ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছে যারা

প্রকাশ: ০৮:৪২ এএম, ১২ জুলাই, ২০২২


Thumbnail যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছে যারা

লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানা অভিযোগের মুখে থাকা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই জমে উঠেছে। এ লড়াইয়ে সর্বশেষ যোগ দিয়েছেন দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস। রয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভেদও। এ পর্যন্ত ১২ জন রাজনীতিক–আইনপ্রণেতা প্রধানমন্ত্রী হতে মাঠে নেমেছেন।

লিজ ট্রাস
তিনি বরিস জনসন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১০ সালে সাউথ–ওয়েস্ট নরফক থেকে কনজারভেটিভ পার্টির হয়ে পার্লামেন্টের সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়ে প্রথমবার যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে যান ট্রাস। এর আগে তিনি ডেভিড ক্যামেরুন ও থেরেসা মে সরকারেরও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরাসরি ভূমিকা রেখেছেন ব্রেক্সিট আলোচনায়। কর কমানো, জাতীয় বিমা বৃদ্ধিসহ জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন ইস্যুতে তিনি বরাবর সরব রয়েছেন।

ঋষি সুনাক
বরিস জনসন সরকারের অর্থমন্ত্রী ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ও ব্যবসায়ী ঋষি সুনাক। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জনসনের সমালোচনা করে পদত্যাগ করেছেন তিনি। ২০১৫ সালে রিচমন্ডের নর্থ ইয়র্কশায়ার থেকে তিনি প্রথমবার এমপি হন। পাঁচ বছরের কম সময়ে ২০২০ সালে দেশের অর্থমন্ত্রী হন তিনি। করোনাকালে অর্থনৈতিক চাপ সামলানোর জন্য প্রশংসা পেয়েছেন ঋষি সুনাক। ক্ষমতায় গেলে অর্থনীতির গতি ফেরাতে ও জনগণের করের বোঝা কমাতে চান তিনি। লকডাউনের নিয়ম ভঙ্গ করা ও ধনাঢ্য স্ত্রীর কর মওকুফ করার জন্য তাঁর সমালোচনা হয়েছিল।

সাজিদ জাভিদ
পাকিস্তানি অভিবাসী পরিবারে জন্ম নেওয়া সাজিদ জাভিদ যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। বরিস জনসনের সমালোচনা করে সম্প্রতি পদত্যাগ করেন তিনি। ২০১০ সালে ব্রমসগ্রোভ থেকে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালেও তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে শামিল হয়েছিলেন। পরে বরিস জনসনকে সমর্থন করে দৌড় থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। ক্ষমতায় গেলে আয়কর ও করপোরেশন কর কমানো এবং জাতীয় বিমা বাড়ানোর উদ্যোগ নেবেন বলে জানিয়েছেন জাভিদ।

জেরেমি হান্ট
থেরেসা মের আমলে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন জেরেমি হান্ট। সাউথ–ওয়েস্ট সুরি আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে ২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যান তিনি। ২০১০ সাল থেকে তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় সামলেছেন। ২০১৯ সালেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন হান্ট। এবার নির্বাচিত হতে পারলে তিনি অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং ব্যবসায়ী ও করপোরেশনের জন্য করের বোঝা কমানোর কথা জানিয়েছেন।

প্রীতি প্যাটেল
বরিস জনসন সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন প্রীতি। ২০১০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে সদস্য হিসেবে রয়েছেন তিনি। কনজারভেটিভ পার্টির মুখপাত্র ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ নারী। একসময় তামাক ও অ্যালকোহল শিল্পের লবিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। ব্রেক্সিট আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। তিনি থেরেসা মের সরকারে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে নাম জমা দেননি প্রীতি। তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে তাঁর নাম জোরেশোরে শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক কেলেঙ্কারির মুখে বরিস জনসনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন প্রীতি।

টম টুগেন্ডহাট
২০১৫ সালে কেন্ট থেকে এমপি নির্বাচিত হন টুগেন্ডহাট। তিনি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। সেনাসদস্য হিসেবে তিনি ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। ক্ষমতায় গেলে জাতীয় বিমা ও জ্বালানি কর কমানো এবং বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।

নাদিম জাহাবি
যুক্তরাজ্যের নতুন অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাবি। ঋষি সুনাকের পদত্যাগের পর তাঁকে এ দায়িত্ব দেন বরিস জনসন। এর আগে তিনি দেশটির শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। শৈশবে তিনি ইরাক থেকে শরণার্থী হিসেবে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। ২০১০ সালে এমপি হওয়ার আগে জরিপ সংস্থা ইউগভ প্রতিষ্ঠা করেন। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়লে তিনি টিকামন্ত্রী হিসেবেও কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

কেমি বেডেনচ
যুক্তরাজ্যের আবাসনমন্ত্রী থাকার সময় কর কমানোর অঙ্গীকার করেছিলেন কেমি বেডেনচ। ক্ষমতায় থাকাকালে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এই নারী ছোটবেলা কেটেছে যুক্তরাষ্ট্র ও নাইজেরিয়ায়। ব্যাংকার হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন কৃষ্ণাঙ্গ নারী কেমি বেডেনচ। পরে যুক্তরাজ্যের সাপ্তাহিক সাময়িকী স্পেকটেটর ম্যাগাজিনের পরিচালক হন তিনি। ২০১৭ সালে সাফর্ন ওয়ালডেন শহর থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মন্ত্রী পদমর্যাদার দায়িত্ব পান। এরপর হাউজিং মন্ত্রী নির্বাচিত হন তিনি।

সুয়েলা ব্রেভারম্যান
যুক্তরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্রেভারম্যান সবার নজরে আসেন ব্রেক্সিট সমর্থন করে। ইউরোপিয়ান কোর্ট অব হিউম্যান রাইটস আদালতের অধীন থেকে যুক্তরাজ্যকে বের করে নেওয়ার চেষ্টার জন্য তিনি আলোচিত হন। এ ছাড়া জ্বালানি খাতের শুল্ক কমানো এবং কার্বন নিঃসরণ কমানো নিয়ে সরব অবস্থান ছিল তাঁর। থেরেসা মের সরকারে মন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হওয়ার চুক্তি বাতিল করায় ওই সরকারের মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। ২০২০ সালে জিওফ্রে কক্সের পরিবর্তে অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব দেওয়া হয় সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে। এরপর থেকে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ২০১৫ সালে হ্যাম্পশায়ারের ফারেহাম থেকে এমপি নির্বাচিত হন তিনি।

রেহমান চিশতি
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী পদে লড়ার ঘোষণা দেন এই এমপি। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। ২০১০ সাল থেকে গিলিনহাম ও রেইনহামের এমপি পদে আছেন তিনি। ২০১৯–২০ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর ধর্মীয় স্বাধীনতাবিষয়ক বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন রেহমান চিশতি।

পেনি মরডেন্ট
বরিস জনসন সরকারের বাণিজ্য নীতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী পেনি মরডেন্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে লড়াই করার ঘোষণা দেন। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন পেনি মরডেন্ট। ডেভিড ক্যামেরুন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে আর্মড ফোর্সড মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পেনি ২০১০ সাল থেকে পোর্টসমাউথ নর্থের এমপি হিসেবে পার্লামেন্টে দায়িত্ব পালন করছেন।

গ্রান্ট শ্যাপস
যুক্তরাজ্যের বর্তমান পরিবহনমন্ত্রী গ্রান্ট শ্যাপস। আগামী বছরের মধ্যে আয়কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া অর্থনৈতিক দুরবস্থা কাটিয়ে ওঠা ও প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। ২০০৫ সাল থেকে উইলেন হ্যাটফিল্ডের এমপি হিসেবে আছেন।

যুক্তরাজ্যে   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: রাহুল-রাজনাথদের ভাগ্য নির্ধারণের দিন আজ

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। 

সোমবার (২০ মে) পঞ্চম পর্বে দেশটির ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯ টি আসনে ভোট হচ্ছে।

নির্বাচনের এই দফায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আরও দুজন শীর্ষ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও পিযূষ গয়ালের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটারা।

লোকসভার সাত দফার ভোট পর্ব শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। ২৮ রাজ্য ও ৮ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৭ কোটি ভোটারের কাছ থেকে সুষ্টু ভোট নিতে সাত দফায় ভোটের আয়োজন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামপন্থি দলসহ ৬টি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল এবং তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, জেডিইউ-এর মতো প্রাদেশিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

এরই মধ্যে চার দফার ভোট শেষ হয়েছে। আজ ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪৯ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত।

পঞ্চম দফায় ভোট গ্রহণ চলছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৭ আসনে। যার মধ্যে ৩টি বিজেপির বাকি সবগুলোই তৃণমূলের দখলে। 

এদিকে, মমতা বাংলায় বিজেপি আসন বাড়ানোর ডাক দিয়েছে। আর আসন বাড়াতে হলে এই দফা থেকেই বিজেপির আসন বাড়াতে হবে।

এই পঞ্চম দফার ভোটে সবার বিশেষ নজর এখন উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলির দিকে। সেখান থেকে লড়ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে, লখনৌতে ভাগ্য পরীক্ষা হবে রাজনাথ সিংয়ের, আমেথিতে অভিনেত্রী মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির আর জম্মু-কাশ্মীরে বারামুল্লায় ওমর আবদুল্লার।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সীমানা ঘেষা বনগাঁ আসনে জাহাজমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুরের, হুগলিতে দুই অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ১৯  ও ২৬ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় দফা এবং ৭ ও ১৩ মে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোট হয়। চার দফায় ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৬৬.১, ৬৬.৭, ৬১ ও ৬৭.৩ শতাংশ। 

লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার দফায় ভোট নেয়া হয়েছে ৩৭৯ আসনে। বাকি ১৬৪ আসনের মধ্যে আজ ৪৯ আসনের ভোট শেষ হলে বাকি থাকবে ১১৫টি আসন যা পরবর্তী দুই দফায় সম্পন্ন হবে।


লোকসভা নির্বাচন   রাহুল গান্ধী   রাজনাথ সিং   রচনা ব্যানার্জি   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে সিআইএ-মোসাদ’র হাত আছে কি?

প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে। যদিও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। রাইসির এই হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত আছে নাকি সিআইএর কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

তবে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই । এমন তথ্যই জানিয়েছে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

দূর্যোগপূর্ণ বৈরি আহহাওয়ার মধ্যেও প্রেসিডেন্ট রাইসি প্রকল্প উদ্বোধন করতে গেলেন, সেখানে বাঁধ উদ্বোধন করার পর এক ভাষণে রাইসি ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের সমর্থনের উপর জোর দেন। এটাই কি রাইসির জন্য কাল হয়ে দাড়াঁল। নাকি পরিকল্পিত ভাবে রাইসির মৃত্য নিশ্চিত করলো ষড়যন্ত্রকারিরা। এর জন্য কি তবে ইসরায়েল দায়ি এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। এ ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার।

অনেকেই মনে করছেন রাইসির এই আকস্মিক মৃত্যর পিছনে রহস্য রয়েছে। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইরান একটি সামাজিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল রাইসি এমন সময়ে প্রেসিডেন্ট হন। এবং পারমানবিক কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চাপে কঠিন সময় পার করছে। গত বছর ৭ অক্টোবর গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়, তা আঞ্চলিক উত্তেজনা আবার তুঙ্গে নিয়ে যায়। কয়েক দফা পাল্টা-পালটি ঘটনার পর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ইরান সরাসরি ইসরায়েলের উপর শত শত ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন নিক্ষেপ করে। তাহলে কি সুস্পষ্ট হচ্ছে রাইসির মৃত্যর কারণ রহস্যে ঘেরা? কিছু কারণ উল্লেখ করা যাক..

১। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করতে যাবেন। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে তাকে হেলিকপ্টারেই কেন যেতে হবে।

২। যেহতেু সিমান্তবর্তি এলাকায় ইব্রাহিম রাইসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাবেন সেহেুত দেশটির আবহাওয়া দপ্তর কেন আগে সতর্ক করলেন না।

৩। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাধারনত আকাশপথে কোন যানবাহন চলাচল করেনা। করলেও তা আবহাওয়া বিশ্লেষনের মাধ্যমে যাতে কোন ঝুঁকি না থাকে তা নিশ্চিত হয়ে হেলিকপ্টার বা বিমান চলাচল করে। সেখানে এই ঝুঁকি নিয়ে কেন উদ্বোধন করতে গেলেন রাইসি।

৪। যেহেতু হেলিকপ্টার একটি সাধারন হালকা আকাশপথের চলাচলের মাধ্যম সেহেতু একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট কেন হেলিকপ্টারেই যাবে। দেশটিতে আবহাওয়ার দূর্যোগ চলা সর্তেও এরকম পরিস্থিতিতে কেন হেলিকপ্টারটি চালান হলো।

৫। আকাশপথের হালকা বাহন হচ্ছে হেলিকপ্টার। পাইলট বা চালক যেহেতু দেখছে আবহাওয়া যাতায়াতের অনুকূলে সেহেতু পাইলট কেন যাত্রা শুরু করে।

৬। সাধারণত যে কোন দেশের রীতি হলো প্রেসিডেন্ট, ফরেন মিনিষ্টার ভিন্ন ভিন্ন হেলিকপ্টারে যাতায়ত করে। তাহলে তারা সবাই একই হেলিকপ্টারে কেন উঠলো? এমনকি হেলিকপ্টারের পাইলট কে ছিল। তাহলে কি হেলিকপ্টারের পাইলটকে নিজের আয়েত্বে নিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হচ্ছে সংশয়।

৭। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হেলিকপ্টারে করে কেন সফরে গেলেন ইব্রাহিম রাইসি।

পাকিস্তানের তৎকালিন জেনারেল জিয়াউল হক বাওয়ালপুর গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনের তৈরি এম-৩১ ট্যাংকের মহড়া দেখতে, রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৩৩০ মাইল দক্ষিণে বাহওয়ালপুর টেস্ট ফিল্ডে যান। ট্যাংকের মহড়া দেখে ফেরার পথে বিধ্বস্ত হয় লকহিড মার্টিনের তৈরি সি-১৩০বি বিমানটি, উড্ডয়নের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মাটিতে আছড়ে পড়ে ৬০-৭০ ডিগ্রি কোণে। আর এতেই মারা গেছেন জেনারেল জিয়াউল হক। একইভাবে সিআইএর কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়েছে। নাকি হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত রয়েছে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।।


ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   সিআইএ   মোসাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যু: এশিয়া ও ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত খবরের মধ্যে গাজা যুদ্ধের পর যুক্ত হল রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রেসিডেন্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন ভূরাজনীতির প্রভাবশালী দুই কর্তা ব্যক্তির মৃত্যুতে অনেকটাই পাল্টে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। তবে কি মৃত্যু থেকে সবচেয়ে লাভবান হবে ইসরায়েল? এমন প্রশ্ন ও উঠে আসছে।  

রাইসির মৃত্যু শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বরং প্রভাব ফেলবে মধ্য এশিয়া ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতেও। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে যে বিপুল পরিমাণ ড্রোন সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছিল তেহরান এখন সেই পদক্ষেপ কতটা ধারাবাহিক থাকবে সে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে অনেক মহলে। এছাড়াও রাইসির নেতৃত্বে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তেহরান।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংঘাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে ইব্রাহিম রাইসি হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। গেল কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল তেহরান। বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থ সমরাস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা ছিল ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী। নতুন প্রেসিডেন্ট এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠবেন কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে।

এসব গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ইসরায়েলের স্বার্থের জন্য ক্রামাগত হুমকি তৈরি করে আসছিল। এর মধ্যেই গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির সরকার সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের ইস্ফাহান শহরে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনার আগে কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ ইসরায়েলের হামলার সাহস করতে পারে, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।

শুধু হামলা নয় কয়েক দশক ধরে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট ইসরায়েল পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পালিত কুকুর হিসেবে পরিচিত সুন্নি প্রধান দেশ সৌদি আরবও। আর পশ্চিমা এসব শক্তির কোনো তোয়াক্কা না করে পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। এমনকি বেশ কয়েকবার ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন সদ্য নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট। বলা হচ্ছে রাইসির মৃত্যু প্রভাব ফেলতে পারে দেশটির পরমাণু কর্মসূচিতেও।


রাইসি   মৃত্যু   এশিয়া   ইউরোপী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি কী হত্যাকাণ্ডের শিকার

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চিরশত্রু ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের চক্ষু শূল ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের জাঁদরেল নেতা ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি । আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও কখনো মাথা নত করেননি। রাজি হননি আপোষেও।

তাইতো হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মার্কিন সিনেটর রিক স্কট। এই উচ্ছ্বাস শুধু মার্কিন সিনেটরেরই নয়, যেন ইসরায়েল-আমেরিকার প্রতিচ্ছবি। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরানো একমাত্র প্লেয়ার ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তাকে শেষ করতে পারলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলের দিকে মিসাইল তাক করার মতো আর কেউ নেই তা ভালো করেই জানেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার। এমনকি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েও ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফেরাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে রাইসিকে টার্গেট করতে পারে বাইডেন প্রশাসন সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   রাইসি হত্যাকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে উচ্ছ্বসিত মার্কিন সিনেটর

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। তবে এই দুর্ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একধরনের উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে একজন মার্কিন সিনেটরকে।সোমবার (২০ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরার প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর সোমবার রিক স্কট নামে এক রিপাবলিকান আইন প্রণেতা ইরানের প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।পোস্টে তিনি বলেন, ‌‘তাকে (রাইসি) ভালোবাসা বা সম্মান নয়, এমনকি কেউ তাকে মিসও করবে না। যদি তিনি মারা যান, আমি সত্যিই আশা করি ইরানি জনগণ তাদের দেশকে খুনি স্বৈরশাসকের হাত থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে।


ইরানি   প্রেসিডেন্ট   মার্কিন সিনেটর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন