বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত দেশ শ্রীলঙ্কা। সাম্প্রতিক সময়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে দেশটি। ভেঙ্গে পরেছে দেশটির প্রশাসনিক কাঠামো। প্রধানমন্ত্রী মহেন্দ্র রাজাপাকসের পদত্যাগের পরে তার ছোটভাই গোতাবায়া রাজাপাকসে প্রবল জন বিক্ষোভের মুখে সিঙ্গাপুর পালিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রপতি থেকে পদত্যাগ করেছেন।
২০২১ সালের শেষ দিকে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করলে খাদ্য, জ্বলানি ও ওষুধের চরম সংকটের সম্মুখীন হয় দেশটি। অবস্থা ক্রমেই চরমের দিকে যেতে ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে রাজনৈতিক পরিস্থিতি। রাজাপাকসে পরিবারের পতনের পরে বুধবার (২০ জুলাই) ভোটের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হবে। দেশটিতে এখন যে পরিস্থিতি তাতে ঘুড়ে দাঁড়াতে দেশটির বেশ কয়েক বছর সময় লেগে যাবে। যদিও তার জন্য দরকার সুষ্ঠু পরিকল্পনা প্রণয়ন। একটি স্থিতিশীল শাসন ব্যবস্থা, দুর্নীতিমুক্ত রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও স্বচ্ছ অর্থনৈতিক কাঠামো।
শ্রীলঙ্কার এই বিপদের সময় এগিয়ে এসেছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ অর্থনীতির দেশ ভারত। শ্রীলঙ্কার চলমান সংকট সমাধানে তারা যেমন অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে তেমনি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার জন্য মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) একটি সর্বদলীয় সভা করেছেন ভারতের সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
তবে শ্রীলঙ্কার আসন্ন নির্বাচনে বিদেশী শক্তির প্রভাব থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির এই টালমাতাল পরিস্থিতে আমেরিকা যেমন চাইছে তাদের ব্লকে টানতে তেমনি, রাশিয়া বা চীনও চাইবে তাদের দিকে রাখতে। তবে শ্রীলঙ্কার ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে এই দেশগুলোর থেকে বড় প্রভাবক হিসাবে কাজ করবে ইন্ডিয়া। ভারত একেধারে রাশিয়ার বন্ধু, আবার কোয়াডের সাথে যুক্ত হয়ে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে জোট করে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ফলে বিশ্বের অন্যত্তম শক্তিশালী এবং দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র হিসাবে ভারত চাইবে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখতে।
শ্রীলঙ্কায় তামিলদের দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল রাজাপাকসে পরিবার। বিশেষ করে গোতাবায়ে। যেখানে ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছিল। ফলে, প্রবল জনরোষের মুখেও তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন এবং গ্রেফতার হবার ভয়ে সিঙ্গাপুরে গিয়ে পদত্যাগ করেছেন। শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা গোতবায়া পরিবারেরই পৃষ্ঠপোষক। তাই তো পদত্যাগের পরেও গোতাবায়া শ্রীলঙ্কার জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করার আশাবাদ রেখেছেন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তিন প্রার্থী হলেন- অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, ক্ষমতাসীন দলের ডুলাস আলাহাপেরুমা ও বামপন্থী জনতা বিমুক্তি পেরামুনা (জেভিপি) দলের অনুর কুমার দিসানায়েক। নির্বাচনের আগেই আরেক প্রার্থী সাজিথ প্রেমাদাস নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়ে কট্টর বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী ডুলাসকে সমর্থন দিয়েছেন। নির্বাচনে সাবেক সেনা প্রধানের নাম শোনা গেলেও তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনগণেরও প্রত্যক্ষ কোন অবদান থাকবে না, মানে আইনপ্রনেতারা নির্বাচিত করবেন কে হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। আর শ্রীলঙ্কার সংবিধানে রাষ্ট্রপতিই সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী। সুতরাং, ধারণা করা যেতে পারে আঞ্চিলক এবং বৈশ্বিক কারণে এই নির্বাচনে আন্তঃমহাদেশীয় বা বিশ্ব শক্তির প্রকট বা প্রচ্ছন্ন প্রভাব থাকতে পারে। ফলে, জনরোষের মধ্যে থাকলেও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি রনিল বিক্রমাসিংহে পূর্ণকালীন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবার জোরদার সম্ভাবনা রয়েছে।
শ্রীলঙ্কা রাষ্ট্রপতি স্পিকার রাজনীতি নির্বাচন পার্লামেন্ট
মন্তব্য করুন
মার্কিন ঘাঁটি রুশ সেনা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।