ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যার ঘর নেই সে ঘরে ফিরবে কি করে: রনিল বিক্রমাসিংহে

প্রকাশ: ০২:৫৬ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail যার ঘর নেই সে ঘরে ফিরবে কি করে: রনিল বিক্রমাসিংহে

নানামুখী সংকটে  বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কা। সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের বাড়িতে গত মাসে হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এমনকি আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল বর্তমান প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের বাড়িতেও।

আর এই ঘটনায় রোববার (৩১ জুলাই)  বিক্রমাসিংহে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে  বলেন, (আমাকে) গো হোম বলার কোনো মানে নেই, কারণ যাওয়ার মতো আর কোনো বাড়ি নেই আমার।

 শ্রীলঙ্কান সংবাদমাধ্যম কলম্বো গেজেট-এর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি শহরে বক্তব্য দেয়ার সময় বিক্রমাসিংহে বলেন, যে কিছু লোক তাকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করার হুমকি দিয়েছে। 

জবাবে বিক্রমাসিংহে বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে এটা বলতে পারি যে, আমি তেমনটা (বাড়িতে ফিরে যেতে) করতে পারবো না কারণ আমার কাছে যাওয়ার মতো কোনো বাড়ি নেই।’

বিক্রমাসিংহে আরও বলেন, তাকে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার দাবি করে কোন লাভ নেই বরং  প্রতিবাদকারীদের উচিত তার পুড়ে যাওয়া বাড়িটি পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করা। তিনি বলেন, ‘যার বাড়ি নেই, তাকে বাড়িতে যেতে বলার কোনো মানে নেই।’

প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে বলেন, শ্রীলঙ্কাকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের করে আনতে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে একটি চুক্তি প্রয়োজন, তবে অস্থিতিশীলতার কারণে আইএমএফের সঙ্গে সম্ভাব্য এই চুক্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।

শ্রীলঙ্কা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে সেগুলো স্থায়ী সমাধানের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এছাড়া দেশের জনগণকে এই সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য আরো সহনশীল হবার পরামর্শ দেন। 

গত মাসে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, অর্থনৈতিক সংকটের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে দোষারোপ করার কোনো মানে নেই, বরং দেশকে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা থেকে বের করে আনতে এবং ঋণ শোধ করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে একত্রিত হতে হবে।

গত সাত দশকে এবারই প্রথম নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপ রাষ্ট্র। বর্তমানে দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বলে আর কিছু নেই। ফলে ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কা খাবার, ওষুধ, জ্বালানির মতো অতি জরুরি আমদানিও করতে পারছে না।

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর এবারই সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। করোনা মহামারি, জাতীয় অর্থনীতি পরিচালনায় সরকারের অদক্ষতা, বিশ্বজুড়ে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ তলানিতে নেমে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কায় বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

জ্বালানি, খাবার এবং ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর আমদানি মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা। ডিজেলের সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে পড়ায় প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না শ্রীলঙ্কার বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কায় তৈরি হয়েছে অস্থিতিশীল পরিবেশ।


শ্রীলঙ্কা   রাজাপাকসে   বাসভবন   রাজনীতি   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতে বাঁধ ভেঙে ৪২ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে বাঁধ ভেঙে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় দেশটির অনেক অঞ্চল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। 

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এএফপি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

কেনিয়ার নাকুরু কাউন্টির গভর্নর সুসান কিহিকা বলেন, বাঁধ ভেঙে পানি বিভিন্ন এলাকায় ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত ৪২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কাদায় এখনও আরও অনেকে আটকা পড়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধারের কাজ করছি।

মাই মাহিউর শহরের রিফ্ট ভ্যালির কাছের একটি বাঁধ পানির প্রবল চাপের কারণে হঠাৎ করেই ভেঙে যায়। এতে অনেক ঘরবাড়ি ও যানবাহন ভেসে গেছে। ওই এলাকায় চলাচলের একটি রাস্তাও ভেঙে গেছে। এতে শহরটির সাথে যান চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, দেশটির কর্মকর্তারা বরেছেন, এল নিনো ধাঁচের আবহাওয়ার কারণে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটিতে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত মার্চ থেকে কেনিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং বন্যায় অন্তত ৭৬ জন নিহত হয়েছেন।


কেনিয়া   বৃষ্টিপাত   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর বানাচ্ছে দুবাই

প্রকাশ: ০৫:১৪ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর বানাচ্ছে দুবাই। যার নামকরণ করা হয়েছে আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার । ধারণা করা হচ্ছে, এ বিমানবন্দরের ধারণক্ষমতা হবে ২৬ কোটি। নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটি হবে বিশ্বের বড় এবং বেশি মানুষ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন বিমানবন্দর টার্মিনাল।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম রোববার জানিয়েছেন, নতুন টার্মিনালটি বর্তমান দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আকারের পাঁচগুণ হবে এবং বছরে ২৬ কোটি যাত্রী পরিচালনা করবে। আগামী বছরগুলোতে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব কার্যকলাপ নতুন আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্থানান্তরিত হবে বলেও জানান তিনি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় শেখ মোহাম্মদ বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ দুবাইয়ের এই বিমানবন্দরের চারপাশে একটি সম্পূর্ণ শহর তৈরি করেছি, যা ১০ লাখ মানুষের আবাসন চাহিদা পূরণ করবে। এটি লজিস্টিক এবং এয়ার ট্রান্সপোর্ট সেক্টরে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংস্থাগুলোকে হোস্ট করবে।’

দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নতুন প্রকল্প তৈরি করছি। আমাদের সন্তানদের এবং তাদের সন্তানদের জন্য ক্রমাগত এবং স্থিতিশীল বিকাশ নিশ্চিত করছি। দুবাই হবে বিশ্বের বিমানবন্দর, বন্দর, শহুরে হাব এবং এগুলোর নতুন বৈশ্বিক কেন্দ্র।’

আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি সম্পন্ন হলে এটি হবে ফ্ল্যাগশিপ ক্যারিয়ার এমিরেটসের নতুন ঠিকানা এবং এতে থাকবে ৫টি সমান্তরাল রানওয়ে এবং ৪০০টি বিমানের গেট। এটি একটি নেতৃস্থানীয় বিমান চলাচল কেন্দ্র হিসেবে দুবাইয়ের অবস্থানকে মজবুত করবে বলেই জানিয়েছেন দুবাই এয়ারপোর্টের সিইও পল গ্রিফিথস।

এক বিবৃতিতে গ্রিফিথস বলেন, ‘দুবাইয়ের সমৃদ্ধি সবসময়ই এর বিমান পরিকাঠামো বৃদ্ধির সঙ্গে জুড়ে রয়েছে এবং আজ আমরা সেই যাত্রায় আরেকটি সাহসী পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি।’

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট টানা ১০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ভ্রমণের জন্য বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরে পরিণত হয়েছে, যা এখন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাসহ ধারণক্ষমতাকে চাপের মধ্যে ফেলেছে। 

জানা যায়, গত বছর প্রায় ৮৭ মিলিয়ন যাত্রী এই ট্রানজিট হাব ব্যবহার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ ২০২৩ সালে রেকর্ড ১৭ দশমিক ১৫ মিলিয়ন আন্তর্জাতিক যাত্রীর ট্রানজিট ঘোষণা করে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ বেশি।


বিমানবন্দর   দুবাই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নারীর পোশাক পরায় যুবক গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন এক যুবক। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আলোচিত এই ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে। এই খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নারীদের পোশাক পরায় রাজধানী রিয়াদ থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে সৌদির নিরাপত্তা বাহিনী। ওই যুবকের একটি ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি নারীদের পোশাক পরে ট্রেনে করে যাচ্ছেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এক লিঙ্গের হয়ে অন্য লিঙ্গের পোশাক পরে বাইরে বের হলে সৌদি আরবে তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

দেশটিতে পুরুষ হয়ে নারীদের পোশাক পরা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ছাড়া এই আইনে ‘অনুপযুক্ত’ পোশাক পরা, প্রকাশ্যে নৈতিকতা বিরোধী কাজ করা এবং আবাসিক এলাকায় জোরে গান বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

সৌদির আইনানুযায়ী, যারা এসব অপরাধ করবেন তাদের বিরুদ্ধে ৫০ রিয়াল থেকে ৩ হাজার রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবে কথিত আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। তবে এখনো দেশটিতে নারী ও পুরুষের শালীন পোশাক পরার বাধ্যবাধকতা রাখা হয়েছে।


সৌদি আরব   নারীর পোশাক   যুবক গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আদালতে থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিচারক অপহরণ

প্রকাশ: ০৩:০১ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের জেলা ও দায়রা জজ শাকিরুল্লাহ মারওয়াতকে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণ করেছেন অস্ত্রধারীরা। শনিবার (২৭ এপ্রিল) তাকে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়ার ট্যাঙ্ক ও ডেরা ইসমাইল খানের সীমান্ত এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। তবে অপহরণের একদিনের মাথায় তাকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। খবর জিও নিউজের।

প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আলী সাইফ জিও নিউজের কাছে বিচারক শাকিরুল্লাহকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিক করেছেন। তাকে নিরাপদে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ব্যারিস্টার সাইফ বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

পুলিশ বলেছে, নিরাপত্তা বাহিনী গতকাল রাতে ডিআই খানের কুলাচি এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। যার ফলে ওই বিচারককে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের আদালেতে নিয়োজিত এই বিচারককে ট্যাঙ্ক ও ডিআই খানের মধ্যবর্তী সীমান্ত এলাকা বাগওয়াল গ্রাম থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ডিআই খানের উপ-পুলিশ সুপার (ডিএসপি) মোহাম্মদ আদনান জানান, শাকিরুল্লাহ আদালত থেকে ফেরার পথে এ ঘটনা ঘটে। এরপরই কাউন্টার-টেরোরিজম ডিপার্টমেন্টেঅজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেন বিচারকের গাড়ি চালক শের আলী।

এফআইআর দায়ের করার আগে ওই বিচারককে দ্রুত উদ্ধার করতে একটি উচ্চ-স্তরের বিশেষ দল গঠন করে পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ। তার আগে ৬৩ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় বিচারক শাকিরুল্লাহ জানান, অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের সরকারের কাছে কিছু দাবি রয়েছে। তাদের দাবি পূরণ করা হলেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।


পাকিস্তান   জেলা ও দায়রা জজ   শাকিরুল্লাহ মারওয়াত   অপহরণ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিপাইনে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা, সংকটের মুখে চাষাবাদ

প্রকাশ: ০২:০৯ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমের কারণে ফিলিপাইনে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দেশটিতে চাষাবাদ ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়েছে। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড গরমের কারণে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এ দেশটির শিক্ষার্থীরাও সমস্যার মধ্যে পড়েছেন। খবর রয়টার্সের

ফিলিপাইনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫০ ডিগ্রি তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে দেশটিতে মার্চ থেকে মে পর্যন্ত এ ধরনের তাপমাত্রা থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট অ্যাসেসমেন্ট এবং আন্তর্জাতিক স্ট্যাডি অব এডুকেশন সিস্টেমের তথ্যানুসারে, বিশ্বের মধ্যে গণিত, বিজ্ঞান এবং পড়ার ক্ষেত্রে ফিলিপাইন সবচেয়ে কম স্কোর অর্জন করেছে। এর একটি বড় কারণ ছিল করোনা মহামারির সময় দুর্গম অঞ্চলে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়া।  

করোনা মহামারির সময় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৩ বছর বয়সী সিনিয়র হাইস্কুল শিক্ষার্থী কির্ট মাহুসে বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়ছে। চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। এ গরম সহ্য করা যাচ্ছে না।

এদিকে, প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে ৩৬ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তথ্যে বলা হয়েছে। 

অন্যদিকে, সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মৌলিক শিক্ষা উপদেষ্টা জেরক্সেস কাস্ত্রো বলেন, মে মাসেও শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তখন গরম আরও বাড়বে। অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা বেড়ে ৫২ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে। সুতরাং এমন পরিবেশে কীভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব সে বিষয়েও প্রশ্ন রাখেন তিনি। 

দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় প্রচণ্ড গরম পড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। সেভ দ্য চিলড্রেন ফিলিপাইনের মতে, প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুদের মাথা ঘোরা, বমি এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে।  

বর্তমানে প্রচণ্ড গরমের কারণে শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়েছে। অন্যদিকে, এমন অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে দুর্গম অঞ্চলের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও। কারণে এসব অঞ্চলে ইন্টানেটের গতি খুবই কম। 


ফিলিপাইন   তাপমাত্রা   চাষাবাদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন