ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বে করোনায় বেড়েছে মৃত্যু, শনাক্ত ৪ লাখের নিচে

প্রকাশ: ১০:৫২ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail বিশ্বে করোনায় বেড়েছে মৃত্যু, শনাক্ত ৪ লাখের নিচে

গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে ৪ লাখের নিচে। অপরদিকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়েছে। তবে  ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এক হাজারের বেশি মানুষ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, জাপান, ইতালি, ব্রাজিল, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফ্রান্স। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ কোটি ১৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার।

বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ১৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে অর্ধ শতাধিক। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৪৫ হাজার ৫ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৮৬১ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে লক্ষাধিক। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ১৬ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯৭ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪১০ জন এবং মারা গেছেন ৪৫ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩০ হাজার ৯৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৩০৭ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৮০ লাখ ৯৬ হাজার ৭১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৮৩ হাজার ৭১১ জন মারা গেছেন।

জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৭৯ জন এবং মারা গেছেন ৯৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৪ হাজার ৫৫১ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৫০০ জন এবং মারা গেছেন ৩৩ জন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪০ হাজার ১৭ জন এবং মারা গেছেন ১১১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৯ লাখ ৯ হাজার ৭৩১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৪ জনের। একই সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ১২৬ জন এবং মারা গেছেন ৪৬ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৮ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮ হাজার ৮০০ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৭৮ জনের।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৭৯৫ জন এবং মারা গেছেন ৪৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৩ লাখ ৯৫ হাজার ২৮২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৪ জন মারা গেছেন। একইসময়ে তাইওয়ানে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৮ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৮ হাজার ৬১৩ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

করোনা পরিস্থিতি   বিশ্ব করোনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: তৃতীয় দফায়ও কম ভোট চিন্তায় ফেলছে বিজেপিকে

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ৯৩টি আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। 

মঙ্গলবার(৭ মে) ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন হয়। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের কালাবুরাগিতে ভোট দেন। এদিন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়েরও ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে।

আর এই তৃতীয় দফার ভোট থেকে নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ দফায় ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কম ভোট চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। 

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ও ২৬ এপ্রিল দুই দফায় ১৯০টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ হয়। দুই দফায় ভোটের হার ছিল ৬৬ দশমিক ১ ও ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দুই দফায় ভোট পড়েছিল ৬৯ শতাংশ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, তৃতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আসামে ৭৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ ছাড়া গোয়ায় ৭২ দশমিক ৫২ ও পশ্চিমবঙ্গে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও গুজরাটে ভোটের হার ছিল অনেক কম। এগুলোতে যথাক্রমে ৫৬, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে থাকবে, নাকি  বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে যাবে এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। ভারতের লোকসভা নির্বাচনগুলোর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যেসব নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে, সেগুলোতে বিজেপি কম আসন পেয়েছে।

তৃতীয় দফার ৯৩টির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের চারটির পাশাপাশি গুজরাটে ২৫, কর্ণাটকে ১৪, মহারাষ্ট্রে ১১, উত্তরপ্রদেশে ১০, মধ্যপ্রদেশে ৯, ছত্তিশগড়ে ৭, বিহারের ৫, আসামে ৪, গোয়ায় ২, দাদরা ও নগর হাভেলির একটি এবং দমন ও দিউয়ের একটি আসন রয়েছে। 

এনডিটিভি অনলাইন জানায়, এ দফার ভোটে কর্ণাটকে বিজেপি বড় ধাক্কা খেতে পারে। সেখানে দলটি জোটসঙ্গী জনতা দল সেক্যুলারের নেতা প্রজোয়াল রাবান্নাকে নিয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়েছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকশ নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এক সমাবেশে রাবান্নার পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাওয়ায় বিজেপি দলটির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে। এদিকে মহারাষ্ট্রে শারদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরের বিরোধিতায় বিজেপি চাপে রয়েছে। 

এছাড়াও, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপির সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি কোণে তরুণরা বেকারত্বে ধুঁকছে, নারীর প্রতি নৃশংসতা হচ্ছে। দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তাঁর বিজেপির সৃষ্টি। তাদের লক্ষ্য শুধু ক্ষমতায় যাওয়া। রাজনৈতিক ফায়দার জন্য তারা ঘৃণা উস্কে দেয়।  

ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি পালন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ চোখে দেখে না নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতারা প্রচারণায় নেমে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েই চলেছেন; নির্বাচন কমিশনের 'মডেল কোড অব কন্ডাক্ট' কে 'মোদি কোড অব কন্ডাক্ট'এ পরিণত করেছেন। 

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেওয়া নানা বক্তব্যে মোদি রাজনৈতিক মেরূকরণ করছেন, বিশেষ করে তিনি মুসলিমদের টার্গেট করছেন। ভোটের প্রচারণায় অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাদ দিয়ে সম্প্রতি তিনি ও তাঁর দল বিজেপি হিন্দুত্ববাদী প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছেন। গত এক দশকে ক্ষমতায় থেকে মোদি বেশ কিছু বিভাজন সৃষ্টিকারী বক্তব্য দিয়েছেন।

তৃতীয় দফায় ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও বিরোধীরা নানা অভিযোগ করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট বয়কটও হয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়া জোটের শরিক ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে বুথ লুটের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন। চতুর্থ দফায় ৯৬টি আসনে ভোট হবে ১৩ মে। 


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৮:৩২ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) মসজিদটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রাফা সিটির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ওই মসজিদে একটি ড্রোন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। মসজিদটি একটি মার্কেটের পাশে অবস্থিত। ওই সময় সেখানে মানুষের অনেক জটলা ছিল। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার ভয়ে মানুষ নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন।

তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি সতর্কতামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। মূলত হামলার পুর্ব সতর্কতা হিসেব এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ার পর সেখান থেকে সাধারণ মানুষ সরে যান।

আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, হামলার পরপর সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।

মসজিদটিতে কখন বড় হামলা চালানো হবে এখন সেটিই দেখার বিষয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

মঙ্গলবার সকালে রাফার মিসর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান নেয় ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে তারা ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাফাতে এখন অভিযান চালাচ্ছে দখলদার সেনারা। সেখানে তারা তিনটি টানেল পাওয়ার দাবি করেছে। ইসরায়েলিদের দাবি, এসব টানেলের মাধ্যমে মিসর হয়ে হামাসের কাছে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম যায়।

এদিকে আন্তর্জাতিক আইনে ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদি যুদ্ধরত কোনো পক্ষ এমন স্থাপনায় হামলা চালায় তাহলে এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

মঙ্গলবার রাফাতে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে প্রবেশের আগে সোমবার রাতে সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো।


রাফা   মসজিদ   ক্ষেপণাস্ত্র   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে কি বিস্ময় অপেক্ষা করছে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আজ। এর ফলে সাত ধাপের নির্বাচনের তৃতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। আজ লোকসভায় ১২টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২৮০টি আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হল। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হয় ২৬ এপ্রিল। এই দুই দফার নির্বাচনে কমবেশি ১৯০টি আসনে ভোট সম্পন্ন হয়। এবার আরও 92 টি আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হল। আর এই নির্বাচনের পর এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যেটি এসেছে তা হল যে, মোদি ম্যাজিক কি শেষ হয়ে গেল?

ভারতের নির্বাচনে কী ধরনের চমক আসতে পারে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা চলছে। নির্বাচনের আগে থেকে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়েছিল যে, এই নির্বাচন একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। নির্বাচনে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির জয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু নির্বাচনের সময় যত গড়াচ্ছে ততই মোদির বিজয় বা বিজেপির বিজয় নিয়ে সংশয়-সন্দেহের মেঘ ডালপালা মেলেছে। এখন বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ম্যাজিক নম্বর ২৭২ পাবে কিনা তা নিয়ে যেমন জল্পনা-কল্পনা চলছে, ঠিক তেমনই নির্বাচনের সমীকরণ মেলাতে বিশ্লেষকরা হিমশিম খাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশন স্বায়ত্তশাসিত-স্বাধীন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সাতটি ধাপের সবকটি আসনে ভোটগণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের আগাম ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। আর এ কারণে ১ জুন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন আগাম ফলাফলও জানা যাচ্ছে না। কিন্তু ভোটের গতিপ্রকৃতি দেখে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির লোকজনের চেহারায় অনেক শোকার্ত ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা আগের মতো উচ্ছ্বসিত নন।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, নরেন্দ্র মোদি এখনও ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা এবং তার একটা বিপুল জনপ্রিয়তা ও ক্যারিশমা রয়েছে। কিন্তু মোদির একক জনপ্রিয়তা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সব আসনে প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। তাছাড়া বিভিন্ন আসনে বিভিন্ন ধরনের বাস্তবতা ভোটের উপর প্রভাব ফেলছে।

নির্বাচনের আগে কিছু বিতর্কিত বক্তব্য বিজেপিকে কোণঠাসা করেছে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির মুসলিম বিদ্বেষী অবস্থান বিজেপিকে অনেকটাই বিতর্কিত করেছে। এর ফলে মুসলিম ভোটগুলো বিজেপির বিরুদ্ধে একাট্টা হচ্ছে বলেই অনেকে মনে করেন। তাছাড়া চাকরির বাজারে অস্থিরতা এবং বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি মোদিকে সংকটে ফেলেছে। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের কথা বলেও দুর্নীতিকে লালন-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান বিজেপির জন্য আরেকটি সংকটের কারণ।

তাছাড়া বিজেপি সরকার কিছু ধনিক শ্রেণিকে তোষণ করে এবং অধিকাংশ গরিব নিষ্পেষিত হচ্ছে- এমন একটি প্রচারণা খুব জোরেশোরেই দেখা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতা দখল একটা চ্যালেঞ্জের মুখে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নির্বাচনের ফলাফল কীভাবে তার পক্ষে আনেন সেটাই দেখার বিষয়। ভারতের নির্বাচনে কি মোদি আবার জিতবেন, নাকি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় বিস্ময়টি অপেক্ষা করছে।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বিজেপি   কংগ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল

প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৫ মে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে  সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেছে। 

দেশটির ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে ছোট পরিসরে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের শুরু হয়। এরপর থেকে এ বিক্ষোভ ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। 

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চ্যাং বলেন, 'আমাদের ক্যাম্পাসে বড় পরিসরে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। এমন পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও গভীরভাবে হতাশ।'

চ্যাং আরও বলেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিকল্প জায়গা খুঁজছিল। তবে শিক্ষার্থী, তাঁদের পরিবারের সদস্য, অতিথিরাসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে ধারণ করার মতো কোনো জায়গার ব্যবস্থা করা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আপার ম্যানহাটানে অবস্থিত কলাম্বিয়ার একটি ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   সমাপনী অনুষ্ঠান   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: দুই কেলেঙ্কারি নিয়ে অস্বস্তিতে বিজেপি

প্রকাশ: ০৩:২০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আর তৃতীয় দফায় ভারতজুড়ে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে,  যার মধ্যে রয়েছে গোটা গুজরাট রাজ্য।

তৃতীয় দফায় ভোট হচ্ছে গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, আসাম, গোয়া, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার রাজ্য এবং দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দাদরা-নগর হাভেলি ও দমন দিউয়ে।

এই ৯৩ আসনের মধ্যে ৮০ আসনে গত নির্বাচনে বিজেপি ও তাদের শরিকেরা জিতেছিল। কংগ্রেস জোট পেয়েছিল মাত্র ১১টি আসন। 

তৃতীয় দফায় গুজরাটের ২৬ আসনের মধ্যে ২৫ আসনে ভোট হচ্ছে। এই রাজ্যের সুরাট আসনে বিজেপি প্রার্থী আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন। গতবার সব আসনে বিজেপি জিতেছিল। তবে রাজ্যের দু-তিনটি আসনে জাতি বিক্ষোভ বিজেপিকে কিছুটা চিন্তায় ফেলেছে। রাজ্যের গান্ধীনগরে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

গুজরাটের চেয়ে বিজেপির বড় চিন্তা কর্ণাটক নিয়ে। দক্ষিণের এই রাজ্যের ২৮টি আসনের মধ্যে ১৪টির ভোট হয়ে গেছে। বাকি ১৪ আসনের ভোট হচ্ছে আজ। কর্ণাটকের যেসব আসনে ভোট, সেগুলোর অধিকাংশই বিজেপির জেতা। রাজ্যের ২৮ আসনের মধ্যে গত ভোটে বিজেপি জিতেছিল ২৫টি, জেডিএস ২টি, কংগ্রেস একটি। 

এই দফার ভোটের আগে যৌন কেলেঙ্কারিতে ফেঁসে যান রাজ্যে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিএসের নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার নাতি প্রোজ্জ্বল। তিনি এখন দেশ ছাড়া। তার বাবা রাজ্যের বিধায়ক এইচ ডি রেভান্না যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। এই কেলেঙ্কারির জেরে তৃতীয় দফার ভোটে বিজেপিকে বিপাকে পড়তে হয় কি না, সেটাই দেখার বিষয়।  

বিজেপির বড় পরীক্ষা উত্তর প্রদেশেও। এই দফায় ভোট ১০ আসনে। এর মধ্যে আগ্রা, ফতেপুর সিক্রি, ফিরোজাবাদ, এটা, বদায়ুন, বেরিলি, আঁওলা ও হাথরসে (যেখানে এক দলিত কিশোরীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল) গতবার বিজেপি জিতেছিল।

এবার উত্তর প্রদেশে বিজেপির লড়াই সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে। এই দলের নেতা অখিলেশ যাদবের স্ত্রী ডিম্পল গতবার জিতেছিলেন মৈনপুরী থেকে। এবারেও তিনি প্রার্থী। সমাজবাদী পার্টির জোটসঙ্গী এবার কংগ্রেস। বিজেপি গতবার রাজ্যে জিতেছিল ৬২ আসন। এবারের লক্ষ্য অন্তত ৭৫ আসন। যোগীরাজ্যে তা সম্ভব কি না, আজ সেটা বোঝা যাবে।

এছাড়া আজ ভোট মহারাষ্ট্রের ১১, মধ্যপ্রদেশের ৪, আসামের ৪, গোয়ার ২, বিহারের ৫ ও পশ্চিমবঙ্গের ৪ কেন্দ্রে। মহারাষ্ট্রের বারামতি আসনে প্রার্থী শারদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে।

মধ্যপ্রদেশের গুনায় প্রার্থী বিজেপির জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান লড়ছেন বিদিশায় ও কংগ্রেসের দিগ্বিজয় সিং রাজগড়ে। আসামের ধুবড়িতে ভাগ্য পরীক্ষায় নামছেন এআইইউডিএফ প্রার্থী বদরুদ্দিন আজমল। 

প্রথম দফার ভোটে মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা তেমন দেখা দেয়নি। দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে শাসক দলের প্রচারে তাই বড় হয়ে উঠেছিল মুসলমান জুজু, যাতে হিন্দু-মুসলমানের বিভাজন স্পষ্টতর হয়। তা সত্ত্বেও ভোটের হার আগেরবারের তুলনায় অনেক কম ছিল। 

ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো বলে একটি গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিওতে বলা হচ্ছে। আবার রাজ্যের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে এক নারী কর্মীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। কর্ণাটকে বিজেপির শরিক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে বিজেপির জন্য এসব ঘটনা মোটেই স্বস্তিদায়ক নয়।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন