ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ও শনাক্ত দুটিই কমেছে

প্রকাশ: ০৮:২০ এএম, ১৪ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ও শনাক্ত দুটিই কমেছে

গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে, একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ শতাধিক মানুষ। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা নেমেছে সাড়ে তিন লাখে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাণহানির তালিকায় এরপরই রয়েছে রাশিয়া, জাপান, ইতালি ও ফ্রান্স। এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬২ কোটি ৮৬ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯০২ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে প্রায় একশো। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৫ লাখ ৬৭ হাজার ১৪২ জনে।

একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫০ হাজার ৬৭৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে ৩০ হাজারেরও বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭১৮ জনে।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে। এই সময়ের মধ্যে দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ২১৮ জন এবং মারা গেছেন ৬২ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৬১ লাখ ২ হাজার ১৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৩৭ জন মারা গেছেন।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ২৪ ঘণ্টায় এই দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ৫৪৫ জন এবং মারা গেছেন ২৪৬ জন। করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৯১৬ জন মারা গেছেন।

রাশিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ হাজার ৪৭৭ জন এবং মারা গেছেন ১০১ জন। এছাড়া মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ১২ লাখ ৬৪ হাজার ৮০ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৬১০ জনের। একইসময়ে তাইওয়ানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩ হাজার ৪২১ জন এবং মারা গেছেন ২৯ জন।

জাপানে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৬৯০ জন এবং মারা গেছেন ৭৮ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ১৬ লাখ ৫৬ হাজার ১৯০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৪৫ হাজার ৬৯৩ জন মারা গেছেন। একইসময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ হাজার ৯২৮ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৪ জন এবং নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪ হাজার ১৮৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৮২ হাজার ১৮২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৮৭ হাজার ১২০ জনের।

ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৫ হাজার ৭০৫ জন এবং মারা গেছেন ৬৬ জন। করোনা মহামারির শুরু থেকে ইউরোপের এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২ কোটি ২৯ লাখ ৯০ হাজার ২০১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৮৫ জন মারা গেছেন। একইসময়ে ফিলিপাইনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪০ জন এবং নতুন করে ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৮৮৩ জন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।

করোনা পরিস্থিতি   বিশ্ব করোনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ এখন ভারতেও

প্রকাশ: ১০:৪৪ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডাসহ বিশ্বের আরও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। লন্ডন, প্যারিস ও রোম থেকে সিডনি, টোকিও, বৈরুতসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই- ‘গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও।

দেশটির খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর দাবিতে জড়ো হন।

২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তার ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ১০০ মিটারের মধ্যে সব ধরনের বিক্ষোভ-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে নোটিস দেওয়া হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভের মধ্যে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক নারী শিক্ষার্থী গ্রেফতার হন। গ্রেফতার অচিন্থিয়া শিবালিঙ্গম যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী। প্রিন্সটন অ্যালামনাই উইকলিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান নেওয়ার জন্য বিক্ষোভকারীরা তাঁবু ফেলেন। সে সময় পুলিশ সেখান থেকে আচিন্থিয়া এবং হাসান সাঈদকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। তারা দু’জনই যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থী।


ইসরায়েলবিরোধী   ছাত্র   আন্দোলনে   বিক্ষোভ   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

টানা তিনবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হওয়া কে এই সাদিক খান

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের মেয়র পদে টানা তিনবার নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন লেবার পার্টির প্রার্থী সাদিক খান। লন্ডনের মেয়র হিসেবে তাঁর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। তখন থেকেই পদটি ধরে রেখেছেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই রাজনীতিক।

সাদিক খানের জন্ম লন্ডনেই, ১৯৭০ সালের ৮ অক্টোবর। এর দুই বছর আগে ১৯৬৮ সালে তাঁর মা-বাবা পাকিস্তান থেকে যুক্তরাজ্যের অভিবাসী হিসেবে পাড়ি জমান। বাবা আমানউল্লাহ ছিলেন বাসচালক। মা শেহরুন করতেন দরজির কাজ। সাত ভাই ও এক বোনের মধ্যে সাদিক পঞ্চম।

সাদিক খানের পড়ালেখা ইউনিভার্সিটি অব নর্থ লন্ডন থেকে। বিষয় ছিল আইন। পড়াশোনা শেষে মানবাধিকার-বিষয়ক আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। কম বয়সেই তিনি যোগ দিয়েছিলেন লেবার পার্টির রাজনীতিতে।

১৯৯৪ সালে লেবার পার্টির হয়ে লন্ডনের ওয়ান্ডসওর্থ বারার কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন সাদিক খান। তখন তাঁর বয়স মাত্র ২৪ বছর। ২০০৬ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০০৫ সালে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নির্বাচনে দক্ষিণ লন্ডনের টুটিং আসন থেকে পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে গর্ডন ব্রাউন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন স্থানীয় সরকারের পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি এবং পরবর্তীতে যোগাযোগ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন সাদিক খান। ২০১০ সালে লেবার পার্টি বিরোধী দলে গেলে তিনি ছায়া মন্ত্রিসভায় বিচার-বিষয়ক ছায়া মন্ত্রী, লর্ড চ্যান্সেলর (ছায়া অর্থমন্ত্রী) ও লন্ডন-বিষয়ক ছায়া মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।

২০১৬ সালে লন্ডনের মেয়র পদে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেন সাদিক খান। সে বছরের ৯ মে কনজারভেটিভ পার্টির জেক গোল্ডস্মিথকে হারিয়ে প্রথমবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর ২০২১ সালে কনজারভেটিভ পার্টির সোন বেইলিকে পরাজিত করে মেয়র পদ ধরে রাখেন সাদিক।

এবার তৃতীয় দফায় সাদিক খানের জয় আগামী জাতীয় নির্বাচনে লেবার পার্টির মনোবল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ লন্ডনের মেয়র নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা যায়, সাদিক খান পেয়েছেন ১০ লাখ ৮৮ হাজার ২২৫ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সোসান হলের দখলে ৮ লাখ ১১ হাজার ৫১৮ ভোট। অর্থাৎ, দুজনের ব্যবধান প্রায় ৩ লাখ ভোট।

এবার লন্ডনের মেয়র নির্বাচনে ১৪টি নির্বাচনী এলাকার মধ্যে নয়টিতেই জিতেছেন সাদিক খান। এর মধ্যে কনজারভেটিভদের দুটি এলাকায় জিতেছেন তিনি। এবার নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ২৪ লাখ, যা মোট ভোটারের ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ। ভোট পড়ার হার গতবারের চেয়ে কিছুটা কম।

ব্যক্তিগত জীবনে সাদিক খানের দুই সন্তান রয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতিও আগ্রহ রয়েছে তাঁর। সাদিক খানের পছন্দের খেলা ফুটবল, ক্রিকেট ও বক্সিং। ২০১৪ সালে লন্ডন ম্যারাথনে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে জনপ্রিয় সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নেন সাদিক খান।


লন্ডন   মেয়র নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভূমিধস ও বন্যায় ব্রাজিলে নিহত ৫৬

প্রকাশ: ০৮:৫৯ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য রিও গ্র্যান্ডে দো সুল কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় তলিয়ে গেছে। রাজ্যটিতে প্রবল বর্ষণে এখন পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যে কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসে ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রিও গ্র্যান্ডে দো সুলে আরও ৬৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
গত শনিবার ঝড়-বৃষ্টি শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ২৫ হাজার বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ এবং বিশুদ্ধ পানি ছাড়াই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। এমনকি ব্রাজিলের এই অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মূলত গড় তাপমাত্রা, উচ্চ আর্দ্রতা এবং শক্তিশালী বাতাসের বিরল সংমিশ্রণের কারণে লাতিন আমেরিকার এই দেশটির এই অঞ্চলে চরম আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্যের ৪৯৭টি শহরের অর্ধেকেরও বেশি শহর ঝড়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তা ও সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে।

ঝড়ের কারণে বেন্টো গনসালভেস শহরের কাছে ভূমিধস এবং একটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ ভেঙে যায়, যাতে ৩০ জন নিহত হয়। এছাড়া পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে এলাকার একটি দ্বিতীয় বাঁধও ভেঙে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

আঞ্চলিক রাজধানী পোর্তো আলেগ্রেতে গুয়াইবা নদীর পানি তীর উপচে পড়েছে এবং রাস্তায় বন্যার সৃষ্টি করেছে। এতে করে আশপাশের কিছু এলাকাও তলিয়ে গেছে।

পোর্তো আলেগ্রের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ‘অনির্দিষ্টকালের’ জন্য সমস্ত ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে।

একজন বাসিন্দা বলেছেন, বৃষ্টি ও বন্যায় যে ক্ষতিটি হয়েছে তা ‘হৃদয়বিদারক’। মারিয়া লুইজা বলেন, ‘আমি এই এলাকায় থাকি, তাই এখানে যারা বাস করে তাদের প্রত্যেকের জন্য আমি দুঃখিত। এটা খুবই দুঃখজনক যে, এই সব হচ্ছে।’


ভূমিধস   বন্যা   ব্রাজিল   নিহত ৫৬  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধ বন্ধ ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবে না হামাস

প্রকাশ: ০৮:৫৭ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে টানা সাত মাস ধরে চলা নির্বিচারে হামলায় গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে। এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট।

এমন অবস্থায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়া ছাড়া কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতিতে তারা রাজি হবে না।

যদিও ইসরায়েলের সঙ্গে হামাস যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় রাজি হয়েছে এবং যেকোনো সময় যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসতে পারে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা শনিবার গভীর রাতে জানিয়েছেন, হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতির এমন কোনো প্রস্তাবে ‘কোনোভাবেই একমত হবে না’ যেটাতে স্পষ্টভাবে যুদ্ধের সম্পূর্ণ সমাপ্তির কথা অন্তর্ভুক্ত থাকবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের ওই কর্মকর্তা ‘গাজায় আগ্রাসন বন্ধের বিষয়টি যুক্ত না করে’ কেবল ইসরায়েলি বন্দী মুক্তির ইসরায়েলি প্রচেষ্টার নিন্দাও করেছেন

হামাসের ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘হামাস কোনো অবস্থাতেই এমন চুক্তিতে সম্মত হবে না যেটাতে গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিষয় স্পষ্টভাবে অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। যুদ্ধের সম্পূর্ণ অবসান এবং সমগ্র গাজা উপত্যকা থেকে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার ছাড়া কোনো চুক্তিই হবে না।

এর আগে ইসরায়েলের উচ্চ-পর্যায়ের এক কর্মকর্তা শনিবার বলেন, যুদ্ধের অবসান ঘটানোর যে দাবি হামাস করছে, তা ‘(যুদ্ধবিরতির বিষয়ে) চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে ব্যর্থ করে দিচ্ছে।

এএফপি বলছে, হামাস ও ইসরায়েলের দুই কর্মকর্তার বক্তব্য এমন এক সময়ে সামনে এলো যখন- প্রায় সাত মাসের যুদ্ধে প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে শনিবার হামাসের আলোচকরা মিশরে গেছেন।

ব্রিটেনের প্রকাশিত বিবরণ অনুসারে, সম্ভাব্য একটি চুক্তির প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের জবাবের জন্য অপেক্ষা করছে মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীরা। এই চুত্তি হলে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধ বন্ধ হবে এবং ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনিদের বন্দীদের সাথে গাজায় আটক বন্দীদের বিনিময় করা হবে। হামাস কর্মকর্তা শনিবার গভীর রাতে জানিয়েছেন, ‘কোনো ধরনের অগ্রগতি’ ছাড়াই এদিনের আলোচনা শেষ হয়েছে।

ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস এই চুক্তিটিতে ‘সম্পূর্ণ এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতির চুক্তি’ বলে একটি সুস্পষ্ট এবং পরিষ্কার বিধান অন্তর্ভুক্ত করতে অনুরোধ করেছে এবং ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এই বিষয়টি মানেনি।


যুদ্ধ   বন্ধ   ইসরায়েল   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

টিকটকসহ নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কিমের গাওয়া গান

প্রকাশ: ০৫:৫০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিম জং উন হয়তো ভাবতে পারেননি তার গানটি ঝড় তুলবে টিকটকে। কিন্তু বাস্তবে ভাবনার থেকে বেশি কিছু হলো। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা ভিডিও গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকে। একই সঙ্গে সেটি ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক নিজের প্রসংশায় এই গানটি প্রচার করেছেন তার জনগণের জন্য।

সম্প্রতি কিম জং উনের একটি প্রকাশ করা ভিডিও গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তিনি হয়তো ভাবতে পারেননি তার গানটি ঝড় তুলবে টিকটকে। কিন্তু বাস্তবে ভাবনার থেকে বেশি কিছু হলো। দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা ভিডিও গানটি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটকসহ নেট দুনিয়ায়। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক নিজের প্রসংশায় এই গানটি প্রচার করেছেন তার জনগণের জন্য। গানটি প্রকাশের পর থেকেই এটি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

সমালোচকরা বলছেন, ভিডিওটির মধ্যে একটি অশুভ বার্তা লুকিয়ে রয়েছে৷ তাদের দাবি, গানটিতে কিমের অতিরঞ্জিত প্রসংসা করা হয়েছে এবং ব্যাপকভাবে প্রপাগাণ্ডা চালানো হয়েছে।

“ফ্রেন্ডলি ফাদার” শিরোনামে গানটির শুরুতেই কিমের প্রসংসা করে বলা হয়েছে, তোমার নেতা “তোমার মায়ের মতো উষ্ণ হৃদয়ের অধিকারী” এবং “তোমার বাবার মতো উদার”। এই লিরিক বাজার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অনেক শিশুর মধ্যে বসে উৎফুল্ল কিম একটি শিশুকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করছেন। এ সময় লিরিকে শোনা যায়, “তোমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ বাবা”।

এই অংশে শিশুদের সঙ্গে কিমের হাস্যোজ্জ্বল ব্যবহারের মাধ্যমে একতার আহ্বান জানানো হয়েছে। গানটিতে উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে তাদের স্বৈরশাসককে একজন মা এবং একজন বাবার সাথে তুলনা করে তাকে মহৎ দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

এরপর দেখা গেছে অন্য আরেকদল উৎফুল্ল বাচ্চার সঙ্গে গান গাচ্ছেন উত্তর কোরীয় নেতা। পরের দৃশ্যে দেখা গেছে, উত্তর কোরিয়ার সমাজের সম্মানিত ব্যক্তিরাও কিমের সঙ্গে একই গান গাইছেন। সেখানে বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্র একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি চায়।

গানটি শুরু হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতার প্রশংসা দিয়ে। এরপর তাকে প্রত্যেকের পরিবারের অংশ হিসাবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এরপরের অংশে বলা হয়েছে, “আসুন আমরা আমাদের মহান নেতা কিম জং উন সম্পর্কে গান করি”, “আসুন আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ পিতা কিম জং উন সম্পর্কে গর্ব করি।”

সমালোচকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার জনগণের কাছে কিম নিজেকে জাতির পিতা হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি তার পার্লামেন্টেও এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। সমালোচকরা আরও বলছেন, কিম তার জনগণের মগজ ধোলাই করার জন্য নিজের প্রশংসায় তৈরি গান প্রচার করছেন।

কিম জং উন ২০১২ সালে তার বাবা কিম জং ইলের স্থলাভিষিক্ত হন। কিম জং ইলকে উত্তর কোরিয়ার “মহান উত্তরসূরি” বলে অভিহিত করা হয়। কিমের দাদা কিম ইল সুং দুটি উপাধি ধারণ করেছিলেন – “পিতা” এবং “দ্য গ্রেট”। অনেকে ধারণা করছেন, কিম নিজেও তার উত্তরসূরিদের মতো কোনো উপাধি গ্রহণ করতে চাচ্ছেন।


টিকটক   ভাইরাল   কিম জং উন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন