ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বায়ু দূষণে বিশ্বে পঞ্চম ঢাকা

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৭ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail বায়ু দূষণে বিশ্বে পঞ্চম ঢাকা

বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচ শহরের তালিকায় উঠে এসেছে ঢাকা। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুটি সংস্থা হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন বুধবার (১৭ আগস্ট) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

‘শহরগুলোতে বায়ুর মান এবং স্বাস্থ্য’ শিরোনামের এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বায়ুতে প্রতি ঘনমিটারে পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ (পিএম-২.৫) বা বস্তুকণা ২.৫ এর বার্ষিক গড় ৭১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম এবং এনও২ এর বার্ষিক গড় প্রতি ঘনমিটারে ২৩ দশমিক ৬ মাইক্রোগ্রাম।

বস্তুকণা পিএম-২.৫ হলো বাতাসে থাকা সব ধরনের কঠিন এবং তরল কণার সমষ্টি, যার বেশিরভাগই বিপজ্জনক। মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক বিভিন্ন ধরনের রোগ যেমন— প্রাণঘাতী ক্যান্সার এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা তৈরি করে পিএম-২.৫। এছাড়া বায়ু দূষণকারী এনও২ প্রধানত পুরোনো যানবাহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শিল্প স্থাপনা, আবাসিক এলাকায় রান্না, তাপদাহ এবং জ্বালানি পোড়ানোর কারণে তৈরি হয়।

গত বছর ডব্লিউএইচও তার বায়ুমান নির্দেশক গাইডলাইন পরিবর্তনের পর জানায়, পিএম২.৫ নামে পরিচিত ছোট এবং বিপজ্জনক বায়ুকণার গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হওয়া উচিত নয়। তবে এরচেয়েও কম ঘনত্ব উল্লেখযোগ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

নতুন এই প্রতিবেদনে বিশ্বের ৭ হাজারের বেশি শহরের বায়ু দূষণ এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম কিছু শহর এবং নগরাঞ্চলে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

শহরগুলোর ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের বায়ু মানের তথ্য-উপাত্তের ওপর ভিত্তি করে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউট এবং ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন। বায়ুু দূষণকারী প্রধান দুই উপাদান পিএম২.৫ ও এনও২ ভিন্ন ভিন্নভাবে শহরগুলোতে দূষণ সৃষ্টি করেছে।

সংস্থা দুটি বলেছে, বিশ্বে শীর্ষ দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। শহরটিতে বায়ুকণা পিএম২.৫ এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ১১০ মাইক্রোগ্রাম। এরপরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর কলকাতা। এই শহরে বায়ুকণা পিএম২.৫ এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৮৪ মাইক্রোগ্রাম।

এছাড়া তৃতীয় স্থানে থাকা নাইজেরিয়ার কানো শহরের ক্ষেত্রে তা ৮৩.৬ মাইক্রোগ্রাম। চতুর্থ স্থানে থাকা পেরুর রাজধানী লিমার বায়ুকণা পিএম২.৫ এর গড় বার্ষিক ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৭৩.২ এবং বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ৭১ দশমিক ৪ মাইক্রোগ্রাম।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন এবং মধ্যম-আয়ের বিভিন্ন দেশের শহরগুলোর বায়ুতে বস্তুকণা ২.৫ এর উপস্থিতি বেশি। অন্যদিকে, উচ্চ আয়ের দেশগুলোর পাশাপাশি নিম্ন এবং মধ্যম-আয়ের দেশের শহরেও এনও২’র উপস্থিতিও বেশি রয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০১৯ সালে বিশ্বের ৭ হাজারের বেশি শহরের মধ্যে মোট ৮৬ শতাংশ শহরের প্রতি ঘনমিটারে বাতাসে প্রাণঘাতী পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম-২.৫ এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেওয়া বার্ষিক ১০ মাইক্রোগ্রাম সীমার চেয়ে কয়েক গুন বেশি ছিল। যা বিশ্বের ২৬০ কোটি মানুষকে প্রভাবিত করেছে।

বায়ু দূষণ   ঢাকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যে কারণে ইসরায়েলে বোমার চালান স্থগিত করল আমেরিকা

প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমার একটি বড় চালান ইসরায়েলে পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে দেশটির প্রশাসন। গত সপ্তাহেই বিষয়টি বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এর কারণ নিয়ে মুখ খুলছিলেন না।

এবার সিবিএস নিউজকে ইসরায়েলের বোমার চালান আটকে দেওয়ার কারণ জানালেন যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসির মিডিয়া অংশীদার সিবিএস নিউজ ওই কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর এই প্রথম ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ আটকে দেয় যুক্তরাষ্ট্র। অস্ত্রের চালানটি গত সপ্তাহে ইসরায়েলে পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি আপাতত পাঠানো হচ্ছে না বলে ইসরায়েলকে জানিয়েছেন ওয়াশিংটনের কর্মকর্তারা। ওই চালানে কয়েক হাজার কেজি বোমা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তার বরাতে সিবিএস নিউজ জানায়, দক্ষিণ গাজার রাফায় স্থল অভিযান চালাতে ইসরায়েলকে নিষেধ করে যুক্তরাষ্ট্র। এ অভিযানে মানবিক বিপর্যয় নিয়ে মার্কিন প্রশাসন উদ্বিগ্ন ছিল। বিষয়টি ইসরায়েলকে জানানোর পরও তারা পাত্তা দেয়নি।

ইসরায়েল সব ধরনের অনুরোধ ও আহ্বান উপেক্ষা করে রাফায় বড় ধরনের হামলা চালাতে প্রস্তুতি নেয়। ইসরায়েলের অগ্রগতি নিশ্চিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র চালানটি স্থগিত করে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, রাফা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাহিদা ইসরায়েল পুরোপুরি পূরণ করেনি। ইসরায়েল রাফায় ওই বোমা ব্যবহারের করতে পারে বলে শঙ্কায় ছিল যুক্তরাষ্ট্র।


ইসরায়েল   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ ইসরায়েলের

প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় যুদ্ধবরিতির প্রস্তাবে হামাস রাজি হয়েছে, এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে দোষারোপ করছে ইসরায়েল। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে পরিবর্তন এনে এরপর তা হামাসকে দিয়েছেন বলে দাবি ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের। 

ইসরায়েলের একাধিক কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসকে এসব কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় হামাসের পক্ষ থেকে হঠাৎ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হওয়ার ঘোষণায় 'বিস্মিত' হয়েছে ইসরায়েল। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা মঙ্গলবার টাইমস অব ইসরায়েলকে বলেন, হামাসের ঘোষণা আসার আগে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। হামাস যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে তাতে কী কী বিষয় ছিল ইসরায়েল তাও দেখেনি। 

গত ৭ মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমন অবস্থায় যুদ্ধবিরতিতে যেতে ইসরায়েলের ওপর ব্যাপকভাবে আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলকে একচেটিয়া সমর্থনের ফলে যুক্তরাষ্ট্রও এখন চাপের মুখে পড়েছে। 

ফিলিস্তিনিদের হত্যায় ইসরায়েলবিরোধী প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের দেড় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালেও বিক্ষোভ দমন করতে পারছে না বাইডেন প্রশাসন। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা বেড়েছে।  

এই পরিস্থিতিতে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে কিছু দিন ধরে যে আলোচনা চলছে, সম্প্রতি তা একটি নতুন গতি পায়। গত সপ্তাহের শেষ দিকে মিসরের রাজধানী কায়রোয় মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো হামাসকে যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব দেয়। এরপর সোমবার হামাস জানায়, তারা এই প্রস্তাবে রাজি আছে।

তবে হামাসের ঘোষণার পর ইসরায়েল জানায়, হামাস যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে তাতে তাদের শর্ত পূরণ হয়নি। এ কারণে তারা এ প্রস্তাবে রাজি নয়। একই সঙ্গে ইসরায়েল আরও জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী গাজার রাফায় স্থল অভিযান পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে তারা। এরপর সোমবার রাত থেকেই রাফায় স্থল অভিযান শুরু করে।

হামাসকে যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব দিয়েছে মধ্যস্থতাকারী তিন দেশ মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবে রাজি হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই হামাসের এক জ্যেষ্ঠ নেতা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, 'যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রস্তাবে রাজি হয়েছে হামাস। বল এখন দখলদার ইসরায়েলের হাতে। এখন তারাই সিদ্ধান্ত নেবে যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবে তারা রাজি হবে নাকি বাধা দেবে।' 

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাবে রাজি হওয়ার মাধ্যমে হামাস দেখাতে চাচ্ছে, 'যুদ্ধ বন্ধে তারা আগ্রহী, কিন্তু ইসরায়েলের সদিচ্ছা নেই; বরং তারা যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টায় বাধা দিচ্ছে।'

যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করছেন দেশটির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান উইলিয়াম বার্নস। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইসরায়েলের একাধিক কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, তাদের কাছে এখন এটা স্পষ্ট যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে পরিবর্তন আনার বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন সিআইএ প্রধান ও ওয়াশিংটন। কিন্ত ইসরায়েলকে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি।

ইসরায়েলের ওই কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার সকালে কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রও বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিল। কিন্ত ইসরায়েলকে এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের দাবি, হামাস যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে তাতে নতুন অনেক কিছু যুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের কাছে মনে হয়েছে, এটা একেবারেই নতুন কোনো প্রস্তাব।

ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো ইসরায়েলকে নিয়ে 'খেলছে' এমন একটা ধারণা তৈরি হয়েছে। এতে ইসরায়েলের মনে ক্ষোভ ও সন্দেহ তৈরি হয়েছে।  

ইসরায়েলের এক কর্মকর্তার বরাতে টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, মূলত একটি বিষয় নিয়ে ইসরায়েল ও হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে একমত হতে পারছে না। হামাস চায় যেকোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্য দিয়ে গাজায় চলমান এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে। কিন্ত ইসরায়েল যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে রাজি নয়। ইসরায়েল বলছে, হামাস গাজার শাসনক্ষমতায় যত দিন পর্যন্ত থাকবে, ততদিন গাজায় যুদ্ধ চলবে।  

ইসরায়েলের সন্দেহ, যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো হামাসকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে তাদের রাজি হওয়ার মধ্য দিয়ে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে। হামাসের একজন শীর্ষ নেতা খলিল আল-হায়া সোমবার আল–জাজিরাকে বলেন, তারা যে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, তা রক্ষা করার দায়িত্ব (গ্যারান্টর) নিয়েছে মিসর। কায়রো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটবে।

ইসরায়েলের তোলা এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা অ্যাক্সিওসকে বলেন, 'মার্কিন কূটনীতিকেরা বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে এসেছেন।'

যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের রাজি হওয়ার ঘোষণায় ইসরায়েলের বিস্মিত হওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই।

মার্কিন ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা ছিল খুবই জটিল একটি প্রক্রিয়া। ওয়াশিংটনের চাওয়া ছিল, প্রাথমিকভাবে অন্তত ছয় মাসের জন্য যুদ্ধবিরতি হবে। আর চুক্তি এমনভাবে করা হবে যাতে করে তার মেয়াদ আরও বাড়ানো যায়। এ কারণে তিন ধাপে যুদ্ধবিরতির এই প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। তিন ধাপে যুদ্ধবিরতি চলাকালে সব জিম্মি গাজা থেকে পরিবারের কাছে ফিরবেন।


যুদ্ধবিরতি   যুক্তরাষ্ট্র   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলো আফ্রিকার দেশ বাহামাস

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ বাহামাস। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বেশ কিছু রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

বুধবার (০৮ মে) কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বাহামাসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, তারা 'এই বিষয়ে ক্যারিবিয়ান সম্প্রদায়ের ঐকমত্যে' যোগ দিয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাহামা ১৯৭৩ সালে স্ব-নিয়ন্ত্রণের একটি আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন জাতি হয়ে ওঠে। তাই, বাহামা ফিলিস্তিনি জনগণের স্ব-নিয়ন্ত্রণের আইনি অধিকারকে সমর্থন করে। 


ফিলিস্তিন   আফ্রিকা   বাহামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলকে রাফায় হামলার সবুজ সংকেত দিলো আমেরিকা

প্রকাশ: ১২:১৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজার সীমান্তবর্তী শহর রাফায় হামলা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে সবুজ সংকেত দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন অনুমোদন পেয়েই ইসরায়েল রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে।

সোমবার ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করার কথা ঘোষণা করার পর ইসরায়েল ওই হামলা শুরু করে। 

ইসরায়েল বলছে, যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তাদের মূল দাবিগুলো এতে মানা হয়নি। আর হামাস বলেছে, তারা অনেক ছাড় দিয়েছে। ইসরায়েল যদি হামলা অব্যাহত রাখে, তবে তারা যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে সরে যাবে।

বাইডেন প্রশাসনের মুখপাত্ররা বলেছেন, ইসরায়েলের রাফা অভিযান বৈধ। তবে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, হামলার ব্যাপ্তি যদি বেড়ে যায় এবং তা যদি গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর কাজে বাধার সৃষ্টি করে, তবে এই মূল্যায়ন বদলে যাবে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিকদের বলেন, 'ইসরায়েলি কর্মকর্তারা আমাদের যা বলেছেন তা হল- গত রাতের এই অভিযান ছিল সীমিত। এর লক্ষ্য ছিল হামাসের অস্ত্র চোরাচালান এবং তহবিল সংগ্রহের সক্ষমতা ধ্বংস করা।' 

পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, এটি একটি সীমিত অভিযান। তবে এরপর কী হবে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।' 

তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে আমরা বড় ধরনের সামরিক অভিযান দেখতে চাই না। এটিকে বড় সামরিক অভিযানের সূচনা বলা যেতে পারে।

তিনি বলেন, ইসরায়েলের একটি কথা খুবই সত্য। তা হলো- হামাস এখনও রাফার গাজার দিকটির নিয়ন্ত্রণ করছে। এর মাধ্যমে হামাস রাজস্ব সংগ্রহ করছে। হামাস যাতে অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে, সেজন্য এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। 


ইসরায়েল   রাফা   হামলা   সবুজ সংকেত   আমেরিকা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

করোনা টিকা প্রত্যাহার করছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিখ্যাত ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা বৈশ্বিকভাবে নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি, ব্রিটেনের আদালতে ১০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণের মামলা হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মামলার কার্যক্রম চলার মধ্যেই এই ঘোষণা দিলো কোম্পানির কর্তৃপক্ষ।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে কোম্পানিটি বলছে, করোনা মহামারির সময়ে যে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ছিল এখন আর তা নেই। 'করোনা ভাইরাস' নামের যে ভাইরাসটির বিস্তার প্রতিরোধে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে ২০২০ সালের শেষ দিকে যে টিকা বাজারে এনেছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সেই ভাইরাসটি এখন প্রায় নিষ্ক্রিয়, এমনকি মূল ভাইরাসটি থেকে যেসব ভ্যারিয়েন্ট ভাইরাসের উদ্ভব হয়েছে সেগুলোও এখন আর প্রাণঘাতী নয়।

বাজারে বর্তমানে করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বৈশ্বিকভাবে টিকার আর সেই চাহিদাও নেই। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কোম্পানির সব অংশীদারদের ইতোমধ্যে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।

গত ফেব্রুয়ারিতে এক নথিতে অবশ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে টিকা গ্রহণের পর টিটিএস বা থ্রম্বসিস উইথ থ্রম্বোসিটোপেনিয়া সিনড্রোম নামের এক প্রকার শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে তা খুবই বিরল।

টিটিএস হলো এমন একটি শারীরিক জটিলতা, যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং প্ল্যাটিলেট কমে যায়। যুক্তরাজ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে ২০২০ সালের টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

মঙ্গলবারের বিবৃতিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা বলেছে, নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের। বিভিন্ন দেশের সরকার আমাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং করোনা মহামারি দূর করতে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত।


করোনা টিকা   অ্যাস্ট্রাজেনেকা   ব্রিটেন   আদালত   কোভিড টিকা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন