ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জলবায়ু পরিবর্তন: নবায়নযোগ্য শক্তিই একামত্র বিকল্প

প্রকাশ: ১২:৩৬ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের বিপরীতে ভালো কোনো খবর খুঁজে পাওয়া যেন একপ্রকার দুষ্করই হয়ে উঠেছে। পৃথিবীর এ গুরুতর ক্ষতির জন্য উন্নত-ধনী দেশগুলোর অতিরিক্ত কার্বন নিসঃরণকে সবচেয়ে বেশি দায়ী করা হলেও, জলবায়ুর উন্নয়নে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলো তারাই বারবার ভেঙেছে। তাদের কারণেই জলবায়ু সংস্কারে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানো এখনো সম্ভব হয়নি।

তবে এবার মিশরের শারম এল-শেইখ শহরে আয়োজিত কপ-২৭ সম্মেলনে বিশ্বের ধনী দেশগুলো স্বস্তির সংবাদ দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, শিল্পোৎপাদন থেকে গ্রিনহাউস গ্যাসের ক্রমবর্ধমান নির্গমন কমাতে তাদের পক্ষ থেকে যথোপযুক্ত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ কার্বন নিঃসরণের মাত্রা আশানুরূপভাবে কমিয়ে এনেছে ও তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

তিন শতাব্দী বা তারও বেশি সময় ধরে শিল্পোৎপাদনে জীবাশ্ম-জ্বালানির ব্যবহার হয়ে আসছে। ক্রমেই এ ব্যবহার বেড়েছে, যার ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর মারাত্মক বিপর্যয় অব্যাহত রয়েছে।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, কয়লা-তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার আন্তর্জাতিক উৎপাদন, উন্নতি ও প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে বাড়িয়েছে বৈশ্বিক তাপমাত্রাও।

কার্বন নিঃসরণ ও জলবায়ুর এ সম্পর্কের কারণেই উন্নত দেশের কতিপয় পরিবেশবিদ ও বিজ্ঞানী জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে একমত হয়েছে। তাদের মতে, জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর উন্নয়নের গতি কমিয়ে, নবায়নযোগ্য সবুজ শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে খারাপ প্রভাবগুলো থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বা কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ কমানোর পরও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের ৩৩টি দেশ ভালো পরিমাণ জিডিপি অর্জন করেছে।

এ ধরনের পরিবর্তন সম্ভব বলে মনে করার যথেষ্ট কারণও রয়েছে। কারণ, উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের বদলে সবুজ শক্তি ব্যবহার করে বেশ ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে।

২০০৭ সালের পর সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র কার্বন ডাইঅক্সাইড ‍উৎপাদনের পরিমাণ প্রায় ছয় হাজার ১৩০ কোটি টন কমিয়ে এনেছে। করোনা মহামারীর আগে এ হ্রাসের পরিমাণ ছিল পাঁচ হাজার ২৬০ কোটি টন।

আশ্চর্যজনক হলেও, দেশটির বেসামরিক নাগরিকদের বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান থেকে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণ ১৫ শতাংশ কমার ফলেই সামগ্রিক নিসঃরণের পরিমাণ কমেছে।

মূলত ‍দুটি বড় পরিবর্তনের ফলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির বা উৎপাদনের সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির সম্পর্ক কমছে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অবকাঠামোগত পরিবর্তন ঘটছে। দ্বিতীয়ত, উন্নত দেশগুলো এখন পরিবেশবান্ধব আমদানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।

দেখা যায়, যে দেশ যত ধনী হচ্ছে, সে দেশ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কম জ্বালানিশক্তির প্রয়োজন হয় এমন সেবাখাতগুলো সম্প্রসারিত করছে। শিল্প বিপ্লবের জন্মস্থান যুক্তরাজ্যে জ্বালানিনির্ভর উৎপাদনের থেকে মানবনির্ভর উৎপাদনে জোর দেওয়া হচ্ছে। এমনকি শিল্প দক্ষতার জন্য বিখ্যাত জার্মানিতেও জ্বালানি কিংবা প্রযুক্তি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থা সংকুচিত করা হচ্ছে।

এদিকে, চীনের মতো বড় অর্থনীতির দেশ এখন পরিবেশবান্ধব আমদানিতে গুরুত্ব দিচ্ছে। চীনের রপ্তানি খাত দেশটির অন্য যেকোনো অর্থনৈতিক খাতের তুলনায় কার্বনের ব্যবহার দ্রুত কমিয়ে এনেছে। চীনের এমন পদক্ষেপ ধনী দেশগুলোকেও কার্বন নিঃসরণ কমাতে বাধ্য করেছে।

এক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য শক্তি ও বৃহত্তর বিদ্যুতায়নে বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ দেওয়া যেতেই পারে। এ ধরনের বিনিয়োগে বিশ্ব ভালো থাকবে। এমনকি, এ উদ্যোগ দীর্ঘমেয়াদী প্রবৃদ্ধি বাড়াতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্পোৎপাদনের সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানির সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়টি নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য। তবে, দরিদ্র দেশুগুলো এ নীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকায় বৈশ্বিক কার্বন নির্গমনের গতি কমছে না।

উৎপাদনে জ্বালানিনির্ভরতা যদি কমানো যায় তাহলে, শুধু জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও জীবনযাত্রার মানেই উন্নত হবে না, বরং দরিদ্র দেশগুলো ধনী হওয়ার জন্য বৈশ্বিক কার্বন বাজেটের বেশি অংশ ব্যবহার করতে পারবে।

অনেকের মতে, যেসব দেশে সবুজ শক্তির পরিমাণ বেশি ও সস্তা, তারা সবুজ শক্তি ব্যবহার করতে চায় না বা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করে রাখতে চায় এমন দেশের থেকে অনেক প্রগতিশীল।

তবে কিছু পরিবেশবাদীরা বলতে পারেন, শিল্পোৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনার একটি নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। কারণ, অনেকে মনে করতে পারেন- উৎপাদনে সবুজ শক্তি ব্যবহার করলেই জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে মানবজাতিকে আর লড়াই করতে হবে না।


জলবায়ু   কপ২৭   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফা ছেড়ে পালালেন ৩ লাখ ফিলিস্তিনি

প্রকাশ: ০৬:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটির রাফা শহর। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই ইতোমধ্যেই হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল।

আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৩ লাখ মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে এসব মানুষ এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

রোববার (১২ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৩ লাখ মানুষ গত সপ্তাহে রাফা থেকে পালিয়ে গেছে বলে গাজায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্যকারী জাতিসংঘের প্রধান সংস্থা রোববার জানিয়েছে। ইসরায়েলি আগ্রাসন থেকে বাঁচতে গাজা উপত্যকার দক্ষিণ প্রান্তের এই শহরটি গত সাত মাস ধরে ১০ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে।

ইসরায়েলি সরকার রাফা এবং গাজার অন্যত্র নতুন স্থানান্তর আদেশ জারি করার কয়েক ঘণ্টা পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘোষণা দেয় ইউএনআরডব্লিউএ নামে পরিচিত জাতিসংঘের সংস্থা। আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শহরটিতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গত কয়েকদিনে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে।


রাফা   ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউক্রেনের ৩১টি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি রাশিয়ার

প্রকাশ: ০৬:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিমিয়াসহ রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে রাতভর পাঠানো ইউক্রেনের ৩১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছে রাশিয়া। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রাম চ্যানেলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাতে কিয়েভ সরকার ড্রোনের সাহায্যে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর নতুন প্রচেষ্টা করে। রুশ ফেডারেশনের ভূখণ্ডে লক্ষ্যবস্তু বানচাল করা হয়েছে। 

ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলগোরোদ অঞ্চলে ১২টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। এই অঞ্চলে ইউক্রেনের হামলায় ১৫ জন নিহত হয়। ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে আটটি এবং পার্শ্ববর্তী লিপেটস্ক অঞ্চলে চারটি ড্রোন প্রতিহত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ইউক্রেনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


ইউক্রেন   ড্রোন   রাশিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের সদস্যপদে দেখতে চান উত্তর কোরিয়া

প্রকাশ: ০৫:১৬ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দিতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।  সাধারণ পরিষদে এই প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে উত্তর কোরিয়া। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া রবিবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে যে প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষকের মর্যাদায় 'অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা' দিয়েছে এবং জাতিসংঘের ১৯৪তম সদস্য হওয়ার জন্য ফিলিস্তিনের আবেদন পুনর্বিবেচনা করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান জানানো হয়েছে। 

উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, 'উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেছে এবং এটিকে সময়োপযোগী বলে মনে করেছে।'

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রস্তাবটি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃঢ় আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।

'দুই-রাষ্ট্র সমাধান নীতি' এর উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'এক ইহুদি রাষ্ট্র নীতি' এর নিন্দা করা হয়েছে। একই সাথে ১৮ এপ্রিল জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রাসঙ্গিক খসড়া প্রস্তাবে ওয়াশিংটনের ভেটোর সমালোচনা করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে উত্তর কোরিয়া ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।


ফিলিস্তিন   জাতিসংঘ   সদস্যপদ   উত্তর কোরিয়া  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

'ভারতের দেয়া বিমান উড্ডয়নে যোগ্য পাইলট নেই মালদ্বীপের'

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

মালদ্বীপের বিমানবাহিনীকে দেয়া ভারতের তিন এয়ারক্রাফট পরিচালনার জন্য তাদের দক্ষ পাইলট নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঘাসান মাউমুন। 

দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মেদ মুইজ্জু সরকারের নির্দেশে ভারত তাদের একাধিক বাহিনীর ৭৬ জন সদস্য নিয়ে যাওয়ার পর এমন তথ্য জানালেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। খবর এনডিটিভি        

শনিবার প্রেসিডেন্ট অফিসে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘাসান মাউমুন ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহার এবং ভারতের দেয়া দুটি হেলিকপ্টার ও ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফট পরিচালনায় ভারতীয় বাহিনীর কথা তুলে ধরেন। 

ওই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ভারতের দেয়া তিনটি এয়ারক্রাফট পরিচালনার জন্য মালদ্বীপ ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সে দক্ষ কোনো ব্যক্তি নেই। যদিও এসব এয়ারক্রাফট পরিচালনার জন্য দক্ষ বৈমানিক তৈরিতে আগের সরকারের সঙ্গে ভারতের চুক্তি ছিল। 

তিনি বলেন, ট্রেনিং শেষ করতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু নানা সমস্যার কারণে আমাদের সৈন্যরা প্রশিক্ষণ শেষ করতে পারেনি।

মালদ্বীপে চীনপন্থি নতুন সরকার নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে। প্রেসিডেন্ট পদে মুইজ্জু নির্বাচিত হওয়ার পরই তার দেশে থাকে ভারতীয় সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিতে ১০ মে নয়াদিল্লিকে সময় বেঁধে দেয়া হয়। পরে ভারতও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের ৭৬ জন সৈন্যদের প্রত্যাহার করে নিজ দেশে নিয়ে যায়। 


ভারত   বিমান   পাইলট   মালদ্বীপ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: এবার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বিজেপি

প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চলছে লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ছাড়াও ভোট হবে ১০টি রাজ্যের ৯৬টি আসনে। পরপর তিন দফা নির্বাচনের পর এবার কেন্দ্রে ক্ষমতা ধরে রাখতে চতুর্থ দফার ভোটকে বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবে দেখছে বিজেপি।

সোমবার (১৩ মে) তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর ও মধ্যপ্রদেশসহ ১০ রাজ্যের ৯৬ আসনের ভোট। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়ে ভোট চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে ভৌগলিক কারণে কোথাও কোথাও ভোটগ্রহণ শেষ হবে বিকেল ৫টায়। 

এর আগের তিন দফার ভোটের মধ্যদিয়ে  ৫৪৩ আসনের মধ্যে ২৮৩ আসনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে দেশটির প্রধান দুটি রাজনৈতিক শক্তি বিজেপি এবং ইন্ডিয়া জোটের ভাগ্য নির্ধারণ হতে যাচ্ছে চতুর্থ দফার ভোটের মধ্য দিয়ে। কেননা সরকার গঠন করতে প্রয়োজন হবে ২৭২ আসন। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই দফার ভোটেই নির্ধারণ হবে কারা যাচ্ছে ক্ষমতায়।

২০১৯ সালের হিসাব বলছে, চতুর্থ দফার ৯৬ আসনের মধ্যে বিজেপিরই জেতা আসনের সংখ্যা বিরোধী জোটের চেয়ে বেশি ছিল। তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশ বাদ দিলে বাকি সব আসনেই বিজেপির ভোটের শতাংশ বেশি। তাই এই দফায় বিজেপিরও ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে।

এদিকে, চতুর্থ দফার ভোটের আগের দিনেই পঞ্চম দফার ভোটের প্রচারে বিজেপি-বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রভাবশালী শরিক কংগ্রসকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্র মোাদি।

পশ্চিমবঙ্গের চুঁচুড়ায় নির্বাচনী সভায় রাহুল গান্ধীর নাম না নিয়ে মোদি বলেন, ‘শাহজাদার যত বয়স হয়েছে, এর চেয়েও কম আসন পাবে কংগ্রস।’ 

অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারে নেমে মোদিকে পাল্টা নিশানা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর আগে, শনিবার দিল্লিতে আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল মোদি-অমিত শাহ’র রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, ‘এক দেশ এক নেতার ধারণা বাস্তবায়ন করতে চাইছেন মোদি। আবারও ক্ষমতায় গেলে মমতাকেও গ্রেফতার করবেন তিনি।’

উল্লেখ্য, ভারতের চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এবারের সাত দফায় নির্বাচনের ভোট শুরু হয় ১৯ এপ্রিল আর ভোট গ্ৰহণ শেষ হবে ১ জুন। ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন। বিজেপি ২০১৪ ও ২০১৯ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে পরপর দুদফায় ক্ষমতায় রয়েছে। এখন দলটির লক্ষ্য তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় যাওয়া।


লোকসভা নির্বাচন   বিজেপি   তেলেঙ্গানা   অন্ধ্রপ্রদেশ   পশ্চিমবঙ্গ   ভারত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন