ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফের ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় জিনপিং

প্রকাশ: ০৩:২৮ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail ফের ৫ বছরের জন্য ক্ষমতায় জিনপিং

বিশ্বের সবচেয়ে বড় কমিউনিস্ট দল চায়না কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কংগ্রেস আজ শেষ হয়েছে। কংগ্রেস শেষে আবারও ৫ বছরের জন্য কমিউনিস্ট পার্টির সর্বোচ্চ ফোরাম পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির (পিএসসি) প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এই নিয়ে টানা তৃতীয় বার সিপিসির পলিটব্যুরো কমিটির প্রধানের পদে বহাল থাকলেন ৬৯ বছর বয়সী জিনপিং। প্রতি ৫ বছর পর পর চীনের কমিউনিস্ট পার্টিতে কংগ্রেসে অনুষ্ঠিত হয়। সেই হিসেবে গত ১০ বছর ধরেই পার্টির সর্বোচ্চ ফোরামের প্রধান হিসেবে আছেন শি জিনপিং।

কমিউনিস্ট শাসিত চীনের সংবিধান অনুযায়ী, পার্টির ২৫ সদস্যবিশিষ্ট পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধানই দেশটির রাষ্ট্রপতি হন। শি জিনপিং তৃতীয় বারের মতো এই কমিটির প্রধান হওয়ায় নিশ্চিতভাবেই আরও ৫ বছর চীনের রাষ্ট্রপতি থাকছেন তিনি।

তবে পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান নির্বাচিত হলেও এই কমিটির বাকি সদস্যরা শনিবার নির্বাচিত হননি। রোববার কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হবেন পলিটব্যুরো সদস্যরা।

শি জিনপিংয়ের জন্ম ১৯৫৩ সালের ১৫ জুন, রাজধানী বেইজিংয়ে। তবে তার পৈত্রিক নিবাস চীনের হুনান প্রদেশের তেংচু জেলার শিয়িং শহরে।

জিনপিংয়ের বাবা শি জোংশুন সিপিসির প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান ও শীর্ষ নেতা মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট গেরিলা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। পরে কমিউনিস্ট সরকারের উপপ্রধানও হন তিনি।

বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ১৯৭১ সালে ১৮ বছর বয়সে সিপিসির অঙ্গসংগঠন কমিউনিস্ট ইউথ লীগে যোগ দেন শি জিনপিং। চার বছর ইউথ লীগে কাজ করার পর ১৯৭৫ সালে মূল পার্টি সিপিসির সদস্যপদ পান তিনি।

ওই বছরই চীনের বিখ্যাত কিংহুয়া বিশ্ববিধ্যালয়ে রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের স্নাতক শাখায় ভর্তি হন; এবং ১৯৭৯ সালে ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৭৫ সালে সিপিসির সদস্যপদ পাওয়ার পর পার্টির আঞ্চলিক শাখা প্রধান হিসেবে ২০০২ সাল পর্যন্ত চীনের চারটি প্রদেশে কাজ করেছেন জিনপিং। এই প্রদেশগুলো হলো শ্যাংসি, হুবেই, ফুচিয়েন ও চচিয়াং। তারপর ২০০২ সালে সিপিসির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যপদ পান জিনপিং।

এই পথ ধরেই ২০০৭ সালে সিপিসির পলিটব্যুরো সদস্য ও পরে চীনের রাষ্ট্রপতি হন তিনি।

মূলত তার শাসনামলেই চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়। ব্যাপক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সংস্কারের পাশাপাশি সিপিসিকে শক্তিশালী করতেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

কমিউনিস্ট বা মার্কসবাদী রাজনীতির বিকাশেও মৌলিক অবদান রয়েছে তার। বর্তমানে চীনে যারা মার্কসবাদী রাজনীতি করেন, তাদের সবাইকে কার্লমার্কস ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস, লেনিন, মাও সে তুংয়ের পাশাপাশি শি জিনপিংয়ের রচনাবলীয় পড়তে হয়। এ কারণে দেশটির অনেকেই তাকে আধুনিক চীনের প্রতিষ্ঠাতা মাও সে তুংয়ের সমকক্ষ নেতা মনে করেন।


বিশ্ব   চীন   চায়না কমিউনিস্ট পার্টি   কংগ্রেস   শি জিনপিং   সিপিসি   চীনা প্রেসিডেন্ট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কুরকুরে চিপস আনতে ভুলে যাওয়ায় ডিভোর্স চাইলেন স্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বারবার বলে দেওয়া সত্ত্বেও কুরকুরে চিপস আনতে ভুলে গেলেন স্বামী। আর এতে রেগে গিয়ে স্ত্রী চেয়ে বসলেন ডিভোর্স। অভিযোগ জানাতে ছুটলেন পুলিশের কাছেও।

ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। মঙ্গলবার (১৪ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, উত্তর প্রদেশের আগ্রায় এক যুবতী তার স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চেয়েছেন। তাদের ঝগড়ার কারণ, বাড়ি ফেরার পথে কুরকুরে আনেননি স্বামী। আর সেটি নিয়েই তুমুল ঝগড়া বাঁধে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। একপর্যায়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই যুবতী। তিনি বলেন, তিনি স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান।

এদিকে স্বামীর অভিযোগ, স্ত্রী কুরকুরে-তে অস্বাভাবিক রকমের আসক্ত। রোজ তার ৫ রুপির এক প্যাকেট কুরকুরে চাই-ই চাই। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন মনোমালিন্য লেগেই থাকত। সম্প্রতিই চিপসের প্যাকেট নিয়ে ফের ঝগড়া হয়।

আর এরপরই রেগে বাপের বাড়ি চলে যান ওই যুবতী। পরে পুলিশের কাছে গিয়ে স্বামীর কাছ থেকে ডিভোর্স চান। যদিও যুবতীর দাবি, স্বামী তাকে শারীরিক নির্যাতন করেছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত বছরই বিয়ে হয়েছে ওই দম্পতির। তবে যুবতীর ডিভোর্সের দাবির বিপরীতে তাদের মতভেদ মেটানোর এবং সংসার রক্ষা করার প্রচেষ্টায় পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের ফ্যামিলি কাউন্সেলিংয়ে পাঠানো হয়েছে।

উত্তর প্রদেশের শাহগঞ্জ থানা এলাকার ওই তরুণীর বিয়ে হয় সদর থানা এলাকার বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে। ২০২৩ সালে হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের পর বেশ সুখেই সংসার করছিলেন তারা। কিন্তু স্ত্রীর অতিরিক্ত কুরকুরে খাওয়ার অভ্যাসই দুজনের মধ্যে বিবাদ তৈরি করে বলে অভিযোগ স্বামীর। 

এদিকে ৫ রুপির কুরকুরের জন্য স্ত্রী যে বিবাহবিচ্ছেদের পথে যেতে পারেন এমনটা ভাবতেও পারেননি ওই যুবক। স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠেন তিনি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বাপের বাড়িতেই রয়েছেন স্ত্রী। যুবকের অভিযোগ, 'আমার স্ত্রী প্রতিদিন কুরকুরে খেতে চায়। প্রতিদিন কুরকুরে আনতে আনতে আমি ক্লান্ত।'

সংবাদমাধ্যম বলছে, স্বামী-স্ত্রী ইতোমধ্যেই মনোরোগ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু এখনও কোনও সমাধান আসেনি। চিকিৎসক তাদের নিজেদের মধ্যে কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। 


কুরকুরে চিপস   ডিভোর্স   স্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পেরুতে বাস দুর্ঘটনায় ১৬জনের মৃত্যু

প্রকাশ: ০১:৩৭ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

পেরুতে পাহাড়ী আয়াকুচো অঞ্চলে বাস উল্টে একটি ঢালে গড়িয়ে পরে। এ ঘটনায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত হয়েছে।  

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার(১৫ মে) এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে। বাসটি ৪০ জন আরোহী নিয়ে আন্দিজ পর্বতের দিকে যাচ্ছিল। সেখানে প্রায়ই এ ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। খবর এএফপির। 

আয়াকুচোর কর্মকর্তা ওয়াইবার ভেগা সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যেই ১৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের মরদেহ বাসের নিচে আটকা পড়ে আছে। তিনি ওই দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওয়াইবার ভেগা জানিয়েছেন, শিলাবৃষ্টিসহ খারাপ আবহাওয়ার কারণে বাকি তিনজনের মরদেহ উদ্ধারে সময় লাগছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে লিমা থেকে আয়াকুচো শহরের যাওয়ার সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালে পেরুতে ট্রাফিক দুর্ঘটনায় মোট তিন হাজার ১৩৮ জন প্রাণ হারায়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৭০ শতাংশ দুর্ঘটনা চালকের দক্ষতার অভাব, ক্লান্তি বা সাধারণ কিছু কারণে হয়ে থাকে।


পেরু   বাস দুর্ঘটনা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ছাত্র আন্দোলনে কেন বার বার জড়াচ্ছে মার্কিন শিক্ষার্থীরা?

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে। গত ১৭ এপ্রিল কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। এরপর দাবানলের মত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরে বিশ্বের বিভিন্ন  দেশে। 

শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ থামাতে মারমুখী অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক ক্যাম্পাসে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় শিক্ষার্থীদের অস্থায়ী তাঁবু। শুধু তাই নয়, তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রাণঘাতী নয়, এমন গ্রেনেড ও গুলিও ব্যবহার করেছে পুলিশ। এছাড়াও গ্রেপ্তার করেছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে। এ ঘটনায়, বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদেরও গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এত কিছুর পরেও পিছপা হয়নি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা এখনও অটুট। 

মূলত, দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ইতিহাস বহু পুরনো। যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন এটাই প্রথম নয়। প্রায় প্রতি বছরই মার্কিন শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিক্ষোভ বা আন্দোলন করতে দেখা যায়। আর এই আন্দোলন গুলো সব সবসময় তাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য  করে না। বরং বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে নানা তারা আন্দোলন করে।   

এর আগেও, ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনামে যুদ্ধের সময় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের দেশের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন শুরু করেছিল। আর এই আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় মাত্র ৭ দিনে ৭০০ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট (এনওয়াইপিডি)। কিন্তু তারপরেও দমিয়ে রাখতে পারেনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। ভিয়েতনাম যুদ্ধের শেষ পর্যন্ত তারা কমান্ড দিয়ে গেছে। 

সেসময় শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিলেও চলমান আন্দোলনের  কোনো দাবি এখনও পর্যন্ত মেনে নেয়নি মার্কিন সরকার। 

দীর্ঘ ৫৬ বছর পর আবারও যখন কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্ষতির কথা না ভেবে আন্দোলনের জড়ালো তখন শুধু একটা প্রশ্ন থেকেই যায় যে, কেন বারবার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীরা ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত হয়?

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় থাকে মানবতাবাদ। যেখানে ধর্ম,বর্ণ বা জাতি কোনটাই ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে না। এখন যে আন্দোলনটা চলমান সেখানেও সবাই মুসলমান বা সবাই ইহুদি নয়। সব ধর্মের ছেলেমেয়েরাই রয়েছে আন্দোলনে। এমনকি অনেক ইহুদি ছেলেমেয়েরাও এ আন্দোলনে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ফলে শিক্ষার্থীদের চিন্তা-চেতনায় যে মানবতাবাদ সেটা স্পষ্ট হয়েছে।

আর এই মানবতাবাদী চিন্তা থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


ছাত্র আন্দোলন   মার্কিন শিক্ষার্থী   ফিলিস্তিন   ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আর্জেন্টিনার বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৩০০ শতাংশ

প্রকাশ: ১১:৫২ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত মার্চের তুলনায় এই মাসে আর্জেন্টিনায় মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। মার্চে এই হার ছিল ১১ শতাংশ। এপ্রিলে তা হয়েছে আট দশমিক আট শতাংশ। এটাকেই তাদের জয় হিসাবে দেখছে আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট মিলেইয়ের অফিস।

তিনি যখন দায়িত্ব নিয়েছিলেন, তখন মাসিক মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল ২৫ শতাংশ। প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, মুদ্রাস্ফীতির হার কমানোই হবে তার প্রথম কাজ।

প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন, মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তার মৃত্যু-পরোয়ানায় সই করা হয়ে গেছে। কিন্তু সরকারি রিপোর্ট বলছে, এপ্রিলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার দেখানো হয়েছে ২৮৯ দশমিক চার শতাংশ।

মিলেই যখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন, তখন আর্জেন্টিনার অর্থনীতির অবস্থা ভালো নয়। মুদ্রাস্ফীতিতে আর্জেন্টিনা বিশ্বের শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে একটি। মিলেই কড়া হাতে অর্থনীতির হাল ধরেন। সরকারি খরচ বাজেট ঘাটতির পরিমাণ কম করার চেষ্টা করেন।

তিনি ৫০ হাজার সরকারি চাকরি শেষ করে দেন। সরকারি কাজের জন্য নতুন বরাদ্দ দেয়া বন্ধ করেন। তেল পরিবহনে ভর্তুকি দেয়া বন্ধ করেন। আইএমএফ এবং বিনিয়োগকারীরা এই সব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। আইএমএফ মঙ্গলবারই আর্জেন্টিনাকে ৮০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে।

মিলেইয়ের সমালোচকরা দাবি করেছেন, তার নীতির ফলে গরিব শ্রমিকদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ হয়েছে। সরকারি তথ্য বলছে, গরিবদের সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে। তার সমালোচকদের মতে, খরচ কমানো অর্থ না থাকার কারণে এটা ঘটেছে।

আর্জেন্টিনার জিডিপি এই বছর দুই দশমিক আট শতাংশ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আর্থিক মন্দার দিকে যেতে পারে মেসির দেশ।


আর্জেন্টিনা   মুদ্রাস্ফীতি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় নিহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু: জাতিসংঘ

প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনে নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এবার জাতিসংঘও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

সংস্থাটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে নিহত ফিলিস্তিনিদের অন্তত ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু। বুধবার (১৫ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

জাতিসংঘ বলছে, গাজা যুদ্ধে নিহত হাজার হাজার মানুষের মধ্যে অন্তত ৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা ইসরায়েলের নিরলস আগ্রাসনে অন্তত ৩৫ হাজার ১৭৩ জন নিহত হয়েছেন।

মূলত গাজা কর্তৃপক্ষ ক্রমাগত বলেছে, উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৪০ শতাংশ পুরুষ, ২০ শতাংশ নারী এবং ৩২ শতাংশ শিশু এবং ৮ শতাংশ বয়স্ক মানুষ রয়েছেন।

মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মুখপাত্র ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেছেন, নতুন এই পরিসংখ্যাটি এখন পর্যন্ত সরবরাহ করা তথ্যগুলোর মধ্যে ‘সবচেয়ে ব্যাপক’। 

তিনি জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেন, অজ্ঞাত পরিচয়ের ক্ষেত্রে একই অনুপাত প্রয়োগ করলে এবং নিহত বয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক নারী হলে এটা আশা করা যেতেই পারে যে, নিহত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষের মধ্যে অন্তত ‘৫৬ শতাংশ নারী ও শিশু’ রয়েছে।


জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন