বিতর্কিতভাবে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ
ক্ষমতার প্রতীক ছচ্ছে ‘মালাক্কা কেইন’ কিংবা লাঠি। গত ২৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে জেনারেল
অসিম মুনিরের হাতে ব্যাটন তুলে দেন জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। ছয় বছর পর নতুন সেনাপ্রধান
পায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র
প্রধান থেকে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং পাকিস্তানি গণতন্ত্রের স্ব-নিযুক্ত
পরিচালক হিসেবে কাজ করবেন জেনারেল মুনির।
পাকিস্তানে সেনাপ্রধানদের নিয়োগ দেন
প্রধানমন্ত্রী। তবে ইতিহাস ঘাটলে প্রায়ই দেখা যায়, নিয়োগদাতাকে পদচ্যুত করার মাধ্যমেই
অনুগ্রহ ফিরিয়ে দেন সেনাপ্রধানরা। এ যাবৎ পাকিস্তানের ২২জন প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে কেউই
মেয়াদ পূরণ করতে না পারার প্রধান কারণ এটাই। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও ভালো
করেই বোঝেন।
শাহবাজের বড় ভাই নওয়াজ শরিফ তিন মেয়াদে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৮ সালে পারভেজ মোশাররফকে
সেনাপ্রধান নিযুক্ত করেন নওয়াজ। কিন্তু পরে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকেই ক্ষমতাচ্যুত
করেন মোশাররফ। এরপর ২০১৬ সালে জেনারেল বাজওয়াকে সেনাপ্রধান নিয়োগ দেন নওয়াজ। এবার
অভিযোগ, বাজওয়ার নির্দেশেই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজকে ক্ষমতাচ্যুত ও রাজনীতি
থেকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে।
জেনারেল মুনিরের কাছ থেকে শাহবাজ শরিফ
যদি ভালো কিছু পান, তবে তা ছিলো পূর্বসূরী ইমরান খানের কারণে। বলা হয়, ইমরানকে ক্ষমতায়
আসতে সাহায্য করেছিলেন জেনারেল বাজওয়া। কিন্তু সেনাবাহিনীর এ প্রিয়পাত্রই গত এপ্রিলে
অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন, যেখানে খোদ সেনাপ্রধানেরই হাত ছিল।
ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, জেনারেল বাজওয়া
আমেরিকার সাথে মিলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। এই অভিযোগ তার দলকে উপ-নির্বাচনে
জিততে সাহায্য করার পর ইমরানের খান দাবি করেন, এক জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রী
শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ মিলে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র চেষ্টা
চালিয়েছেন। গত মাসের লং মার্চের সময় তার উপর আততায়ীর হামলায় আহত হন পিটিআই প্রধান।
জেনারেল বাজওয়া আইএসআই প্রধানসহ অন্যান্য
বড় কর্মকর্তাদের ইমরান খানের নিন্দা করার জন্য প্ররোচিত করেন। তবে এতে লাভের লাভ হলো
ইমরানের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি। বর্তমানে পাকিস্তানের জেনারেলদের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ
চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান গ্যারিসন
রাওয়ালপিন্ডিতে। গত সপ্তাহে সেখানে এক সমাবেশে ইমরানের ভাষণ শুনতে কয়েক হাজার মানুষ
ভিড় করেছিলেন। সেদিন ইমরান খান কড়া ভাষায় বলেছিলেন, আমি আমার জীবনের চেয়ে পাকিস্তানের
স্বাধীনতা নিয়ে বেশি চিন্তিত।
জেনারেল মুনির নিশ্চয়ই উদ্বিগ্ন। তবু
ইমরান খানকে ব্যর্থ করার জন্য তার সর্বোত্তম আশা হলো, জেনারেল বাজওয়ার নির্দেশ- শক্ত
হয়ে বসে থাকুন। পিটিআই প্রধান আগাম নির্বাচন চান এবং এর জন্য তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন
পাঞ্জাব ও খাইবার-পাখতুনখাওয়ার বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। কিন্তু পার্লামেন্ট
ভেঙ্গে দেওয়ার ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে। আর শাহবাজ আগামী আগস্টে মেয়াদ শেষ না
হওয়া পর্যন্ত সরকারে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। সেনাপ্রধানেরও উচিত সেই সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে
সমর্থন করা।
তবে জেনারেল মুনিরের নিজেরও অনেক দায়িত্ব
রয়েছে। পাকিস্তানি তালেবান যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে। আফগান তালেবানদের সঙ্গেও সম্পর্ক
ভালো নয়। এছাড়া মহামারির ধাক্কা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বন্যায় জর্জরিত অর্থনীতি বাড়তি
কোনও চাপ নিতে পারবে না।
পাকিস্তানে বর্তমানে মাত্র এক মাসের
আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। তাদের বন্ড মার্কেটে খেলাপি
হওয়ার ঝুঁকি বেড়েছে। অতীতের সেনাপ্রধানরা হয়তো ভেবেছিলেন, এ ধরনের ভয়ানক পরিস্থিতিতে
সামরিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু জেনারেল মুনির এ ধরনের ফালতু চিন্তা বাদ দিয়ে
নিজেকে আলাদা দেখাতে পারেন।
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্র চীন শি জিনপিং অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন
মন্তব্য করুন
লোকসভা নির্বাচন আসাম বাঙালি মুসলমান
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে খান ইউনিস থেকে সেনা প্রত্যাহার করে ইসরায়েল। এরপরই সেখানে গণকবরের সন্ধান মেলে। এদিকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ'র দিকে অগ্রসর হচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী।
তবে এই অভিযানের ফলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে মিশরসহ বিভিন্ন দেশ। একই সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাও। তবে সেদিকে কোনো কর্ণপাত করছেন না ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রতিবাদের সূত্রপাত নিউইয়র্কের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিক্ষোভ দমনে পুলিশ ব্যাপক ধরপাকড় চালালে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়সহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। যুদ্ধবিরতি, গণহত্যা বন্ধ এবং ইসরাইলকে ঢালাও সমর্থনের বিরুদ্ধে স্লোগানে উত্তাল ক্যাম্পাসগুলো।
বিক্ষোভ দমনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতারের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জের মতো ঘটনাও ঘটেছে। তবে এতো কিছুর পরও কোনোভাবেই আন্দোলন ঠেকাতে পারছে না প্রশাসন।
গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষে এই আন্দোলনকে ইহুদিবিরোধী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু ইসরাইলপন্থি এবং ইহুদি সংগঠন। এই বিক্ষোভ তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে ফেলেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
গাজায় সংঘাত বন্ধের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ব্যাপক হারে নৈতিক সমর্থন জানাচ্ছে মার্কিনীরা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরাইলকে বাইডেন প্রশাসনের নতুন সহায়তা ঘোষণায় বিক্ষোভ আরও জোরালো হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ববিদ্যালয় ইসরাইল বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স নামক একটি হাসপাতালের কাছে গণকবর থেকে অন্তত ৩৯২ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত সেখানে তল্লাশি কার্যক্রম শেষ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ। মূলত তিনটি গণকবর থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্সের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করা মরদেহের মধ্যে ১৬৫টি চিহ্নিত করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে ক্রমেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, ইলিনয়, জর্জিয়াসহ বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিক্ষোভ দমনে দেশজুড়ে কয়েকশ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।