ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: বিপর্যয় মোকাবিলার সক্ষমতা নেই তালেবানের

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ২৬ জুন, ২০২২


Thumbnail আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: বিপর্যয় মোকাবিলার সক্ষমতা নেই তালেবানের

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠা আফগানিস্তান এখনো কাঁপছে আতঙ্কে। স্বজন হারানোর কষ্ট নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন হাজারো মানুষ। সেই হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা ব্যবস্থাও নাজুক। এমনই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ শহরগুলো।  

আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশের ছোট শহর জিয়ানের একটি ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে ভূমিকম্পে আহত ব্যক্তিরা। বুধবার (২২ জুন) ভোরে পাকতিকা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত প্রদেশে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর থেকেই সেখানে ভিড় করছেন বেঁচে ফেরা আহতরা। মুহাম্মদ গুল নামের ওই ক্লিনিকের একজন কর্মী বার্তাসংস্থা বিবিসি'র সাথে কথা বলেছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৩) মুহাম্মদ গুল বলেন, তাঁদের ক্লিনিকে শয্যা মাত্র পাঁচটি। তবে ভূমিকম্পে সব কক্ষ ধ্বংস হয়ে গেছে। এদিকে সকাল থেকে রোগী এসেছে ৫০০ জন। তাদের মধ্যে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাকতিকার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে কয়েকজনকে একটি হেলিকপ্টারে করে শহরগুলোতে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যাঁদের কোথাও যাওয়ার সুযোগ হয়নি, তাঁদের জন্য অস্থায়ী ক্লিনিক খুলে দুজন চিকিৎসক সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। 


এদিকে যে জেনারেটরটি দিয়ে ক্লিনিকের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে, সেটির জ্বালানি তেলও ফুরিয়ে আসছে। আশপাশের প্রদেশগুলো থেকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। তবে এখনো তেমন কিছু হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন মুহাম্মদ গুল। বলেন, ‘ক্লিনিকে আহত ব্যক্তিদের ভীড় বাড়ছে। অনেকেরই জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রয়োজন। আমার মনে হয় না তাঁরা রাত পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারবেন।’

এদিকে, আহত ব্যক্তিদের সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। ভূমিকম্পটি এমন সব স্থানে আঘাত হেনেছে যেগুলো মূলত দরিদ্র পাহাড়ি এলাকা। সেখানকার বাড়িঘরগুলো দুর্বল, ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি সয়ে টিকে থাকার মতো নয়। স্বাভাবিকভাবে ভূমিকম্পে শত শত বাড়িঘর ধসে পড়েছে। ভূমিকম্পের পাশাপাশি হয়েছে ভূমিধস। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি জিয়ান। ভূমিকম্পের পর অনেক মানুষ এখনো বিধ্বস্ত বাড়িঘরের নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন।

কয়েক বছর আগে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলো জিয়ানের ওই ক্লিনিক স্থাপন করে। এটি চালু করা হয়েছিল ছোটখাট সমস্যা নিয়ে আসা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য। রোগীদের অবস্থা গুরুতর হলে প্রাথমিক সেবা দিয়ে বড় বড় শহরের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হতো। ক্লিনিকটিতে নেই দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা, নেই জরুরি বিভাগ।

গত বছরের আগস্ট মাসে ইসলামপন্থী তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করলে আন্তর্জাতিক অনেক ত্রাণ সংস্থা দেশটি ছেড়ে চলে যায়। চিকিৎসাকর্মী, ওষুধপত্র ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের ঘাটতি নিয়েই দেশটিতে এখন চলছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।

একজন স্বেচ্ছাসেবক বিবিসিকে জানান, ভূমিকম্পের পরপরই জিয়ান শহর পরিদর্শনে যান তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত জেলা গভর্নর। ওই সময় স্থানীয় লোকজন চিৎকার করে তাঁকে সেখান থেকে চলে যেতে বলছিলেন। ।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্বেচ্ছাসেবী বলেন, ‘এই বিপর্যয় মোকাবিলা করার মতো সক্ষমতা তালেবানের নেই। কার্যক্ষেত্রে কোনো পদ্ধতি এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘আর আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সহায়তা পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী নই। আফগানিস্তানকে বিশ্ব ভুলে গেছে।’ 

এমনকি তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের আগেও কোনো বিপর্যয়ে আফগানিস্তানের বড় বড় শহরে জরুরি সেবা দেওয়ার সক্ষমতায় ঘাটতি ছিল। ছিল হাতেগোনা কিছু উড়োজাহাজ ও হেলিকপ্টার।

পাকতিকার মেডিকেল কর্তৃপক্ষের কথায়, এ অঞ্চলে ব্যথানাশক ও অ্যান্টিবায়োটিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।

জিয়ানে প্রতিষ্ঠিত অস্থায়ী ক্লিনিকে যে দুজন চিকিৎসক রোগীদের সেবায় প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের একজন এসেছেন স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে পাশের জেলা গজনি থেকে। ক্লিনিকে আসা আহত রোগীদের করুণ অবস্থা সম্পর্কে তরুণ বয়সী এক বাবার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। বলেন, তাঁর বুকের হাড় ভেঙে গেছে। তিনি তাঁর শিশুসন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা জিজ্ঞাসা করে কাঁদছিলেন। ওই বাবা তাঁকে বলছিলেন, তাঁর স্বজনেরা যদি বেঁচে না থাকে, তবে তাঁকে যেন মরতে দেওয়া হয়।

স্বেচ্ছাসেবী এই চিকিৎসক বলেন, আহত রোগীদের বেশিরভাগ পুরুষ। তাঁরা বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপ থেকে কোনোরকমে বেরিয়ে আসতে পারলেও, নারী ও শিশুদের জন্য তা কঠিন। রোগীদের মধ্যে কিছু শিশুও ছিল। সঙ্গে তাঁদের কোনো অভিভাবক ছিলেন না। এই শিশুদের মধ্যে ৮ বছর বয়সী একজনের অবস্থা ছিল গুরুতর।

শিশুটি আশপাশের লোকজনকে অনুরোধ করছিল, তাঁরা যেন বাড়ির ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা তার বাবা–মা ও ভাই–বোনকে উদ্ধার করতে যান—বলেন এই চিকিৎসক। ঠিক তখন কেউ একজন বলে ওঠেন, তাঁরা বেঁচে নেই। এ কথা শুনেই মূর্ছা যায় শিশুটি। 

ক্লিনিকে আহত অবস্থায় আসা অনেককে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেল। খবর পাওয়া গেল, শহরের এখানে–সেখানে লোকজনের মরদেহ পড়ে থাকারও।

ক্লিনিকটি রোগীতে উপচে পড়লেও শহরে ছিলেন না কোনো সরকারি ত্রাণকর্মী। প্রতিবেশী এলাকাগুলো থেকে সাধারণ মানুষ আসছিলেন চাপা পড়ে থাকা লোকজনকে উদ্ধারে সহায়তা করতে। কাছের উরগান শহর থেকে আসা এমনই একজন স্বেচ্ছাসেবী ব্যস্ত ছিলেন উদ্ধারকাজে। বলছিলেন, সকাল থেকে ৪০ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন তিনি, যাদের বেশিরভাগই ছিল শিশু।

তবে ধ্বংসস্তূপ থেকে যাঁরা বেরিয়ে আসতে পেরেছেন, তাঁদের অদূর ভবিষ্যতও দৃশ্যত অন্ধকারে ঢাকা। ক্লিনিকের স্বেচ্ছাসেবী চিকিৎসক বলছিলেন, আহতদের শরীর ধোয়ার মতো পরিষ্কার পানিটুকু পর্যন্ত আমাদের নেই। যা–ই বা আছে, তা–ও খুব গরম। আমার ধারণা, তাঁদের সংক্রমণ শিগগিরই ছড়িয়ে পড়বে।’ 


উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খোস্ত প্রদেশে আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ১। খোস্তের রাজধানী শহর থেকে আনুমানিক ৪৪ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। স্থানটি পাকিস্তানের সীমান্তসংলগ্ন। ভূমিকম্পে আফগানিস্তান ছাড়াও পাকিস্তান ও ভারতের কিছু এলাকা কেঁপে ওঠে।

তালেবান সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ জানায়, ভূমিকম্পে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। আহতদের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দেড় হাজার। পাকতিকার তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ আমিন হুজাইফা বলেন, তাঁর এ প্রদেশেই নিহতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার। তিনি বলেন, ভূমিকম্পের সময় ব্যাপকভাবে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে বিস্তৃত এলাকার বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

আফগানিস্তান   ভূমিকম্প   তালেবান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রিসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পথ ধরে এবার ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ইউরোপে অন্যান্য দেশের মতো গ্রিসেও বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পূর্বাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল ও আকাশপথে হামলা শুরুর পরদিন এথেন্সে এই সংঘর্ষ হয়েছে। 

ফিলিস্তিনি পতাকা ও ব্যানার বহনকারী ৩০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী ওই সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। গ্রিসের রাজধানীতে অবস্থিত সংসদ ভবনের বাইরে সমাবেশ করেছেন তারা।

দেশটির ৬০ বছর বয়সী পেনশনভোগী আন্তোনিস দাভানেলোস বলেন, ‌‌‘আমরা এখানে সংহতি জানাতে এসেছি এবং ফিলিস্তিনিরা যখনই (সংহতির জন্য) ডাকবে, আমরা তখনই সাড়া দেব।’

এথেন্সে সংসদ ভবনের বিপরীত পাশে অবস্থিত মিসরীয় দূতাবাসের ফটকে উঠে একদল বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওই দলকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

গ্রিস   ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুশরা বিবির পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরা দম্পতির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয়। ইমরান কারাগারে থাকলেও বুশরাকে ইসলামাবাদের বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা বলে তাকে বাড়িতেই বন্দী রাখার আদেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার।

গৃহবন্দী রাখার এ আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বুশরা বিবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার আইনজীবী নাঈম পানজুথা এ কথা বলেছেন।

বুশরা বিবির আইনজীবীরা তাকে কারাগারে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কারাগারেই আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান।

ইমরানের ইসলামাবাদের বাড়িটিকে সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গৃহবন্দী অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিষ মেশানো খাবার দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বুশরা। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


ইমরান খান   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিঙ্গাপুরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিঙ্গাপুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক বিমানঘাঁটিতে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।  

বুধবার (০৮ মে) সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক বিবৃতিতে জানায়, সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তেনগাহ বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানের পাইলট সফলভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। বিমানের পাইলটের সুস্থ আছেন এবং তিনি হাঁটতে পারছেন। বর্তমানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় অন্য কোনও কর্মকর্তা আহত হননি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমটি বলছে, উড্ডয়নের সময় বিমানটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন পাইলট জরুরি প্রক্রিয়া মেনে পদক্ষেপ নেন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অত্যাধুনিক বিমানবাহিনী রয়েছে সিঙ্গাপুরের। নগর রাষ্ট্রটিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বিরল। এর আগে, ২০১০ সালে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ উন্মুক্ত মাঠে জরুরি অবতরণ করে।


সিঙ্গাপুর   যুদ্ধবিমান   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণহারে অসুস্থতার ছুটি ক্রুদের, ৭৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অন্তত ৭৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কারণ ক্রুরা হঠাৎ গণহারে অসুস্থতার ছুটি নিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ারলাইনটির চাকরির নতুন নিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রুরা এবং এর প্রতিবাদ করছে তারা। তবে এয়ারলাইনটির কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কিছু কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানায়। এতে ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের ঘটনা ঘটছে। আমরা ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।

মুখপাত্র বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কারণ এটা আমাদের সার্ভিসের প্রতিফলন নয়।

এয়ারলাইনটি জানায়, ভুক্তভোগীদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে অথবা নতুন করে শিডিউল দেওয়া হবে।


অসুস্থ   ছুটি   ক্রু   ফ্লাইট   বাতিল   এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০ এর বেশি বোমা হামলার হুমকি

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ও স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই হামলার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। এছাড়া হুমকির বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। খবর এএফপি।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লোভাকিয়ায় মঙ্গলবার স্কুল ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মূলত ইমেইলে করে এসব হুমকি দেওয়া হয় এবং এতে দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হুমকির ঘটনায় তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি চিফ রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেছেন, 'সন্ত্রাসী হামলার মতো বিশেষ গুরুতর অপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।'  

রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেন, 'মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা বা ছয়টা থেকে স্কুলগুলোতে ইমেইল আসতে শুরু করে। এর মধ্যে বোমা হামলার প্রায় ১ হাজার হুমকি স্কুলগুলোতে এসেছে এবং ১০০টিরও বেশি ব্যাংক এই ধরনের হুমকি পেয়েছে।'

দেশটির পুলিশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লিখেছে, 'পুলিশ সম্পূর্ণ গতিতে কাজ করছে, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে এবং অপরাধীকে শনাক্ত করতে কাজ করছে।'

এএফপি বলছে, অপরাধীদের সম্ভাব্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।

ব্রাতিস্লাভা স্ব-শাসিত অঞ্চলের মুখপাত্র লুসিয়া ফরম্যান এএফপিকে বলেছেন, দেশটি পরিচালিত কয়েক ডজন স্কুলে বোমা হামলার হুমকি নথিভুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, 'আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি, শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এখন বিষয়টি দেখছে।'


স্লোভাকিয়া   বোমা হামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন