুনিক একটি যুদ্ধবিমান একজন ৬৩ বছর বয়স্ক বৈমানিক চালাচ্ছিলেন কেন?

দ্বিতীয় প্রশ্ন, প্রায় এক দশক আগে রুশ সশস্ত্র বাহিনীর চাকরি থেকে বিদায় নেওয়া একজন অবসরপ্রাপ্ত লোক ওই বিমানে কী করছিলেন?

তৃতীয় প্রশ্ন, কেন আরও একজন রুশ জেনারেল সম্মুখ সমরে প্রাণ হারালেন? এবং তাকে নিয়ে মোট কতজন রুশ জেনারেল এ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন?

পাইলট লিখুন বড় হাতের ‘পি’ দিয়ে

মেজর জেনারেল কানামাত বোতাশেভ ছিলেন একজন অত্যন্ত দক্ষ ও সম্মানিত রুশ পাইলট। সেই দিনটিতে তিনিই বসেছিলেন যু্দ্ধবিমানটির ককপিটে- যদিও তার র্যাংক, বেশি বয়স এবং অবসরপ্রাপ্ত মর্যাদার কারণে তা হবার কথা ছিল না।

তার অধীনস্থ হিসেবে অতীতে কাজ করেছেন এমন তিনজনের সাথে বিবিসি কথা বলেছে।

তারা বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধকে রাশিয়া যেভাবে বর্ণনা করে সেই ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ থেকে দূরে থাকা মেজর জেনারেল বোতাশেভের পক্ষে সম্ভব ছিল না।

“তিনি এমন স্তরের পাইলট ছিলেন যা লিখতে হলে আপনাকে বড় হাতের পি- দিয়ে লিখতে হবে” - বলছিলেন বোতাশেভের একজন সাবেক সহকর্মী। তার মতে, “আকাশ নিয়ে এত আগ্রহী মানুষ পৃথিবীতে খুব কমই আছে।”

“আমি যে তার অধীনে কাজ করেছি এজন্য আমি সবসময় গর্ব বোধ করব,” বলেন আরেকজন।

কিন্তু সত্যি কথাটা হল- কিভাবে বোতাশেভ ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিচ্ছিলেন সেটা আসলে ঠিক হিসেবে মেলে না। এবং সেটা শুধু তার বয়সের কারণে নয়।

মেজর জেনারেল বোতাশেভ রুশ বাহিনীতে করিরত সদস্যও ছিলেন না। তাকে সামরিক বাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল এক দশক আগে।

নিহত জেনারেলরা

বোতাশেভ হচ্ছেন ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত বেশ ক’জন রুশ জেনারেলের মধ্যে মাত্র একজন। ঠিক কতজন রুশ জেনারেল এ যুদ্ধে নিহত হয়েছে- সে সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে।

কিন্তু সংখ্যা যাই হোক আধুনিক যুদ্ধে মাত্র একজন জেনারেল নিহত হওয়াটাও অত্যন্ত অস্বাভাবিক ঘটনা।

তুলনা হিসেবে বলা যায়, মার্কিন মেজর জেনারেল হ্যারল্ড গ্রিনের নিহত হবার ঘটনার কথা। ২০১৪ সালে তার স্বপক্ষেরই একজন আফগান সৈন্যের হাতে মেজর জেনারেল গ্রিন নিহত হয়েছিলেন। সেটা ছিল ৪০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে একজন জেনারেলের নিহত হবার প্রথম ঘটনা।

ইউক্রেন একবার দাবি করেছিল যে এ যুদ্ধে অন্তত ১১ জন রুশ জেনারেল নিহত হয়েছে। পরে অবশ্য এসব খবরের বেশ কয়েকটিই ভুল প্রমাণিত হয়। ইউক্রেন যাদের নিহত হবার দাবি করেছিল, সেই জেনারেলরা অনলাইনে নিজেদের ভিডিও প্রকাশ করে তাদের মৃত্যুর খবর অস্বীকার করেছিলেন।

বর্তমানে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী মোট আট জন রুশ জেনারেল ইউক্রেনে নিহত হয়েছেন বলে মনে করা হয়। এদের মধ্যে চারজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। অন্য চারজনের খবর নিশ্চিত করা যায়নি, কিন্তু এ মৃত্যুগুলোর কথা অস্বীকারও করা হয়নি।

বোতাশেভ ছাড়া অন্য যাদের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে তারা হলেন:-

মেজর জেনারেল আন্দ্রেই সুখোভেৎস্কি: তিনি ১ মার্চ নিহত হয়েছেন বলে খবর বের হয়। একজন অবসরপ্রাপ্ত রুশ সামরিক অফিসার টুইট বার্তায় জানান, রাজধানী কিয়েভের অদূরে হস্টোমেল এলাকায় একজন ইউক্রেনীয় চোরাগোপ্তা বন্দুকধারীর গুলিতে তিনি নিহত হন।

মেজর জেনারেল ভাদিম ফ্রলভ: গত ১৬ এপ্রিল ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর গুলিতে তিনি নিহত হন বলে খবরে বলা হয়। পরে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে তার শেষকৃত্যের ব্যাপারে এক নোটিশে এ মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়। ঠিক কীভাবে তিনি নিহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।
মেজর জেনারেল রোমান কুতুজভ: গত ৫ জুন রাষ্ট্রীয় মাধ্যমের একজন সাংবাদিক টেলিগ্রামে একটি বার্তা পোস্ট করেন যে ডোনবাসে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে এক অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় কুতুজভ নিহত হয়েছেন।

নিহত রুশ জেনারেলের সংখ্যা কত তা জানা যায় না কেন?

সবচেয়ে সহজ কারণ হল, ইউক্রেনীয়রাও নিশ্চিতভাবে জানে না, আর রুশরা এটা কাউকে বলবে না।

রাশিয়ার চোখে সামরিক মৃত্যুকে এমনকি শান্তির সময়ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয় তথ্য হিসেবে দেখা হয়। গত ২৫ মার্চ রাশিয়া বলেছিল যে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রথম এক মাসে ১,৩৫১ জন রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে। তবে তার পর থেকে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা হালনাগাদ করেনি।

বিবিসির একটি চলমান অনুসন্ধানী প্রকল্প আছে- যাতে রুশ সৈন্যদের পরিবার এবং উন্মুক্ত সূত্রের সাথে কথা বলে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে ৩,৫০০-রও বেশি জনের নাম আছে তাদের সৈনিক র্যাংকসহ। এতে আভাস পাওয়া যায় যে প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, প্রতি পাঁচজন নিহত রুশ সৈন্যের একজন হচ্ছে মধ্যম বা সিনিয়র র্যাংকের অফিসার।

এ থেকে কি ধারণা পাওয়া যায়?

নিহতদের মধ্যে উঁচু র্যাংকের সামরিক কর্মকর্তাদের অনুপাত চমকে দেবার মতো। তবে এটাও ঠিক যে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে বিপুল সংখ্যাক সিনিয়র অফিসার আছেন। জেনারেল স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আাছেন প্রায় ১,৩০০ - যদিও তাদের অনেককেই যুদ্ধক্ষেত্রের কাছাকাছি উপস্থিত থাকতে দেখা যাবে না।

তবে অন্য অনেকে আছেন যারা ততটা ভাগ্যবান নন।

বেশ কিছু জেনারেলই নিজেদেরকে ভুল সময়ে ভুল জায়গায় আবিষ্কার করেছেন। এর একটা কারণ হয়তো এই যে উচ্চপদের রুশ অফিসারদের এমন কাজ করতে হয় বা এমন সব সিদ্ধান্ত নিতে হয়- যা অন্য কোনও দেশের সেনাবাহিনী অপেক্ষাকৃত নিম্নস্তরের অফিসাররা নিয়ে থাকেন।

এ কারণে রুশ সিনিয়র কর্মকর্তাদের যুদ্ধক্ষেত্রের অনেক কাছাকাছি আসতে হয়- যা হয়তো অন্য দেশের সেনাবাহিনীর ক্ষেত্রে হতো না।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা আরও আভাস দিয়েছেন যে রুশ সৈন্যদের নৈতিক মনোবল কম- এ কারণে তারা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে।

এই কর্মকর্তাদের বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়ার জন্য যোগাযোগের যন্ত্রপাতির ঘাটতিকেও দায়ী করা হয়, কারণ এর ফলে তাদেরকে প্রথাগত ফোন ব্যবহার করতে হয় এবং যুদ্ধক্ষেত্রের কাছাকাছি আসতে হয়, যার ফলে অপারেশনের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে।

সবশেষ কারণ, মার্কিন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে বলা হচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পরিকল্পিতভাবে রাশিয়ার অফিসারদেরকে লক্ষ্য করে চোরাগোপ্তা বন্দুকধারী বা কামান দিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে। এসব খবরে আরও বলা হয়, রুশ অফিসারদের গতিবিধি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্র গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছে ইউক্রেনকে।

অননুমোদিত ফ্লাইট

বোতাশেভ যদি অবসর জীবনকে মেনে নিয়ে বাড়িতে বসে থাকতেন তাহলে কি হতো সে বিতর্ক এখন অর্থহীন। কিন্তু তার পক্ষে কীভাবে যুদ্ধে যোগ দেওয়া সম্ভব হলো- সে প্রশ্নটা করাই যায়।

বোতাশেভের সামরিক জীবন- বলা যায়, সরল রেখায় চলেনি। তাকে ২০১২ সালে সামরিক বাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়- কারণ তিনি এমন একটি বিমান চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলেন যেটা তার চালানোর কথা ছিল না।

রুশ সামরিক প্রযুক্তি শীর্ষ বিন্দু হচ্ছে এসইউ-২৫ নামের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। আর এই বিমানেরই ককপিটে গিয়ে বসেছিলেন বোতাশেভ।

রুশ সামরিক বাহিনীর নিয়ম হচ্ছে, অনেক ঘণ্টার বিশেষ প্রশিক্ষণের পরেই একজন বিমান সেনা কোনও একটি বিশেষ বিমান চালানোর অনুমতি পান।

কিন্তু বোতাশেভের এসইউ-২৫ বিমান চালানোর অনুমতি ছিল না। কিন্তু কোনও এক উপায়ে তিনি এ সুযোগ করে নিয়েছিলেন। বিমানটি মাঝ-আকাশে থাকার সময় বোতাশেভ এর নিয়ন্ত্রণ হারান। কিন্তু তিনি ও আরেকজন সহকর্মী দুর্ঘটনা কবলিত বিমানটি থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।

ফলে প্রাণে বেঁচে যান বোতাশেভ, কিন্তু এই দুঃসাহসিক কাণ্ড ঘটানোর জন্য তাকে যে মূল্য দিতে হবে- তা তিনি ঠিকই বুঝেছিলেন।

সমস্য হল, যে বিমান চালানোর জন্য তার অনুমোদন নেই তা নিয়ে আকাশে ওড়ার ঘটনা যে তিনি এই প্রথম ঘটালেন তা নয়।

এর আগে ২০১১ সালেও তিনি লুকিয়ে এসইউ-৩৪ নামে আরেকটি উচ্চ প্রযুক্তির বোমারু বিমানের ককপিটে উঠে ‘আনন্দ ভ্রমণে’ বেরিয়েছিলেন। এটি চালানোর জন্যও উপযুক্ত লাইসেন্স তার ছিল না।

এসইউ-২৫ বিমানটি ধ্বংস করার কারণে বোতাশেভকে ক্ষতিপূরণ দিতে হচ্ছিল।

একটি আদালত ২০১২ সালে রায় দেয় যে বোতাশেভকে এ কারণে রাষ্ট্রকে প্রায় ৭৫,০০০ ডলার দিতে হবে। যদিও বিমানটির আসল দাম ছিল কয়েক মিলিয়ন ডলার।

গত মাসে বোতাশেভ যখন মারা যান তখন তার সেই অর্থের অর্ধেকই পরিশোধ করা বাকি ছিল। একটি রাষ্ট্রীয় তথ্যভাণ্ডার থেকে এ কথা জানা গেছে।

বোতাশেভকে এরপর তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। তিনি কাজ করতে শুরু করে ডোসাফ নামে একটি রাষ্ট্রীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে- যার সাথে রুশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর যোগাযোগ আছে। তারা সামরিক বাহিনী সংক্রান্ত নানা বিষয়ে তরুণদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টিতে কাজ করে থাকে।

বোতাশেভ পেনশন পেতেন ৩৬০ ডলারের মত। অনুমান করা যায় যে তার বেতনও হয়তো খুব বেশি ছিল না।

এই আয় নিয়ে তার পক্ষে রুশ সরকারের ঋণ শোধ করা খুবই কঠিন হতো। অভিযোগ করা হয় যে মৃত্যুর সময় বোতাশেভ একটি প্রাইভেট সামরিক কোম্পানির হয়ে কাজ করছিলেন।

রুশ কর্তৃপক্ষ অবশ্য এসব প্রাইভেট কোম্পানির সাথে রাষ্ট্রের কোন সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

রাশিয়া   ইউক্রেন   যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গুলিবিদ্ধ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৯:০৯ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার একটি সরকারি বৈঠক শেষে ফেরার পথে তিনি তলপেটে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। স্লোভাক গণমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স ও বিবিসি।

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, গুলি লাগার পর ফিকো মাটিতে পড়ে যান এবং তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ আপডেটে বিবিসি জানিয়েছে, ফিকোর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই এবং তার গায়ে লাগা গুলির জখম বেশ গুরুতর।

হামলার পরপরই একজনকে আটক করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।

গত সেপ্টেম্বরে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ফিকো। ওই সময় ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন হুমকির মধ্যে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কারণ ব্রাতিসলাভাতে পৌঁছাতে বেশি সময় প্রয়োজন হবে। পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ”

দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হ্যান্ডলোভার হাউজ অব কালচারের বাইরে ফিকোর পেটে চারটি গুলি করা হয়। পুলিশ ওই স্থানটি ঘিরে ফেলেছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে।

স্লোভাকিয়া   প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দিল জর্ডান

প্রকাশ: ০৭:৫৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দেওয়ার দাবি করছে জর্ডান। দেশটির দাবি, এসব অস্ত্র জর্ডানের ক্ষমতাসীন রাজতন্ত্রের বিরোধীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য আনার চেষ্টা করছিল ইরান। 

বুধবার (১৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিষয়টি অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্র পাচারে সন্দেহভাজন ইরানি নেতৃত্বাধীন চক্রান্তকে জর্ডান ব্যর্থ করে দিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো সিরিয়ার ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের কাছে পাঠিয়েছিল। এ সেলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার সম্পর্ক রয়েছে। মার্চের শেষের দিকে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জর্ডানিয়ান সেলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অস্ত্রের চালানও জব্দ করা হয়।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রথমবারের মতো জর্ডানে অস্ত্রের চালান জব্দের খবর সামনে এসেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জর্ডানের দুটি সূত্র চলমান তদন্ত এবং গোপন অভিযানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অস্ত্র দিয়ে কি ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তা তারা জানাননি। এছাড়া কি ধরনের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তাও তারা জানাননি।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডানের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো ইরান এবং তার মিত্রদের কয়েকটি অস্ত্র চালান আটকে দিয়েছে। এসব চালানে ক্লেমোর মাইন, সি৪ এবং সেমটেক্স বিস্ফোরক, কালাশনিকভ রাইফেল এবং ১০৭ মিমি কাতিউশা রকেট ছিল।

জর্ডানের সূত্র অনুসারে, এ সব অস্ত্রের বেশিরভাগ ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জন্য নির্ধারিত ছিল। এছাড়া মার্চে জব্দ করা অস্ত্র জর্ডানে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল।

জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড জানিয়েছে, অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে তাদের কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে এর সঙ্গে দলের কোনো নীতিগত সমর্থন নেই বলে জানিয়েছে তারা।


ইরান   অস্ত্র   চোরাচালান   জর্ডান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সব সফর স্থগিত করলেন জেলেনস্কি

প্রকাশ: ০৭:৪৮ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের খারকিভে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সেনারা। এরপর সেখান দিয়ে একের পর এক অঞ্চল দখল করে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে তারা।

এরমধ্যেই নিজের সব আন্তর্জাতিক সফর স্থগিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। 

বুধবার (১৫ মে) তার দপ্তর থেকে একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, 'আগামী কয়েকদিনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ অন্যান্যদের যেসব আন্তর্জাতিক সফর ছিল সেগুলো স্থগিত এবং সফরগুলোর সময় পুনরায় নির্ধারিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কায়রাইলো বুদানোভ সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, খারকিভের সম্মুখভাগের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়েছে। এরপরই জেলেনস্কির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসল।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রুশ সেনাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে খারকিভের রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন।

দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, 'সেনারা তীব্র হামলার মুখে পড়েছে এবং তাদের আরও সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।'

ইউক্রেন সাধারণত সেনাদের প্রত্যাহার করার সরাসরি ঘোষণা দেয় না। এর বদলে তারা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে 'সেনাদের সুবিধাজনক স্থানে' নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে।

সেনাবাহিনীর এ মুখপাত্র আরও বলেছেন, সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন রুশ সেনাদের তারা শক্ত অবস্থান নিতে দিচ্ছেন না।

এদিকে ইউক্রেনের পুলিশ প্রধান খারকিভের ভোভচানস্ক এবং লুকিয়ান্তসি থেকে সব মানুষকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তার এমন আহ্বানের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, সেদিকটায় তড়িৎ গতিতে এগিয়ে আসছে রাশিয়ার সেনারা।

রুশ বাহিনী খারকিভে কী লক্ষ্য নিয়ে প্রবেশ করছে এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন তারা রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চান। যেন ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতর কোনো ধরনের হামলা না চালাতে পারে।


সফর   স্থগিত   জেলেনস্কি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২০ বছর পর ক্ষমতা ছাড়ছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং। 

টানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে আক্ষরিক অর্থে শেষ হতে চলেছে 'লি সেইন যুগ'।

বুধবার রাতে সব ঠিক থাকলে, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী লরেন্স ওয়ংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারপ্রধানের পদ থেকে বিদায় নেবেন তিনি।

১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়া থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখেছে সিঙ্গাপুর। এরা সবাই দেশটির ক্ষমতাসীন দল পিপল'স অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সদস্য। প্রথমজন লি কিউয়ান ইয়িউকে বলা হয় সিঙ্গাপুরের স্থপতি। বর্তমান বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুংয়ের পিতা লি কিউয়ান ইয়িউ টানা ২৫ বছর দেশটির সরকারপ্রধান ছিলেন। সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম গোহ চোক তং।

৭২ বছর বয়সী লি সেইন লুং অবশ্য এখনই রাজনীতি পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতির পর একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় মন্ত্রিসভার সদস্য থাকবেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত শনিবার সিঙ্গাপুরের সাংবাদিকদের শেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন লি সেইন। সেই সাক্ষাৎকারে এত বছর ধরে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও অন্যদের চেয়ে বেশি গতিতে দৌড়ানোর চেষ্টা করিনি; বরং চেষ্টা করেছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে চলতে।’

‘এবং আমি মনে করি, গত ২০ বছরে জাতিগতভাবে আমরা কিছু সাফল্য অর্জন করেছি। তবে এটা আমি স্বীকার করব যে, দুই পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আমার কাজের ধরন কিছুটা ভিন্ন ছিল।’

১৯৮৪ সালে তরুণ বয়সে সাধারণ কর্মী হিসেবে পিএপিতে যোগ দেন তিনি। সে সময় তার বাবা লি কিউয়ান ইয়িউ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে বাবা প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকলেও সে সময় দল থেকে তেমন কোনো আনুকূল্য পাননি তিনি। আর দশজন সাধারণ কর্মীর মতোই ছিলেন।

লি সেইনের উত্থান ঘটা শুরু হয় দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক তং’য়ের সময়। গোহ চোক তং’য়ের একজন বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে নিজেকে দলের ভেতর প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন তিনি এবং তার ধারবাহিকতাতেই ২০০৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন।

প্রথম দিকে অবশ্য লি সেইনকে ব্যাপক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। এসব সমালোচনার প্রায় সবই ছিল স্বজনপ্রীতিমূলক (নেপোটিজম)। বলা হতো, সিঙ্গাপুর লি পরিবারের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে আর সেই পরিবারের সংরক্ষক হলেন গোহ চোক তং।  

তবে পরবর্তী ২০ বছরে বহুবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছেন তিনি। তার নেতৃত্ব সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বহুমুখী এবং বিকশিত হয়েছে, একটি সাধারণ দ্বীপরাষ্ট্র থেকে দেশটি পরিণত হয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্র এবং ট্যুরিস্টদের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে; মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া তার শাসনামলের ২০ বছরে কখনও মূল্যস্ফীতি বা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়নি শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও নয়।

ভূরাজনীতিতেও সাফল্য দেখিয়েছেন লি সেইন। পরস্পরের প্রতি বৈরীভাবাপন্ন দুই শক্তিমান দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সঙ্গে সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে গেছেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতেও নিজ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন তিনি।

তবে অন্য সব রাজনীতিবিদের মতো লি সেইনও সমালোচনার ঊর্ধে নন। বিভিন্ন আইনী প্রণয়নের মাধ্যমে জনগণের বাক স্বাধীনতা সীমিত রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া দেশের শ্রমিক সংকট লাঘবের জন্য বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছেন তিনি। এ কারণেও তিনি বিরোধীদের চক্ষুশূল। মূলত তার শাসনামলেই ২০১১ এবং ২০২০ সালের ভোটে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছিল পিএপি।

সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ ডোনাল্ড ল’ বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকলেও লি সেইনই আসলে সিঙ্গাপুরের জনগণের প্রকৃত নেতা। তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো এই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা।’


ক্ষমতা   সিঙ্গাপুর   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৫৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশ: ০৫:২৩ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইন্দোনেশিয়ায় সপ্তাহব্যাপী চলা ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে একটি আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা এবং আকস্মিক বন্যার কারণে এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার অভিযান এখনও চলমান। বন্যার কারণে রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর, মসজিদ প্লাবিত হয়েছে। খবর এএফপির।

স্থানীয় সময় শনিবার মুষলধারে বৃষ্টির কারণে ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর একটি থেকে শীতল লাভা নির্গত হয়েছে। ফলে এর কাছাকাছি অবস্থিত বিভিন্ন জেলার বাড়ি-ঘর, রাস্তা এবং মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির শীতল লাভা লাহার নামেও পরিচিত। আগ্নেয়গিরির প্রধান উপাদান যেমন ছাই, বালি এবং নুড়ি পাথর বৃষ্টির কারণে আগ্নেয়গিরির ঢালে নেমে আসে। তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে।

বুধবার এক বিবৃতিতে জাতীয় দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুহরিয়ানতো বলেন, সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে মৃতের সংখ্যা ৫৮ জন। তিনি জানিয়েছেন, এখনো ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এছাড়া আরও ৩৩ জন বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।

এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকার ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করতে ইতোমধ্যেই ভারী সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ৩ হাজার ৩০০ জনের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।


ইন্দোনেশিয়া   ভারী বৃষ্টি   বন্যা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন