ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালাচ্ছে রুশ নাগরিক

প্রকাশ: ১১:৩৪ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২


Thumbnail প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালাচ্ছে রুশ নাগরিক

ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার হামলায় প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা দেন, যাদের সামরিক অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রয়োজনে তাদের ডাকা হবে। এরপর থেকে রাশিয়া থেকে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছেন প্রায় দুই লাখ রুশ নাগরিক। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে কেবল কাজাখস্তানেই প্রবেশ করেছেন প্রায় ৯৮ হাজার রাশিয়ান।

ইউক্রেনে লড়াইয়ের জন্য আংশিক সৈন্য সমাবেশের ঘোষণার মাধ্যমে রিজার্ভ সেনাদের তলবের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে বিপুল সংখ্যক এসব রাশিয়ান দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলেছেন, রিজার্ভ সেনা হিসেবে ডাক এড়াতে চাওয়া এসব পুরুষ স্থল ও আকাশপথে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে ১ লাখ ৯৪ হাজারেরও বেশি রাশিয়ান নাগরিক প্রতিবেশী জর্জিয়া, কাজাখস্তান এবং ফিনল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন। পালানো এসব রুশ নাগরিকদের অনেকেই গাড়ি, সাইকেল বা পায়ে হেঁটে এসব দেশে পাড়ি দিয়েছেন।

এপি বলছে, মস্কো থেকে দক্ষিণে অবস্থিত জর্জিয়ার রুশ সীমান্তে গাড়ি চালিয়ে পৌঁছাতে ভেসেভোলোদ নামে এক রুশ নাগরিকের চার দিন সময় লেগেছে। একপর্যায়ে তাকে গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে চলতে হয়। তবে মঙ্গলবার তিনি তার ১৮০০-কিলোমিটার (১১০০-মাইল) যাত্রা শেষ করেন এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের জন্য রিজার্ভ সেনা হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া থেকে বাঁচতে সীমান্ত অতিক্রম করেন।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে তিনি বলছেন, ‘২৬ বছর বয়সে আমি একটি জিঙ্ক-লাইনযুক্ত (কফিনে) করে বাড়িতে যেতে চাই না বা সাম্রাজ্য গড়তে চাওয়া একজন ব্যক্তির যুদ্ধের কারণে কারও রক্তের দাগ আমি (আমার) হাতে নিতে চাই না।’

অনলাইন পরিষেবা ইয়ানডেক্স ম্যাপস অনুসারে, মঙ্গলবার রাশিয়ার উত্তর ওসেটিয়া অঞ্চল থেকে জর্জিয়ার সীমান্ত ক্রসিং ভার্খনি লার্সের দিকে ট্রাফিক জ্যামটি প্রায় ১৫ কিলোমিটার (৯ মাইলেরও বেশি) লম্বা অবস্থায় ছিল। রাশিয়ান সীমান্ত রক্ষীরা নিয়ম শিথিল করার পর এবং লোকদের পায়ে হেঁটে সীমান্ত পার হওয়ার অনুমতি দেওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ছবিতে শত শত পথচারীকে চেকপয়েন্টের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।

একইভাবে কাজাখস্তানে প্রবেশের জন্য কিছু সীমান্ত ক্রসিংয়েও গাড়ি ও মানুষের দীর্ঘ সারি রয়েছে বলে জানা গেছে। জর্জিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত সপ্তাহ থেকে ৫৩ হজারেরও বেশি রাশিয়ান দেশটিতে প্রবেশ করেছেন।

কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে ৯৮ হাজার রাশিয়ান তাদের দেশে প্রবেশ করেছেন। ফিনিশ বর্ডার গার্ড এজেন্সি জানিয়েছে, একই সময়ে ৪৩ হাজার বেশি রুশ নাগরিক তাদের দেশে এসেছে। মিডিয়া রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, আরও ৩ হাজার রাশিয়ান মঙ্গোলিয়ায় প্রবেশ করেছে।

রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের পলায়নের এই স্রোতের প্রবাহকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। আইনি বিষয়কে উল্লেখ করে তারা কিছু পুরুষকে সীমান্ত পার হতে বাধা দেয়। তবে এটি ব্যাপক আকারে করা হয়েছে বলে মনে হয়নি। অবশ্য গুজব অব্যাহত ছিল যে মস্কো শিগগিরই হয়তো সকল পুরুষ রুশ নাগরিকের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দিতে পারে।

রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে কাজাখস্তান এবং জর্জিয়া, উভয় দেশই সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ। যেসব রুশ নাগরিক গাড়ি, সাইকেল বা পায়ে হেঁটে সীমান্ত পারাপার করছেন তাদের জন্য এই দেশ দু’টিই সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।

অবশ্য যাদের ফিনল্যান্ড বা নরওয়ের ভিসা আছে তারাও স্থলপথে সেসব দেশে যাচ্ছেন। কারণ বিদেশে যাওয়ার জন্য প্লেনের টিকিট খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে।

সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। দীর্ঘ এই যুদ্ধের মাধ্যমে ইউক্রেনে দখল করা ভূখণ্ডগুলো হাতছাড়া হতেই সামরিক গতিবিধি বাড়ানের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

দেশটিতে নতুন যে সামরিক ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তাতে জানানো হয়েছিল, যাদের সামরিক অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদেরও যুদ্ধে ডাকা হবে। এই পরিস্থিতিতে তরুণ ও যুবক রুশ নাগরিকদের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালানোর হিড়িক পড়েছে। এতে করে রুশ সীমান্তে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা।

মঙ্গলবার আলজাজিরা জানায়, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া এড়াতে হাজার হাজার তরুণ দেশ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। জর্জিয়া ও ফিনল্যান্ড সীমান্তে দেশত্যাগের জন্য দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। তবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের কর্মী, ব্যাংকার আর গণমাধ্যমকর্মীদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে হবে না বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

এছাড়া রাশিয়ার বাইরে যাওয়া যাবে এমন ফ্লাইটগুলোর টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে এবং সীমান্ত চেকপয়েন্টগুলোতে গাড়ির স্তূপ জমে গেছে। জর্জিয়ার যেতে একমাত্র সীমান্ত রাস্তায় ৪৮ ঘণ্টা ধরে গাড়ির সারি রয়েছে। রাশিয়ার এই প্রতিবেশী দেশটি রুশ নাগরিকদের ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে দেয়।

এপি বলছে, সীমান্ত অতিক্রমকারী রাশিয়ানদের সংখ্যা ঘোষণা করার সময় মঙ্গলবার কাজাখস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মারাত আখমেতজানভ বলেছেন, রিজার্ভ সেনা হিসেবে তলব এড়াতে যারা (কাজাখস্তানে প্রবেশ করছেন) তাদের দেশে (রাশিয়ায়) ফেরত পাঠাবে না কাজাখ কর্তৃপক্ষ। তবে ফৌজদারি অভিযোগের জন্য আন্তর্জাতিক ওয়ান্টেড তালিকায় থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না।

কাজাখের প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ ‘বর্তমান হতাশাজনক পরিস্থিতির কারণে’ তার দেশে রাশিয়ানদের প্রবেশে সহায়তা করতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই তাদের যত্ন নিতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এটি রাজনৈতিক এবং মানবিক সমস্যা। আমি সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছি।’

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কাজাখস্তান রাশিয়ার সাথে আলোচনা করবে বলেও জানান তোকায়েভ।

এদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দেওয়ার পর সেটিতে কৃষকদেরও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার রুশ কর্মকর্তাদের বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই একথা বলেন। আর এতে করে ২০২৩ সালে রাশিয়ায় খাদ্যশস্য উৎপাদন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম গম রপ্তানিকারক দেশ। আর এ কারণে শরৎকাল রুশ কৃষকদের জন্য ব্যস্ত একটি মৌসুম। কারণ এসময়েই কৃষকরা পরের বছরের ফসলের জন্য শীতকালীন গম বপন করে। একইসঙ্গে এসময়ই সয়াবিন ও সূর্যমুখী বীজ সংগ্রহ করে কৃষকরা। তবে বৃষ্টির কারণে ইতোমধ্যেই শীতকালীন শস্য বপন উল্লেখযোগ্যভাবে বিলম্বিত হয়েছে।

মঙ্গলবার পুতিন বলেন, ‘আমি আঞ্চলিক প্রধান এবং কৃষি দপ্তরের প্রধানদের উদ্দেশে কিছু বলতে চাই। আংশিক সেনা সমাবেশের অংশ হিসাবে কৃষি কর্মীদেরও সেটিতে যুক্ত করে খসড়া তৈরি করা হচ্ছে। তাদের পরিবারকে অবশ্যই সমর্থন করতে হবে। আমি আপনাকে এই বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দিতে বলছি।

রুশ নাগরিক   পালানো  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে

প্রকাশ: ০২:০০ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি পাওয়া গেছে বলে সংবাদ প্রকাশ করেছে দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কিন্তু প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং অন্যান্যদের অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

তবে ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা, যিনি হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছেন, তিনি জানিয়েছেন হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার উদ্ধার অভিযান এখনো চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার ‘অসমর্থিত’ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর আল-জাজিরার

দেশটির রাষ্ট্রায়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

কিন্তু ওই সাংবাদিক জানিয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেখান থেকে উদ্ধারকারীরা আর মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে রয়েছেন।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি আছড়ে পড়ে। ওই সময় এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ছিলেন।

যেখানে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে উদ্ধারকারীরা পায়ে হেঁটে যান। জায়গাটি এতটাই দুর্গম যে সেখানে পৌঁছাতে উদ্ধারকারীদের কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছিলেন কর্মকর্তারা।

রোববার আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা হেলিকপ্টারে করে তাবরিজে যাচ্ছিলেন। সেখানেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা নিউজ জানিয়েছে, সেখানকার স্থানীয় মানুষজন জানিয়েছেন, তারা প্রচণ্ড জোরে কিছু আছড়ে পড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছিলেন।

প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার তথ্য জানার পরই ঘটনাস্থলে কমান্ডো বাহিনী ও উদ্ধারকারীদের পাঠানো হয়।


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইব্রাহিম রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে শঙ্কিত দেশটির কর্মকর্তারা

প্রকাশ: ০১:২৯ এএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) ইরানের প্রদেশ আজারবাইজান থেকে ফেরার পথে সীমান্ত এলাকায় প্রচণ্ড কুয়াশার কারণে এটি পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্মকর্তারা। খবর রয়টার্সের

সরকারি ওই কর্মকর্তা বলেন, দুর্ঘটনার কারণে ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তারপরও আমরা আশাবাদি। তবে সেখান থেকে যে খবর আসছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। 

রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকর্মীদের উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। একটি দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। সেখানে প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং ঠাণ্ডা পড়ছে। ফলে উদ্ধার কর্মীরা পৌঁছাতে পারছে না। 

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সব অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাইসির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে। যে এলাকায় হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে তার লাইভ সম্প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু এতে চারদিকে কুয়াশা দেখা যাচ্ছে। 

২০২১ সালে দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ৬৩ বছর বয়সী রাইসি। তার সময়ে দেশটিতে কঠোরভাবে নৈতিক আইন প্রয়োগ করা হয়। কঠোর নৈতিক আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে সরকার বিরোধী বিক্ষোভও তাকে সামাল দিতে হয়েছে। 


ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট?

প্রকাশ: ১০:৩৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনারকবলে পড়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা শহরে এটি নিয়ন্ত্রণহীনভাবে অবতরণ করে। হেলিকপ্টারে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নরসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমির ভাহিদি জানিয়েছেন, একাধিক উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। তবে তাদের সেখানে পৌঁছাতে সময় লাগবে। কারণ বর্তমানে সেখানে প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করছে।

এদিকে কী কারণে হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তা এখনও স্পষ্ট করা যায়নি। দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানি বার্তাসংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী বহরে তিনটি হেলিকপ্টার ছিল। এর মধ্যে দুটি নিরাপদে অবতরণ করেছে।

প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যু হলে, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রমে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। বর্তমানে এ দায়িত্ব পালন করছেন মোহাম্মদ মোখবার।

প্রশ্ন দেখা দিয়েছে রাইসির আকস্মিক মৃত্যু হলে কে হবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট? ইরানের রাজনৈতিক শ্রেণিবিন্যাস অনুসারে, রাষ্ট্রের প্রধান হলেন সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি এবং প্রেসিডেন্টকে সরকারের প্রধান সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

যখন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মারা যান, তখন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকবেন এবং ৫০ দিনের মধ্যে দেশকে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য নির্বাচনে যেতে হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারে না থাকা এবং হেলিকপ্টার থেকে যোগাযোগ করার যে তথ্য ছড়ানো হয়েছে সেগুলোর কোনোটিই সত্যি নয়। সত্য হলো রাইসি এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাকে খুঁজে পেতে অভিযানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি বলেছেন, বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে। খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাস্থলে যেতে সময় লাগবে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উদ্ধারকারী দল তাদের কাজ করছে। আমরা আশা করছি যত দ্রুত সম্ভব এটি সম্পন্ন হবে।

ইরান বিভিন্ন ধরনের হেলিকপ্টার ব্যবহার করে। তবে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা দেশগুলো নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখায় নতুন হেলিকপ্টার অথবা যন্ত্রাংশ ক্রয় করতে পারে না দেশটি। দেশটির সামরিক বাহিনীর অনেক হেলিকপ্টার ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের সময়েরও আগের।

উল্লেখ্য, ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ইরানের রাজনীতিতে খুবই প্রভাবশালী এই নেতাকে দেশটির পরবর্তী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা হিসেবে দেখা হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

প্রকাশ: ১০:১৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর এখনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানসহ তাদের সঙ্গীদের। ঘটনাস্থলে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজও ব্যাহত হচ্ছে।

রোববার দেশটির পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেখানে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে ৫ মিটারের বেশি দূরত্বে কিছু দেখা যাচ্ছে না বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে আল জাজিরা।

হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতোল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়েছে, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পার্বত্য অঞ্চল এবং বন–জঙ্গলে ঘেরা। ইরানের জরুরি সেবা সংস্থার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত ইরনাকে বলেছেন, ঘটনাস্থলের উদ্দেশে একটি উদ্ধারকারী হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। তবে ঘন কুয়াশার কারণে সেটি সেখানে পৌঁছাতে পারেনি।

ইরানের একটি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম টুইটারে বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, উদ্ধারকারী কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পূর্ব আজারবাইজানের রাজধানী তাবরিজ শহর থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য আহমদ আলী রেজা বেইগি বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনো প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের অবস্থান শনাক্ত করতে পারেননি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধাকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

৪০টি উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন আল–জাজিরার সাংবাদিক আলী হাশেম। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে আটটি অ্যাম্বুলেন্স ও একাধিক ড্রোন রয়েছে।

এসব সত্ত্বেও হেলিকপ্টারটি না খুঁজে পাওয়ার কারণ সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফুয়াদ ইজাদি বলেছেন, ‘হয়তো দুর্ঘটনাটি খুবই মারাত্মক হয়েছে বা যেখানে দুর্ঘটনাটি হয়েছে সেখানে যোগাযোগের নেটওয়ার্ক নেই। তাই হেলিকপ্টারটি খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।’

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর আজ হেলিকপ্টারটিতে করে ফিরছিলেন রাইসি। এ যাত্রায় প্রেসিডেন্টের বহরে থাকা অন্য দুটি হেলিকপ্টার অক্ষত রয়েছে।

হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত   ইরানের প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি আরবের বাদশাহ অসুস্থ

প্রকাশ: ০৯:৪১ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ। এক মাসের কম সময়ের মধ্যে তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেদ্দার আল-সালামের একটি ক্লিনিকে বাদশাহ সালমানের স্বাস্থ্যের কয়েকটি পরীক্ষা করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাদশাহ সালমান জ্বর ও অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা তার স্বাস্থ্যের কিছু পরীক্ষা করবেন। এর মাধ্যমে তিনি সুস্থ্ আছেন কি না, সেটি নিশ্চিত করা হবে।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান ২০১৫ সালে সৌদি আরবের সিংহাসনে বসেন। এর দুই বছর পর ২০১৭ সালের জুনে সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরসূরি হিসেবে মনোনীত হন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (৩৮)। মূলত এর পর থেকেই তিনি সৌদির কার্যত নেতা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে বাদশাহ সালমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময় তার কোলোনস্কপি করা হয়েছিল। 

সৌদি আরব   বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন