ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সর্বোচ্চ খরার রেকর্ড হবে ২০২২ সালে?

প্রকাশ: ১১:৩৭ এএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail সর্বোচ্চ খরার রেকর্ড হবে ২০২২ সালে?

গোটা ইউরোপ ও চীনের কিছু অংশে এবারের গ্রীষ্মের তাপমাত্রার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। খরার কারণে আফ্রিকায় লাখ লাখ লোক খাদ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে বৃষ্টি নেই বললেই চলে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এবার উষ্ণ ও শুষ্ক ঋতু রেকর্ড করতে পারে, কিন্তু গত কয়েক মাস কি রেকর্ড পরিমাণে শুষ্ক আবহাওয়া ছিল? বা পৃথিবী আসলে কতটা শুষ্ক? এসব বিষয় নিয়ে এক ধরনের উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

বিজ্ঞানীদের খরা পরিস্থিতির একটি পরিমাপ মাটির আর্দ্রতার স্তরের উপর ভিত্তি করে করা হয়। স্যাটেলাইটের মাধ্যমেও খরার চিত্র ফুটে উঠে।

সম্প্রতি আবহাওয়ার ধরণ কতটা চরম হয়েছে তার একটি চিত্র তৈরি করতে গত তিন মাসের এই শুষ্ক অবস্থাকে এই শতাব্দীর শুরু থেকে গড় অবস্থার সঙ্গে তুলনা করা হয়। যেখানে মাটির অবস্থা ও তাপমাত্রার তথ্য-উপাত্ত উভয়ের ওপর ভিত্তি করে মাটির আর্দ্রতার অসঙ্গতি তথ্য তুলে ধরা হয়।

দেখা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ ইউরোপ এই গ্রীষ্মে ২০০১ সাল থেকে ২০১৬ সালের এই সময়ে গড় আবহাওয়ার তুলনায় অনেক বেশি শুষ্ক ছিল। অন্যত্র, চীনের পশ্চিমে আবহাওয়া খুব শুষ্ক হয়েছে, অনেক অঞ্চল আবার চরম খরার সম্মুখীন হয়েছে। সাব-সাহারান আফ্রিকা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অংশেও শুষ্ক অবস্থা বিরাজমান ছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিবেশবিষয়ক কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে ৫০০ বছরে খরার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে এবার। আগস্টের শেষের দিকে ইউরোপের প্রায় অর্ধেকে চরম শুষ্কতা দেখা দেয়।

বিজ্ঞানীরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তন মানে ইউরোপ আরো ঘন ঘন ও ক্রমাগত খরার মুখে পড়তে থাকবে। এ বছরের শুষ্ক পরিস্থিতি এরই মধ্যে কৃষি, পরিবহন ও জ্বালানি উৎপাদনকে ব্যাহত করছে। রাইন, একটি প্রধান নদী ও কার্গো রুট। এবারের গ্রীষ্মে নদীটির পানি নিম্ন স্তরে নেমে গেছে, যার ফলে শিপিং কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। গত জুন থেকে আগস্টের মধ্যে সময়কাল ছিল রেকর্ডে সর্বোচ্চ উষ্ণতম। আগস্টে ইইউর একটি প্রতিবেদনে আরও অন্তত তিন মাস ‘উষ্ণ ও শুষ্ক’ অবস্থার পূর্বাভাস দেওয়া হয়। ইউরোপে অতীতেও খরার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কয়েক বছর ধরে উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হচ্ছে, যেটি সংকটকে আরও ঘনীভূত করছে। রাইনে খরার কারণে ৩০ সেন্টিমিটার পানি শুকাতে বাকি আছে মাত্র।

পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের গবেষক ড. ফ্রেড হ্যাটারম্যান বলেছেন, ‘আমরা গত পাঁচ বছর ধরে একটানা খরার সম্মুখীন হচ্ছি এবং এ বছরে শত শত বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। বিষয়টি শুধু কম বৃষ্টি হওয়া নয়, আরও বেশি উষ্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাই সামগ্রিক মাটির আর্দ্রতা হ্রাস পেয়েছে’।

চীনে খরা আবার বন্যা দুই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয় এবার। এই গ্রীষ্মে, চীনে উচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়েছে। এমন পরিস্থিতি দুই মাসেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। ৬০-র দশকে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে এটির স্থায়ীত্ব বেশি বলছে, চীনের আবহাওয়াবিষয়ক প্রশাসন।

চরম তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের অভাবে চীনের বৃহত্তম নদী ইয়াংজি সংকুচিত হয়ে গেছে। চীনের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আগস্ট মাসে নদী সংলগ্ন এলাকায় ৬০ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। দক্ষিণ চীনের বিশাল এলাকা খরার সঙ্গে লড়াই করলেও, উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা দেখা দিয়েছে। উত্তর চীনের লিয়াও নদী ১৯৬১ সাল থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে জল নিচে নামার দিক থেকে।

চীনের বার্ষিক জলবায়ু পরিবর্তন সমীক্ষা বলছে, দেশজুড়ে ২০১২ সাল থেকে বৃষ্টিপাত ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। গত জুলাই মাসে, চীন সরকার ৮টি খরা সতর্কতা এবং ১৩ হাজার ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করে। ২০১৯ সালের একই সময়ে ২৮টির বেশি খরা সতর্কতা এবং ১০ হাজার ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি ছিল দেশটিতে।

চরম ভেজা ও শুষ্ক উভয় অবস্থাই বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বলে লক্ষ্য করা যাচ্ছে।ইউএস ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর জল বিশেষজ্ঞ পিটার গ্লিক বলেছেন,‘সাইবেরিয়া ও পশ্চিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো যখন খরার অঞ্চল বৃদ্ধি পায়, তখন সেই জল একটি ছোট এলাকায় অন্যত্র পড়ে, বন্যার মতো অবস্থা সৃষ্টি করে’।
আফ্রিকায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্ব ইথিওপিয়া, উত্তর কেনিয়া ও সোমালিয়ায় খরা পরিস্থিতির কারণে জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ খাদ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারে।

অক্সফাম বলছে, ‘আমরা এখন মহাদেশের সেই অংশে উচ্চ তাপমাত্রাসহ খুব কম বৃষ্টিপাতের তৃতীয় বছরে আছি’।
সোমালিয়ায় গত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত এই মৌসুমে বৃষ্টিপাত গত ছয় দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে। কঙ্গো ও উগান্ডার বড় অংশ গড়ে বেশি শুষ্ক অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ সুদান, মৌরিতানিয়া ও সেনেগালের মতো কিছু দেশে কীভাবে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে এবার। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেক অংশে স্বাভাবিক মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
২০২১ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সামগ্রিকভাবে ‘১৯৭০-৭৯ সালের তুলনায়, খরা ও বন্যার সংখ্যা ২০১০-১৯ সালের মধ্যে যথাক্রমে প্রায় তিনগুণ এবং দশগুণ বেড়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে খরা পরিস্থিতিও প্রকট আকার ধারণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমে খরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অঞ্চলে বছরের পর বছর শুষ্ক ও উত্তপ্ত আবহাওয়া বিরাজ করছে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে, বিজ্ঞানীরা বলেন আমেরিকার পশ্চিমে গত দুই দশকে ১২শ বছরের মধ্যে সবচেয়ে চরম খরা পরিস্থিতি দেখা গেছে। এই গ্রীষ্মে, গরম ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বনে আগুন লেগেছে এবং জল সঞ্চয়ের মাত্রা কমে গেছে।
নাসার তথ্য বলছে, লেক পাওয়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাধার যা অ্যারিজোনা ও উটাহকে ঘিরে রয়েছে। এটি ৬০ এর দশকের পর থেকে সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। জলবায়ু মডেলগুলো আভাস দেয় যে আগামী দশকগুলোতেও এই অঞ্চলে গড় হিসাব থেকে অনেক কম বৃষ্টিপাত হবে।

তাপমাত্রা   বিশ্ব খরা   জলবায়ু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এল নিনোর কারণেই বাংলাদেশে এত গরম!

প্রকাশ: ০৯:৩৬ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে অসহনীয় তাপমাত্রা সহ্য করতে পারছেন না মানুষ। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আগে ভারত, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডেও।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এসব দেশে এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি তাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এল নিনো এই অঞ্চলে উষ্ণ পানি ও শুষ্ক অবস্থা নিয়ে আসে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে।

এখন প্রশ্ন হলো- এল নিনো কী? ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।

পেরুর উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা এল নিনো সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সমুদ্রের পানির অস্বাভাবিক উষ্ণতা দেখে। আবহাওয়ার এই বিশেষ অবস্থাকে স্প্যানের অভিবাসীরা এল নিনো নামে ডাকতেন। যার বাংলা অর্থ ‘ছোট বালক’। পরবর্তীতে এল নিনোর মাধ্যমে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের বিষয়টি বোঝানো শুরু হয়। এল নিনোর কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ করা যায়।

এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এল নিনোর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে। সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো।

এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আরও ৭২ ঘণ্টা এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বৃদ্ধি পেতে পারে।

গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।


বাংলাদেশে   গরম   এল নিনো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৮:৪৯ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকার ৪০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। মূলত নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

এবার কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ। মার্কিন ক্যাম্পাসের আন্দোলনের মিল রেখে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও তাঁবু টানিয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ম্যাকগিল এবং কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তহবিল প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর এভাবে তাঁবু টানানো অনুমোদিত নয়। এই ধরনের কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।  

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন মন্ট্রিয়েল শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান (তাঁবুতে) কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। গ্রুপটি বলছে, তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গণহত্যায় অংশীদার হতে দিতে চায় না। ফিলিস্তিনপন্থী একাধিক গ্রুপ এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।

ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের অন্দোলন সম্পর্কে অবগত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে অনুমোদন করে সেই সীমা পর্যন্ত তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে তারা সম্মান করবে।


কানাডা   বিশ্ববিদ্যালয়   ইসরায়েল   বিরোধী   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছি: ইউক্রেনের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৮:৩৭ এএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার অব্যাহত হামলায় রণক্ষেত্র থেকে ইউক্রেনের সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি। রোববার (২৮ এপ্রিল) তিনি এ কথা বলেন। খবর বিবিসি

টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের সেনাপ্রধান বলেন, রাশিয়ার ক্রমাগত হামলায় রণক্ষেত্রে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ফলে সেনারা পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে। রাশিয়ার হামলার মুখে সাম্প্রতিক সময়ে পূর্ব

ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে বেশ কিছু অবস্থান থেকে সৈন্যদের প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্র সংকটে ভুগতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে আরও দুর্বল হচ্ছে। ফলে এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে রাশিয়া।

ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল সাইরস্কি আরও বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। দোনেৎস্কের কিছু অবস্থান থেকে পিছু হটে প্রতিরক্ষাব্যুহ তৈরি করছেন ইউক্রেনের সেনারা।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে মতপার্থ্যক্যের জেরে গত ফেব্রুয়ারিতে পদত্যাগ করেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি জালুঝনি। এরপরই তার স্থলাভিষিক্ত হন জেনারেল ওলেক্সান্দার সাইরস্কি।

এদিকে কিয়েভকে নতুন করে অস্ত্র দেওয়া সংক্রান্ত ৬১ বিলিয়ন ডলারের একটি বিল কয়েক মাস আটকে থাকার পর গত সপ্তাহে তাতে অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। যত দ্রুত সম্ভব কিয়েভে নতুন করে অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। এতে করে জরুরি হয়ে পড়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাবে ইউক্রেনীয় বাহিনী।


রাশিয়া   হামলা   ইউক্রেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে ভোটের হার কেন এত কম?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ হচ্ছে না। কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন দেশটির ক্ষমতাসীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী বিজেপির নেতারা।   

দেশটিতে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার যোগ্য। অথচ অধিকাংশ ভোটারদেরই কোনো আগ্রহ নেই নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু কেন নির্বাচন নিয়ে দিন দিন এত অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন ভারতের ভোটাররা? বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশেই কেন ভোট নিয়ে এত অনীহা জনগণের মাঝে?

টানা ৭৫ বছর ধরে গণতান্ত্রিক শাসনে থাকা দেশটিতে এবারের নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটের হার ছিল মাত্র ৬৪ শতাংশ এবং দ্বিতীয় ধাপে ভোটের হার ছিল ৬৩ শতাংশ। যা আগের বছরের নির্বাচন গুলোর তুলনায় অনেক কম। 

নির্বাচন কমিশন দাবি করছে, অসময়ের গরম আবহাওয়া এবং বিয়ের অনুষ্ঠানের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হচ্ছে। অবশ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যু নেই মোদির কাছে। তাঁর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভোটাররা আত্মতুষ্টি বা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কারণে কেন্দ্রে আসছেন না। ফলে ভোটার সংখ্যা কম। 

দ্বিতীয় ধাপে দেশটির ১৩টি রাজ্যের মোট ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ভোটের হার দেখা গেছে শুক্রবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত বালুরঘাটে ভোটদানের হার ছিল ৭৯ দশমিক ৯ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৬ দশমিক ১৮ শতাংশ। অথচ ২০১৯ সালে বালুরঘাটে ভোট পড়েছিল ৮৩ দশমিক ৬০ শতাংশ, দার্জিলিংয়ে ৭৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ৭৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশের মতো, যা প্রথম দফার ভোটের চেয়েও ৬ শতাংশ কম। বিহারেও ভোট পড়েছে ৫৫ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে আরও কম, সাড়ে ৫৪ শতাংশের মতো। মধ্যপ্রদেশে সামান্য বেশি, সাড়ে ৫৭ শতাংশ। ফলে কম ভোটের এই হার সকল মহলকে কিছু হলেও উদ্বিগ্ন করছে। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের দিখৌলী নামের একটি গ্রামে ভোট পড়েছে মাত্র পাঁচ শতাংশ। ভোট কম পড়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ভোটদানে উৎসাহ নেই বেশির ভাগ গ্রামের মানুষের। অনেকেই আবার কৃষিকাজে ব্যস্ত।

ভারতের বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, নরেন্দ্র মোদি টানা ১০ বছর ধরে ভারত শাসন করছেন। এবারের নির্বাচনে আবারও তিনিই জয়লাভ করবেন এবং তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করবেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনের ব্যাপারে জনগণের একটি বড় অংশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি এবার ভোটারদের কেন্দ্রে টেনে আনার মতো শক্তিশালী কোনো ইস্যুও সামনে আনতে পারেননি এনডিএ বা ইন্ডিয়া জোটের কেউই। তাছাড়া এবারের লোকসভা নির্বাচনে আবহাওয়া একটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে। তীব্র গরমের কারণে অনেক ভোটার ভোট দিতে বের হচ্ছেন না। ফলে সব কিছু মিলিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য হারে নির্বাচনে ভোটের হার কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মনে করছেন ভারতের নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা।

ভারতের নির্বাচন   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন