ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের বক্তব্য সরাসরি সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ০৯:৫৬ এএম, ২২ অগাস্ট, ২০২২


Thumbnail

আল জাজিরার এক সূত্রের মাধ্যমে খবর পাওয়া গেছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী  দল পিটিআইর  চেয়ারম্যান ইমরান খানের বক্তব্য টিভি চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশ, নির্বাচন কমিশন ও অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে সমালোচনা করায় রোববার (২১ আগস্ট) তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির ইলেকট্রনিক মিডিয়া নিয়ন্ত্রক সংস্থা (পেমরা)।  ইমরান খানের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ইমরান খান ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ ও ‘ঘৃণা’ ছড়াচ্ছেন। ছয় পৃষ্ঠার এক বিজ্ঞপ্তিতেে আরও বলা হয়েছে, ইমরান খানের বক্তব্য পেমরার নীতিমালার সরাসরি লঙ্ঘন। তবে নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও সম্পাদনার পর ধারণ করা বক্তব্য সম্প্রচার করা যাবে।

এ নির্দেশনা না মানলে নিউজ চ্যানেলগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পেমরা। সংস্থাটির মতে, অধ্যাদেশ ২০২২-এর ধারা ২৭-এর অধীন ইমরান খানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামাবাদের এফ-নাইন পার্কে ইমরান খানের বক্তৃতা উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানের বক্তব্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। কারণ তিনি তার বক্তৃতায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দেশের নাগরিকদের ক্রমাগত উসকানি দিচ্ছেন।

পেমরা আরও বলছে, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য সুয়ো মোটো মামলায় পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। ইমরান খানের বক্তব্য লাহোরের উচ্চ আদালতের রায়েরও বিরুদ্ধে।

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পার্লামেন্টে বিরোধীদের আনা আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা হারান ইমরান খান। এরপর ইমরান ও তার দলের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ক্ষমতাসীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) ঘাঁটি পাঞ্জাব প্রদেশের উপনির্বাচন। পিএমএল-এনকে কোণঠাসা করে জয় পায় ইমরানের দল এবং রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়িয়ে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন ইমরান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে পিটিআইয়ের যে জনপ্রিয়তা, তাতেই শাসক দলের ভয়। কারণ দলটির জনপ্রিয়তা অব্যাহত থাকলে আগামী সাধারণ নির্বাচনের বৈতরণি বেশ ভালোভাবে পেরিয়ে যাবেন ইমরান এবং আবার সরকার গঠনে সক্ষম হবেন তিনি। সেটা রুখতে সরকার পিটিআইকে বিভিন্নভাবে কাবু করার চেষ্টা করছে।

নিজের চিফ অব স্টাফ শাহবাজ গিলের সঙ্গে ‘খারাপ আচরণের’ অভিযোগে পুলিশ, আমলা, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। শনিবার (২০ আগস্ট) ইসলামাবাদে এক সমাবেশে তার দলের প্রতি ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ মনোভাব দেখানোয় এর পরিণতির জন্য বিচার বিভাগকে প্রস্তুত থাকা উচিত বলেও মন্তব্য করেন ইমরান খান।

ডনের খবরে বলা হয়, এদিন ইসলামাবাদে সিআরপিসির (কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর) ১৪৪ ধারা এবং এমপিওর (মেইনটেনেন্স অব পাবলিক অর্ডার) ১৬ ধারা আরোপ করা সত্ত্বেও ইমরান খানের নেতৃত্বে পিটিআইয়ের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী দলীয় এই সমাবেশে যোগ দেন।

এফ-নাইন পার্কের ওই সমাবেশে ইমরান বলেন, ইসলামাবাদ পুলিশের অনুরোধে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জেবা চৌধুরী শাহবাজ গিলের দুদিনের শারীরিক রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তার (জেবা চৌধুরী) নিজেকে প্রস্তুত করা উচিত। কারণ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গত ৯ আগস্ট ইসলামাবাদ থেকে শাহবাজ গিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বানিগালা থানায় একটি মামলাও করা হয়েছে। অন্য অভিযোগ ছাড়াও এফআইআরে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ও তাদের প্রধানদের বিরুদ্ধে জনগণকে উসকানি দেয়ার ধারা যুক্ত করা হয়।





ইমরান খান   পাকিস্তান   পিটিআই  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রচণ্ড পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে, বের হলো মোবাইল ফোন!

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

দীর্ঘ এক মাস ধরে পেটে ব্যথায় ভুগছিলেন এক কারাবন্দি। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা তার পেটে আস্তো একটি মোবাইল ফোন দেখতে পায়। এরপর অস্ত্রোপচার করে সেটি বের করা হয়। 

ঘটনাটি ভারতের কর্ণাটকের শিবমোগা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক বন্দির। বেঙ্গালুরুর ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার করে সেই মোবাইল ফোন বের করেন চিকিৎসকরা। বর্তমানে ওই কয়েদি সুস্থ রয়েছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ৩৮ বছরের পরশুরাম কোনো উপায়ে একটি মোবাইল ফোন যোগার করেন। কিন্তু কারাগারের রুটিন তল্লাশির সময় মহাবিপদে পড়েন তিনি। কারারক্ষীদের থেকে বাঁচতে ফোনটিকে অন্য কোথায় লুকানোর বদলে গিলে ফেলেন এই কয়েদি।

কোনো ঝুঁকি না-নিয়ে ওই বন্দিকে বেঙ্গালুরুতে পাঠানো হয় গত ১ এপ্রিল। ভর্তি করা হয় পরশুরামকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক বুঝতে পারেন, পেটের ভেতরে আস্ত একটা মোবাইল ফোন রয়েছে। পরে গত ২৫ এপ্রিল পরশুরামের অস্ত্রোপচার হয় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে। দীর্ঘ ৭৫ মিনিট ধরে অপারেশন শেষ মোবাইলটি বের করা হয়। 

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চীনা ফোনটি আকারে ছোট হওয়ায় সেটি খাদ্যনালি দিয়ে পরশুরামের পাকস্থলীতে চলে গিয়েছিল। প্রায় ২০ দিন মোবাইল ফোনটি পেটের মধ্যে ছিল।

এদিকে কারাগারে মোবাইল রাখার অভিযোগে পরশুরামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে তুঙ্গানগর থানার পুলিশ। 


হাসপাতাল   মোবাইল ফোন   কারাবন্দি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ক্ষমতায় আসতে মুসলিমদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে মোদি!

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। নির্বাচনের ১ম দফায় আশানুরূপ ভোট না পরায় এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয় বিজেপি নেতাদের মধ্যে।  ভোটের হার বাড়াতে বিজেপি ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেয়া শুরু করে দিয়েছে।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদি হিন্দু ভোটারদের আকৃষ্ট করতে 'মুসলিম বিদ্বেষী' বক্তব্য রেখেছেন এবং দ্বিতীয় দফার ভোটে ট্রেন বাতিল করেন যেন মুসলিমরা  ভোট কেন্দ্রে যেতে না পারে।

হিন্দুদের মধ্যে যারা মোদির প্রতি আগ্ৰহ হারিয়েছেন বা যারা ধরেই নিয়েন বিজেপিই আবার ক্ষমতায় আসবে তাই অযথা ভোট কেন্দ্রে যাবার প্রয়োজন নেই, তাদের আগ্ৰহকে চাঙ্গা করতেই কি 'মুসলিম বিদ্বেষ' মনোভাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি??

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ১ম পর্বের ভোটের পর রাজস্থানে এক নির্বাচনী জনসভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন,কংগ্রেসকে ভোট না দিতে।

তার বক্তব্য ছিল, 'কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবেন না। এদের ক্ষমতায় আনলে তারা আপনার সম্পদ নিয়ে অণুপ্রবেশকারীদের মাঝে বণ্টন করে দেবে। আপনার কঠোর পরিশ্রমের সম্পদ অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে দিক, সেটা কি আপনি চান? আপনি কি এটা মেনে নেবেন?'

এমনকি ওই বক্তব্যে ২০০৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ড. মনমোহন সিং-এর একটি বক্তব্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ক্ষমতায় থাকার সময় তারা (কংগ্রেস) বলেছিল, দেশের সম্পদে প্রথম অধিকার মুসলমানদের। তারা আপনাদের সবার সম্পদ নিয়ে তাদেরকে দিয়ে দেবে, যাদের বেশি সন্তান। অণুপ্রবেশকারীদের বণ্টন করে দিয়ে দেবে এসব সম্পদ। কংগ্রেসের ইশতেহারেই বলা হচ্ছে যে মা-বোনদের স্বর্ণের হিসাব করা হবে। তারপর সেই সম্পদ বণ্টন করা হবে তাদের মধ্যে, যাদের দেশের সম্পত্তিতে সবচেয়ে আগে অধিকার বলে মনমোহন সিংয়ের সরকার জানিয়েছিল। শহুরে নকশালদের এই ভাবনা মা-বোনদের মঙ্গলসূত্রকে পর্যন্ত ছাড়বে না।'

অথচ এ ধরনের কোনো কথা মনমোহন সিং ক্ষমতায় থাকাকালে বলেননি বলে বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যম ফ্যাক্টচেক করে জানিয়েছে।

আসলেই কি ভারতে অন্য ধর্মের মানুষের চেয়ে মুসলিম পরিবারে সন্তান সংখ্যা বেশি? আসুন জেনে নেই পরিসংখ্যান কী বলছে?

২০১১ সালের আদমশুমারি থেকে জানা যায়, ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ১৭ কোটি ২২ লাখ, যা তখনকার সময়ে ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। এর আগে ২০০১ সালের আদমশুমারিতে বলা হয়, ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ১৩ কোটি ৮১ লাখ, যা তখনকার সময়ে ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। গত ১০ বছরে ভারতের মুসলমানের সংখ্যা বেড়েছে ২৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগে এত কম বাড়েনি। আগের দশ বছরে (১৯৯১-২০০১) বেড়েছিল ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

এক পরিবারে কত সদস্য থাকেন, তা নিয়ে ২০১২ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারতের জাতীয় নমুনা জরিপ কর্তৃপক্ষ। এতে বলা হয়, প্রতি মুসলমান পরিবারে গড়ে ৫ জন করে সদস্য রয়েছে। আর হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪ দশমিক ৩।

তবে, ভারতের শ্রমবাজারে মুসলমানদের অংশগ্রহণ কমে আসছে। এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মুসলিম কর্মীদের হার এখন অনেক কম। ভারতের সরকারি বিভিন্ন পরিসংখ্যান সে কথাই বলছে।

ভারতে মুসলমানদের জন্মহার নিয়ে ২০২১ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে পিউ রিসার্চ সেন্টার। যেখানে বলা হয়, ভারতে মুসলমানদের জন্মহার সবচেয়ে বেশি। তবে ক্রমেই তা কমে আসছে। ১৯৯২ সালে নারীপ্রতি সন্তান জন্মহার ছিল ৪ দশমিক ৪ জন। ২০১৫ সালে এই হার কমে ২ দশমিক ৬ তে নেমে আসে। সেখানে হিন্দু নারীদের সন্তান জন্মহার ২ দশমিক ১। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমস বলছে, সব ধর্মেই জন্মহার কমে এসেছে।

বর্তমানে ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ ভাগ মুসলমান। আর এই ২০ শতাংশ নেহাতই কম নয়। কেননা, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের চেয়ে দেশটির মুসলিম সম্প্রদায় ভোট দানে বেশি আগ্ৰহী। আর একারণেই বিজেপি মুসলিমদের নিয়ে শঙ্কিত। 

নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে, মুসলিমরা যেন ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে না পারে সেজন্য নির্বাচনের দিন ভারতের বেশ কয়েকটি ট্রেন বন্ধ করে দেন নরেন্দ্র মোদি। 

মূলত বিজেপি ৪০০ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল। কিন্তু প্রথম দফার ভোটে বিজেপি এমন কিছু প্রত্যক্ষ করেছে, যা তাদের নেতিবাচক কিছুর আভাস দিয়েছে। এখন তারা ৪০০ আসন জয়ের হুঙ্কার ছেড়ে মেরূকরণ কৌশলে ভর করে নির্বাচনীয় বৈতরণী পার হতে চাইছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথম দফার ভোটে প্রত্যাশামাফিক কিছু করতে না পেরেই দ্বিতীয় পর্বে আগ্রাসী কৌশল বেছে নিয়েছেন তারা।

তবে কি প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ নিয়ে শঙ্কা ও হতাশা থেকেই 'মুসলিম বিদ্বেষী' আচরণ করছেন নরেন্দ্র মোদি?

মোদি তার বক্তব্যে এতটুকু স্পষ্ট করা করেছেন যে, হিন্দুদের স্বার্থের সুরক্ষা মানে মুসলমানদের কাছ থেকে তাদেরকে সুরক্ষিত রাখা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার ত্রাণকর্তা হিসেবে লড়ার কৌশল হিসেবেই কি তাহলে 'মুসলিম বিদ্বেষ' বেছে নিয়েছেন?


মুসলিম   বিজেপি   নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মদ খাইয়ে নারী এমপিকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাদক ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের ব্রিটানি লউগা নামের এক নারী এমপি। এ ঘটনায় তিনি পুলিশে অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

রোববার (০৫ মে) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের এমপি ব্রিটেনি লগা অস্ট্রেলিয়া পুলিশে অভিযোগ করেছেন যে সম্প্রতি তাকে জোরপূর্বক মাদক দেওয়া হয়েছে এবং যৌন হয়রানি করা হয়েছে। নিজের সংসদীয় সীমানার বাইরে ইয়েপুনে রাতে তিনি আক্রমণের শিকার হন। ব্রিটেনি অস্ট্রেলিয়ার সহকারী স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অস্ট্রেলিয়া নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর গত রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি প্রথমে পুলিশ স্টেশনে যান এবং পরে হাসপাতালে যান। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, হাসপাতালে পরীক্ষায় শরীরে মাদকের অস্তিত্ব মিলেছে। আমি এসব মাদক গ্রহণ করিনি। এগুলো শরীরে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছে বলেও জানান তিনি।

কুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিস (কিউপিএস) নিশ্চিত করেছে যে তারা ইয়েপুনে রোববার যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।

তারা জানিয়েছে, তারা পানীয়র বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে এবং পানীয়ের মধ্যে নেশাজাতীয় দ্রব্য মেশানোর বিষয়টি কেস-বাই-কেস ভিত্তিতে তদন্ত করছে। এ ছাড়া যৌন হয়রানির সঙ্গে নেশাজাতীয় পানীয়ের সম্পর্কও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়ার এ নারী এমপি কেপাল থেকে ২০১৫ সালে নির্বাচিত হন। এরপর থেকে প্রায় এক দশক ধরে তিনি সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কুইন্সল্যান্ডের আবাসনমন্ত্রী মিয়াগান স্ক্যানলন এ ঘটনাকে বিস্ময়কর এবং ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ব্রিটেনি আমাদের সহকর্মী। সে অমার বন্ধু। এটা অগ্রহণযোগ্য যে নারীরা ঘরে এবং বাইরে যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে। আমাদের সরকার নারীদের সুরক্ষা এবং সহিংসতা বন্ধ করতে যা যা করণীয় তা করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।


নারী এমপি   যৌন হেনস্তা   অস্ট্রেলিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার 'ওয়ান্টেড' তালিকায় জেলেনস্কি

প্রকাশ: ০২:০১ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করেছে রাশিয়া। মামলাটি করে তার নাম 'ওয়ান্টেড' তালিকায় যুক্ত করেছে দেশটি।

শনিবার (৪ মে) রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্স।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে ইউক্রেন ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

রাশিয়ার পুলিশ বাহিনীর পক্ষ থেকে এস্তোনিয়ার প্রধানমন্ত্রী কাজা কাল্লাস, লিথুয়ানিয়ার সংস্কৃতিমন্ত্রীসহ লাটভিয়ার আইনসভার সাবেক কয়েকজন সদস্যকে 'ওয়ান্টেড' তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে সোভিয়েত যুগের স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙে ফেলার অভিযোগ আনা হয়।

রাশিয়ার পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক কৌঁসুলির বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ওই কৌঁসুলি গত বছর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ তুলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রস্তুত করতে কাজ করেছিলেন।

এদিকে জেলেনস্কিকে ওয়ান্টেড তালিকায় যুক্ত করায় রাশিয়ার সমালোচনা করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের ওয়ারেন্টের অধীনে গ্রেপ্তার হয়েছেন।

জেলিনস্কিকে ওয়ান্টেড তালিকায় রাখার বিষটিকে রাশিয়ার মিথ্যা প্রপাগান্ডা চর্চার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


রাশিয়া   ওয়ান্টেড   জেলেনস্কি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে শিকাগোতে ৬৮ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। এবার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের 'শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউট' এর বিক্ষোভ থেকে ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কলাম্বিয়া কলেজ এবং শিকাগোর স্কুল অব আর্ট ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের স্থাপন করা ক্যাম্পে হানা দেয় স্থানীয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের স্থাপন করা তাঁবু গুড়িয়ে দিয়ে সেখান থেকে অন্তত ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এবিসি৭ টেলিভিশন জানিয়েছে, ছয় দিন ধরে এই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিল শিক্ষার্থীরা। তবে এই প্রথম ফিলিস্তিনিপন্থী ওই শিবিরে পুলিশ এভাবে চড়াও হল।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   শিকাগো   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন