ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আবে'কে গুলি করার কারণ জানালো হত্যাকারী

প্রকাশ: ১২:৩৩ পিএম, ১০ জুলাই, ২০২২


Thumbnail আবে'কে গুলি করার কারণ জানালো হত্যাকারী

জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করার কারণ সম্পর্কে দেশটির পুলিশ বলছে, বন্দুকধারী তাৎসুইয়া ইয়ামাগামি (৪১) বিশ্বাস করতেন, আবের কারণে তাঁর মা ঋণখেলাপি হয়েছিলেন। এই কারণে কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা করে শুক্রবার জাপানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা চালান তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, তাৎসুইয়া ইয়ামাগামি বেকার ছিলেন। তিনি আবেকে পেছন থেকে গুলি করেন। গুলি চালানোর পর নির্বিকার ছিলেন তিনি। তাৎসুইয়া ইয়ামাগামি একা থাকতেন। তাঁর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কিছু জিজ্ঞেস করা হলেও কোনো উত্তর দিতেন না তাৎসুইয়া ইয়ামাগামি।

আবে হত্যাকাণ্ডের পর এই ঘটনার তদন্ত সূত্রের বরাত দিয়ে একটি খবর প্রকাশ করেছে কিওডো নিউজ। এই খবরে বলা হয়েছে, ওই বন্দুকধারী বিশ্বাস করতেন, আবে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সাহায্য–সহযোগিতা করতেন। এই ধর্মীয় গোষ্ঠীকে অর্থ দিতে গিয়ে তাঁর মা ঋণখেলাপি হন।

ওই বন্দুকধারী পুলিশকে বলেছেন, "আমরা ওই ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। আমি এ জন্য বিরক্ত ছিলাম।"

 তবে আবে কোন ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সাহায্য–সহযোগিতা করতেন, তা প্রকাশ করা হয়নি। এ ছাড়া যেখানে আবেকে গুলি করা হয়েছে, সেই নারা শহরের পুলিশও এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

জাপানে দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আবে। তিনি দেশটিতে সবচেয়ে বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অসুস্থতার কারণে ২০২০ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। তবে ক্ষমতায় থাকা লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) ওপর তাঁর যথেষ্ট প্রভাব ছিল।


জাপান   আবে   গুলিবিদ্ধ   নিহত   হত্যাকারী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শস্য ও খাদ্য উৎপাদনের সক্ষমতা হারিয়েছে গাজা!

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সাত মাসেরও বেশি সময় পার হয়েছে। আর এই করুণ সময়ে সবদিক থেকেই প্রায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছে গাজা। শুধু তাই নয়, এই সময়ের মধ্যে শস্য ও খাদ্য উৎপাদনের পুরো সক্ষমতা হারিয়েছে ফিলিস্তিনের এই অবরুদ্ধ ভূখণ্ড। পাশাপাশি সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়েছে উপত্যকার বিশুদ্ধ পানির জোগান। শুক্রবার (০৩ মে) ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলের লাগাতার বোমা হামলা এবং বুলডোজারের চাপায় ধূলিসাৎ হয়েছে গাজার অধিকাংশ কৃষিজমি এবং ফলের বাগান। তারপরও কিছু জমি হয়তো বেঁচে ছিল, কিন্তু বোমা হামলা থেকে বাঁচতে গাজাবাসী যখন দক্ষিণ দিকে ছুটেছে, তখন পেছনে ফেলে যাওয়া জমির ফসল এবং গবাদিপশু মারা পড়েছে পানির অভাব ও অনাহারে।

আশরাফ ওমর নামে উত্তর গাজার বেইত লাহিয়ার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে জানান, জানুয়ারির শেষের দিকে ইসরায়েলি সেনারা তার ফসলের জমি বুলডোজার দিয়ে পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে। একইসঙ্গে তার একটি গ্রিনহাউস এবং সৌরশক্তির প্রকল্প ছিল, সেগুলোও ভেঙে ফেলেছে ইসরায়েলি সেনারা। সবকিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে সেখানে তারা একটি সামরিক বাফার জোন তৈরি করেছে।

তিনি জানান, পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া এসব জমিতে তারা কমলা, লেবু, আলু, বেগুন, টমেটো এবং শসা চাষ করতেন। কিন্তু এখন সেসব শুধুই স্বপ্ন। আশরাফ ওমরের গল্প এখন গাজার প্রতিটি মানুষের।

গাজার কৃষি তথ্য, স্যাটেলাইট ইমেজ, উপত্যকার বিশেষজ্ঞ ও ফিলিস্তিনিদের সাক্ষাৎকার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ইতোমধ্যেই গাজার দুর্বল কৃষি ব্যবস্থা একেবারে পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে।

গাজার কৃষি খাত ধ্বংসের মাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, বেআইনিভাবে ঘনবসতিপূর্ণ বেসামরিক এলাকায় নিজেদের সামরিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে হামাস এবং অন্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। এসব ঠেকাতে আইডিএফ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেসব সামরিক প্রয়োজনের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়েছে এবং তা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারেই করা হয়েছে।

যদিও যুদ্ধের আগেও গাজার বেশির ভাগ ফল ও সবজি আমদানিই করা হতো। কারণ ২০০৭ সালে হামাস ক্ষমতা দখলের পর গাজার ওপর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল এবং মিশর। সে কারণে গাজার খাবার উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় দুই দশক ধরে সীমিত। এখনো একটি সীমান্ত ক্রসিং ছাড়া সব সীমান্তই নিয়ন্ত্রণ করে ইসরায়েল। এর ফলে সীমিত বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ছাড়া গাজায় প্রায় সব ধরনের আমদানি ও রপ্তানি সীমাবদ্ধ। পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে গাজাবাসীর।


ওয়াশিংটন পোস্ট   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্ষুধায় বহু মানুষ মারা যেতে পারে সুদানে: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অনাহারে বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের খাদ্যবিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি বলেছে, পশ্চিম সুদানের দারফুরে মানুষের অনাহার ঠেকোনোর সময় ফুরিয়ে আসছে। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা গোটা জাতিকে শেষ করে দিচ্ছে।

শুক্রবার যুদ্ধরত পক্ষগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, দারফুর এবং সুদানের অন্যান্য যুদ্ধকবলিত এলাকায় খাদ্য সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে। এসব এলাকায় মানবিক সাহায্যের অনুমতি না দিলে ক্ষুধায় বহু মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

গত বছরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যে সশস্ত্র সংঘাত শুরু হয়। পরবর্তীতে এই সংঘাত দেশটিতে গৃহযুদ্ধের রূপ নেয়। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে অনেক মানুষ। যুদ্ধের কারণে দেশটির কৃষি উৎপাদন ৭৮ শতাংশ কমে গেছে।

ডব্লিউএফপির পূর্ব আফ্রিকার পরিচালক মাইকেল ডানফোর্ড শুক্রবার বলেছেন, খাদ্যাভাবে মানুষ বাদামের খোসা খেতে বাধ্য হচ্ছে। শিগগিরই তাদের কাছে সহায়তা না পৌঁছালে দারফুর ও সংঘাত বিধ্বস্ত সুদানের অন্যান্য এলাকায় ব্যাপক অনাহার এবং মৃত্যুঝুঁকি দেখতে হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেডক্রসের (আইসিআরসি) দুজন কর্মী দক্ষিণ দারফুরে অস্ত্রধারীদের গুলিতে নিহত হন। আহত হন আরও তিনজন কর্মী। অঞ্চলটিতে সর্বশেষ বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আরএসএফের উত্তর দারফুরের রাজধানী এল ফাশের ঘেরাও করার সময়।

পরিস্থিতি বর্ণনা করে সুদানে জাতিসংঘের ডেপুটি হিউম্যানিটেরিয়ান কোঅর্ডিনেটর টবি হেওয়ার্ড বলেন, শহর ও আশপাশের এলাকাগুলোতে নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবে পুরো গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ক্রমাগত বিমান থেকে বোমা হামলা চালানো হয়েছে।

হেওয়ার্ড আরও বলেন, এল ফাশেরই একমাত্র শহর যেটি এখনো আরএসএফ দখল করতে পারেনি। সেখানে অন্যান্য এলাকা থেকে আসা হাজারো উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে। এল ফাশেরে অন্যান্য এলাকা থেকে সহিংসতায় উদ্বাস্তু হওয়া ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।

তবে ‘ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স’ (ওসিএইচএ) বলছে, এল ফাশেরকে তুলনামূলক নিরাপদ মনে করা বাসিন্দারা এখন বিপদে পড়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সেখানকার ৩৬ হাজার মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়েছে।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, দুই সপ্তাহ আগে বেড়ে যাওয়া সংঘাতে এল ফাশের ও এর আশপাশে ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিম এল ফাশেরে এক ডজনেরও বেশি গ্রামে হামলা চালানো হয়েছে। যৌন সহিংসতা, শিশু হত্যা, বাড়িঘরে আগুন এবং অবকাঠামো ধ্বংসসহ ভয়ংকর সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।

সংঘাতের এমন পরিস্থিতি আর আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে দারফুরে খাদ্য সহায়তা বিতরণের কাজ থেমে গেছে। ওই অঞ্চলের ১৭ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় ভুগছে বলে জানিয়েছে ডব্লিউএফপি।

ওসিএইচএ এর হিসাবে, যুদ্ধের কারণে সুদানে ৪৬ লাখ শিশুসহ ৮৭ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। দেশটির ২ কোটি ৪৮ লাখ মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।


জাতিসংঘ   সুদান   ক্ষুধা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১৪ হাজার ডলারের অলঙ্কার বিক্রি ১৪ ডলারে!

প্রকাশ: ০৩:৫৮ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মূলত বিলাসবহুল ব্র্যান্ডটির দুল জোড়ার দাম লেখার কথা ছিল ২৩৭,০০০ পেসো (১৪ হাজার ডলারের বেশি)। অথচ ভুলে সেখানে লেখা ছিল ২৩৭ পেসো (১৩.৮৫ ডলার বা প্রায় ১৪ ডলার)। অর্থাৎ, ভুলক্রমে দামের সঙ্গে থাকা শেষের তিনটি শূন্য বাদ পড়েছিল।

বিলাসবহুল অলঙ্কার প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ডগুলোর ইতিহাসে অন্যতম ব্যয়বহুল ভুল এটি।

কিন্তু কীভাবে ঘটল এই ঘটনা। জানা গেছে, মেক্সিকোর বাসিন্দা রোজেলিও ভিয়ারিয়াল একদিন অলসভাবে কার্তিয়েরের ওয়েব পেজ স্ক্রল করছিলেন। হঠাৎ তার চোখ পড়ে দারুণ এক জোড়া কানের দুলের সঙ্গে অবিশ্বাস্য কম দাম লেখা।

২০ এপ্রিল এক্স-এ (পূর্বে টুইটার) শেয়ার করা একটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'অলঙ্কারগুলোর দাম দেখে আমি অবাক হয়েছিলাম। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।'

সিবিএস নিউজের তথ্যমতে, দুল জোড়ায় ১৮-ক্যারেট স্বর্ণের সঙ্গে ১৪২ ক্যারেটের হীরা লাগানো ছিল।

মূলত বিলাসবহুল ব্র্যান্ডটির দুল জোড়ার দাম লেখার কথা ছিল ২৩৭,০০০ পেসো (১৪ হাজার ডলারের বেশি)। অথচ ভুলে সেখানে লেখা ছিল ২৩৭ পেসো (১৩.৮৫ ডলার বা প্রায় ১৪ ডলার)। অর্থাৎ, ভুলক্রমে দামের সঙ্গে থাকা শেষের তিনটি শূন্য বাদ পড়েছিল।

পেশায় চিকিৎসক ভিয়ারিয়াল সুযোগটি হাতছাড়া করেননি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই জোড়া দুল কিনে ফেলেন।

তিনি এক্স-এ লিখেছেন, 'আমার সারা শরীর দিয়ে ঘামের স্রোত বইছিল।' 

বোঝা যায়, কম দামে অতি দামি দুলগুলো কিনতে পেরে তিনি দারুণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। তবে, তার স্বস্তি খুব অল্প সময় স্থায়ী হয়েছিল। কারণ কার্তিয়ের তার অর্ডার বাতিল করার চেষ্টা করেছিল এবং তাকে গহনার পরিবর্তে সান্ত্বনা পুরস্কার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তারা পরিবর্তে তাকে এক বোতল শ্যাম্পেন পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু ভিয়ারিয়াল দমে যাননি।

সিবিএস নিউজের খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তি মেক্সিকোর ফেডারেল কনজিউমার প্রোটেকশন এজেন্সির কাছে বিষয়টি উত্থাপন করলে কার্তিয়েরকে তলব করা হয়।

ভিয়ারিয়াল জানান, কয়েক মাস ধরে টানাপোড়েনের পর বিলাসবহুল ব্র্যান্ডটি শেষ পর্যন্ত দুই জোড়া কানের দুল তাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এর একজোড়া তার জন্য, আরেক জোড়া তার মায়ের জন্য। 

২৬ এপ্রিল ভিয়ারিয়াল এক্স-এ সুন্দর করে মোড়ানো একটি বাক্সের ছবি শেয়ার করেন। এতে বোঝা যায়, শেষ পর্যন্ত দুলগুলো তিনি হাতে পেয়েছেন।

কার্তিয়েরের এই ভুলকে তিনি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে কেন দেখলেন না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, কোম্পানির প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া আমাকে তাদের বিরুদ্ধে বিরক্ত করেছে। 

তিনি বলেন, 'আমার অর্ডার বাতিল করার পর আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা দুই ধরনের কথা বলে। প্রথমে তারা বলেছিল, কানের দুলগুলোর দাম দুর্ঘটনাক্রমে ভুল লেখা ছিল।'

পরে আবার তারা জানায়, কানের দুলটির স্টক শেষ হয়ে গেছে, তাই তারা অর্ডার অনুযায়ী জিনিস দিতে পারবে না। প্রতিষ্ঠানটি মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। 

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিয়ারিয়ালের পোস্টে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

কেউ কেউ বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে তার জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ কোম্পানির ভুলের সুযোগ নেওয়ার জন্য তার সমালোচনা করেছেন।

কিছু ব্যবহারকারী এমনকি বলেছেন, তার উচিত দুলগুলো ফেরত দেওয়া বা সেগুলোর ওপর কর দেওয়া উচিত।

তবে ভিয়ারিয়াল জানিয়েছেন, কানের দুল পেয়ে তিনি 'খুব খুশি' হয়েছেন। 

তিনি বলেন, আমি একজন ভোক্তা হিসেবে আমার অধিকার বুঝে নিয়েছি, তবে অনেকেই তা করতে পারে না। তাই এই মামলাটি মেক্সিকোর জনগণকে ভোক্তা অধিকার আইনসহ তাদের অন্যান্য মৌলিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতে সহায়তা করবে।


ডলার   অলঙ্কার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদানির সাত কোম্পানিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

প্রকাশ: ০৩:৩৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবার গৌতম আদানির তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি।

তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে শেয়ারবাজারের নিয়ম না মানা ও সম্পর্কিত পক্ষের (রিলেটেড পার্টি) সঙ্গে লেনদেনসংক্রান্ত বিধিভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কোম্পানিগুলো ইতিমধ্যে শেয়ারবাজার কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

যে সাতটি কোম্পানিকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো হলো আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি এনার্জি সলিউশনস, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পোর্টস, আদানি পাওয়ার, আদানি টোটাল গ্যাস ও আদানি উইলমার।

গত বছরের জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার লেনদেন ও গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চের এক প্রতিবেদনে রীতিমতো ঝড় ওঠে। তাদের অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠীর কোম্পানিগুলো কৃত্রিমভাবে শেয়ারদর বাড়িয়ে প্রতারণা করার পাশাপাশি বেআইনি লেনদেন করত। এর মধ্য দিয়ে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানো হয়েছে। এরপরই তদন্তে নামে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি।

অবশেষে সেই ধারাবাহিকতায় গৌতম আদানির তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির মধ্যে ৭টির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ জারি করে তারা। ফলে আদানিদের বিরুদ্ধে হিনডেনবার্গের প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে আবারও শোরগোল তৈরি হয়েছে ভারতের সংশ্লিষ্ট মহলে।

বিষয়টি একই সঙ্গে রাজনৈতিক রং পেয়েছে। সেবির নোটিশ জারির কথা প্রচার হতেই গতকাল আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হয়েছে কংগ্রেস। দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বিবৃতিতে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে টালবাহানার পরে এবং সুপ্রিম কোর্টের চাপে সেবি আদানিদের বিরুদ্ধে প্রথম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলো।

সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, সেবির এই নোটিশ ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে হিনডেনবার্গ রিসার্চের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যে তদন্ত তারা শুরু করেছিল, তারই অংশ। যদিও আদানি গোষ্ঠী আবারও যথারীতি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, শোকজ নোটিশ কোনো অভিযোগ নয়, শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাদের কাছে কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে।

আদানিদের যেসব কোম্পানিকে সেবি কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে, সেগুলোর মধ্যে গোষ্ঠীর প্রধান সংস্থা আদানি এন্টারপ্রাইজেস, আদানি গ্রিন এনার্জি ও আদানি টোটাল গ্যাস লিমিটেড স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে, সেবি নোটিশ পাঠিয়েছে গোষ্ঠীর হোল্ডিং কোম্পানিকে বা মূল সংস্থাকে। পাশাপাশি আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন, আদানি পাওয়ার, আদানি এনার্জি সলিউশনস ও আদানি উইলমার জানিয়েছে, তারা সেবির নোটিশ পেয়েছে। সেবির ওই নোটিশ মূলত সংস্থাগুলোর ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের হিসাবসংক্রান্ত বলে উল্লেখ করে সব কটি সংস্থা দাবি করে, কোনো আইন ভঙ্গ করা হয়নি।

আদানি গোষ্ঠী এমন দাবি করলেও বিবৃতিতে কংগ্রেসের সম্পাদক জয়রাম রমেশ স্মরণ করিয়ে দেন, গৌতম আদানির ওইসব কোম্পানির একাধিক সন্দেহজনক লেনদেনের বিষয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদনে বিরূপ মন্তব্য করা হয়েছিল। আদানি পোর্টসের নিরীক্ষক ডেলয়েট হাসকিনস অ্যান্ড সেলস সংস্থার ২০২২-২৩ সালের অডিট প্রতিবেদনে এমন একাধিক লেনদেনের দিকে আঙুল তোলা হয়।

২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে হিনডেনবার্গ প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর রীতিমতো লন্ডভন্ড হয়ে যায় গৌতম আদানির ব্যবসা সাম্রাজ্য। তাঁর সম্পদমূল্য ১০ হাজার কোটি ডলার কমে যায়। বিশ্বে ধনীদের তালিকায় পাঁচের মধ্যে থাকা আদানি চলে যানে ২০-এর ঘরে। এরপর অবশ্য ধীরে ধীরে ক্ষতি অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন আদানি।

আজ এই প্রতিবেদন লেখার সময় গৌতম আদানির সম্পদমূল্য ছিল ৮০ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৮ হাজার ৪০ কোটি ডলার। ফোর্বস ম্যাগাজিনে ধনীদের তালিকায় তাঁর স্থান এখন ১৭তম।


গৌতম আদানি   সাত কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার বাণিজ্য বৃদ্ধির আশাবাদ

প্রকাশ: ০৩:০২ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সঙ্গে গাম্বিয়ার বাণিজ্য ও কৃষিতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গাম্বিয়ার বানজুলে ২-৩ মে অনুষ্ঠানরত ১৫তম ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভার সাইভলাইনে স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদোউ তাংগারার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। সেখানে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গাম্বিয়ার কৃষি খাতে বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। হাছান মাহমুদ গাম্বিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য

দুই দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনদের এর সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট বিজনেস টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাবনা দেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কৃষি খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন এবং উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা সম্প্রসারণের ইচ্ছে প্রকাশ করেন।

গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি সংহতি প্রকাশের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্যও তিনি বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

বৈঠকে উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনি সমস্যা সমাধানে ওআইসির দৃঢ় ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ দিন সন্ধ্যায় অপর এক বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের স্থায়ী পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত রিয়াদ মনসুর ফিলিস্তিনের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান।

বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণের সমর্থনের কথা অবহিত করেন।

ফিলিস্তিনি সাধারণ জনগণের ওপর ইসরায়েলি আগ্রাসন স্থায়ীভাবে নিরসনের লক্ষ্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ওআইসির সদস্য দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে দিচ্ছেন। পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, সৌদি আরবে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, গাম্বিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত নাইজেরিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদুর রহমান এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ অনুবিভাগের মহাপরিচালক ওয়াহিদা আহমেদ বৈঠক দুটিতে উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ   গাম্বিয়া   বাণিজ্য   বৃদ্ধি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন