সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট 'ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেররিজম কোয়ালিশন' (আইএমসিটিসি)তে বাংলাদেশের সক্রিয় উপস্থিতি চায় রিয়াদ। ৪১ দেশের এই জোটে দ্রুত বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিদল পাঠাতে আহ্বান জানিয়েছেন জোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনি মনে করেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্যের অভিজ্ঞতা সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে বিনিময় করা উচিত।
ঢাকায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় মেজর জেনারেল আল-মোঘদি জোটের সদস্যদেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁর মতে, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের ব্যাপক অভিজ্ঞতা ও সাফল্য রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রিয়াদে পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিদল পাঠানোর পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস জঙ্গিবাদ দমনে নিজেদের অভিজ্ঞতা সদস্যদেশগুলোর সঙ্গে বিনিময়ের মাধ্যমে জোটের কার্যক্রম ও নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারে।
সৌদি নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটের চারটি প্রধান লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসী সংগঠনের মতাদর্শের বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সচেতনতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি ইসলামের প্রকৃত ও সহনশীল মতাদর্শের প্রচার করা। সন্ত্রাসের অর্থায়ন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ। সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে পরাজিত করা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দুর্দশা লাঘবে সদস্যদেশ গুলোকে সমন্বিতভাবে সামরিক ও ত্রাণ সহায়তা দেওয়া।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, জোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বিন সায়েদ আল-মোঘদির ঢাকা সফরের সময় পররাষ্ট্র সচিব সহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় রিয়াদের আগ্রহের বিষয়টি উঠে এসেছে। গত মঙ্গল ও বুধবার তিনি জোটের প্রধান নির্বাহী হিসেবে প্রথম বাংলাদেশ সফর করেন।
হুতি বিদ্রোহী দমনে ২০১৫ সালের মার্চে সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইয়েমেনে হামলা শুরু হলেও দেশটিতে এখনও শান্তি ফেরেনি। ইয়েমেনে সৌদির নেতৃত্বে হামলায় দেড় লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে যুদ্ধের তথ্য সংগ্রহ ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান দি আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটা প্রজেক্ট জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট-এর বিশ্লেষণ অনুযায়ী, ইয়েমেনে সৌদির নেতৃত্বে যে বিমান হামলা হয়েছে, তা যুদ্ধাপরাধের শামিল। এই যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাসের মাথায় ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মুসলিম দেশগুলোর ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের লক্ষ্যে ইসলামিক মিলিটারি কাউন্টার টেররিজম কোয়ালিশন (আইএমসিটিসি) নামে ওই জোটের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। সৌদি নেতৃত্বাধীন এ জোটের সচিবালয় রিয়াদে অবস্থিত। বর্তমানে বাংলাদেশসহ ৪১টি দেশ এই জোটের সদস্য।
বাংলাদেশ শুরুতেই জোটে যোগ দিলেও এখন পর্যন্ত রিয়াদে সচিবালয়ে কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। আইএমসিটিসি সচিবালয়ে বাংলাদেশের চারজন কর্মকর্তার কাজ করার কথা। এই কর্মকর্তাদের মধে৵ দুজন সামরিক কর্মকর্তা, একজন কূটনীতিক ও পুলিশের একজন কর্মকর্তা।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ গত মার্চে বাংলাদেশ সফরের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে আইএমসিটিসিতে বাংলাদেশের পূর্ণাঙ্গ প্রতিনিধিদল পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন। সংক্ষিপ্ত ওই সফরে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোর অন্যতম ছিল এটি।
সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান ওই জোটের প্রধান। ওই জোটের সহায়তাকারী রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স রয়েছে। লেবাননসহ জোটের ২৭টি সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা আইএমসিটিসির রিয়াদের সচিবালয়ে কাজ করছেন। বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের প্রতিনিধিরা সচিবালয়ে যুক্ত হননি।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত মঙ্গলবার আইএমসিটিসির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের সঙ্গে এক মধ্যাহ্নভোজসভায় মিলিত হন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ওই বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ দমনের লক্ষ্য অর্জনে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, "বাংলাদেশ এরই মধ্যে জোটে যোগ দিয়েছে। আইএমসিটিসির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জোটের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেছেন। পাশাপাশি জোটে বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।"
আইএমসিটিসির ওয়েবসাইটে মহাসচিবের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে বলা হয়েছে, মেজর জেনারেল আল-মোঘদি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান, পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সন্ত্রাসবাদ দমনের সব৴শেষ পরিস্থিতি এবং আইএমসিটিসির সন্ত্রাসবাদবিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ সৌদি আইএমসিটিসি সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিবাদ
মন্তব্য করুন
মার্কিন ঘাঁটি রুশ সেনা মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।
ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।
বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।
এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।
ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।
কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।
অস্ট্রেলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ ফিলিস্তিন
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।
কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।
কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিক্ষোভ গ্রেপ্তার শিক্ষার্থী ইউসিএলএ
মন্তব্য করুন
মুক্ত গণমাধ্যম বাংলাদেশ পাকিস্তান
মন্তব্য করুন
চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে।
২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।
পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে।
অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান।
এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।
পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।
মন্তব্য করুন
গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।