ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজেই কাবু ইউরোপ!

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ০৪ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail নিজেই কাবু ইউরোপ!

করোনার আঘাতের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের অর্থনৈতিক সংকটকে ক্রমেই প্রকট করছে। ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতির হার গত জুলাইয়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। গত মাসে এ হার ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। জার্মানি ও স্পেনে মূল্যস্ফীতি জানান দিচ্ছে বাড়তে থাকা খাবারের দাম। মিউনিখভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক রিসার্চ (আইএফও) জানিয়েছে, জার্মানির মূল্যস্ফীতি বছরের অবশিষ্ট সময়ে আবার কমতে পারে। তবে খাবারের দাম এখনো বাড়তির দিকে। অন্যদিকে ৩৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতির মুখে স্পেন। স্পেনের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, ১৯৮৪ সালের পর দেশটিতে জুলাই ২০২২-এ ভোগ্যপণ্যের দাম দ্রুতগতিতে বেড়েছে। মূল্যস্ফীতি এখন স্পেনের অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইউরোজোনের দেশগুলোতে বাড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির রাশ টেনে ধরতে এবার ১১ বছরের মধ্যে প্রথম সুদের হার বাড়িয়েছে ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক (ইসিবি)। ইসিবি তাদের মূল সুদের হার ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়েছে। এক দশকের মধ্যে প্রথম এক লাফে সুদের হার এতটা বেড়ে যাওয়া অনেকটা অপ্রত্যাশিত ছিল। মূল্যস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে জিনিসের দাম। এক বছর আগের তুলনায় এক বোতল দুধের দামও অনেক বেড়ে গেছে। ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া ব্রিটেনে মূল্যস্ফীতি গত জুলাই মাসে ১০ দশমিক ০১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যুক্তরাজ্যের জাতীয় পরিসংখ্যান দপ্তর (ওএনএস) জানিয়েছে, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংক বাদেই সরকারি খাতে দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৯৪ কোটি ৪০ লাখ পাউন্ড। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে যুক্তরাজ্য সরকারের ধার নেওয়ার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক উল¬ম্ফন দেখা গেছে। জ্বালানির আকাশচুম্বী মূল্যের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ভোক্তারা। এ মুহূর্তে যদি কর কমানো হয়, তাহলে তা মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেবে। যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি পারিবারিক আয়ে আঘাত হানার পাশাপাশি সরকারি ঋণে সুদের বিলও বাড়ছে। যুক্তরাজ্য তার ঋণের সুদ বাবদ গত জুলাইয়ে ৫৮২ বিলিয়ন পাউন্ড পরিশোধ করেছে, যা গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি।

রাশিয়ার গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে বিকল্প উৎসের সন্ধানে ইউরোপ যখন মরিয়া, তখনই এ উদ্যোগ নেওয়া হলো। অর্থাৎ সাহারা মরুভ‚মির উপর দিয়ে ইউরোপে বাড়তি গ্যাস সরবরাহে এগিয়ে এসেছে আফ্রিকার তিন দেশ আলজেরিয়া, নাইজার ও নাইজেরিয়া। পাইপলাইনটি বানাতে খরচ হবে ১ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। এ পাইপলাইনের মাধ্যমে বছরে ৩ হাজার কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস যাবে ইউরোপে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো তাদের মোট তরল প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি সরবরাহের ১৪ শতাংশ নাইজেরিয়া থেকে আমদানি করে থাকে। সাহারা পাইপলাইন তৈরি হলে গ্যাস সরবরাহ দ্বিগুণ বাড়বে। সাহারা মরুভ‚মির উপর দিয়ে পাইপলাইন তৈরির এ প্রকল্পটি প্রথম প্রস্তাব করা হয়েছিল ৪০ বছরেরও বেশি সময় আগে। ২০০৯ সালে দেশগুলোর মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তিও সই হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে এ প্রকল্পে আর কোনো অগ্রগতি হয়নি। কিন্তু এত দ্রুত তা বাস্তবায়ন করা কি সম্ভব? রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। তার মধ্যে গ্রীষ্মেও এ যন্ত্রণাদায়ক গরম ইউরোপের জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর তীব্র চাপ সৃষ্টি করেছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় রাশিয়া। এর আগে ২০০৮ সালে জর্জিয়ার দুটো অংশ আবখাজিয়া ও দক্ষিণ ওশেতিয়াকে একইভাবে বিচ্ছিন্ন করে রাশিয়া। কিন্তু তারপরও জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এখন পর্যন্ত রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪০ ভাগ গ্যাস এবং ২৭ ভাগ তেলের চাহিদা মেটাচ্ছে। ইউরোপজুড়ে এ জ্বালানি ঘর গরম রাখতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং শিল্পে ব্যবহার হয়। এ নির্ভরতা কাটাতে অন্তত আরও পাঁচ বছর প্রয়োজন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করতে পারে এমন আশঙ্কা একেবারে অপ্রত্যাশিত ছিল না। ইউক্রেনে হামলা শুরু হওয়ার পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে, কিন্তু সেই প্রক্রিয়া যথেষ্ট সময়সাপেক্ষ হবে বলে ধরে নেওয়া হয়েছে।

বিবিসির তথ্য মোতাবেক, ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য রপ্তানির পথ খুলতে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। পাঁচ মাস আগে যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনের রপ্তানি মুখ থুবড়ে পড়ে। ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন গুদামে প্রচুর খাদ্যশস্য মাসের পর মাস রপ্তানির জন্য পড়ে রয়েছে। কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ওডেসা বন্দরের গুদামেই এখন দুই কোটি টনের মতো খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। এগুলো এখন আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে, সেখানে রপ্তানি করা যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে মাত্রায় অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে, তাতে এ চুক্তি শেষ পর্যন্ত কতটা কাজ করবে এবং কতদিন টিকবে তা নিয়ে পর্যবেক্ষকদের মধ্যে যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।

পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞার পর সরবরাহ লাইন সংস্কারের নামে পোল্যান্ড, বুলগেরিয়া, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্কে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয় রাশিয়া। সম্প্রতি লাটভিয়ায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করেছে রাশিয়া। গ্যাজপ্রম জানিয়েছে, গ্যাস উত্তোলনের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে তারা প্রতিবেশী দেশটিতে সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। লাটভিয়ার জ্বালানি সংস্থা লাতভিজাস গেজ এর আগে জানিয়েছিল, তারা রাশিয়া থেকে গ্যাস কিনছে এবং গ্যাজপ্রমের সঙ্গে তাদের এ বাণিজ্যে রুবলের পরিবর্তে ইউরোতে অর্থ প্রদান করা হচ্ছে। এমন ঘোষণার একদিন পরই গ্যাজপ্রমের সরবরাহ বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। কিন্তু ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমালেও পাওয়ার অব সাইবেরিয়া পাইপলাইন দিয়ে চীনে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ ঠিকই বাড়িয়েছে রাশিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইউরোপের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ জার্মানিতে গত জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গত চার দশকে দেশটিতে এত মূল্যস্ফীতি দেখা যায়নি। ফ্রান্সে মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এটি ৩৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি। জার্মানির মাত্র ৪২ শতাংশ মানুষের নিজের বাড়ি রয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে নতুন যারা বাড়ি কিনতে চাচ্ছেন, তাদের পক্ষে বিষয়টি কঠিন হয়ে যাচ্ছে; কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাড়ির দামে লাগাম টানতে গৃহঋণের সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২১ সালে জার্মানিতে গ্যাসের ৫৫ শতাংশই ছিল রাশিয়া থেকে আসা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, এখন সে হার ৩৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া হঠাৎ করেই গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। সেবা খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়মিতই বিপত্তিতে পড়ছে। অর্থনৈতিক সংকটের দিকে যাচ্ছে জার্মানি। দেশটিতে গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়েছে এবং কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম রপ্তানির চেয়ে বেশি আমদানি করেছে জার্মানি। প্রতিযোগিতার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়ায় জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক অঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে।

রাশিয়ার সরবরাহ করা গ্যাস পুরোপুরি বন্ধ হলে ঠিক কী ঘটতে পারে? জার্মানির অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রোগনোস বলছে, আর চার সপ্তাহ পরই সবার জন্য গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। আইন অনুযায়ী বসতবাড়ি, সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান এবং হিটিং সরবরাহকারীদের গ্যাস দিতেই হবে। ফলে গ্যাস বন্ধের প্রথম প্রভাব পড়বে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ওপর। ইস্পাত, অপরিশোধিত লোহা, রাসায়নিক ও কাচের কারখানায় উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসবে। সমগ্র অর্থনীতিই এর ফলে সংকটে পড়বে। অর্থাৎ রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হলে বছরের শেষে জার্মানির অর্থনীতি ১২ দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হতে পারে।

প্রশ্ন হলো, রাশিয়া ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া কী বা তারা কী ভাবছে? জার্মান সরকার বলছে, কারিগরি কোনো কারণ নেই, যাতে গ্যাজপ্রম গ্যাস সরবরাহ কমাতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্বালানি নীতিবিষয়ক প্রধান কাদরি সিমসন একে রাজনৈতিক ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একে ইউরোপের ওপর চাপিয়ে দেওয়া ‘প্রকাশ্য যুদ্ধ’ আখ্যায়িত করেছেন। লন্ডনভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্ক দ্য এনার্জি ইনস্টিটিউটের ফেলো বোইট ডৌরিয়ান বলেছেন, রাশিয়া গ্যাসকে ক্রমেই অস্ত্রে রূপান্তর করছে। তার মতে, রাশিয়া এখনো নিজেকে জ্বালানি সুপার পাওয়ার হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করছে এবং দেখাতে চাইছে যে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞার পালটা পদক্ষেপ নিতে পারে তারা। তবে রাশিয়া থেকে জার্মানির গ্যাস আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে দেশটির ৫৬ লাখ মানুষ রাতারাতি চাকরি হারাতে পারেন। দেশটির রাসায়নিক, ইস্পাত, কাচ ও কাগজ শিল্পে তো বটেই, খাদ্য বা চীনা মাটির বাসন উৎপাদন শিল্পেও এর প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি ইউরোপের গ্যাস সরবরাহ আরও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে ইউরোপে আসন্ন শীত মৌসুমে বিভিন্ন পরিকল্পনায় বিঘœ ঘটবে এবং চলমান গ্যাস সংকট আরও বাড়বে। বিশেষ করে শীত মৌসুমটা সামাল দেওয়া চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে। রাশিয়ার গ্যাসের ওপর জার্মানদের অতিরিক্ত নির্ভরতা যে কোনো বিপর্যয়ের সময় ভোগান্তির কারণ হয়ে দেখা দেবে। কিন্তু তারপরও সেই নির্ভরশীলতা কমানো হয়নি। বিকল্প কোনো ব্যবস্থার চিন্তাও মাথায় রাখা হয়নি। ইউরোপ, বিশেষ করে জার্মানির অবস্থা এখন বেশি খারাপ। একদিকে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ, অন্যদিকে রাশিয়ার ওপর জ্বালানি ছাড়াও অন্য নানা নির্ভরতার কারণে চাইলেই কড়া পদক্ষেপ নিয়ে রাশিয়াকে একঘরে করে দেওয়া যাচ্ছে না। মুখে কড়া কথা বললেও আদতে কঠোর অর্থনৈতিক সামরিক বা ক‚টনৈতিক কোনো পদক্ষেপেই নিতে পারছে না জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ফলে ইউরোপের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে জার্মানি ও ফ্রান্সের মতো গণতান্ত্রিক দেশে অর্থনীতি নিম্নগামী হতে থাকলে এর প্রভাব সমাজ ও রাজনীতিতে পড়তে বাধ্য। ‘ফরেন পলিসি’র গবেষণা বলছে, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে পশ্চিমা ধনিক শ্রেণির ওপর চাপ বাড়ছে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ চলতে থাকলে অচিরেই পশ্চিমা ধনীদের মুনাফায় টান পড়বে। করোনা মহামারির কারণে একটা বিশাল ধাক্কা ইতোমধ্যেই বৈশ্বিক অর্থনীতিতে পড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে জ্বালানি তেলের মূল্য এতটাই বেড়ে গেছে যে, আগামী শীতে ইউরোপের দেশগুলোর অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত ইউরোপীয় নেতারা। তাহলে ভবিষ্যৎ কী?

গত ১৩ আগস্ট সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘আমরা রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। এ পরিস্থিতি আংশিকভাবে আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি। এমনকি কীভাবে এটি শেষ হবে বা এরপর কী হতে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা ছাড়াই।’ হেনরি কিসিঞ্জার ১৯৭০-এর দশকে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিখ্যাত পিংপং ক‚টনীতির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এর সূত্র ধরেই ১৯৭২ সালে প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে চীন সফর করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন। কিসিঞ্জারের ক‚টনীতির লক্ষ্য ছিল বিশ্ব রাজনীতিতে সমাজতন্ত্রের প্রভাব ঠেকিয়ে বেইজিংকে মস্কো থেকে দূরে সরিয়ে রাখা, যাতে বিশ্ব রাজনীতিতে শক্তিসাম্য বজায় থাকে। কিসিঞ্জারের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখন আর রাশিয়া বা চীনের বিরুদ্ধে অন্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই। যেমনটি ছিল সত্তরের দশকে। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন অব্যাহত রাখে, তাহলে আসছে শীতে যেসব ইউরোপীয় দেশ জ্বালানি সংকটের সম্মুখীন হবে, তারা রাশিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতেও পারে।

ইউরোপ   পশ্চিমা বিশ্ব   নিষেধাজ্ঞা   গ্যাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনা নিয়ে মুখ খুললেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার সেনারা আফ্রিকার দেশ নাইজারের একটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে প্রবেশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মার্কিন ঘাঁটিতে রুশ সেনা উঠার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বৃহস্পতিবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা নাইজারের একটি বিমানঘাঁটিতে ঢুকে পড়েছে যেখানে অবস্থান করছেন মার্কিন সেনারা। একজন সিনিয়র মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য প্রকাশ করে বার্তা সংস্থাটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইজারের সেনা শাসকরা তাদের দেশ থেকে মার্কিন বাহিনীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পর এ ঘটনা ঘটেছে। নাইজারে এক হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছেন। গত মার্চ মাসে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে এক বৈঠকে নাইজারের জান্তা সরকার এসব সেনা প্রত্যাহার করতে হবে বলে জানিয়েছে দেয়। ইতোমধ্যে নাইজারের নতুন জান্তা সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে পাশ কাটিয়ে রাশিয়া ও ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক গভীর করছে। এরই ধারাবাহিকতায় মার্কিন বাহিনীর ব্যবহৃত সামরিক ঘাঁটিতে রুশ বাহিনী উঠেছে।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী অস্টিন বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা প্রবেশ করায় বড় ধরনের সমস্যা হবে না। মার্কিন সেনা বা সরঞ্জামের তাদের প্রবেশের অধিকার দেওয়া হয়নি।

গত বছরের জুলাইয়ের সামরিক অভ্যুত্থানের আগে আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলে জঙ্গিগোষ্ঠী ও আল-কায়েদার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বড় অংশীদার ছিল নাইজার। তবে সেনা অভ্যুত্থানের পর পশ্চিমাদের সঙ্গে দেশটির জান্তা সরকারের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। ইতিমধ্যে দেশটি থেকে ফরাসি সেনাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। একই পরিণতি বরণ করতে হতে পারে মার্কিন সেনাদের।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, রুশ সেনারা ওই বিমানঘাঁটিতে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে একত্রে অবস্থান করছেন না। কারণ হিসেবে জানা গেছে, তারা নাইজারের রাজধানী নিয়ামীতে দিওরি হামানি আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টের পাশে অবস্থিত এয়ারবেস ১০১ নামে পরিচিত সামরিক স্থাপনায় আলাদা হ্যাঙ্গার ব্যবহার করছেন।

মার্কিন ঘাঁটি   রুশ সেনা   মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার অস্ট্রেলিয়াজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

এবার অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৩ মে) দেশটির সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইউনিভার্সিটি অব সিডনি) তাবু স্থাপন করে অবস্থান নেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেসময় তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।

এদিনের আন্দোলন থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কযুক্ত সংস্থাগুলো থেকে সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিচ্ছিন্ন করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভকারীরা অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ ও তার সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ান সরকার গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট কাজ করেনি।

ব্রিটিশি বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মেলবোর্ন, ক্যানবেরাসহ অস্ট্রেলিয়ার অন্যান্য শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই ধরনের শিবির গড়ে উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে পুলিশ ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীদের জোর করে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, অস্ট্রেলিয়ায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি।

বিক্ষোভের জায়গাগুলোতে স্বল্পসংখ্যক পুলিশের শান্তিপূর্ণ উপস্থিতিতে ছিল। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে বেশ কয়েকটি পুলিশের গাড়ি পার্ক করা থাকলেও বিক্ষোভে কোনো পুলিশ উপস্থিত ছিল না।

এদিকে, এই বিক্ষোভের কারণে অনিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অধ্যয়নরত ইহুদী শিক্ষার্থীরা। তাদের মতে এ ধরনের আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরে করা উচিত।

ইউনিভার্সিটি অব সিডনির উপাচার্য মার্ক স্কট বলেছেন, ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাস আংশিকভাবে অবস্থান করতে পারে, কারণ যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কোনো সহিংসতা দেখা যায়নি।

কয়েক দফা দাবি নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই তাদের অবস্থান কর্মসূচি চলছে।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ কানাডা, ফ্রান্স, ইতালি ও মিশরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে মিত্র দেশগুলো থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা।


অস্ট্রেলিয়া   বিশ্ববিদ্যালয়   বিক্ষোভ   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্ষোভ: গ্রেপ্তার প্রায় ২ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চালিয়ে প্রায় ২ হাজার ২০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।

এপির হিসেব অনুযায়ী, ১৮ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের মোট ৪৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৬ বার অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেসব অভিযান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের।

সর্বশেষ স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেসে (ইউসিএলএ) অভিযান চালিয়ে ২০০ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্লাইউড, মেটাল ফেন্স, প্ল্যাকার্ড দিয়ে তৈরি করা ব্যারিকেড এবং ক্যাম্পাস চত্বরের অস্থায়ী তাঁবুগুলো তছনছ করে দিয়েছে পুলিশ। এসব তাঁবুতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা রাতে ঘুমাতেন।

ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত মার্চের শেষ দিক থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ। পরে সেই আন্দোলন দেশটির অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে সেই আন্দোলন চলার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুরোধে ১৮ এপ্রিল রাতে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। এ অভিযানে ১০০ জন ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ এবং তাদের তাঁবু-ব্যারিকেডও তছনছ করে দিয়েছিল পুলিশ।

কিন্তু পরের দিন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ফের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মার্কিন এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েছে।

কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে 'ইহুদিবিদ্বেষী' আন্দোলন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তবে আন্দোলনের সংগঠকদের (যাদের মধ্যে ইহুধি ধর্মাবলম্বীরাও রয়েছেন) দাবি, তারা কেবল ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও গাজায় যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   বিক্ষোভ   গ্রেপ্তার   শিক্ষার্থী   ইউসিএলএ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মুক্ত গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে পিছনে ফেলল পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৪:৫৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ২৭ দশমিক ৬৪ পেয়ে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫তম। গত বছর অবস্থান ছিল ১৬৩তম।

শুক্রবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের ২০২৪ সংস্করণ প্রকাশ করেছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স। প্রকাশিত সূচকে দেখা যায়, ২০২৪ সালে আরও দুইধাপ পিছিয়ে মোট ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৬৫তম। এ বছর বাংলাদেশের স্কোর ২৭ দশমিক ৬৪।

এবারের মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল ও ভুটানের পেছনে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক দিয়ে এবার শীর্ষস্থান দখল করেছে নেপাল; ৬০ দশমিক ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ৭৪তম অবস্থান দখল করেছে। এর পরের অবস্থানে আছে মালদ্বীপ। ৫২ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১০৬তম অবস্থানে।

এবারের তালিকায় প্রথম অবস্থান থেকে ছিটকে তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভুটান। ৩৭ দশমিক ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি ১৪৭তম অবস্থানে রয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও ভারত। এই তিন দেশের বৈশ্বিক অবস্থান যথাক্রমে ১৫০, ১৫২ ও ১৫৯তম। গত বছরের ১৬১ থেকে দুই ধাপ এগিয়ে এবার ১৫৯তম অবস্থান পেয়েছে ভারত।

আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সর্বশেষ স্থান পেয়েছে। ২৬ ধাপ পিছিয়ে দেশটির বৈশ্বিক অবস্থান ১৭৮তম, পয়েন্ট মাত্র ১৯ দশমিক ০৯। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবাদিকতার চ্যালেঞ্জের দিক দিয়ে গোটা বিশ্বে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক কর্মস্থল হিসেবে মিয়ানমার, চীন, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।

বৈশ্বিক সূচকে শীর্ষস্থান অটুট রেখেছে নরওয়ে। তাদের পয়েন্ট ৯১ দশমিক ৮৯। শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলো হলো ডেনমার্ক, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, পর্তুগাল, আয়ারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও জার্মানি।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সাংবাদিকরা কতটুকু স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, তা যাচাই করা হয়। এই সূচকে পাঁচটি বিষয় আমলে নেওয়া হয়। এগুলো হলো—রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, আইনি অবকাঠামো, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট, আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও নিরাপত্তা।

মুক্ত গণমাধ্যম   বাংলাদেশ   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চলন্ত ট্রেনে স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলন্ত ট্রেনে অপ্রত্যাশিত এক ঘটনার সাক্ষী হলেন যাত্রীরা। স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে পালালেন স্বামী। গত ২৯ এপ্রিল ভারতের জাহাংসি জংশনে এ ঘটনা ঘটে। 

২৮ বছর বয়সি মোহাম্মাদ আরশাদ তার ২৬ বছর বয়সি স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ট্রেনে ভ্রমণ করার সময় তালাকের এ ঘটনা ঘটে। খবর এনডিটিভির।

পেশায় কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার আরশাদের চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিয়ে হয়েছিল আফসানার সঙ্গে। বিয়ের পর দুজনে ভোপালে থাকতেন। এক সপ্তাহ আগে কানপুরের পুখরায়ানে যান দুজনে। সেখানে আরশাদের পৈতৃক বাড়ি। কিন্তু সেখানে গিয়েই চমকে যান আফসানা। জানতে পারেন আরশাদের আরও এক স্ত্রী রয়েছে। এর প্রতিবাদ করলে আরশাদ ও তার মা আফসানার কাছে যৌতুকের দাবি করতে থাকে। 

অভিযোগ, মারধরও করা হয় আফসানাকে। এরপর স্ত্রী আফসানাকে নিয়ে ভোপালে ফিরছিলেন আরশাদ। ঝাঁসি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখে স্ত্রীকে তিন তালাক দেন আরশাদ। এরপরই ট্রেন থেকে নেমে যান। 

এ ছাড়া স্ত্রীকে চলন্ত ট্রেনে মারধরও করেছিলেন আরশাদ। ট্রেন ঝাঁসিতে থামতেই জিআরপিকে সমস্ত ঘটনা জানান আফসানা। এরপরই আফসানাকে ফেরত পাঠানো হয় আরশাদের পৈতৃক বাড়িতে। ঘটনায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। আরশাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। 

গোটা ঘটনার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও জানিয়েছেন আফসানা। স্বামীর কড়া শাস্তির দাবি করেছেন তিনি। 

পুলিশের সার্কেল অফিসার জানিয়েছেন, আফসানার অভিযোগের ভিত্তিতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। মামলা থেকে রেহাই পাইনি তার বাবা-মাও।


ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন