ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কপ২৭: জলবায়ু বিপর্যয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

প্রকাশ: ০১:০৭ পিএম, ০৭ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

মিশরে শুরু হয়েছে দুই সপ্তাহব্যাপী জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৭) গত রবিবার (৬ নভেম্বর)। এবারের সম্মেলনের অংশ নিতে লোহিত সাগরের তীরে শারম-আল-শেখ শহরে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের ১২০ জনের মতো বিশ্বনেতা। দুই সপ্তাহ ধরে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে করণীয় কি সেটি নিয়ে আলোচনা করবেন এই সম্মেলনে।

সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস জানান,  আমাদের সামনে ‘একটি ভয়ানক সংকেত’ আসছে। রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত আট বছরের রেকর্ডে উষ্ণতা সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছানোর পথে রয়েছে।

কপ২৭-র প্রেসিডেন্ট ও মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শুকরি সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তৃতায় রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের ফলে খাদ্য ও জ্বালানির যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘শারম-আল-শেখে এটা আমাদের সবার অন্তর্নিহিত বিষয় হচ্ছে আমরা যে চ্যালেঞ্জগুলোর সম্মুখীন হচ্ছি তার ব্যাপকতা সম্পর্কে আমাদের সমঝোতা এবং এটিকে কাটিয়ে উঠতে দৃঢ় সংকল্প নেওয়া’।

জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনেও পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরা হয়।

জাতিসংঘ প্রধান গুতেরেস এক ভিডিও বার্তায় জলবায়ুবিষয়ক প্রতিবেদন-২০২২ এর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এটি ‘ধারাবাহিক জলবায়ু বিপর্যয়ের’ কথা তুলে ধরেন।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, প্রাক-শিল্প যুগ থেকে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এখন ১ দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে এবং সর্বশেষ আট বছর রেকর্ডে সর্বোচ্চ উষ্ণ হওয়ার পথে পৃথিবী।

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যান্য প্রভাবের বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে। এসবের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়ার রেকর্ড এবং রেকর্ড পরিমাণ তাপপ্রবাহের কথাও উল্লেখ আছে। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস এমন পরিস্থিতিতে কপ২৭ জরুরি ও বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কপ২৭ এর মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে সোমবার। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও প্রতিনিধিরা সম্মেলন থেকে কি চান তার একটি রুপরেখা পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে তুলে ধরবেন।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ফিরতে বিশ্ব নেতাদের দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। গতবছর গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত কপ২৬ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি থেকে সরে না আসারও আহ্বান জানাবেন তিনি।

সোমবার ও মঙ্গলবার বিশ্বনেতারা তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন।

২০১৪ সাল থেকে মিশরে ক্ষমতায় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল-সিসি। ভিন্নমতের ব্যাপক দমন-পীড়নের অভিযোগ রয়েছে সিসির সরকারের বিরুদ্ধে। স্থানীয় মানবাধিকারবিষয়ক বিভিন্ন সংগঠন বলছে, অন্তত ৬০ হাজার রাজনৈতিক বন্দী রয়েছে দেশটিতে। তাদের অনেককেই বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে তারা। এবারের জলবায়ু সম্মেলনে অনেক মানবাধিকার সংগঠন জায়গা পায়নি বলেও অভিযোগ রয়েছে।


জলবায়ু   কপ২৭   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: এবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বিজেপি

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চলছে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ছাড়াও ভোট হবে ১০টি রাজ্যের ৯৬টি আসনে। পরপর তিন দফা নির্বাচনের পর এবার কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে চতুর্থ দফার ভোটকে বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবে দেখছে বিজেপি।

সোমবার (১৩ মে) তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ও মধ্যপ্রদেশসহ ১০ রাজ্যের ৯৬ আসনের ভোট। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়ে ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে ভৌগলিক কারণে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টায়। 

এর আগের তিন দফার ভোটের মধ্যদিয়ে  ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে দেশটির প্রধান দুটি রাজনৈতিক শক্তি বিজেপি এবং ইন্ডিয়া জোটের ভাগ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে চতুর্থ দফার ভোটের মধ্য দিয়ে। কেননা সরকার গঠন করতে প্রয়োজন হবে ২৭২ আসন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই দফার ভোটেই নির্ধারণ হবে কারা যাচ্ছে ক্ষমতায়।

২০১৯ সালের হিসাব বলছে, চতুর্থ দফার ৯৬ আসনের মধ্যে বিজেপিরই জেতা আসনের সংখ্যা বিরোধী জোটের চেয়ে বেশি ছিল। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ বাদ দিলে বাকি সব আসনেই বিজেপির ভোটের শতাংশ বেশি। তাই এই দফায় বিজেপিরও ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে।

এদিকে, চতুর্থ দফার ভোটের আগের দিনেই পঞ্চম দফার ভোটের প্রচারে বিজেপি-বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রভাবশালী শরিক কংগ্রসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্র মোাদি।

পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়ায় নির্বাচনী সভায় রাহুল গান্ধীর নাম না নিয়ে মোদি বলেন, ‘শাহজাদার যত বয়স হয়েছে, এর চেয়েও কম আসন পাবে কংগ্রস।’ 

অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারে নেমে মোদিকে পাল্টা নিশানা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর আগে, শনিবার দিল্লিতে আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল মোদি-অমিত শাহ’র রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘এক দেশ এক নেতার ধারণা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন মোদি। আবারও ক্ষমতায় গেলে মমতাকেও গ্রেফতার করবেন তিনি।’

উল্লেখ্য, ভারতের চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের সাত দফায় নির্বাচনের ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল আর ভোট গ্ৰহণ শেষ হবে ১ জুন। ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন। বিজেপি ২০১৪ ও ২০১৯ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরপর দুদফায় ক্ষমতায় রয়েছে। এখন দলটির লক্ষ্য তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাওয়া।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি   তেলেঙ্গানা   অন্ধ্রপ্রদেশ   পশ্চিমবঙ্গ   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগুকে সরিয়ে দিচ্ছেন পুতিন

প্রকাশ: ০১:৪৯ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগুকে স্থানান্তর করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ পদে তিনি সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলোসভকে বসাতে যাচ্ছেন। রোববার (১২ মে) ক্রেমলিন এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আল জাজিরা  

সেগেই শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থেকে সরিয়ে দিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করবেন পুতিন। ৬৮ বছর বয়সী শোইগু ২০১২ সাল থেকে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে রয়েছেন।

রুশ পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ থেকে প্রকাশিত কাগজপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদে সের্গেই শোইগুর স্থলাভিষিক্ত হবেন সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ। প্রেসিডেন্ট পুতিন চান নিকোলাই পাত্রুশেভের কাছ থেকে শক্তিশালী নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব নিক শোইগু। তবে পাত্রুশেভের নতুন পোস্ট কী হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকায় সামরিক পটভূমি বা অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও শোইগুকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার সের্গেই শোইগু ১৯৯০ এর দশকে জরুরি ও দুর্যোগ ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।

এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পতে বেলোসভের নাম আসায় অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তবে বেলোসভের দীর্ঘদিনের সামরিক অভিজ্ঞতার জ্ঞান না থাকলেও তিনি একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদ। 

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার অর্থনীতিকে চলমান যুদ্ধের প্রচেষ্টার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সারিবদ্ধ করতে চাইছেন, আর এ পদক্ষেপটি সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।


প্রতিরক্ষামন্ত্রী   সের্গেই শোইগু   ভ্লাদিমির পুতিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় ইসরায়েলের হামলা হামাসকে নির্মূল করবে না : অ্যান্টনি ব্লিংকেন

প্রকাশ: ০১:৪১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফাতে ইসরায়েলি হামলা হামাসকে নির্মূল করবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। একইসঙ্গে রাফাতে আক্রমণ ‘অরাজকতা’ উস্কে দেবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনী হামাস যোদ্ধাদের চেয়ে বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে; এমন মতের সঙ্গেও একমত হয়েছেন তিনি। সোমবার (১৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

এদিকে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের বোমা হামলার কারণে ইতোমধ্যে তিন লাখ গাজাবাসীকে ওই এলাকা থেকে সরে যেতে হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, রাফায় পূর্ণ মাত্রার অভিযানে অবিশ্বাস্য রকমভাবে হতাহতের ঘটনা ঘটবে। এমনকি রাফায় ব্যাপক অভিযান চালানো হলেও হামাসের হুমকিকে শেষ করা যাবে না।

মার্কিন এই কূটনীতিক আরও বলেন, হামাস যোদ্ধারা ইতোমধ্যে উত্তর গাজার নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ফিরে এসেছে যেগুলোকে ইসরায়েল ‘মুক্ত করেছিল’।

ব্লিংকেন নিশ্চিত করেছেন, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি স্থগিত রেখেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এছাড়া গাজার বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য আরও কিছু করতে এবং রাফাতে সর্বাত্মক আক্রমণ এড়াতে (ইসরায়েলের ওপর) চাপ অব্যাহত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্লিংকেন বলেন, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা প্রদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলি নেতাদের ওপর চাপ দিয়ে চলেছে। তিনি এনবিসিকে বলেন, ‘গাজায় এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিন কী হবে তার জন্য আমরা একটি পরিকল্পনাও দেখিনি। আমরা একটি স্থায়ী ফলাফল পাওয়ার বিষয়ে তাদের সাথে আরও ভালো উপায় সম্পর্কে কথা বলেছি।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ইসরায়েলের নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেগবির সাথে টেলিফোনে আলাপকালে রাফা অভিযান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়ে  গুরুত্বারোপ করেছেন বলে হোয়াইট হাউস থেকে বলা হয়েছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, ইসরায়েল মার্কিন উদ্বেগকে বিবেচনায় নিচ্ছে বলে হানেগবি নিশ্চিত করেছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।


অ্যান্টনি ব্লিংকেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আমেরিকায় ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার ৫০ অধ্যাপক

প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আমেরিকায় চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ থেকে অন্তত ৫০ অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ।  ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ও সংহতি জানানোয় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ, বিক্ষোভ–সম্পর্কিত সংবাদ ও আদালতের নথি বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পেয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।

জানা গেছে, বিক্ষোভের ভিডিও চিত্র ধারণ করার কারণে অধ্যাপকদের গ্রেফতার করার ঘটনা ঘটেছে। গ্রেপ্তারকৃত অধ্যাপকদের কেউ কেউ পুলিশের মারধর, হয়রানি ও হেনস্তার শিকারও হয়েছেন।

গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভের সূচনা করেন। বিক্ষোভ থেকে তারা গাজায় যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েল সরকার ও ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নসহ বেশ কিছু দাবি জানান।

পরে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশটির দেড় শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। এছাড়া ইউরোপের অন্তত ১২টি দেশেও বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মার্কিন শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন। এই সময়ে আমেরিকায় আড়াই হাজারের বেশি ও ইউরোপে তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এক শিক্ষার্থীকে আটক করতে গেলে পুলিশকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন আটলান্টার ইমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ক্যারলিন ফলিন। এ সময় পুলিশের পাল্টা বাধার মুখে পড়েন তিনি। ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, এই নারী অধ্যাপককে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছেন এক পুলিশ সদস্য। আটকের পর এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সম্প্রতি বিক্ষোভে যোগ দেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ অধ্যাপক। সেই অধ্যাপকদের একজন গ্রায়েম ব্লেয়ার। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, গ্রেফতার হওয়ার শঙ্কা নিয়েই বিক্ষোভে যোগ দেন তিনি ও তার সহকর্মীরা। সেদিন তিনি গ্রেফতার না হলেও তার অন্তত চার সহকর্মী অধ্যাপককে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশ সদস্যরা তাদের শারীরিকভাবে হেনস্তাও করেন।

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একটি সংগঠন আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব ইউনিভার্সিটি প্রফেসরস। সংগঠনটির সেন্টার ফর দ্য ডিফেন্স অব একাডেমিক ফ্রিডমের পরিচালক আইজ্যাক কামোলা গণমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপকদের হাতকড়া পরিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।


আমেরিকা   ইসরায়েল   অধ্যাপক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: তারকা প্রার্থী অখিলেস-শতাব্দিদের ভাগ্য নির্ধারণের দিন আজ

প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৭ দফায়। নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ।

সোমবার (১৩ মে) চতুর্থ পর্বে দেশটির ১০ রাজ্যের ৯৬টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।

নির্বাচনের চতুর্থ দফায় আজ ভাগ্য নির্ধারণ হবে অখিলেস যাদব, অধীর চৌধুরী, ভারতীয় অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা, শতাব্দি রায়ের মতো তারকা প্রার্থীদেরও।

চতুর্থ দফার ভোটে বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল, সমাজবাদি পার্টি ছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র লড়াই হবে। ভাগ্য নির্ধারণ হবে লোকসভার বিরোধী দলীয় নেতা অধীর চৌধুরী, সমাজবাদি পার্টির শীর্ষ নেতা অখিলেস যাদবসহ ১ হাজার ৭১৭ জন প্রার্থীর। এ দফার ভোটে তারকা প্রার্থী রয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা ও শতাব্দি রায়। দুজনই গতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য।

এবারের নির্বাচনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক দলগুলো। এই দফায় অন্ধ্রপ্রদেশের ২৫, তেলেঙ্গানার ১৭, উত্তরপ্রদেশের ১৩, মহারাষ্ট্রের ১১ এবং পশ্চিমবঙ্গের ৮ আসনকেও ‘অস্তিত্ব রক্ষার চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করছে বিজেপি-কংগ্রেস-তৃণমূল বা ইন্ডিয়া জোট। 

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি বা তেলেঙ্গানা দেশাম পার্টির সাথে জোট করে নির্বাচন করছে বিজেপি। গত নির্বাচনে প্রদেশটির ২৫ আসনের মধ্যে ২২ আসন পেয়েছিল বিজেপি-বিরোধী শিবির কংগ্রেসপন্থি প্রাদেশিক রাজনৈতিক দল ওয়াইএসআর। অন্যদিকে, ১৭ আসনের তেলেঙ্গানাতেও বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ৪টি আসন। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, দক্ষিণের এই দুটি রাজ্য থেকে বিজেপিকে এবার ভালো ফল করতেই হবে। আর মহারাষ্ট্রের ১১ আসনের সবগুলোই বিজেপির ছিল, ফলে সেটাও ধরে রাখতে হবে তাদের। 

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের ৮ আসনের মধ্যে তৃণমূলের ছিল ৬টি, বাকি একটি করে কংগ্রেস ও বিজেপির।

রাজনৈতিক মহলগুলো মনে করছেন, মোাদির ঘোষিত ৪০০ আসনের টার্গেট পূরণ করতে হলে মমতার রাজ্য থেকেও এই দফায় মোদিকে ৪-৫টি আসনে জয় পেতে হবে। 

যদিও প্রতিটি রাজ্যেই প্রাদেশিক রাজনৈতিক দলগুলো বিজেপির থেকেও শক্তিশালী। তাই এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে গেরুয়া শিবিরের টক্কর হবে না বরং টক্কর হবে প্রাদেশিক তৃণমূল, সমাজবাদি পার্টি কিংবা ওয়াইএসআর’র মতো দলের সঙ্গে। তারাও নিজেদের আসন ধরে রাখতে ব্যাপক প্রচার চালিয়েছে।

উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের তিন দফার ভোটে মোট ২৮৩টি সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আরও চার দফায় ভোটগ্রহণের পর শেষ হবে ভারতের মোট সাত দফার লোকসভা নির্বাচন। এর ফল প্রকাশ হবে আগামী ৪ জুন।


লোকসভা নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন