২০২৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে দেশটির ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরবে। গতকাল রোববার রাতে পূর্ব ভারতের বিহার রাজ্যে এক সাংগঠনিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসব কথা জানিয়েছেন।
বিজেপির বিভিন্ন শাখা সংগঠনের দুই দিনের বৈঠক শেষে এমন মন্তব্য করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিহার রাজ্যে বিজেপি এবং নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জনতা দল ইউনাইটেডের (জেডিইউ) সম্পর্ক নিয়ে কিছু আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছিল। এর মধ্য অমিত শাহ জানান, দুই দল একসঙ্গেই লোকসভা নির্বাচনে লড়বে।
অমিত শাহ বৈঠকে জানান, নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন। সারা দেশে অন্যান্যবারের মতোই প্রচার চালাবেন। এর আগে বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিং একই কথা বলেন। ২০১৯–এর নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মোদি দেশজুড়ে এক শ’রও বেশি গণসমাবেশে বক্তব্য দিয়েছিলেন। আর এক লাখ কিলোমিটারেও বেশি পথ বিভিন্ন যানবাহনে ঘুরেছিলেন।
বিজেপিতে আরও অনেক বড় মাপের নেতা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বেই তৃতীয়বারের জন্য লোকসভা নির্বাচন লড়বে বিজেপি। নির্বাচনের দেড় বছর আগে এ ঘোষণাই দিলেন অমিত শাহ। এর আগে দুবার, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে মোদির নেতৃত্বে নির্বাচনে জিতেছে বিজেপি। ২০১৯ সালে তাদের ভোট এবং আসনসংখ্যা বেড়েছে।
২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় আনুষ্ঠানিকভাবে নরেন্দ্র মোদির বয়স হবে ৭৩। ফলে ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে যে ঘোষণা বিজেপি করেছিল যে ৭৫ বছরের উপরে কাউকে প্রার্থী করা হবে না, সেই নিয়মও প্রযোজ্য হচ্ছে না। তবে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি যদি জেতে, তাহলে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁর ব্যাপারে কী সিদ্ধান্ত নেন, সেটাই দেখার। কারণ, ২০২৯ সালের নির্বাচনের সময় নরেন্দ্র মোদির বয়স হবে ৭৮।
বিজেপি ইতিমধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। নির্বাচনে বিজেপির শক্তি এবং দুর্বলতা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে একটি দলও গঠন করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গেছে।
নানা স্তরে নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তাকে যে আবারও দল তুলে ধরার চেষ্টা যে দলটি করবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহও নেই। অন্যবারের মতোই, এবারেও নির্বাচন সম্পর্কিত গোটা পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করার দায়িত্বে থাকবেন নরেন্দ্র মোদির প্রধান সেনাপতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভারত মোদী লোকসভা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ইরানের গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন।
সোমবার (২০ মে) ইরানের গণমাধ্যমের খবরে এ কথা বলা হয়। তবে রাইসির শহীদ হওয়ার বিষয়টি ইরান সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজের খবরে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি দেশটির জনগণের জন্য তাঁর দায়িত্ব পালন করার সময় একটি দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি শহীদ হয়েছেন। ইরানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও একই খবর দিয়েছে।
ইরানের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রাইসিকে বহনকারী বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি পুরোপুরি পুড়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। সোমবার (২০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি শোক প্রকাশ করেন। জানিয়েছে কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরা।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ইরান ও তাদের দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাইসি ভেনিজুয়েলার একজন ‘নিঃশর্ত বন্ধু’ ছিলেন।
ভেনিজুয়েলা থেকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে নিকোলাস মাদুরো লিখেছেন, ‘আপনি (রাইসি) ইরান, মর্যাদা, নৈতিকতা ও প্রতিরোধের উদাহরণ।’
এর আগে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই। সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। দুর্ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে কান্নার রোল পড়ে যায় ইরানের বাড়িতে বাড়িতে, গলি-মহল্লায়। শোক জানাতে রাতেই পথে বসে যান হাজার হাজার মানুষ। মসজিদে মসজিদে চলে রাতভর প্রার্থনা।
তার বেঁচে ফেরার আশায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষ মসজিদে প্রার্থনায় বসে যান গোটা দেশবাসী। কেউ কেউ তসবি পাঠ এবং কোরআন তেলাওয়াত করেন সারা রাত। ইরানিরা বলছেন, তাদের আবেগ আর অনুভূতির আরেক নাম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্টের জন্য দেশবাসীকে দোয়া করতে বলেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তারপরই যে যেখানে পেরেছেন প্রার্থনায় বসে যান। কিন্তু বিশেষ অভিযানের পর জানানো হয়, দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় কোনো প্রাণের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে হেলিকপ্টার। তবে মরদেহ পাওয়া গেছে কিনা তা নিয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি।
দুর্ঘটনার ঠিক কিছুটা আগ মুহূর্তের একটি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়- হেঁটে স্বাভাবিক ভাবেই হেলিকপ্টারে উঠেছেন। ভেতরে বসে দেখেছেন কোন এলাকায় দুর্যোগে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর অল্প কিছুক্ষণ পরই খবর ছড়ায় তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে।
রাইসি প্রার্থনা শোক পাথর ইরানি
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রাইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।
সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে প্রশ্ন উঠেছে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটির কী হয়েছিল। কেনই বা হঠাৎ এমন দুর্ঘটনা। আলোচনায় এসেছে হেলিকপ্টারটির নির্মাণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্রও।
রাইসি যে হেলিকপ্টারটিতে যাত্রা করেছিলেন সেটির মডেল ছিল বেল ২১২, যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। ইরানের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে দুর্ঘটনায় হেলিকপ্টারটি ‘সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে’।
সোমবার (২০ মে) আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বিভিন্ন ছবি এবং ভিডিওগুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে, ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বেল ২১২ মডেলেল ছিল যা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই হেলিকপ্টারটি মাঝারি আকারের যেখানে ১৫টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে পাইলটের জন্য একটি আসন এবং যাত্রীদের জন্য বাকি ১৪টি।
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বাংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে দুর্ঘটনার প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর। তবে প্রেসিডেন্ট রইসি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি কেউই আর বেঁচে নেই।
সোমবার (২০ মে) বিবিসি, রয়টার্সসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, রোববার (১৯ মে) দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে হেলিকপ্টারটি। হেলিকপ্টারে রাইসি ছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।
এ ঘটনার পর থেকে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে। উদ্ধারকাজে ইরানের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ ছাড়া বিশ্বনেতারা ইরানের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
ইরান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। দুর্ঘটনার খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে কান্নার রোল পড়ে যায় ইরানের বাড়িতে বাড়িতে, গলি-মহল্লায়। শোক জানাতে রাতেই পথে বসে যান হাজার হাজার মানুষ। মসজিদে মসজিদে চলে রাতভর প্রার্থনা।