ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রানি এলিজাবেথের মৃত্যু; ক্ষতির মুখে যুক্তরাজ্য?

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail রানি এলিজাবেথের মৃত্যু; ক্ষতির মুখে যুক্তরাজ্য?

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর বদলে গেছে যুক্তরাজ্যের জাতীয় সঙ্গীত। এখন রানির পরিবর্তে ‘ঈশ্বর, রাজাকে রক্ষা করুন’ গাইছে সেখানকার জনগণ। শুধু জাতীয় সঙ্গীত নয়, রানির মৃত্যুতে একে একে আরও অনেক পরিবর্তন এসেছে বা আসতে চলেছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে।

রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সাত দশকের শাসনামলে জনসমাগমের বহু উপলক্ষ তৈরি হয়েছিল যুক্তরাজ্যে। গত জুন মাসে তার প্ল্যাটিনাম জুবিলি উৎসবের সময় দেশব্যাপী ক্লাসিক গাড়ি প্রদর্শনী, নৃত্যানুষ্ঠান, আনন্দ মিছিল, মিউজিক কনসার্ট, ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এ ধরনের অনুষ্ঠানে রাজতন্ত্র সম্পর্কে মতামত প্রায় অপ্রাসঙ্গিক। ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটের মানুষদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন রানি। দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বকালেও ব্রিটিশদের উপনিবেশ প্রত্যাহার অব্যাহত ছিল। অনেকের মতে, তিনি জ্যামাইকার মতো কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সাহায্য করেছিলেন। যুদ্ধ-পরবর্তী অভিবাসীদের জন্য কমনওয়েলথে রানির ভূমিকাও ছিলো অসামান্য। কারণ এটি শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, এসব মানুষ কেন তাদের দেশে গেছে। তারা নিছক চাকরিপ্রত্যাশী অভিবাসী নয়, একটি ইউনিয়নের মধ্যে থাকা সম্প্রদায়ের সদস্যও ছিল।

থিংক-ট্যাংক ইউনিভার্সিটি সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের হেভেন ক্রাউলির মতে, আশ্রয়প্রার্থীরা যুক্তরাজ্য সম্পর্কে যে কয়টি বিষয় সম্পর্কে জানে তার একটি হলো রাজতন্ত্র, আরেকটি ফুটবল।

যুক্তরাজ্যের অন্তর্গত দেশগুলোকেও ঐক্যবদ্ধ রাখতেও সহায়ক ভূমিকা রেখেছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। স্কটিশ ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন যেমন বলেছেন, রানির জন্য স্কটল্যান্ড বিশেষ কিছু ছিল এবং তিনি স্কটল্যান্ডের জন্য। ২০১৪ সালে স্কটিশ স্বাধীনতার প্রচারাভিযানের সময় স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) বলেছিল, স্কটল্যান্ড যুক্তরাজ্য ছাড়ার পরেও রাষ্ট্রের প্রধান থাকতে পারেন রানি এলিজাবেথ। এসএনপির অনেক সদস্যই প্রজাতন্ত্রের সমর্থক এবং এই অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। স্টার্জনের এক সহকর্মী বলেন, বিষয়গুলো একবার স্থির হয়ে গেলে স্বাধীন স্কটল্যান্ডের জন্য রাজতন্ত্র সর্বোত্তম হবে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

যুক্তরাজ্যের মাত্র এক-চতুর্থাংশ মানুষ প্রজাতন্ত্রের সমর্থক। তবে বয়স্কদের তুলনায় তরুণদের মধ্যে রাজতন্ত্রের প্রতি আগ্রহ কম। ২০২১ সালে ব্রিটিশ সোশ্যাল অ্যাটিচিউড জরিপে দেখা গেছে, ১৮ থেকে ৩৪ বছর বয়সীদের মধ্যে মাত্র ১৪ শতাংশ বলেছেন, দেশে এর দরকার রয়েছে। বিপরীতে ৫৫ বা তার বেশি বয়সী মানুষদের মধ্যে রাজতন্ত্রের প্রতি সমর্থনের হার প্রায় ৪৪ শতাংশ।

খুব শিগগির সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্রিটিশরা রাজতন্ত্রের বিলুপ্তি চাইবে, এমন সম্ভাবনা খুব কম। তবে রানির তুলনায় রাজার প্রতি তাদের সহানুভূতি কম হতে পারে।
৭৩ বছর বয়সী রাজা তৃতীয় চার্লস দ্বিতীয় এলিজাবেথের মতো অনেক লোকের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেননি। হতে পারে তিনি এর জন্য অতটা সময় পাননি। ২০১৮ সালে ইউগভের এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যের ৩১ শতাংশ লোক (এবং ৬৪ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে ৪৯ শতাংশ) রানিকে সামনাসামনি দেখেছেন। আর তৃতীয় চার্লসকে দেখেছেন মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ।

অ্যানাবেলে বাইরন নামে এক শিক্ষার্থী জানান, তিনি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের বিরোধী নন। তবে রানি মারা যাওয়ার পর এর ওপর তার আগ্রহ কমে গেছে। এক্ষেত্রে স্টিপল বাম্পস্টেডের ক্যাথলিন ও পিটার অ্যান্ডারসনের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই স্পষ্ট। ক্যাথলিন বলেন, আমরা অনেক বড় রাজতন্ত্রবাদী। তবে প্রথম স্ত্রী ডায়ানার সঙ্গে আচরণের জন্য তিনি রাজা চার্লসকে কখনোই ক্ষমা করতে পারবেন না। এমনকি মুকুট যদি চার্লসকে পাশ কাটিয়ে চলেও যেতো, তাতে একটুও কষ্ট পেতেন না ক্যাথলিন।

এরপরও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নতুন রাজার শুরুটা মন্দ হয়নি। দেশটির তিন-পঞ্চমাংশ লোক টেলিভিশনে রাজা তৃতীয় চার্লসের প্রথম ভাষণ দেখেছেন বা শুনেছেন। ভাষণে তিনি দেশের সেবা করার অঙ্গীকার করেছেন। যারা চার্লসের এই বক্তৃতা শুনছেন তাদের মধ্যে ৯৪ শতাংশই তাতে অনুমোদন দিয়েছেন। তবে এই মুহূর্তে একজন রাজার পারফরম্যান্স বিচার করা ব্রিটিশদের কাছে কিছুটা নতুন বিষয়ই বটে।

রানি এলিজাবেথ   মৃত্যু   ক্ষতিকর মুখে   যুক্তরাজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

খারকিভে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া

প্রকাশ: ০৮:৫৫ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

নতুন করে অগ্রসর হতে শুরু করেছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। রুশ সেনারা ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে সাঁজোয়া বহর নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার আকস্মিক এই অভিযান শুরু করে মস্কো। এর আগেও ইউক্রেন যুদ্ধের শুরুর দিকে একবার খারকিভের দখল নিয়েছিল রুশ সৈন্যরা। তবে ইউক্রেনের প্রবল প্রতিরোধের মুখে সেসময় শিহরটি ছেড়ে পিছু হটতে বাধ্য হয় মস্কো।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এত দিন রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণ ও পূর্ব দিকের অঞ্চলগুলোতে অভিযান চালালেও পুতিন এবার নতুন ফ্রন্ট খুলতে চাচ্ছেন।

এরই মধ্যে রুশ বাহিনী খারকিভ শহরের দিকে বেশ খানিকটা এগিয়েও গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ প্রথমবারের মতো বলেছেন, রাশিয়া সুমি ও চেরনিহিভের কাছাকাছি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের কাছে খারকিভ শহরের উত্তরে সেনা সমাবেশ করেছিল। রুশ সেনারা ভোর ৫টার দিকে সাঁজোয়া বহর নিয়ে হামলা শুরু করে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা খারকিভে রুশ বাহিনীকে মোকাবিলার জন্য অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে।

তারা আরও জানিয়েছে, রুশ বাহিনী খারকিভের সীমান্তবর্তী শহর ভভচানস্কে ব্যাপক গোলা ও বোমা হামলা চালিয়েছে। অবশ্য ইউক্রেন মাসখানেক আগেই এই অঞ্চলে রাশিয়া সেনা সমাবেশ করছে বলে জানিয়েছিল।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি কিয়েভে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রাশিয়া পাল্টা আক্রমণের একটি নতুন ঢেউ শুরু করেছে। বর্তমানে সেখানে ভয়ংকর যুদ্ধ চলছে। জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে ১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ রণক্ষেত্রে তীব্র লড়াই চলছে বলে তাকে রিপোর্ট করেছেন শীর্ষ কমান্ডার ওলেকজান্দর সিরস্কি। খারকিভের গভর্নর ওলেহ সাইনোহুবো জানিয়েছেন, খারকিভের আশপাশে রুশ সেনারা ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে। তিনি জানান, দুই বছরেরও বেশি সময় আগে যুদ্ধ শুরুর পর খারকিভের শহরতলী ভভচানস্কের জনসংখ্যা ১৭ হাজার থেকে কমে মাত্র কয়েক হাজারে নেমে এসেছে।

রাশিয়া আক্রমণ শুরুর পর সেই কয়েক হাজারের মধ্য থেকে ১ হাজার ২০০ জনের বেশি লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর খারকিভে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। পরে গত বছর ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের মুখে রুশরা পিছু হটতে থাকে। অবশেষে রুশ বাহিনী আবারও আক্রমণাত্মকভাবে খারকিভের দিকে অগ্রসর হওয়া শুরু করল।


খারকিভ   রাশিয়া   ইউক্রেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পৃথিবীতে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আঘাত

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

পৃথিবীতে দুই দশকের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী সৌরঝড়ের আলোর ঝলকানি দেখল বিশ্ব। উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়ার মানুষ শুক্রবার রাতে এই সৌরঝড়ের ফলে সৃষ্ট মেরুজ্যোতি দেখতে পেয়েছেন। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে এই আলোক ঝলকানির ছবি শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা গেছে, সমগ্র আকাশ বিভিন্ন রঙে ছেয়ে গেছে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণে স্যাটেলাইট ও বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জার্মানভিত্তিক সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশ ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রচুর পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময় এই রকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়। শুক্রবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী রাত ১০টার দিকে কোরোনাল মাস ইনজেকশন পৃথিবীতে আঘাত হানে। সূর্যের বাইরের বায়ুমণ্ডল থেকে চুম্বকীয় প্লাজমার বড় অগ্ন্যুৎপাত এটি। পরে এটি জিওম্যাগনেটিক স্টর্মে পরিণত হয়।

এদিকে এই সৌরঝড়ের কারণে উত্তর ইউরোপ এবং অস্ট্রেলিয়াতে অরোরা আলোর ঝলকানি বা মেরুজ্যোতি দেখা গেছে।

এই সৌরঝড়ের দেখার পর স্যাটেলাইট অপারেটর, এয়ারলাইনস এবং পাওয়ার গ্রিডকে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রের পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট সম্ভাব্য ব্যাঘাতের জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আমেরিকান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইনজেকশন এবং সূর্যের মধ্যে সোলার ফ্লেয়ার ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ২০১৭-এর পর এখন পর্যন্ত সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌরশিখা দেখা গেছে।

সৌরঝড়ের কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এতে পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবাসহ কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও।

ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সঙ্গে যুক্ত চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ওঠানামা করে দীর্ঘ তারে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করে, যার ফলে ব্ল্যাকআউট হতে পারে। দীর্ঘ পাইপলাইনগুলো বিদ্যুতায়িত হতে পারে, যা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মহাকাশযানও উচ্চমাত্রার বিকিরণের ঝুঁকিতে রয়েছে, যদিও বায়ুমণ্ডল সৌরঝড়কে পৃথিবীতে পৌঁছতে বাধা দেয়।

নাসার কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, তারা মহাকাশচারীর নিরাপত্তার দিকে নজর রাখছেন এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে থাকা মহাকাশচারীদের স্টেশনের মধ্যে সব থেকে বেশি সুরক্ষিত জায়গায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে।


পৃথিবী   সৌরঝড়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় দুই শতাধিক মানুষের মৃত্যু : জাতিসংঘ

প্রকাশ: ০৫:২৯ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় একদিনে দুইশরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।  মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্যার ফলে বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে। তালেবান কর্তৃপক্ষ এ পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, শুধুমাত্র বাঘলানেই ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মোহাম্মদ ফাহিম সাফি, আইওএম-এর জরুরি প্রতিক্রিয়ার নেতৃত্বদানকারী জাতীয় প্রোগ্রাম অফিসার, সরকারি পরিসংখ্যান উল্লেখ করে শনিবার বলেন, 'বাঘলানি জাদিদ জেলায় দেড় হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা ধ্বংস হয়েছে এবং ১০০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছেন।'

শনিবার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আফগানিস্তানের উত্তরে অবস্থিত বাঘলান প্রদেশে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে তৈরি হওয়া ফ্লাশ ফাডে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়েছে। এক তালেবান কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, এর ফলে একাধিক মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বন্যা কবলিত এলাকার রাস্তায় ঘোলা পানির বিশাল স্রোত বইছে। কালো এবং সাদা কাপড়ে ঢাকা মৃতদেহের ছবিও দেখা গেছে।

এর আগে, বন্যার কারণে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে আফগানিস্তানে একাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রায় কোনো অঞ্চলই বন্যার হাত থেকে সম্পূর্ণভাবে রেহাই পায়নি। বন্যার কারণে হাজার হাজার আফগান নাগরিকের এখনো মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। 


আফগানিস্তান   বন্যা   মৃত্যু   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিলেন কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ০৫:০৮ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুর্নীতির মামলায় ৫০ দিন পর  শুক্রবার (১০ মে) জেল থেকে মুক্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জেল থেকে মুক্তির পরপরই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। শনিবার (১১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। 

কেজরিওয়ারের জেলমুক্তির পর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন সমর্থকরা। রাজপথে তাকে ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়ালসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারাও।

এসময় সমর্থকদের উদ্দেশে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আপনারা আমাকে আশীর্বাদ দিয়েছেন। আমি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের ধন্যবাদ জানাই। তাদের জন্যই আমি আপনাদের সামনে। আমাদের দেশকে একনায়কতন্ত্র থেকে বাঁচাতে হবে।

এএপি নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ দাবি করেছেন, জেল থেকে কেজরিওয়ালের মুক্তি ইন্ডিয়া জোটের জন্য 'গেমচেঞ্জার' হয়ে উঠবে। ফলে ভোটের মাঠে বাড়তি সুবিধা পাবে বিরোধী দলগুলো।

আগামী ১ জুন পর্যন্ত জামিনে থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। এর পরদিনই তাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর মধ্যে নতুন করে জামিন না পেলে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগণনার দিন (৪ জুন) জেলেই কাটাতে হবে কেজরিওয়ালকে।


স্বৈরাচার   দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   দুর্নীতি মামলা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হানল হিজবুল্লাহ

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ইসরায়েলের রামিয়া সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে শনিবার (১১ মে) রকেট ও কামান হামলা চালিয়েছে তারা। এসব রকেট ও কামানের গোলা এই ঘাঁটিতে সরাসরি আঘাত হেনেছে বলে দাবি হিজবুল্লাহর। তবে হামলার ব্যাপারে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

গতকাল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এরপরের দিনই ইসরায়েলি ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। ইসরায়েলি বিমান হামলা গতকাল আঘাত হানে একটি মোবাইল ফোন ট্রান্সমিশন সাইটে। যেটি লেবাননের তায়ার হারফাতে অবস্থিত। ওই হামলায় একজন প্যারামেডিক এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মী প্রাণ হারান।

ওই হামলার পরই প্রতিশোধ নিতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা সামরিক ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও হিজবুল্লাহ এখনো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের ঘোষণা দেয়নি তবে যে কোনো সময় লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে বড় যুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।


ইসরায়েলি   হিজবুল্লাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন