ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কারাগারে মিলবে যৌন সম্পর্কের সুযোগ

প্রকাশ: ০৯:১৪ এএম, ২৩ অক্টোবর, ২০২২


Thumbnail কারাগারে মিলবে যৌন সম্পর্কের সুযোগ

কারাগারের ভেতরেই স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতে পারবেন বন্দিরা। ভারতের পাঞ্জাবের জেলে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে এই নতুন নিয়ম। ভারতের এটিই প্রথম কোনো রাজ্য, যেখান এই নিয়ম চালু করল কারা বিভাগ।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের গোইন্দাল কারাগারে প্রথম এ সুবিধা পেয়েছেন হত্যা মামলার আসামি ৬০ বছর বয়সী গুরজিৎ সিং। তিনি ওই কারাগারে বেশ কয়েক মাস ধরে বন্দী।

কারাগারে স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটানোর সুযোগ পেয়ে গুরজিৎ সিং বলেন, ‘কারাগারে একা ও বিষণ্ন হয়ে পড়েছিলাম। স্ত্রীর সঙ্গে কারাগারেই ব্যক্তিগত মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ পাওয়ায় বেশ স্বস্তি বোধ করেছি।’

পাঞ্জাব কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, যেসব কয়েদি আচার-আচরণে ভালো, প্রতি দুই মাসে দুই ঘণ্টার জন্য তাঁদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়া হবে। রাজ্য সরকার কারা কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দেওয়ার পর এক হাজারের বেশি কয়েদি এ সুযোগ চেয়ে আবেদন করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০০ কয়েদি এ সুযোগ পেয়েছেন।

কারা বিভাগ জানিয়েছে, এই নিয়ম চালু হলে বন্দিরা নিজেদের তাগিদেই আচরণ ভালো করার চেষ্টা করবেন। তাদের দাম্পত্য জীবনও সুন্দর হবে।

তবে, শর্তানুসারে বন্দির সঙ্গে দেখা করতে এলে স্বামী বা স্ত্রীর বিয়ের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। পাশাপাশি, কোভিড, এইচআইভি বা কোনো সংক্রামক রোগ নেই, এমন মেডিকেল সার্টিফিকেটও দেখাতে হবে।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুনীল সিং বলেন, ভারতের কিছু রাজ্য, যেমন রাজস্থান ও মহারাষ্ট্রের কারাগারে যেসব কয়েদি ভালো আচরণ করেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কারাগারে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘সন্তান জন্ম’ বা ‘বৈবাহিক সম্পর্ক’ বজায় রাখার জন্য কয়েদিদের ছুটির অনুমতিও দেন আদালত। তবে সারা দেশের পাঁচ লাখের বেশি কয়েদি বছরের পর বছর এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে নতুন স্কিম চালু হওয়ায় কারাগারের ভেতর কয়েদিদের এ ধরনের সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে পাঞ্জাব প্রথম ভারতীয় রাজ্য। গত ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের ২৫টি কারাগারের মধ্যে তিনটি কারাগারে এ সুবিধা চালু হয়েছে। স্কিম অনুযায়ী ৩ অক্টোবরের মধ্যে ১৭টি কারাগারে এই সুবিধা চালুর কথা বলা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, অন্য কারাগারগুলো আয়তনে অনেক ছোট এবং একটি শিশুদের জন্য। এ কারণে এসব কারাগারে এ সুবিধা চালু করা যায়নি।

সরকারি আদেশে বলা হয়েছে, কারাগারে কয়েদিদের স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটানোর সুবিধা দিতে সংযুক্ত বাথরুমসহ একটি কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে। ওই কক্ষে কয়েদি তাঁর স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করতে পারবেন। যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে ওই কক্ষের ভেতর জন্মনিরোধকও সরবরাহ করতে হবে।
কারা বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হারপ্রীত সিধু বলেন, কয়েদিদের মানসিক চাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সমাজে তাঁদের পুনঃপ্রবেশ নিশ্চিত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সংসর্গের সুবিধা তাঁদের জৈবিক চাহিদাও পূরণ করবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, বেলজিয়াম, স্পেন, ফিলিপাইন, কানাডা, সৌদি আরব, ডেনমার্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু অঙ্গরাজ্যের কারাগারে কয়েদিদের দাম্পত্য সাক্ষাতের ব্যবস্থা আছে। ব্রাজিল ও ইসরায়েলে সমলিঙ্গের সঙ্গীদের সঙ্গে থাকারও অনুমতি দেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতের কারাগারগুলোর ভেতরে আগে বন্দীদের সঙ্গে দর্শনার্থীদের শারীরিক সাহচর্যেরই অনুমতি ছিল না। কয়েদিদের দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন তাঁদের মৌলিক মানবাধিকার। এ কারণে আইনজীবী অমিত সাহনি ২০১৯ সালে জনস্বার্থে দিল্লি হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন।
আইনজীবী অমিত সাহনি বলেন, কয়েদিদের সঙ্গে যখন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা কারাগারে দেখা করতে আসেন, তখন তাঁদের হাত ধরতে চাওয়া ও আলিঙ্গন করতে চাওয়ার বিষয়টি স্বাভাবিক। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে কারা কর্মকর্তারা সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ কারণে ইচ্ছা থাকলেও কয়েদিরা লজ্জা ও ভয়ে সেসব করতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, যিনি অপরাধ করেছেন তাঁকে শাস্তি দেওয়া যৌক্তিক। কিন্তু যে স্বামী-স্ত্রী নির্দোষ, তাঁর কী হবে? তাঁর অধিকার কেন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে?

দিল্লি হাইকোর্টে অমিত সাহনির এই পিটিশনের শুনানি এখনো চলছে। তবে ‘সন্তান জন্মদান’ বা ‘বৈবাহিক সম্পর্ক’ বজায় রাখার জন্য কয়েদিরা প্যারোলে মুক্তির আবেদন জানালে আদালত সব সময় তা মঞ্জুর করেন।

২০১৮ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলি জেলায় ৪০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। সে সময় ‘সন্তান জন্মদান’-এর জন্য ছুটি চাইলে দণ্ডপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তিকে দুই সপ্তাহের জন্য মুক্তি দিয়েছিলেন আদালত। বিচারকেরা সে সময় বলেছিলেন, ‘দাম্পত্য সাক্ষাৎ অধিকার, এটা কোনো সুযোগ নয়’। তবে কারাগারে কয়েদিরা সমলিঙ্গের সঙ্গীদের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করার কারণে এইচআইভি-এইডস রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সে সময় হাইকোর্ট বেঞ্চ কারা সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছিলেন।

২০১৪ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের বিচারক সূর্যকান্ত কয়েদিদের দাম্পত্য সাক্ষাৎ ও কৃত্রিমভাবে গর্ভধারণের অনুমতি দিয়েছিলেন।

পাঞ্জাব রাজ্যের আদেশে বলা হয়েছে, কারাগারে যেসব কর্মী দীর্ঘদিন বন্দী, তাঁদের প্যারোল ছাড়াই কারাগারে দাম্পত্য সাক্ষাতের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তবে কাউকে কাউকে এই সুযোগ দেওয়া হবে না। যেসব কর্মী এ সুযোগ পাবেন না, তাঁরা হলেন গ্যাংস্টার ও সন্ত্রাসী; যৌন অপরাধ, পারিবারিক সহিংসতা ও শিশু নিপীড়নের দায়ে যাঁরা বন্দী; টিউবারকিউলোসিস, এইচআইভি বা যৌনবাহিত রোগসহ যাঁরা সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত; যাঁরা কারাগারে গত তিন মাসে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেননি এবং যাঁদের আচরণ ভালো নয়।

পাঞ্জাবের টার্ন টারান জেলার গোইন্দাল কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট ললিত কোহলি বলেন, যখন কোনো কয়েদি দাম্পত্য সাক্ষাতের জন্য কক্ষের ভেতর ঢোকেন, তখন ওই কক্ষে বাইরে থেকে তালা মেরে দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ওই কক্ষের জানালাসহ সব ধরনের প্রস্থান পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ললিত কোহলি আরও বলেন, দম্পতিদের একান্তে সময় কাটানোর জন্য দুই ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। কিন্তু অধিকাংশই সাধারণত এক ঘণ্টা সময় কাটান। কক্ষের ভেতর যদি তাঁদের কোনো কিছুর প্রয়োজন হয়, তাহলে সেখানে রাখা ঘণ্টি বাজিয়ে তাঁরা প্রহরীকে ডেকে নিতে পারবেন।
প্রতারণার একটি মামলায় অভিযুক্ত ৩৭ বছর বয়সী জোগ সিং গোইন্দাল কারাগারে বন্দী। তিনি বলেন, কয়েক মাস থেকে পরিবারের সদস্যদের দেখতে না পেয়ে তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তবে স্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাওয়ার পরও তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলেন। কারণ, কারাগারের কর্মীরা বিষয়টি কীভাবে দেখবেন—এই নিয়ে চিন্তা হচ্ছিল তাঁর। তিনি আরও বলেন, ‘তবে শেষমেশ সাক্ষাৎ পর্বটি ভালো হয়েছে। আমি আনন্দিত।’

তবে সরকারি এই আদেশের সমালোচনাও করছেন অনেকে। সমালোচকেরা বলছেন, কারাগার মূলত অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য। সেখানে অপরাধীদের দাম্পত্য সাক্ষাতের সুযোগ দিলে ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবার কারাগারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলবে।

পাঞ্জাবে খুন হওয়া সংগীতশিল্পী সিধু মুসেওয়ালার মা চরণ কৌর সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলে হত্যায় অভিযুক্ত ১৮ জনের মধ্যে একজন পুলিশ হেফাজতে থেকেই পালিয়ে গেছেন। এরপর ওই কারাগারেই অপরাধীদের জন্য বিশেষ কক্ষ তৈরি করা হলো।

তবে কারা কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সিধু মুসেওয়ালার হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তরা দাম্পত্য সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন না। যেহেতু তাঁরা গ্যাংস্টার ও সন্ত্রাসী, তাই তাঁরা এই অনুমতি পাবেন না।

আইনজীবী অমিত সাহনি বলেছেন, ভারতের সব কারাগারেই কয়েদিদের দাম্পত্য সাক্ষাতের সুবিধা দেওয়া উচিত। আর এটা বন্দীদের সংশোধনে একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ হবে। তিনি বলেন, বিচারের উদ্দেশ্য কেবল বন্দীদের শাস্তি দেওয়া নয়, তাঁদের সংশোধন করাও। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তাঁরা যেন আবার সমাজে একত্র হতে পারেন, সেটাও বিচারের উদ্দেশ্য।


কারাগার   যৌনমিলন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: রাহুল-রাজনাথদের ভাগ্য নির্ধারণের দিন আজ

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ। 

সোমবার (২০ মে) পঞ্চম পর্বে দেশটির ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪৯ টি আসনে ভোট হচ্ছে।

নির্বাচনের এই দফায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জম্মু-কাশ্মীরের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ, নরেন্দ্র মোদি সরকারের আরও দুজন শীর্ষ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও পিযূষ গয়ালের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটারা।

লোকসভার সাত দফার ভোট পর্ব শুরু হয় গত ১৯ এপ্রিল। ২৮ রাজ্য ও ৮ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৭ কোটি ভোটারের কাছ থেকে সুষ্টু ভোট নিতে সাত দফায় ভোটের আয়োজন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

ক্ষমতাসীন দল বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামপন্থি দলসহ ৬টি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দল এবং তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, জেডিইউ-এর মতো প্রাদেশিক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

এরই মধ্যে চার দফার ভোট শেষ হয়েছে। আজ ৬টি রাজ্য ও ২টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৪৯ সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত।

পঞ্চম দফায় ভোট গ্রহণ চলছে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গে। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে ৭ আসনে। যার মধ্যে ৩টি বিজেপির বাকি সবগুলোই তৃণমূলের দখলে। 

এদিকে, মমতা বাংলায় বিজেপি আসন বাড়ানোর ডাক দিয়েছে। আর আসন বাড়াতে হলে এই দফা থেকেই বিজেপির আসন বাড়াতে হবে।

এই পঞ্চম দফার ভোটে সবার বিশেষ নজর এখন উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলির দিকে। সেখান থেকে লড়ছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে, লখনৌতে ভাগ্য পরীক্ষা হবে রাজনাথ সিংয়ের, আমেথিতে অভিনেত্রী মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির আর জম্মু-কাশ্মীরে বারামুল্লায় ওমর আবদুল্লার।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের সীমানা ঘেষা বনগাঁ আসনে জাহাজমন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুরের, হুগলিতে দুই অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ভোটাররা।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের ১৯  ও ২৬ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় দফা এবং ৭ ও ১৩ মে যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোট হয়। চার দফায় ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৬৬.১, ৬৬.৭, ৬১ ও ৬৭.৩ শতাংশ। 

লোকসভার ৫৪৩ আসনের মধ্যে চার দফায় ভোট নেয়া হয়েছে ৩৭৯ আসনে। বাকি ১৬৪ আসনের মধ্যে আজ ৪৯ আসনের ভোট শেষ হলে বাকি থাকবে ১১৫টি আসন যা পরবর্তী দুই দফায় সম্পন্ন হবে।


লোকসভা নির্বাচন   রাহুল গান্ধী   রাজনাথ সিং   রচনা ব্যানার্জি   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যুতে সিআইএ-মোসাদ’র হাত আছে কি?

প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করেন। সেখান থেকে ফিরে তিনি ইরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এরপরই দুর্ঘটনার খবর আসে। যদিও দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। রাইসির এই হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত আছে নাকি সিআইএর কোন ষড়যন্ত্র রয়েছে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়।

তবে ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের আরোহীদের কেউই বেঁচে নেই । এমন তথ্যই জানিয়েছে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট। অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

দূর্যোগপূর্ণ বৈরি আহহাওয়ার মধ্যেও প্রেসিডেন্ট রাইসি প্রকল্প উদ্বোধন করতে গেলেন, সেখানে বাঁধ উদ্বোধন করার পর এক ভাষণে রাইসি ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইরানের সমর্থনের উপর জোর দেন। এটাই কি রাইসির জন্য কাল হয়ে দাড়াঁল। নাকি পরিকল্পিত ভাবে রাইসির মৃত্য নিশ্চিত করলো ষড়যন্ত্রকারিরা। এর জন্য কি তবে ইসরায়েল দায়ি এমনটাই মনে করছেন অনেকে।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। এ ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার।

অনেকেই মনে করছেন রাইসির এই আকস্মিক মৃত্যর পিছনে রহস্য রয়েছে। বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ইরান একটি সামাজিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল রাইসি এমন সময়ে প্রেসিডেন্ট হন। এবং পারমানবিক কর্মসূচির কারণে দেশের অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার চাপে কঠিন সময় পার করছে। গত বছর ৭ অক্টোবর গাজায় যে যুদ্ধ শুরু হয়, তা আঞ্চলিক উত্তেজনা আবার তুঙ্গে নিয়ে যায়। কয়েক দফা পাল্টা-পালটি ঘটনার পর ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ইরান সরাসরি ইসরায়েলের উপর শত শত ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন নিক্ষেপ করে। তাহলে কি সুস্পষ্ট হচ্ছে রাইসির মৃত্যর কারণ রহস্যে ঘেরা? কিছু কারণ উল্লেখ করা যাক..

১। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আজারবাইজানের সীমান্তের কিজ কালাসি এবং খোদাফারিন বাঁধ দুটি উদ্বোধন করতে যাবেন। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে তাকে হেলিকপ্টারেই কেন যেতে হবে।

২। যেহতেু সিমান্তবর্তি এলাকায় ইব্রাহিম রাইসিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যাবেন সেহেুত দেশটির আবহাওয়া দপ্তর কেন আগে সতর্ক করলেন না।

৩। দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সাধারনত আকাশপথে কোন যানবাহন চলাচল করেনা। করলেও তা আবহাওয়া বিশ্লেষনের মাধ্যমে যাতে কোন ঝুঁকি না থাকে তা নিশ্চিত হয়ে হেলিকপ্টার বা বিমান চলাচল করে। সেখানে এই ঝুঁকি নিয়ে কেন উদ্বোধন করতে গেলেন রাইসি।

৪। যেহেতু হেলিকপ্টার একটি সাধারন হালকা আকাশপথের চলাচলের মাধ্যম সেহেতু একজন গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট কেন হেলিকপ্টারেই যাবে। দেশটিতে আবহাওয়ার দূর্যোগ চলা সর্তেও এরকম পরিস্থিতিতে কেন হেলিকপ্টারটি চালান হলো।

৫। আকাশপথের হালকা বাহন হচ্ছে হেলিকপ্টার। পাইলট বা চালক যেহেতু দেখছে আবহাওয়া যাতায়াতের অনুকূলে সেহেতু পাইলট কেন যাত্রা শুরু করে।

৬। সাধারণত যে কোন দেশের রীতি হলো প্রেসিডেন্ট, ফরেন মিনিষ্টার ভিন্ন ভিন্ন হেলিকপ্টারে যাতায়ত করে। তাহলে তারা সবাই একই হেলিকপ্টারে কেন উঠলো? এমনকি হেলিকপ্টারের পাইলট কে ছিল। তাহলে কি হেলিকপ্টারের পাইলটকে নিজের আয়েত্বে নিয়েছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হচ্ছে সংশয়।

৭। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হেলিকপ্টারে করে কেন সফরে গেলেন ইব্রাহিম রাইসি।

পাকিস্তানের তৎকালিন জেনারেল জিয়াউল হক বাওয়ালপুর গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনের তৈরি এম-৩১ ট্যাংকের মহড়া দেখতে, রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ৩৩০ মাইল দক্ষিণে বাহওয়ালপুর টেস্ট ফিল্ডে যান। ট্যাংকের মহড়া দেখে ফেরার পথে বিধ্বস্ত হয় লকহিড মার্টিনের তৈরি সি-১৩০বি বিমানটি, উড্ডয়নের পাঁচ মিনিটের মধ্যেই মাটিতে আছড়ে পড়ে ৬০-৭০ ডিগ্রি কোণে। আর এতেই মারা গেছেন জেনারেল জিয়াউল হক। একইভাবে সিআইএর কোন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু হয়েছে। নাকি হেলিকপ্টার দূর্ঘটনার মৃত্যুতে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা ‘মোসাদ’ এর কোন হাত রয়েছে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয় দেখা দিয়েছে।।


ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   সিআইএ   মোসাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাইসির মৃত্যু: এশিয়া ও ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতে প্রভাব ফেলবে

প্রকাশ: ১২:৫৪ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত খবরের মধ্যে গাজা যুদ্ধের পর যুক্ত হল রহস্যজনক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। রোববার (১৯ মে) ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রেসিডেন্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন ভূরাজনীতির প্রভাবশালী দুই কর্তা ব্যক্তির মৃত্যুতে অনেকটাই পাল্টে যেতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ। তবে কি মৃত্যু থেকে সবচেয়ে লাভবান হবে ইসরায়েল? এমন প্রশ্ন ও উঠে আসছে।  

রাইসির মৃত্যু শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয় বরং প্রভাব ফেলবে মধ্য এশিয়া ইউরোপীয় ভূরাজনীতিতেও। বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে রুশ বাহিনীকে যে বিপুল পরিমাণ ড্রোন সমরাস্ত্র সরবরাহ করেছিল তেহরান এখন সেই পদক্ষেপ কতটা ধারাবাহিক থাকবে সে প্রশ্ন উঠেতে শুরু করেছে অনেক মহলে। এছাড়াও রাইসির নেতৃত্বে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল তেহরান।

বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান সংঘাতে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে ইব্রাহিম রাইসি হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যু। গেল কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সক্রিয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছিল তেহরান। বিশেষ করে লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন, বাহরাইন ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থ সমরাস্ত্রের অন্যতম যোগানদাতা ছিল ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী। নতুন প্রেসিডেন্ট এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠবেন কিনা সেটা এখন বড় প্রশ্ন এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর কাছে।

এসব গোষ্ঠী মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকা ইসরায়েলের স্বার্থের জন্য ক্রামাগত হুমকি তৈরি করে আসছিল। এর মধ্যেই গত মাসে ইব্রাহিম রাইসির সরকার সরাসরি ইসরায়েলের অভ্যন্তরে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করে। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও ইরানের ইস্ফাহান শহরে ড্রোন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এই ঘটনার আগে কেউ কখনো কল্পনাই করতে পারেনি মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ ইসরায়েলের হামলার সাহস করতে পারে, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাইসি।

শুধু হামলা নয় কয়েক দশক ধরে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে বেশ অসন্তুষ্ট ইসরায়েল পশ্চিমা দেশগুলো। এমনকি তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পালিত কুকুর হিসেবে পরিচিত সুন্নি প্রধান দেশ সৌদি আরবও। আর পশ্চিমা এসব শক্তির কোনো তোয়াক্কা না করে পরমাণু কর্মসূচি আরও জোরদার করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। এমনকি বেশ কয়েকবার ইসরায়েলকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকিও দিয়েছিলেন সদ্য নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট। বলা হচ্ছে রাইসির মৃত্যু প্রভাব ফেলতে পারে দেশটির পরমাণু কর্মসূচিতেও।


রাইসি   মৃত্যু   এশিয়া   ইউরোপী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি কী হত্যাকাণ্ডের শিকার

প্রকাশ: ১২:২২ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

চিরশত্রু ইসরায়েলসহ পশ্চিমাদের চক্ষু শূল ছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের জাঁদরেল নেতা ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি । আমেরিকার কঠোর নিষেধাজ্ঞার পরও কখনো মাথা নত করেননি। রাজি হননি আপোষেও।

তাইতো হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন মার্কিন সিনেটর রিক স্কট। এই উচ্ছ্বাস শুধু মার্কিন সিনেটরেরই নয়, যেন ইসরায়েল-আমেরিকার প্রতিচ্ছবি। তাই অনেকে প্রশ্ন তুলছেন এটি নেহাত দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলের বুকে কাঁপন ধরানো একমাত্র প্লেয়ার ছিলেন ইব্রাহিম রাইসি। তাকে শেষ করতে পারলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসরায়েলের দিকে মিসাইল তাক করার মতো আর কেউ নেই তা ভালো করেই জানেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সন্দেহের আঙুল যাচ্ছে আমেরিকার দিকেও। কারণ একমাত্র ইরানের কারণেই মধ্যেপ্রাচ্যের রাজনীতিতে প্রভাব কমেছে ওয়াশিংটনের। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে আমেরিকার চরম শত্রু চীন। ছাড়া কাশেম সোলাইমানির মতো প্রভাবশালী জাঁদরেল নেতাকে হত্যা করতে একটুও বুক কাঁপেনি আমেরিকার। এমনকি বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েও ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে ফেরাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। ফলে রাইসিকে টার্গেট করতে পারে বাইডেন প্রশাসন সেই শঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।


ইরান   প্রেসিডেন্ট   রাইসি হত্যাকাণ্ড  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে উচ্ছ্বসিত মার্কিন সিনেটর

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান। তাদের শোকে পাথর হয়ে গেছে ইরানিরা। তবে এই দুর্ঘটনা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একধরনের উচ্ছ্বাস করতে দেখা গেছে একজন মার্কিন সিনেটরকে।সোমবার (২০ মে) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা আলজাজিরার প্রতিবেদনে তথ্য জানানো হয়।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার পর সোমবার রিক স্কট নামে এক রিপাবলিকান আইন প্রণেতা ইরানের প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।পোস্টে তিনি বলেন, ‌‘তাকে (রাইসি) ভালোবাসা বা সম্মান নয়, এমনকি কেউ তাকে মিসও করবে না। যদি তিনি মারা যান, আমি সত্যিই আশা করি ইরানি জনগণ তাদের দেশকে খুনি স্বৈরশাসকের হাত থেকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে।


ইরানি   প্রেসিডেন্ট   মার্কিন সিনেটর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন