ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক করলেই এক বছরের জেল

প্রকাশ: ০৮:১৬ এএম, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ডের আইন করতে যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। চলতি মাসেই নতুন এই ফৌজদারি দণ্ডবিধি পাস করতে পারে দেশটির পার্লামেন্ট। 

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাস হতে যাওয়া এই দণ্ডবিধির আওতায় প্রেসিডেন্ট কিংবা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর অবমাননা এবং ইন্দোনেশিয়ায় রাষ্ট্রীয় আদর্শবিরোধী যেকোনো দৃষ্টিভঙ্গিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিয়ের আগে যৌন সম্পর্ক স্থাপনকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই দণ্ডবিধিতে।

কয়েক দশক ধরে আইনটির খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে জানিয়ে ইন্দোনেশিয়ার উপ-আইনমন্ত্রী এডওয়ার্ড ওমর শরিফ হিয়ারিয়েজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর নতুন এই ফৌজদারি দণ্ডবিধি পাস হতে পারে। ইন্দোনেশীয় মূল্যবোধের সঙ্গে সংগতি রেখে অপরাধ দমন বিধিটি প্রণয়ন করতে পেরে আমরা গর্বিত।

এদিকে, ১৫ তারিখের আগেই আইনটি পাস হতে পারে জানিয়ে খসড়া আইনটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইনপ্রণেতা বামবাং উরিয়ান্তো বলেন, নতুন এই দণ্ডবিধিটি আগামী সপ্তাহেই পাস হয়ে যেতে পারে। ইন্দোনেশিয়ার কয়েকটি ইসলামি সংগঠন খসড়া আইনটির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। তবে বিরোধীরা বলছেন, আইনটি ১৯৯৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট সুহার্তোর পতনের পর কার্যকর হওয়া উদার সংস্কারগুলোর পরিপন্থী।

এই দণ্ডবিধির আগের খসড়াটি ২০১৯ সালে পাস হওয়ার কথা থাকলেও এ নিয়ে তখন দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। হাজারো মানুষ বিক্ষোভ দেখান তখন। তাদের অভিযোগ ছিল, এ ধরনের আইন নাগরিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করবে। এ প্রসঙ্গে দেশটির সরকার বলছে, আইনটির খসড়ায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, খসড়ায় খুব সামান্যই পরিবর্তন এসেছে।  

আইনে, ধর্ষণের শিকার নারীর গর্ভপাত বাদে অন্য গর্ভপাতের ঘটনাকে অপরাধ বিবেচনা এবং ‘কালোজাদু’র জন্য কারাদণ্ডের বিধান বহাল থাকছে।

সর্বশেষ ২৪ নভেম্বর যে খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে- তার ভিত্তিতে রয়টার্স বলছে, বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ঘটনায় সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড দেয়া হবে। শুধু ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের মতো সীমিতসংখ্যক মানুষের অভিযোগ করার এখতিয়ার থাকবে।

অন্যদিকে, এই আইনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে অবমাননার দায়ে সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত সাজার বিধান রাখা হয়েছে। শুধু প্রেসিডেন্টই এ অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। এ প্রসঙ্গে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আন্দ্রিয়াস হারসোনো বলেন, এ আইন ইন্দোনেশিয়ার গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় ধাক্কা।  


ইন্দোনেশিয়া   নতুন আইন   বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ০১:১৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।

বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


যুক্তরাষ্ট্র   বিশ্ববিদ্যালয়   ইসরাইল   বিক্ষোভ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে: ম্যাখোঁ

প্রকাশ: ১২:৫১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ইউরোপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই ঝুঁকি মোকাবিলা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ইউরোপের নেই। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ম্যাখোঁ বলেন, সামরিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চাপ ইউরোপের ২৭ দেশকে দুর্বল করে দিতে পারে। ইউরোপের বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভিত্তিতে প্যারিসের সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় জোরদারের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই মহাদেশের মার্কিনিদের অধীন হওয়া উচিত হবে না। এ সময় তিনি বিশ্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দৃঢ় অবস্থানের রূপরেখা প্রদান করেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইউরোপের সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধি, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মীদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য ইউরোপীয় একাডেমি গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনোভাবে সফল হতে দেওয়া যাবে না।

ম্যাখোঁ বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প স্থাপন করতে হবে। এছাড়া কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই কাজে দেবে না। কয়েক দশক ধরে এ খাতে বিনিয়োগ কম হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামরিক সরঞ্জাম কেনার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

ম্যাখোঁ আরও বলেন, অধিক পরিমাণে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করতে হবে। এটি দ্রুত করতে হবে। আর ইউরোপীয়দের জন্য এসব প্রস্তুত করতে হবে। ইউরোপকে দেখাতে হবে যে তারা যুক্তরাষ্ট্রের অধীন নয়।

বর্তমানে মার্কিন সামরিক ছত্রছায়ার কোনো বিশ্বাসযোগ্য বিকল্প নেই বলে অনেক ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্মকর্তা মনে করেন।


ইউরোপ   ধ্বংস   ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ   প্রতিরক্ষা শিল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের ওপর আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ: ১২:৪১ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জেরে ইরানের ড্রোন ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। 

বিবিসি জানায়, ইরানের ড্রোনের ইঞ্জিন উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত ১৬ ব্যক্তি এবং ২টি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, যুক্তরাজ্য ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নেওয়া এই পদক্ষেপ ইরানের এক ডজনেরও বেশি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি ও জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইরানি মনুষ্যবিহীন আকাশযান গোপনে বিক্রির সুবিধা ও অর্থায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের অভিযোগ রয়েছে। 

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইরানি পণ্য চালানের সঙ্গে জড়িত দুটি কোম্পানি ও একটি জাহাজকেও টার্গেট করেছে ওয়াশিংটন।

১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার জবাবে ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। 

গত ১৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় ইরানের ১৬ জন ব্যক্তি এবং দুটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইরানের ড্রোন কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি জড়িত।


ইরান   যুক্তরাষ্ট্র   নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: ভোট দিলে বিনামূল্যে দেওয়া হবে মদ

প্রকাশ: ১২:০৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়েছে। মোট সাত ধাপে ৪১ দিনব্যাপী ভোট নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবং দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ চলছে। 

ভারতে ভোটাভুটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা গেলও এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা যায় কর্ণটকের বেঙ্গালুরুতে। সেখানে ভোটাররা ভোট দিতে তেমন একটা আসেন না।

তবে ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সেজন্য সেখানকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। ডেক অব ব্রিয়ুস নামের একটি জনপ্রিয় মদের দোকান ঘোষণা দিয়েছে, ভোট দিয়ে এসে যে প্রথম ৫০ জন কাস্টমার তাদের দোকানে আসবেন তাদের বিনামূল্যে মদ দেওয়া হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেঙ্গালুরুতে দ্বিতীয় ধাপে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। 

এছাড়া ভোটারদের ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট পিসি রাও সংবাদমাধ্যম বেঙ্গালুরু মিররকে বলেছেন, 'ভিন্ন ভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁ ভিন্ন সেবা দেবে। কিছু জায়গায় বিনামূল্যে কফি দেওয়া হবে, কোথাও দোসা দেওয়া হবে। কিছু হোটেল-রেস্তোরাঁ ডিসকাউন্ট মূল্যে খাবার সরবরাহ করবে।'

শুধুমাত্র যে খাবারের দোকান ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখছে তাই নয়। ট্যাক্সি কোম্পানি এমনকি একটি  অ্যামিউজমেন্ট পার্কও ভোটারদের জন্য বিশেষ অফার ঘোষণা করেছে। তবে এসব সেবা পেতে হলে ভোট দেওয়ার প্রমাণ স্বরূপ কালো মার্ক দেখাতে হবে।

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বেঙ্গালুরুর মধ্যাঞ্চলে ৫৪ দশমিক ৩ শতাংশ ভোটার ভোট দেন। উত্তর ব্যাঙ্গালুরুতে ভোট গ্রহণের হার ছিল ৫৪ দশমিক ৭। যেখানে পুরো দেশে গড় ভোটার উপস্থিতি ছিল ৬৮ শতাংশ।


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   মদ   নির্বাচন   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: রাহুল-শশীদের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ চলছে আজ। এই পর্বে মোট ৮৮টি রাজ্যের ১ লাখ ৬৭ হাজার ভোট কেন্দ্রে লড়াই হবে। যেখানে মোট ১৫ কোটি ৮৮ লাখ ভোটার নিজেদের অধিকার প্রয়োগ করবেন।

দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনি লড়াইয়ে মাঠে রয়েছেন রাহুল গান্ধী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর, বিদায়ি সংসদের স্পিকার ওম বিড়লাসহ ভারতের একাধিক হেভিওয়েট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে বলিউডের ড্রিমগার্ল হেমামালিনীর মতো গ্ল্যামার দুনিয়ার মহিরুহ। লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন অ্যানি রাজা, নবনীত রানা, অরুণ গোভিল ও প্রহ্লাদ জোশীর মতো প্রবীণ প্রার্থীরা।   

ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের ঘোষণার সময় দ্বিতীয় দফায় ৮৯টি আসনে ভোটগ্রহণের ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের বেতুল লোকসভা আসনে বিএসপি প্রার্থী অশোক ভালভির আচমকা মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। তাই দ্বিতীয় দফায় ৮৮টি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। 

দ্বিতীয় দফায় পশ্চিমবঙ্গে ভোট হচ্ছে রাজ্যের উত্তরাংশের পাহাড়প্রধান এলাকা দার্জিলিং, বালুরঘাট ও রায়গঞ্জে। 

দ্বিতীয় দফায় ভারতের যে ১৩ রাজ্যের ৮৮টি আসনে ভোট হচ্ছে। সেগুলো হলো- ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, কেরালা, আসাম, বিহার, মণিপুর, রাজস্থান, ত্রিপুরা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ ও জম্মু-কাশ্মীর। 

লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনে অনুষ্ঠিত হয়। ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রথম দফা নির্বাচনে পুরো রাজ্যে ৬০ থেকে ৭৯ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারু-এই তিন কেন্দ্রে ভোট পড়ে ৭৭ শতাংশ। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গের চা-বাগানপ্রধান এলাকা জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দাবি করেছেন, এই নারীরা সবাই তার দলকেই ভোট দিয়েছেন। 

এবার ভারতের লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। চলবে প্রায় দুই মাস। ভোটপর্ব শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হবে। ওইদিন জানা যাবে তৃতীয়বারের জন্য বিজেপির নরেন্দ্র মোদির সরকার ফের ক্ষমতায় আসছে, না রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় আসবে।

দ্বিতীয় দফার ভোটে সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কেরালার ওয়ানাড় লোকসভা আসন থেকে ফের নির্বাচনে লড়ছেন। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সিপিআই-এর অ্যানি রাজা এবং এনডিএ-এর কে সুরেন্দ্রন। কংগ্রেসের মুকেশ ধানগার উত্তরপ্রদেশের মথুরা লোকসভা আসন থেকে অভিনেত্রী-বর্তমান সংসদ-সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী হেমামালিনীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিদায়ি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা আবারও রাজস্থানের কোটা আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী। তার বিরুদ্ধে প্রহ্লাদ গুঞ্জালকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সংসদ-সদস্য শশী থারুর ফের কেরালার তিরুবনন্তপুরম লোকসভা আসনের প্রার্থী। বিজেপি তার বিরুদ্ধে প্রার্থী করেছে রাজীব চন্দ্রশেখর এবং বামপন্থি পানিয়ান রবীন্দ্রনকে।


লোকসভা নির্বাচন   নির্বাচন   ভারত   ভোট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন