ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কর্ণাটক হিজাবকাণ্ড: মতের পার্থক্যে মামলা যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে

প্রকাশ: ১২:৪৫ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail কর্ণাটক হিজাবকাণ্ড: মতের পার্থক্যে মামলা যাচ্ছে বৃহত্তর বেঞ্চে

কর্ণাটকে হিজাবকাণ্ডের রায় নিয়ে ভিন্ন মত জানিয়েছেন ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি। সৃষ্ট বিতর্কের অবসান করতে মামলাটি অবশেষে তিন সদস্যের বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠাতে ভারতের প্রধান বিচারপতির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল।

গত ২২ সেপ্টেম্বর ১০ম দিনের মতো যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা স্থগিত করেন বিচারপতি হেমন্ত গুপ্তা এবং সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ। বেঞ্চের নেতৃত্বে থাকা বিচারপতি গুপ্তা আগামী রোববার (১৬ অক্টোবর) অবসরে যাচ্ছেন। এ কারণে এ সপ্তাহেই মামলাটির রায় ঘোষণা হবে বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু বিচারপতিদের মতপার্থক্যের কারণে সেটি আবারও পিছিয়ে গেলো।

এদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কর্ণাটক সরকারের আদেশ বহাল রাখার পক্ষে অবস্থান নেন বিচারপতি গুপ্তা। তিনি আবেদনকারীদের আপিল খারিজ করে দেন।

কিন্তু বিচারপতি ধুলিয়া বলেছেন, তার কাছে মুসলিম মেয়ে শিশুদের শিক্ষাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে বিচারপতি গুপ্তার সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।

এর আগে, সর্বোচ্চ আদালতে যুক্তিতর্ক চলাকালে আবেদনকারীদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা জোর দিয়ে বলেছিলেন, মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরতে বাধা দেওয়া তাদের শিক্ষাজীবনকে বিপণ্ন করবে। এমন সিদ্ধান্তের কারণে তারা ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিতে পারে।

এসময় তারা আরও নানা যুক্তি উত্থাপন করেন। আইনজীবীরা বলেন, কর্ণাটকে রাজ্য সরকারের আদেশ স্কুল-কলেজগুলোতে সাম্য, অখণ্ডতা ও জনশৃঙ্খলাকে বিঘ্নিত করেছে। তারা মুসলিমদের হিজাবকে হিন্দুদের পরিধান করা ঘুনঘাট ও টিপ এবং শিখদের পাগড়ির সঙ্গেও তুলনা করেন। ভারতের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এগুলো পরে যাওয়ার বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

তবে রাজ্য সরকারের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবীরা দাবি করেন, কর্ণাটক সরকারের যে আদেশ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে তা ‘ধর্ম নিরপেক্ষ’।

এ অবস্থায় বিচারপতিদের মতপার্থক্যের কারণে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি বলেছেন, কর্ণাটক সরকারের আদেশ থেকে উদ্ভূত মামলাটি তিন বিচারপতির বেঞ্চের হাতে অর্পণ করার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হবে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি কর্ণাটকের উদুপির একটি কলেজে কয়েকজন হিজাব পরা শিক্ষার্থীকে ক্লাসে বসতে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে। কলেজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি বিজেপি বিধায়ক রঘুপতি ভাট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, হিজাব পরা শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ঢুকতে পারবেন না।

রাজ্যজুড়ে সেই বিতর্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। হিজাবের পাল্টা হিসেবে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আন্দোলন শুরু করে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। কয়েক জায়গায় হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে আন্দোলনকারীরা মুখোমুখি হয়। পুলিশের সঙ্গেও একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কয়েকটি জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় রাজ্যের সব স্কুল-কলেজ।

গত ২৬ জানুয়ারি কর্ণাটক সরকার এ বিষয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে। ঘোষণা করা হয়, কমিটি নির্দিষ্ট সুপারিশ করার আগ পর্যন্ত ছাত্রীরা কেবল ইউনিফর্ম পরেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে। হিজাব বা গেরুয়া উত্তরীয় কিছুই পরার অনুমতি নেই।

রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উদুপির কয়েকজন ছাত্রী কর্ণাটক হাইকোর্টে রিট করেন। তারা আদালতে দাবি করেন, হিজাব পরা তাদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। কোনোভাবেই তা বাতিল করা যাবে না।

তবে ১০ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রিতুরাজ অবস্তি, বিচারপতি কেএস দীক্ষিত এবং বিচারপতি জেএম খাজি অন্তর্বর্তী রায়ে বলেন, যতদিন না রায় ঘোষণা হচ্ছে, কর্ণাটকে স্কুল-কলেজ খুলতে পারে। কিন্তু কোনো শিক্ষার্থী ধর্মীয় প্রতীকসম্বলিত কোনো পোশাক পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে না।

এই মামলায় শুরু থেকে কর্ণাটক সরকার বলে এসেছে, হিজাব পরা ইসলামের বাধ্যতামূলক অনুশীলনের মধ্যে পড়ে না। গত ১৫ মার্চ কর্ণাটক হাইকোর্টও রাজ্য সরকারের পক্ষেই রায় দেন। সেদিন হাইকোর্টের তিন বিচারপতি বলেন, ইসলাম ধর্মে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক নয়। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এটি পরা নিষিদ্ধ করার অধিকার রয়েছে স্থানীয় সরকারের।

পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন ভুক্তভোগীরা।


বিশ্ব   ভারত   হিজাব ইস্যু   কর্নাটক   মামলার রায়   হাইকোর্ট   কর্ণাটক হিজাবকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে অস্ত্রের চালান স্থগিত করল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ১০:৩৮ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের রাফায় বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরুর মুখে ইসরায়েলে প্রাণঘাতী অস্ত্রের চালান স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (৮ মে) এ কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলার কারণে গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চল থেকে পালিয়ে ১০ লাখের মতো ফিলিস্তিনি রাফায় আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে তাবু টানিয়ে গাদাগাদি করে অবস্থান করছেন তারা।

গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করতে চলেছে-এমন উদ্বেগের জের ধরে গত সপ্তাহে দেশটিতে অস্ত্রের একটি চালান স্থগিত করে যুক্তরাষ্ট্র।  আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, জাহাজে করে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা ওই চালানে ১ কোটি ৮০ লাখ ২ হাজার পাউন্ড ও ১৭ লাখ ৫০০ পাউন্ড ওজনের বোমা ছিল।

এ বিষয়ে গতকাল লয়েড অস্টিন মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। বেসামরিক মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান চালানো ঠিক হবে না।’ লয়েড অস্টিন আরও বলেন, কীভাবে স্থগিত হওয়া অস্ত্রের ওই চালানটি এগিয়ে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।


ইসরায়েল   অস্ত্র   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রে এইডস ছড়িয়ে দিতে যৌনকর্ম, যুবক আটক

প্রকাশ: ১০:১২ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মানুষের মধ্যে এইডস ছড়িয়ে দিতে বহুজনের সঙ্গে যৌনকর্মে মিলিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই যুকবকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (০৭ মে) সিবিএস নিউজ এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তি এইডস আক্রান্ত হয়েও বহুজনের সঙ্গে সমকামী সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। তবে বিষয়টি সঙ্গীদের কাউকে জানাননি তিনি। বিকৃত এ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হওয়া ব্যক্তির নাম আলেক্সান্ডার লু। তিনি ৩০ থেকে ৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং কিশোরের সঙ্গে সমকামিকায় লিপ্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১৬ বছরের এক কিশোরও রয়েছে বলে জানিয়েছে এডা কাউন্টি প্রসিকিউটর অফিস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুর বিরুদ্ধে গোয়েন্দারা ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে তদন্ত শুরু করেন। ওই সময়ে গোয়েন্দারা তার সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করেন। ওই সময়ে লু ভাবেন তিনি ১৫ বছর বয়সী কোনো কিশোরের সঙ্গে কথা বলছেন। লু গোয়েন্দাদের খোলামেলো ছবি পাঠান এবং তার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ দেখান। তাকে তিনি জানান, তাদের মধ্যে যৌনকর্ম হলে সেটি তিনি ভিডিও করে রাখবেন। এরপর দেখা করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গার কথাও জানান তিনি। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লু যখন নির্ধারিত জায়গায় যান তখন গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করেন। তার বিরুদ্ধে শিশুকে প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ অনাা হয়।


যুক্তরাষ্ট্র   এইডস   যৌনকর্ম   আটক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভিয়েতনামে যুদ্ধ বন্ধের অগ্রভাগে ছিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভিয়েতনামের সামরিক বাহিনী ও মিত্রবাহিনী ভিয়েত কংয়ের কাছে শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছিল মার্কিন বাহিনী। এ পরাজয়ের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্রসমাজের ছিল অভূতপূর্ব অবদান। তারা যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধনীতির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল এবং ভিয়েতনামে অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়ে আন্দোলনে নেমেছিল। ওই আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামের ওপর এক দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল সাম্রাজ্যবাদী শক্তি যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৬৮ সালে ছাত্রবিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছিল একটি জিমনেশিয়াম নির্মাণকে কেন্দ্র করে। ওই সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্নিংসাইড পার্কে একটি জিমনেশিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পার্কটি ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ কৃষ্ণাঙ্গের এলাকা হারলেমের একটি পাবলিক পার্ক।

শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবি ছিল, জনগণের জন্য উন্মুক্ত এমন একটি জায়গায় জিমনেশিয়াম তৈরি করা যাবে না।

দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা থিঙ্ক ট্যাঙ্ক হিসেবে পরিচিত আমেরিকার ইনস্টিটিউট ফর ডিফেন্স অ্যানালাইসিসের (আইডিএ) সঙ্গে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে। কারণ এ প্রতিষ্ঠানই পেছন থেকে ভিয়েতনাম যুদ্ধ চালাচ্ছিল। বিক্ষোভ ছোট আকারে শুরু হলেও তা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে।


কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   ভিয়েতনামে যুদ্ধ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রিসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পথ ধরে এবার ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ইউরোপে অন্যান্য দেশের মতো গ্রিসেও বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পূর্বাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল ও আকাশপথে হামলা শুরুর পরদিন এথেন্সে এই সংঘর্ষ হয়েছে। 

ফিলিস্তিনি পতাকা ও ব্যানার বহনকারী ৩০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী ওই সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। গ্রিসের রাজধানীতে অবস্থিত সংসদ ভবনের বাইরে সমাবেশ করেছেন তারা।

দেশটির ৬০ বছর বয়সী পেনশনভোগী আন্তোনিস দাভানেলোস বলেন, ‌‌‘আমরা এখানে সংহতি জানাতে এসেছি এবং ফিলিস্তিনিরা যখনই (সংহতির জন্য) ডাকবে, আমরা তখনই সাড়া দেব।’

এথেন্সে সংসদ ভবনের বিপরীত পাশে অবস্থিত মিসরীয় দূতাবাসের ফটকে উঠে একদল বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওই দলকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

গ্রিস   ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুশরা বিবির পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরা দম্পতির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয়। ইমরান কারাগারে থাকলেও বুশরাকে ইসলামাবাদের বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা বলে তাকে বাড়িতেই বন্দী রাখার আদেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার।

গৃহবন্দী রাখার এ আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বুশরা বিবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার আইনজীবী নাঈম পানজুথা এ কথা বলেছেন।

বুশরা বিবির আইনজীবীরা তাকে কারাগারে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কারাগারেই আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান।

ইমরানের ইসলামাবাদের বাড়িটিকে সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গৃহবন্দী অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিষ মেশানো খাবার দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বুশরা। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


ইমরান খান   কারাগার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন