ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৮ জনে। আহত হয়েছেন এক হাজারের মতো মানুষ। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৫১ জন। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি প্রত্যন্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
দুই দিন ধরে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বড় বড় দালান। রাস্তাঘাটের মাটি ধসে গেছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোতে রাতে উদ্ধার কাজ চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে উদ্ধারকর্মীদের।
ভূমিকম্পের সময় আপ্রিজাল মুলাইদি স্কুলের ভেতরে ছিলেন এবং ক্লাসরুম ধসে পড়ায় আটকা পড়েন। ১৪ বছরের ওই কিশোর জানান, তার পা দুটো আটকে গিয়েছিল পরে তাকে তার বন্ধু জুলফিকার বের হতে সহায়তা করেন। কিন্তু জুলফিকারও চাপা পড়ার কারণে পরে তার মৃত্যু হয়।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানায়, ২২ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবারের ভূমিকম্পে। ভূমিকম্পের কবলে পড়া ওই অঞ্চল থেকে ৫৮ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, সোমবার (২১ নভেম্বর) ভূ-কম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিয়ানজুর এলাকা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
আপ্রিজাল মুলাইদি আরও জানান, ভবনের ছাদ ও দেয়াল ধসে পড়ায় লোকজন আটকা পড়ে যায়। সবকিছুই চোখের পলকে ঘটে যায়।
বিএনপিবির সদস্য হেনরি আলফিয়ানদি বলেছেন, হতাহতদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি ছিল। দুপুর ১টার দিকে ভূমিকম্প যখন আঘাত হানে তখন তারা স্কুলে ছিল।
এদিকে, সিয়ানজুর হাসপাতালগুলোতে হতাহত লোকজনের স্বজনদের ভিড় বেড়েই চলেছে। অন্যদিকে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার ওপর ইন্দোনেশিয়া অবস্থিত। এই অঞ্চলটিকে রিং অব ফায়ার বলা হয়। দেশটিতে আগেও বহুবার ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ২০১৮ সালেও সুলাওয়েসি দ্বীপে ভূমিকম্পের আঘাতে ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন
মন্তব্য করুন
গাজা নীতি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মন্তব্য করুন
ভারতের নির্বাচন: নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস বিজেপি ইন্ডিয়া জোট এনডিএ জোট লোকসভা ভোট
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ইসরায়েল
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা ইরান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন