ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমিরাতে তেলের দাম নিয়ে খবর প্রকাশ করায় পত্রিকা বন্ধ

প্রকাশ: ০৮:১৭ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail আমিরাতে তেলের দাম নিয়ে খবর প্রকাশ করায় পত্রিকা বন্ধ

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে নিবন্ধ লেখায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেখানকার প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা আল রোয়েয়া। সেই সঙ্গে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে অধিকাংশ সংবাদকর্মীকে।

গত ২১ জুন চুড়ান্তভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পত্রিকাটি। সেই সঙ্গে চাকিরচ্যুত করা হয়েছে প্রায় ৫০ জন সংবাদকর্মীকে, তাদের মধ্যে একদিনেই ছাঁটাই নোটিশ পেয়েছেন অন্তত ৩৫ জন সংবাদকর্মী।

পত্রিকাটির মালিকপক্ষ চাকরিচ্যুত সংবাদকর্মীদের এ ব্যাপারে মুখ না খুলতে কঠোরভাবে নিষেধ করে দিয়েছিল। এ কারণে এতদিন পর্যন্ত জনসমক্ষে আসেনি এ ঘটনা।

সম্প্রতি আল রোয়েয়ার কয়েকজন চাকরিচ্যুত কর্মী মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এবং বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণকারী ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা ফ্রিডম হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তখনই ব্যাপারটি প্রথম প্রকাশ্যে আসে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আল রোয়েয়ার আট জন চাকরিচ্যুত কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এপি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে মার্কিন এই সংবাদ সংস্থা। সরকার প্রতিশোধমূলক নীতি নিতে পারে— এই ভয়ে তথ্য প্রদানকারী সব কর্মীই তাদের নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন এপিকে।

টানা দুই বছরের করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্বজুড়ে বাড়ছিল জ্বালানি তেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ বিভিন্ন দেশ জ্বালানি তেলে ভর্তুকির হার বাড়ালেও আন্তর্জাতিক বাজারে অধিক মুনাফার আশায় আমিরাত তেলের ওপর ভর্তুকি প্রত্যাহার করে নেয়।

ফলে পার্শ্ববর্তী অন্যান্য দেশের চেয়ে আমিরাতে তেলের মূল্য ছিল বেশি। এই দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায় চলতি বছর গ্রীষ্মে, মে-জুন মাসের দিকে। তেলের অতিরিক্ত মূল্যের কারণে আমিরাতের সাধারণ জনগণ ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।

এমন এক পরিস্থিতে গত ০২ জুন একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে আল রোয়েয়া। তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে আমিরাতের জনভোগান্তিই ছিল সেই নিবন্ধের মূল বিষয়বস্তু। স্বাভাবিকভাবেই ভোগান্তির শিকার বহু মানুষের বক্তব্য-মন্তব্য সংযুক্ত করা হয়েছিল নিবন্ধটিতে।

সাক্ষাৎকার দেওয়া এসব লোকজনের মধ্যে কয়েকজন ট্যাক্সিচালকও ছিলেন। তারা আল রোয়েয়াকে জানিয়েছিলেন, দেশে দাম চড়া থাকায় তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ওমানে গিয়ে পেট্রোল কেনেন। আমিরাতের তুলনায় ওমানে পেট্রোলের দাম অর্ধেক।

নিবন্ধটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সেটি আল রোয়েয়ার ওয়েবাসাইট থেকে মুছে ফেলা এবং সেটি যেন কোনোভাবেই প্রিন্টেড কপি আকারে না আসে, সে ব্যবস্থা নিতে আল রোয়েয়া সম্পকাদককে নির্দেশ দেয় আইএমআই কর্তৃপক্ষ।

মালিক প্রতিষ্ঠানের এই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন আল রোয়েয়ার সংবাদকর্মীরা। চাকরিচ্যুত এক জেষ্ঠ্য সংবাদকর্মী এপিকে বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে গণমাধ্যম আইন কঠোর; কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম, যেহেতু আল রোয়েয়ার মালিক প্রেসিডেন্টের আপন ছোটো ভাই, এই নিবন্ধটি প্রকাশ করলে সমস্যা হবে না। আমাদের ধারণা ভুল ছিল।’

আরবি ‘আল রোয়েয়া’ শব্দের বাংলা অর্থ ‘দৃষ্টি’। রাজধানী আবুধাবিভিত্তিক বিনিয়োগ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ইনভেস্টমেন্ট (আইএমআই) ২০১২ সালে জাতীয় এই দৈনিকটি বাজারে আনে। এই আইএমআইয়ের স্বত্ত্বাধিকারী হলেন শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।

আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মেদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের ছোটোভাই শেখ মনসুর বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের অন্যতম। আমিরাত ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিপুল পরিমাণ আর্থিক বিনিয়োগ রয়েছে তার। আরবি দৈনিক আল রোয়েয়া ছাড়াও আমিরাতভিত্তিক ইংরেজি দৈনিক দ্য ন্যাশনাল নামে একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রকাশক আইএমআই। এছাড়া যুক্তরাজ্যভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল স্কাই নিউজের আরবি সংস্করণ স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়ারও মালিক প্রতিষ্ঠানেরও মালিক প্রতিষ্ঠান আইএমআই। একাধিক সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি ব্রিটিশ ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিরও মালিক শেখ মনসুর।

নিবন্ধটি প্রকাশের এক সপ্তাহ পর আইএমআই শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নার্ত বৌরান আল রোয়েয়া কার্যালয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি ঘোষণা দেন, এখন থেকে আল রোয়েয়া নামে আর কোনো সংবাদমাধ্যম থাকবে না এবং খুব শিগগিরই সিএনএনের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নতুন একটি আরবি সংবাদমাধ্যম খুলতে যাচ্ছে আইএমআই।

ওই দিনই নিবন্ধটি লেখা ও প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত কর্মীদেরসহ অন্তত ৩৫ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। তার পরের কয়েকদিনে ছাঁটাই করা হয় আরও ১৫ জনকে।

নার্ত বৌরানের বৈঠকের পরই পত্রিকাটির প্রিন্টেড সংস্করণ প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপর ২১ জুন বন্ধ করে দেওয়া হয় আল রোয়েয়ার অনলাইন সাইটটিও।

এপির প্রতিবেদনে বলা হয়, চাকরিচ্যুত প্রত্যেক কর্মীকেই আলাদাভাবে ডেকে নিয়ে তাদের সামনে দু’টি বিকল্প হাজির করেছে ইন্টারন্যাশনাল মিডিয়া ইনভেস্টমেন্ট কর্তৃপক্ষ— হয় বেতন ও অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে অথবা চাকরিচ্যুত হয়ে আইনগত ব্যবস্থার মুখোমুখী হতে হবে। বলা বাহুল্য কর্মীদের সবাই প্রথম বিকল্পটিই গ্রহণ করেছেন।

এ সম্পর্কে মন্তব্য জানতে আইএমআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এপি। প্রতিষ্ঠানটির এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা এপিকে বলেন, ‘আল রোয়েয়া বন্ধের সিদ্ধান্তটি দুর্ভাগ্যজনক হলেও প্রয়োজনীয় ছিল।’


বিশ্ব সংবাদ   মধ্যপ্রাচ্য   আমিরাত   তেলের দাম   আল রোয়েয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুশরা বিবির পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরা দম্পতির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয়। ইমরান কারাগারে থাকলেও বুশরাকে ইসলামাবাদের বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা বলে তাকে বাড়িতেই বন্দী রাখার আদেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার।

গৃহবন্দী রাখার এ আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বুশরা বিবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার আইনজীবী নাঈম পানজুথা এ কথা বলেছেন।

বুশরা বিবির আইনজীবীরা তাকে কারাগারে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কারাগারেই আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান।

ইমরানের ইসলামাবাদের বাড়িটিকে সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গৃহবন্দী অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিষ মেশানো খাবার দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বুশরা। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


ইমরান খান   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিঙ্গাপুরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিঙ্গাপুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক বিমানঘাঁটিতে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।  

বুধবার (০৮ মে) সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক বিবৃতিতে জানায়, সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তেনগাহ বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানের পাইলট সফলভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। বিমানের পাইলটের সুস্থ আছেন এবং তিনি হাঁটতে পারছেন। বর্তমানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় অন্য কোনও কর্মকর্তা আহত হননি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমটি বলছে, উড্ডয়নের সময় বিমানটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন পাইলট জরুরি প্রক্রিয়া মেনে পদক্ষেপ নেন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অত্যাধুনিক বিমানবাহিনী রয়েছে সিঙ্গাপুরের। নগর রাষ্ট্রটিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বিরল। এর আগে, ২০১০ সালে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ উন্মুক্ত মাঠে জরুরি অবতরণ করে।


সিঙ্গাপুর   যুদ্ধবিমান   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণহারে অসুস্থতার ছুটি ক্রুদের, ৭৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অন্তত ৭৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কারণ ক্রুরা হঠাৎ গণহারে অসুস্থতার ছুটি নিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ারলাইনটির চাকরির নতুন নিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রুরা এবং এর প্রতিবাদ করছে তারা। তবে এয়ারলাইনটির কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কিছু কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানায়। এতে ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের ঘটনা ঘটছে। আমরা ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।

মুখপাত্র বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কারণ এটা আমাদের সার্ভিসের প্রতিফলন নয়।

এয়ারলাইনটি জানায়, ভুক্তভোগীদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে অথবা নতুন করে শিডিউল দেওয়া হবে।


অসুস্থ   ছুটি   ক্রু   ফ্লাইট   বাতিল   এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০ এর বেশি বোমা হামলার হুমকি

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ও স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই হামলার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। এছাড়া হুমকির বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। খবর এএফপি।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লোভাকিয়ায় মঙ্গলবার স্কুল ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মূলত ইমেইলে করে এসব হুমকি দেওয়া হয় এবং এতে দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হুমকির ঘটনায় তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি চিফ রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেছেন, 'সন্ত্রাসী হামলার মতো বিশেষ গুরুতর অপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।'  

রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেন, 'মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা বা ছয়টা থেকে স্কুলগুলোতে ইমেইল আসতে শুরু করে। এর মধ্যে বোমা হামলার প্রায় ১ হাজার হুমকি স্কুলগুলোতে এসেছে এবং ১০০টিরও বেশি ব্যাংক এই ধরনের হুমকি পেয়েছে।'

দেশটির পুলিশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লিখেছে, 'পুলিশ সম্পূর্ণ গতিতে কাজ করছে, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে এবং অপরাধীকে শনাক্ত করতে কাজ করছে।'

এএফপি বলছে, অপরাধীদের সম্ভাব্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।

ব্রাতিস্লাভা স্ব-শাসিত অঞ্চলের মুখপাত্র লুসিয়া ফরম্যান এএফপিকে বলেছেন, দেশটি পরিচালিত কয়েক ডজন স্কুলে বোমা হামলার হুমকি নথিভুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, 'আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি, শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এখন বিষয়টি দেখছে।'


স্লোভাকিয়া   বোমা হামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমধ্যসাগরে ডুবে মারা যাওয়া ২১ ভাগই বাংলাদেশি

প্রকাশ: ০২:২৩ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সবচেয়ে বেশি অভিবাসী হচ্ছে যেসব দেশের নাগরিকরা সেই বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ঝুঁকি নিয়ে যত মানুষ ইউরোপে ঢুকেছে, তার মধ্যে ২১ শতাংশ বাংলাদেশি। 

এই তথ্য জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মানুষ জলবায়ু পরিবর্তন ও সংঘাতের কারণে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেশি সংখ্যায় অভিবাসী হয়েছেন। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপুলসংখ্যক মানুষ অভিবাসী হচ্ছেন কি না, সেটা বোঝার জন্য তথ্য-উপাত্ত ও গবেষণার প্রয়োজন। 

বাংলাদেশ সফরে আসা আইওএমের এই শীর্ষ কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপের সময় এসব কথা বলেন। তিনি এর আগে ওই হোটেলে 'আন্তর্জাতিক অভিবাসন প্রতিবেদন-২০২৪' প্রকাশ করেন।  

আইওএমের চলতি বছরের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, গত বছর বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর প্রভাব ও সংঘাতের কারণে নতুন বাস্তুচ্যুতির সংখ্যা বেশি হয়েছে। এটা চমকে দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, লাখ লাখ মানুষ এখন জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে বাস করেন।

অ্যামি পোপের মতে, কোন কোন উপাদান মানুষকে অভিবাসনে বাধ্য করে, তার যথাযথ চিত্র নেই। তাই সঠিক চিত্র বোঝার জন্য সরকারগুলোকে বিনিয়োগ করতে হবে।

২১% বাংলাদেশি

বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে ইউরোপে অভিবাসন বাড়ছে। এ নিয়ে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, এসব অভিবাসীর অনেকেই মধ্যপ্রাচ্যে কাজ করছেন। ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপ পাড়ির প্রবণতা ২০১৫ সাল থেকে বেড়েছে। ২০২৩ সালে ৫ হাজার অভিবাসী মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৫২৪ জন মারা গেছেন ভূমধ্যসাগরে, যে রুট (পথ) দিয়ে সাধারণত বাংলাদেশের মানুষেরা ইতালিতে যান।

বাংলাদেশি কতজন মারা গেছেন জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশি মারা গেছেন ২৮৩ জন (ভূমধ্যসাগর হয়ে ইউরোপে যাওয়ার পথে)।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের ১৬ হাজার ২০০ নাগরিক এই পথ দিয়ে ইউরোপে পৌঁছেছেন উল্লেখ করে অ্যামি পোপ বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ৩ হাজার ৪২৫ জন। ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগর হয়ে অনিয়মিত অভিবাসনের তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল বাংলাদেশের মানুষ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অপতথ্য অভিবাসনের ক্ষেত্রে কতটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে জানতে চাইলে অ্যামি পোপ বলেন, মানব পাচারকারীরা পরিশীলিতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। কারণ, তারা সারা বিশ্বের পরিস্থিতিকে বিবেচনায় রাখে। কাজেই অভিবাসী হতে আগ্রহী লোকজনের জন্য যে পর্যাপ্ত বৈধ পথ নেই, শুধু সেটিই নয়, অভিবাসনের বৈধ উপায় সম্পর্কে জানার বিষয়ে যথেষ্ট অর্থ বিনিয়োগ করা হয় না। এমনকি বৈধ পথে অভিবাসনের জন্য তাদের কী ধরনের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং এর উপায় কী সে সম্পর্কে তথ্য তাঁরা যথাযথভাবে জানতে পারেন না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কিংবা ডিজিটাল মাধ্যমে মানব পাচারকারীদের প্রতিহত করতে হলে মানুষকে বৈধ অভিবাসনের পথ সম্পর্কে যথাযথভাবে জানাতে হবে বলে উল্লেখ করেন অ্যামি পোপ।


আইওএম   অ্যামি পোপ   ভূমধ্যসাগর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন