ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সমঝোতা থেকে অনেক দূরে রাশিয়া ও ইউক্রেন

প্রকাশ: ০৮:৩৯ এএম, ১৯ নভেম্বর, ২০২২


Thumbnail

রাশিয়া ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা সম্প্রতি একাধিকবার প্রকাশ্য বিবৃতিতে পুনরায় সংলাপে বসার দৃশ্যত আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর প্রায় ৯ মাস পর তাঁরা চলমান সংকটের একটা সমঝোতামূলক সম্ভাব্য সমাধানে পৌঁছানোর প্রচেষ্টা থমকে যাওয়ার জন্য একে অপরকে দায়ী করেছেন।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটা অর্থবহ আলোচনার ভবিষ্যৎ এখন পর্যন্ত অনেকটা দূরেই বলে মনে হচ্ছে। তাঁরা আরও বলছেন, সমঝোতার টেবিলে বসার আগে ইউক্রেন চাইবে যুদ্ধক্ষেত্রে আরও বেশি সাফল্য অর্জন করতে। অন্যদিকে রাশিয়ার আশা, জ্বালানিসংকটের জের ধরে শীত মৌসুমে ইউক্রেনকে সহায়তাকারী পশ্চিমা দেশগুলোর ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তাতে কিয়েভের ওপর আন্তর্জাতিক সমর্থনে চিড় ধরবে। তাতে কিয়েভের উদ্যমেও ভাটা পড়বে।

ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন উইলিয়াম টেইলর। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট অব পিসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ ও সংকট সমাধানে কাজ করছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। উইলিয়াম টেইলর বলেন, ‘সমঝোতার জন্য ইউক্রেনের অপেক্ষা করার যৌক্তিকতা আছে। যুদ্ধ এখন ইউক্রনীয়দের পক্ষে। তারা খেরসনে এগিয়ে যাচ্ছে (ইতিমধ্যে এখান থেকে নিজেদের সব সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাশিয়া)। এ অগ্রগতির ফলে যেকোনো সমঝোতায় বিভিন্ন শর্ত আরোপ করার সুযোগ পাবে ইউক্রেন।’

১১ নভেম্বর ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধক্ষেত্র খেরসন শহর থেকে সেনা প্রত্যাহার করে রাশিয়া। গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার অর্জনগুলো মলিন করে দিতে এটি একটি বড় ধাক্কা। এমনকি গত ৯ মাসের যুদ্ধে ইউক্রেনের আঞ্চলিক রাজধানীগুলোর মধ্যে শুধু খেরসন শহরই ছিল রাশিয়ার দখলে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্রুকলিন ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ গবেষক স্টিভেন পিফারের মতে, সমস্যাটা হলো সমঝোতার কোনো প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছে না রাশিয়া। আর যুদ্ধে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হওয়ার পরও সমঝোতার ক্ষেত্রে মস্কোর দাবিদাওয়া বাড়ছে। স্টিভেন পিফারও ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন।

খেরসন শহর এখন ইউক্রেনের দখলে। তারপরও শহরটিকে রাশিয়ার অংশ বলে দাবি করছে ক্রেমলিন। গত সেপ্টেম্বরে খেরসনসহ ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনের সঙ্গে যুক্ত করার ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্টিভেন পিফার বলেন, রাশিয়া যত দিন না আরও বাস্তবমুখী হবে, তত দিন কোনো সমঝোতা হবে না।

জোট ধরে রাখার চেষ্টা

লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝঝিয়া ও খেরসনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণায় আলোচনায় বসা নিয়ে জেলেনস্কির অবস্থানে মোড় ঘুরে যায়। পুতিনের ওই ঘোষণার পর তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার যেকোনো সম্ভাবনা নাকচ করে একটি ডিক্রিতে সই করেন জেলেনস্কি। ৪ অক্টোবর স্বাক্ষরিত ওই ডিক্রিতে তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় তৈরি। তবে সেটি হবে অন্য কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গে।’

এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসার ক্ষেত্রে গত মার্চে জেলেনস্কি যে নমনীয় অবস্থান নেন, সেখান থেকে পরিষ্কারভাবে সরে আসেন তিনি। পুতিনের ঘোষণার আগে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে শর্ত দেন, ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান শুরুর আগের সীমান্তে ফিরতে হবে দেশটিকে। তবে ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত করার পর জেলেনস্কি তাঁর শর্ত কড়াকড়ি করেছেন। নতুন শর্তে তিনি রাশিয়ার প্রতি আগে দখল করে নেওয়া ক্রিমিয়া ও সম্প্রতি দখল করা পূর্বাঞ্চলীয় দনবাসসহ পুরো ইউক্রেন থেকে নিজেদের সেনা সরিয়ে নিতে বলেছেন।

জেলেনস্কির ডিক্রি জারির সময় থেকে ইউক্রেনীয় সেনারা যুদ্ধে সাফল্য অর্জন করে চলেছেন। সেই সঙ্গে রাশিয়ার ব্যাপারে তাঁর কণ্ঠস্বর চড়া হচ্ছে। এরই মধ্যে মস্কোর সেনারা রাজধানী কিয়েভে ঢুকতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেনের সেনারা দেশের উত্তর–পূর্বে এক বড় অংশে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সক্ষম হয়েছেন। উপরন্তু আলোচনার জন্য প্রয়োজনীয় আস্থায় চিড় ধরাচ্ছে আরেকটি বিষয়। সেটি হলো, রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বেসামরিক লোকজনের ওপর চালানো নিষ্ঠুরতার অভিযোগ।

অতিসম্প্রতি জেলেনস্কি আলোচনার টেবিলে বসতে পাঁচটি শর্তের এক তালিকা দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ইউক্রেনবাসীকে ক্ষতিপূরণ প্রদান। এগুলো জেলেনস্কির তরফে কোনো নতুন অনুরোধ নয়। তবে ইতিপূর্বে পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তাঁর অস্বীকৃতির কারণগুলোর মধ্যে এসবের উল্লেখ ছিল না, যা এখন উল্লেখ করা হচ্ছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, মার্কিন কর্মকর্তারা চান, ইউক্রেন যেন আলোচনায় বসার ব্যাপারে খোলা মনোভাবের আভাস দেয়। কিন্তু এ আলোচনা তাদেরই শুরু করতে এমনটা জরুরি নয়।

ক্রমবর্ধমান জন–অসন্তোষে ইউক্রেনের সমর্থক পশ্চিমা দেশগুলোর নেতাদের মধ্যে দৃশ্যত দুশ্চিন্তা বাড়ছে। দেশগুলোতে জ্বালানি খাতে খরচ ও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। কোনো না কোনো পর্যায়ে এটি চলমান রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধেরই ফলাফল। এ সবই অস্থিরতা বাড়াচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলোতে।

এমন প্রেক্ষাপটে টেইলর বলেন, ‘ইউক্রেনের একটা যৌক্তিক অবস্থান রয়েছে এবং জেলেনস্কি তাঁর এ অবস্থানের যে রূপরেখা দিয়েছেন, সেটি জোট টিকিয়ে রাখতেই—এটি বোঝা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু ইউক্রেনীয়দের সমঝোতার দিকে এগোনো উচিত—মার্কিন কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে কোনো চাপ বা তাঁদের ইঙ্গিত দিচ্ছেন না।’

ইতিমধ্যে রাশিয়া বর্তমান সংকট সমাধানে সামরিক কৌশলের চেয়ে রাজনৈতিক কৌশলের ওপর বেশি জোর দিচ্ছে। দেশটি সম্ভবত তাকিয়ে আছে শীত মৌসুমের দিকে। মস্কো মনে করে, জ্বালানিসংকটের জেরে ওই সময়ে ইউরোপে অস্থিরতা উসকে উঠবে ও ইউক্রেনের প্রতি পশ্চিমা দেশের সমর্থন কমবে; যা কিয়েভকে পাল্টা ধাক্কা দিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে—বলেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রাফায়েল লস।

রাফায়েল লস বলেন, তাপমাত্রা কমতে থাকলে ইউক্রেন থেকে লোকজন প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালাতে থাকবে। এতে ইউরোপের ওপর চাপ বাড়বে। তবে শীত চলে গেলে পরিস্থিতি পুনমূর্ল্যায়ন করতে হবে।


ইউক্রেন যুদ্ধ   রাশিয়া   সমঝোতা   আলোচনা   পশ্চিমা বিশ্ব  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রিসে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ

প্রকাশ: ১০:১২ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পথ ধরে এবার ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের গাজায় উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ইউরোপে অন্যান্য দেশের মতো গ্রিসেও বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে ফিলিস্তিনপন্থি সমাবেশ চলাকালে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার পূর্বাঞ্চলীয় রাফায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থল ও আকাশপথে হামলা শুরুর পরদিন এথেন্সে এই সংঘর্ষ হয়েছে। 

ফিলিস্তিনি পতাকা ও ব্যানার বহনকারী ৩০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারী ওই সমাবেশে অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‌ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে লেখা বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। গ্রিসের রাজধানীতে অবস্থিত সংসদ ভবনের বাইরে সমাবেশ করেছেন তারা।

দেশটির ৬০ বছর বয়সী পেনশনভোগী আন্তোনিস দাভানেলোস বলেন, ‌‌‘আমরা এখানে সংহতি জানাতে এসেছি এবং ফিলিস্তিনিরা যখনই (সংহতির জন্য) ডাকবে, আমরা তখনই সাড়া দেব।’

এথেন্সে সংসদ ভবনের বিপরীত পাশে অবস্থিত মিসরীয় দূতাবাসের ফটকে উঠে একদল বিক্ষোভকারী বিক্ষোভ করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ওই দলকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

গ্রিস   ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইমরান খানের স্ত্রীকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ

প্রকাশ: ০৪:২৫ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে কারাগারে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বুশরা বিবির পক্ষ থেকে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রীয় উপহারসামগ্রী অবৈধভাবে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগে গত জানুয়ারিতে ইমরান-বুশরা দম্পতির ১৪ বছর করে কারাদণ্ড হয়। ইমরান কারাগারে থাকলেও বুশরাকে ইসলামাবাদের বাড়িতে গৃহবন্দী রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা বলে তাকে বাড়িতেই বন্দী রাখার আদেশ দিয়েছিল দেশটির সরকার।

গৃহবন্দী রাখার এ আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন বুশরা বিবি। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তার আইনজীবী নাঈম পানজুথা এ কথা বলেছেন।

বুশরা বিবির আইনজীবীরা তাকে কারাগারে স্থানান্তরের জন্য ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। আজ আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করেন।

ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এক বিবৃতিতে বলা হয়, বুশরা বিবিকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে স্থানান্তর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ওই কারাগারেই আছেন ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান।

ইমরানের ইসলামাবাদের বাড়িটিকে সাব কারাগার ঘোষণা করা হয়েছিল। ইমরানের দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গৃহবন্দী অবস্থায় কর্তৃপক্ষ তাকে বিষ মেশানো খাবার দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন বুশরা। তবে কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে।


ইমরান খান   কারাগার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিঙ্গাপুরে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

সিঙ্গাপুরের পশ্চিমাঞ্চলীয় সামরিক বিমানঘাঁটিতে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।  

বুধবার (০৮ মে) সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক বিবৃতিতে জানায়, সিঙ্গাপুরের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তেনগাহ বিমানঘাঁটি থেকে যুদ্ধবিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটি বিধ্বস্ত হয়। তবে বিমানের পাইলট সফলভাবে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন। বিমানের পাইলটের সুস্থ আছেন এবং তিনি হাঁটতে পারছেন। বর্তমানে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় অন্য কোনও কর্মকর্তা আহত হননি।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে গণমাধ্যমটি বলছে, উড্ডয়নের সময় বিমানটি সমস্যার সম্মুখীন হয়, তখন পাইলট জরুরি প্রক্রিয়া মেনে পদক্ষেপ নেন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনায় প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় অত্যাধুনিক বিমানবাহিনী রয়েছে সিঙ্গাপুরের। নগর রাষ্ট্রটিতে এই ধরনের দুর্ঘটনা প্রায় বিরল। এর আগে, ২০১০ সালে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেশটির সামরিক বাহিনীর একটি উড়োজাহাজ উন্মুক্ত মাঠে জরুরি অবতরণ করে।


সিঙ্গাপুর   যুদ্ধবিমান   বিধ্বস্ত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গণহারে অসুস্থতার ছুটি ক্রুদের, ৭৯ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশ: ০৩:৪৯ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অন্তত ৭৯টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। কারণ ক্রুরা হঠাৎ গণহারে অসুস্থতার ছুটি নিয়েছেন।

জানা গেছে, প্রায় ৩০০ সিনিয়র কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানিয়ে ফোন বন্ধ করে রেখেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ারলাইনটির চাকরির নতুন নিয়ম নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রুরা এবং এর প্রতিবাদ করছে তারা। তবে এয়ারলাইনটির কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।

এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের মুখপাত্র জানিয়েছেন, বেশ কিছু কেবিন ক্রু শেষ মুহূর্তে অসুস্থতার কথা জানায়। এতে ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্বের ঘটনা ঘটছে। আমরা ক্রুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করছি।

মুখপাত্র বলেন, এমন ঘটনার জন্য আমরা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। কারণ এটা আমাদের সার্ভিসের প্রতিফলন নয়।

এয়ারলাইনটি জানায়, ভুক্তভোগীদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে অথবা নতুন করে শিডিউল দেওয়া হবে।


অসুস্থ   ছুটি   ক্রু   ফ্লাইট   বাতিল   এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০ এর বেশি বোমা হামলার হুমকি

প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্লোভাকিয়ায় একদিনে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেয়া হয়েছে। ব্যাংক ও স্কুলের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে এই হামলার হুমকি দেয়া হয়। এই ঘটনায় দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়। এছাড়া হুমকির বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। খবর এএফপি।

মঙ্গলবার (৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লোভাকিয়ায় মঙ্গলবার স্কুল ও ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ১১০০টিরও বেশি বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। মূলত ইমেইলে করে এসব হুমকি দেওয়া হয় এবং এতে দেশজুড়ে মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

হুমকির ঘটনায় তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে পুলিশ। পুলিশের ডেপুটি চিফ রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেছেন, 'সন্ত্রাসী হামলার মতো বিশেষ গুরুতর অপরাধ হিসেবে এই ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।'  

রাস্তিসলাভ পোলাকোভিচ বলেন, 'মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা বা ছয়টা থেকে স্কুলগুলোতে ইমেইল আসতে শুরু করে। এর মধ্যে বোমা হামলার প্রায় ১ হাজার হুমকি স্কুলগুলোতে এসেছে এবং ১০০টিরও বেশি ব্যাংক এই ধরনের হুমকি পেয়েছে।'

দেশটির পুলিশ তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে লিখেছে, 'পুলিশ সম্পূর্ণ গতিতে কাজ করছে, স্কুলগুলোর নিরাপত্তা পরীক্ষা করছে এবং অপরাধীকে শনাক্ত করতে কাজ করছে।'

এএফপি বলছে, অপরাধীদের সম্ভাব্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।

ব্রাতিস্লাভা স্ব-শাসিত অঞ্চলের মুখপাত্র লুসিয়া ফরম্যান এএফপিকে বলেছেন, দেশটি পরিচালিত কয়েক ডজন স্কুলে বোমা হামলার হুমকি নথিভুক্ত করেছে।

তিনি বলেন, 'আমরা সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি, শিশুদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ এখন বিষয়টি দেখছে।'


স্লোভাকিয়া   বোমা হামলা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন