সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
মিয়ানমার জান্তা-বিরোধীদের পোস্ট অথবা অন্য কোনও কনটেন্টে লাইক অথবা শেয়ার করলে তার
শাস্তি স্বরুপ ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে বলে দেশের মানুষকে সতর্ক করে দিয়েছে
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।
আজ মঙ্গলবার
মিয়ানমারের জনসাধারণকে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি নৈতিক সমর্থন দেখানোর বিরুদ্ধে সতর্ক
করে এই হুমকি দিয়েছে দেশটির জান্তা।
ক্ষমতাসীন জান্তার
তথ্যমন্ত্রী ও মুখপাত্র জাও মিন টিন বলেছেন, ‘সন্ত্রাসীরা’ দেশকে অস্থিতিশীল এবং নিরপরাধ
মানুষকে হত্যা করার জন্য তহবিল চেয়ে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। তাই তাদের প্রতি সমর্থন
কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।
তিনি বলেন,
জাতীয় ঐক্যের সরকার (এনইউজি) অথবা তাদের সশস্ত্র সহযোগী সংগঠন পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেসের
(পিডিএফ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কর্মকাণ্ডে সমর্থন জানানোর জন্য তিন থেকে ১০ বছর
পর্যন্ত জেল হতে পারে। এমনকি যারা সামান্য পরিমাণ অর্থও সহায়তা করবে, তাদের অবস্থা
আরও ভয়াবহ হবে।
মঙ্গলবার এক
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, আপনি যদি সন্ত্রাসীদের অর্থ সহায়তা অথবা তাদের কাজ সমর্থন
করেন, তাহলে আপনাকে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আমরা নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের
সুরক্ষার জন্য এটি করছি।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে
অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে ব্যাপক সহিংসতা চলছে মিয়ানমারে।
দেশটির গণতন্ত্রপন্থী বিভিন্ন সংগঠন ও ছায়া সরকার নেতৃত্বাধীন বিচ্ছিনতাবাদি গোষ্ঠীগুলোর
সাথে মিয়ানমারের জান্তাবাহিনীর সংঘাত অব্যাহত রয়েছে।
অভ্যুত্থানের
পর থেকে মিয়ানমারের জান্তা-বিরোধীরা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে তাদের
বার্তা আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এছাড়া দেশটির নাগরিক সাংবাদিকরা প্রায়ই
সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামীদের প্রতিবাদ ও জান্তার নৃশংসতার ছবি পোস্ট করেন।
জাতিসংঘ গত
বছরের অভ্যুত্থানের পর থেকে বিরোধীদের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমারের
জান্তাকে অভিযুক্ত করেছে। দেশটিতে গোপন বিচারের সময় হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার
এবং অনেক নাগরিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর
হামলায় সহায়তার অভিযোগে সম্প্রতি চার গণতন্ত্রকামী কর্মীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে
মিয়ানমারের জান্তা।
বিশ্ব এশিয়া মিয়ানমার জান্তা সরকার জান্তাবিরোধী সহিংসতা
মন্তব্য করুন
গাজায়
গণহত্যার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এ মামলায় এবার যোগ দেওয়ার
ঘোষণা দিয়েছে মিশর।
রবিবার (১২ মে) মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল গণহত্যামূলক আগ্রাসন বাড়িয়ে চলায় এই পদক্ষে নেয়া হয়েছে। মিশরের এই পদক্ষেপ ইসরায়েলের জন্য কঠোর কূটনৈতিক বার্তা বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
মিশরের এই ঘোষণার পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক অ্যালন লিয়েল এক প্রতিক্রিয়ায় আল জাজিরাকে বলেন, এই পদক্ষেপটি ইসরায়েলের জন্য একটি ‘অবিশ্বাস্য কূটনৈতিক আঘাত’।
ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আদালত মিশর
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।
সোমবার (১৩ মে) চতুর্থ পর্বে দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। প্রথম দফায় শতাধিক আসনে ভোটগ্রহণের পর দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছিল ৮৮টি আসনে এবং তৃতীয় দফায় ভোট হয়েছিল ৯৩টি আসনে।
সাত দফার মধ্যে এ দফায় অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তরপ্রদেশের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১১ এবং মধ্যপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ৮ টি করে আসনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। এছাড়া বিহারের ৫টি আসনে, উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ডে চারটি করে এবং জম্মু ও কাশ্মীরের একটি আসনে ভোট হচ্ছে।
লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা অধীর চৌধুরী, সমাজবাদি পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেস যাদবসহ ১ হাজার ৭১৭ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
পশ্চিমবঙ্গের যে ৮ আসনে ভোট হচ্ছে সেগুলো হলো- বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম ও বোলপুর।
এসব আসনে তারকা প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, মহুয়া মৈত্র, রাজমাতা অমৃতা রায়, অভিনেত্রী শতাব্দী রায় ও বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।
লোকসভা নির্বাচনের তিন দফার ভোটে মোট ২৮৩টি আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সাত দফার লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট হবে আগামী ২০ মে। ষষ্ঠ ও সপ্তম দফার ভোট হবে যথাক্রমে ২৫ মে ও ১ জুন। একযোগে ফলাফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।
মন্তব্য করুন
জাতিসংঘের
সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ায় আর্জেন্টিনার
প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ রোববার (১২
মে) আর্জেন্টিনা ছাড়াও হাঙ্গেরি ও চেক রিপাবলিকের
প্রধানমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে
তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেই এবং চেক রিপাবলিকের প্রধানমন্ত্রী পিটার ফিয়ালাকে ধন্যবাদ ইতিহাসের সঠিক পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিপক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য।”
গত
সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিষদে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং তাদের
পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার একটি প্রস্তাব উত্থাপিত
হয়। কিন্তু শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে প্রস্তাবটি গৃহীত হয়নি।
শুক্রবার
(১০ মে) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের
সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবটি উত্থাপিত
হয়। এতে বলা হয়,
‘স্বাধীন ফিলিস্তিনি গঠনের পক্ষে নিরাপত্তা পরিষদে আবারও ভোটাভুটি হোক। এতে আপনাদের
সমর্থন আছে কিনা।’
এই প্রস্তাবে ভোট দেয় ১৪৩টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় ৯টি দেশ। আর ভোট দানে বিরত ছিল ২৫টি দেশ। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়া ১৪৩টি দেশ মূলত স্বাধীন ফিলিস্তিনের প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও।
মন্তব্য করুন
শক্তিশালী
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে মেক্সিকো। রোববার (১২ মে) গুয়েতেমালা
মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী এলাকায় এ ভূমিকম্প অনুভূত
হয়। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রোববার সকালে চিয়াপাস উপকূলের কাছাকাছি এলাকায় ভূমিকম্প হয়েছে। এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ছয় দশমিক চার।
সংস্থাটি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭৫ কিলোমিটার গভীরে।
এদিকে গুয়েতেমালার দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের ফলে একাধিক স্থানে অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী কোয়েটজালতেনাঙ্গো এবং সান মার্কোসে অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া সড়কসহ ভূমিধসেরও খবর পাওয়া গেছে।
১৯৭৬ সালে গুয়েতেমালায় সাড়ে সাত মাত্রার এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে প্রায় ২৩ হাজার লোকের মৃত্যু হয়। স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ভূমিকম্প ছিল এটি।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চলতি সপ্তাহে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা কৌশলগত সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে এক সাক্ষাৎকারে বাইডেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ইসরায়েল যদি তার পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফাহ আক্রমণ করে, তাহলে কী হবে? জবাবে বাইডেন বলেন, ‘আমি তাদেরকে আর অস্ত্র সরবরাহ করব না।’