পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ (এসএসসি স্ক্যাম) দুর্নীতি মামলায় ফের বিপুল অঙ্কের অর্থের খোঁজ পেল ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। রাজ্যের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখার্জির বেলঘরিয়ার বহুতল আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ৪০ কোটি রুপি। এর আগে উদ্ধার করা হয় ২১ কোটি ৯০ লাখ রুপি। রথতলায় ‘ক্লাব টাউন হাইটস’ নামে একটি বহুতল আবাসনের অর্পিতার নামে দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। সেখানেই বুধবার সকালে অভিযান চালায় ইডির তদন্তকারী কর্মকর্তারা। কিন্তু ফ্ল্যাট দুটি বন্ধ থাকায় তালা ভেঙে ওই দুটি ফ্ল্যাটে ঢুকে ইডির কর্মকর্তারা। তারই একটি ফ্ল্যাট ব্লক-৫ এ বিপুল অর্থের সন্ধান পায় ইডি। যা দেখে চোখ কপালে ওঠে ইডির কর্মকর্তাদের। এই বিপুল অর্থ গোনার জন্য চারটি ক্যাশ কাউন্টিং মেশিন নিয়ে আসা হয়। শুরু হয় গণনা। বিপুল অর্থ নিয়ে যাওয়ার জন্য রাত ১১টা নাগাদ ক্যাশ বহনকারী একটি গাড়ি আসে ওই ফ্ল্যাটে। ইডির তরফ থেকে রুপির যে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে তাতে অর্থের পরিমাণ আনুমানিক ৪০ কোটি রুপি হতে পারে। উদ্ধার করা হয় প্রচুর স্বর্ণের জিনিস এবং অন্যান্য নথি।
এই আবাসনের অন্য ফ্ল্যাটটি এদিন সিলগালা করে দেয় ইডির কর্মকর্তারা। সেখানে একটি নোটিসও টাঙিয়ে দেয় তারা। অর্পিতার বেলঘরিয়ার দেওয়ান পাড়ায় পৈতৃক বাড়িতেও এদিন ইডি কর্মকর্তারা যান। ভিতরে প্রবেশে বাধা দেন অর্পিতার বৃদ্ধা মা মিনতি মুখার্জি। পরে তাকে বুঝিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে অভিযান চালায়। যদিও সেখান থেকে আপত্তিকর কোনো নথি বা জিনিস পাওয়া যায়নি।
দুর্নীতি মামলায় গত ২২ জুলাই মধ্য রাতে গ্রেফতার করা হয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ওইদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে তদন্ত চালায় ইডির কর্মকর্তারা। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনেই অর্পিতার টালিগঞ্জের করুণাময়ী এলাকায় ডায়মন্ড সিটি আবাসনে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হয় ২১ কোটি ৯০ লাখ রুপি। রুপি ছাড়াও অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বাজেয়াপ্ত হয় ৭৯ লাখ রুপির গয়না, ৫৪ লাখ রুপির বিদেশি মুদ্রা, ২০টি মোবাইল। অর্পিতার বাড়িতে টাকার পাহাড়ের মাঝেই উচ্চশিক্ষা দফতরের খামও পাওয়া যায়। এর পরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয় অর্পিতাকে। পরে ২৪ জুলাই তাকে গ্রেফতার করে ইডি। ২০১৬ সালে এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে নবম ও দশম শ্রেণিতে শিক্ষক, গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ মামলায় প্রায় ৫০০ কোটি রুপির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন সময়েই।
পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত পার্থ চট্টোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়ার ছয় দিন পর অবশেষে মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত হলেন মমতা ব্যানার্জি মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
গতকাল (২৮ জুলাই) রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নের তরফ থেকে মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর স্বাক্ষর করা একটি বিবৃতি জারি করে এ কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি পরিষদীয় এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সে ক্ষেত্রে ওই তিনটি দফতর থেকেই সরিয়ে দেওয়া হলো পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আপাতত ওই তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বই নিজের হাতে রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। উল্লেখ্য, দুর্নীতি মামলায় ২২ জুলাই মধ্য রাতে গ্রেফতার হন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে ইডি হেফাজতে রয়েছেন তিনি। ওই দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার বাড়িতে তদন্ত চালান ইডির কর্মকর্তারা। কিন্তু তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পার্থর সঙ্গেই গ্রেফতার হন তার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নারী মডেল ও অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার রথতলা এলাকায় দুটি আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৫০ কোটি রুপি উদ্ধার করেন ভারতের ইডির কর্মকর্তারা।
এরপর ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ার রথতলায় ‘ক্লাব টাউন হাইটস’ নামে একটি বহুতল আবাসনের অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালান ইডির কর্মকর্তারা। এরই একটি থেকে উদ্ধার হয় ২৭ কোটি ৯০ লাখ রুপি। এ ছাড়া ছিল ৪ কোটি ৩১ লাখ রুপি মূল্যের স্বর্ণের জিনিস, জমির দলিল, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি। উদ্ধার অর্থের বেশির ভাগই ছিল বিছানার তলায়। বাকিটা ছিল শৌচাগারের ভিতরে। একের পর অভিযোগ উঠে আসায় তৃণমূলের অভ্যন্তরে পার্থকে অপসারণের দাবি ওঠে।
ভারত পশ্চিমবঙ্গ পার্থ অর্পিতা দুর্নীতি
মন্তব্য করুন
ভারতীয় কোম্পানি এমডিএইচ ও এভারেস্ট স্পাইসেসের গুঁড়া মশলা আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নেপাল। ভারতীয় এই মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদানের উচ্চ-মাত্রার উপস্থিতির খবরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি।
এর আগে ক্ষতিকর জীবাণুর কারণে ভারতীয় মশলার বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নিয়েছিল হংকং ও সিঙ্গাপুর।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় মশলা ব্র্যান্ড এভারেস্ট এবং এমডিএইচ-এর পণ্য আমদানি, ব্যবহার এবং বিক্রয় নিষিদ্ধ করেছে নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও গুণমান নিয়ন্ত্রণ বিভাগ। ভারতীয় এই দুই কোম্পানির মশলায় ক্যানসার-সৃষ্টিকারী উপাদান ইথিলিন অক্সাইডের মাত্রার স্তরও নেপাল পরীক্ষা করছে বলে দেশটির এক কর্মকর্তা এএনআইকে নিশ্চিত করেছেন।
মূলত এই দুটি ব্র্যান্ডের পণ্যগুলোতে উচ্চ মাত্রার ইথিলিন অক্সাইড পাওয়ার খবরে নেপাল এটিকে নিষিদ্ধ করে।
নেপালের খাদ্য প্রযুক্তি ও মান নিয়ন্ত্রণ বিভাগের মুখপাত্র মোহন কৃষ্ণ মহারজান এএনআইকে জানিয়েছেন, 'নেপালে এভারেস্ট এবং এমডিএইচ ব্র্যান্ডের মশলা আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মশলায় ক্ষতিকারক রাসায়নিকের উপস্থিতির খবরে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এক সপ্তাহ আগেই আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল এবং এখন আমরা বাজারে এই মশলার বিক্রিও নিষিদ্ধ করেছি।'
তিনি আরও বলেন, 'এই দুটি বিশেষ ব্র্যান্ডের মশলায় রাসায়নিকের উপস্থিতি কতটা তা জানতে পরীক্ষা চলছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। হংকং এবং সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যেই এটি নিষিদ্ধ করেছে, তাদের পদক্ষেপের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।'
দেশটির বাজার গবেষণা সংস্থা জিওন মার্কেট রিসার্চের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে এই দুই কোম্পানি ১০ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মশলা বিক্রি করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি ২০২২-২৩ সালে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের মশলা রপ্তানি করেছে বলে জানিয়েছে ভারতের মশলা বোর্ড।
ভারতীয় মশলার অন্যতম জনপ্রিয় কোম্পানি এভারেস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন বলিউড তারকা অমিতাভ বচ্চন ও শাহরুখ খান। ১৯৩০-এর দশকে যাত্রা শুরু করা এমডিএইচ জনপ্রিয়তা পায় তাদের বিজ্ঞাপন ও প্যাকেজিংয়ের কারণে।
প্যাকেটের গায়ে কোম্পানিটির প্রতিষ্ঠাতা ধরমপাল গুলাতির মোটা গোঁফ আর মাথায় পাগড়ির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। ভারতে 'স্পাইস কিং' বা 'মশলা রাজা' হিসেবে পরিচিত ধরমপাল গুলাতি ২০২০ সালে মারা যান।
ভারতীয় মশলা ক্যানসারের উপাদান নেপাল বন্ধ
মন্তব্য করুন
জার্মানির ডুসেলডর্ফে একটি আবাসিকভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
দমকল ও পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছয়তলা বাড়িটির একতলায় একটি খাদ্য ও পানীয়র দোকান ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। তারপর আগুন লাগে। আশপাশের বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়।
ওই বাড়িতে আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে। দুই ও তিনতলার বাসিন্দাদের অনেকেই কাচ ছড়ানো রাস্তায় লাফিয়ে নামেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আগুন কেন লাগলো, তা স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে তাদের মনে হয়েছে আগুন লাগানো হয়নি।
দমকল, পুলিশ ও জরুরি সার্ভিসের প্রায় একশটি গাড়ি ঘটনাস্থলে যায়। বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের প্রথমে উদ্ধার করা হয়।
দমকলবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নয় ঘণ্টা ধরে চলা অপারেশনে ৭০ জনকে তারা সাহায্য করেছেন।
এই ঘটনায় তিনজন মারা গেছেন। একজন তার অ্যাপার্টমেন্টে। বাকি দুইজন সিঁড়িতে। ১৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তার মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বাড়িটিতে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। কোনো প্রযুক্তিগত ত্রুটি থেকে বিস্ফোরণ হয়েছিল, নাকি এটা নিছক দুর্ঘটনা ছিল বা আগুন লাগানো হয়েছে, তা এখানো স্পষ্ট নয়।
মন্তব্য করুন
স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের তরুণী জোরায়া বিক। ২০২০ সালে কর্তৃপক্ষের কাছে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন করেন ২৯ বছর বয়সী এ তরুণী। আবেদনের প্রেক্ষিতে এবার মে মাসে তিনি অনুমতি পেয়েছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করবেন এ ডাচ তরুণী।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন জোরায়া বিক। ছোটবেলা থেকেই দীর্ঘস্থায়ী হতাশা, উদ্বেগ, ট্রমা এবং ব্যক্তিত্বের অভাব বোধ করতেন তিনি। এমনকি তার অটিজম ধরা পড়েছে। যখন জোরায়া তার প্রেমিককে খুঁজে পান তখন ভেবেছিলেন তার প্রেমিক তাকে যে নিরাপদ পরিবেশ দিয়েছিল তা তাকে সুস্থ করে তুলবে। কিন্তু তেমনটা হয়নি। তারপরও জোরায়া নিজের ক্ষতি করা অব্যাহত রেখেছিলেন এবং আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলেন।
এ ধরনের সমস্যার জন্য তিনি চিকিৎসা নেওয়া শুরু করলেও দীর্ঘমেয়াদি কোনো উন্নতি হয়নি। ফলে একপর্যায়ে তিনি বাঁচার আশা হারিয়ে ফেলেন। তবে তার এক স্কুলের বন্ধুর আত্মহত্যা ও পরিবারের ওপর বিরূপ প্রভাব তাকে আত্মহত্যা করতে নিরুৎসাহিত করে। তারপরই স্বেচ্ছায় মৃত্যুর জন্য আবেদন করেন জোরায়া।
দীর্ঘ ও কঠোর প্রক্রিয়া অনুসরণের পর গত সপ্তাহে তার আবেদন গ্রহণ করা হয়। নেদারল্যান্ডসে ২০০২ সাল থেকেই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের আইন রয়েছে। যেসব ব্যক্তি কঠিন রোগে ভুগছেন এবং সেরে ওঠার কোনো সম্ভাবনা নেই তারাই কেবল স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি পেতে পারেন।
এরই মধ্যে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর সকল প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে তাও জানিয়েছেন জোরায়া বিক। মৃত্যুর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তার বাড়িতেই চিকিৎসক আসবেন। শুরুতে তাকে ঘুমের ওষুধ দেয়া হবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি কোমাতে যাচ্ছেন। তারপর তাকে হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা বন্ধের ওষুধ দেওয়া হবে। বিষয়টি এমন হবে যে তিনি মনে করবেন তিনি ঘুমিয়ে পড়ছেন। এ সময় জোরায়ার সঙ্গে তার প্রেমিক উপস্থিত থাকবেন, তবে মৃত্যুর আগমুহূর্তে তার প্রেমিক চাইলে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে পারবেন বলেও জানান জোরায়া।
জোরায়া জানান, মৃত্যুর কথা চিন্তা করলে তার ভয় লাগে। অপরদিকে পরিবারের কথা চিন্তা করলে খারাপ লাগে। তবে তিনি সব জেনে বুঝেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি চাইলে যে কোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারবেন।
স্বেচ্ছামৃত্যু নেদারল্যান্ডস তরুণী
মন্তব্য করুন
র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
হচ্ছে, এমন দাবি সত্য নয় বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মূখ্য উপমুখপাত্র
বেদান্ত প্যাটেল।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে
তিনি এ কথা জানান।
ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া এক সাংবাদিক জানতে
চান-বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি
ডোনাল্ড লুর সঙ্গে একটি বৈঠক শেষে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের
বলেছেন, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট
কাজ করছে। এ বিষয়ে বিচার বিভাগকে বলা হয়েছে এবং প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে।
এই দাবি কী সত্য?
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এমন দাবি
সম্পূর্ণ মিথ্যা। যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। তিনি
বলেন, নিষেধাজ্ঞা সমূহ আরোপ করা হয়েছে আচরণ পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার
পর র্যাবের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ কমার কথা স্বীকার করেছেন ডোনাল্ড লু।
ঢাকায় আলোচনায় তিনি বলেছেন, পররাষ্ট্র
দপ্তর, হোয়াইট হাউসও র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পক্ষে। তবে এটি আইনি বিষয়।
এটি পুরোপুরি তাদের হাতেও নেই। ডোনাল্ড লু র্যাবের উন্নতির প্রশংসার পাশাপাশি আইন
প্রয়োগকারী অন্য সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন।
র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদনকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বড় রকমের দুঃসংবাদ দিয়েছে ইউরোপের এই দেশটির সরকার। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে এবং এই চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাসাইলাম আবেদন করে ব্যর্থ হওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। মূলত ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।
দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, গত বছর প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছেন শুধুমাত্র স্থায়ীভাবে দেশটিতে থাকার প্রয়াসে। আর দেশটিতে প্রবেশের পর আশ্রয়ের আবেদন জমা দিয়েছেন তারা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, অভিবাসীরা গত বছরের মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, কর্মী বা ভিজিটর ভিসায় ব্রিটেনে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় দাবি করেছেন। মূলত ব্রিটেনে প্রবেশের ‘পেছনের দরজা’ হিসেবে কাজে লাগানোর প্রয়াসে এসব ভিসা ব্যবহার করেছেন তারা। তবে দেশটিতে বাংলাদেশিদের প্রাথমিক আশ্রয় আবেদনের মাত্র ৫ শতাংশই সফল হয়েছে।
এমন অবস্থায় যুক্তরাজ্যের অবৈধ অভিবাসন বিষয়ক মন্ত্রী মাইকেল টমলিনসন বাংলাদেশের সাথে একটি ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির অধীনে কেবল ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীরাই নয়, বিদেশি নাগরিকদের যারা অপরাধী এবং যেসব ব্যক্তি ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশের পর বাড়তি সময় অতিবাহিত করেছেন তাদেরও নির্বাসনের কাজ সহজতর হবে।
মন্তব্য করুন
জার্মানির ডুসেলডর্ফে একটি আবাসিকভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। দমকল ও পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছয়তলা বাড়িটির একতলায় একটি খাদ্য ও পানীয়র দোকান ছিল। সেখানেই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। তারপর আগুন লাগে। আশপাশের বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে যায়। ওই বাড়িতে আগুন দ্রুত ছড়াতে থাকে। দুই ও তিনতলার বাসিন্দাদের অনেকেই কাচ ছড়ানো রাস্তায় লাফিয়ে নামেন।
স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি পেয়েছেন নেদারল্যান্ডসের তরুণী জোরায়া বিক। ২০২০ সালে কর্তৃপক্ষের কাছে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আবেদন করেন ২৯ বছর বয়সী এ তরুণী। আবেদনের প্রেক্ষিতে এবার মে মাসে তিনি অনুমতি পেয়েছেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করবেন এ ডাচ তরুণী। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছেন জোরায়া বিক।