অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায়
পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) মোট ছয় অভিযুক্তকে অতিরিক্ত ৩৬
দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার নগর দায়রা আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩
বিচারক শুভেন্দু সাহা এই নির্দেশ দেন। এর ফলে আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি অভিযুক্তদের
ফের আদালতে তোলা হবে।
২১ দিনের জেল হেফাজত শেষে আজ অভিযুক্তদের
আদালতে আনা হলে তাদের স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩ বিচারক শুভেন্দু সাহার এজলাসে তোলা হয়।
উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে বিচারক আগামী ১৩ জানুয়ারি অভিযুক্তদের পরবর্তী
হাজিরার দিন ধার্য করেন।
এদিন আদালতে নতুন করে পিকে হালদারের
ভাই এবং অন্যতম অভিযুক্ত প্রাণেশ কুমার হালদারের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। আগামী
১৩ জানুয়ারি সেই জামিনের শুনানি হবে। অন্যদিকে আরেক অভিযুক্ত ইমাম হোসেন ওরফে ইমন
হালদার এবং একমাত্র নারী অভিযুক্ত আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারের যথোপযুক্ত চিকিৎসার
জন্য কারাগার কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয় আদালত।
অভিযুক্তদের তরফে তদন্তকারী সংস্থা
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর কাছে Relied Upon Documents (RUD)-এর সফট কপি চেয়ে
যে আবেদন করেছিল, এদিন আদালতে পেন ড্রাইভের মাধ্যমে তাও জমা দেওয়া হয়েছে।
ইডি'র আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেন,
‘অভিযুক্ত প্রত্যেককেই আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ
দিয়েছে আদালত’।
এই মামলার তদন্ত গতিপ্রকৃতি কোন পর্যায়ে
সে ব্যাপারে বলতে গিয়ে আইনজীবী জানান, ‘তদন্ত প্রক্রিয়া এখন বিচার প্রক্রিয়ায় পরিণত
হয়েছে’।
উল্লেখ্য কলকাতার অনতিদূরে অশোকনগরসহ
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়ে গত ১৪ মে পি.কে হালদারকে গ্রেফতার করে
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি। এই সাথেই গ্রেফতার
করা হয় তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি
ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার
সহ বাকি অভিযুক্তদের।
গত ১১ জুলাই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কলকাতার
আদালতে চার্জশিট জমা দেয় ইডি।‘অর্থ পাচার সংক্রান্ত আইন-২০০২’ (PMLA) এবং দুর্নীতি
দমন আইন-১৯৮৮ মামলায় ওই ছয় অভিযুক্তের নামে চার্জ গঠন করা হয়।
বর্তমানে অভিযুক্ত পিকে হালদারসহ ৫
পুরুষ অভিযুক্ত রয়েছে প্রেসিডেন্সি কারাগারে, অন্যদিকে একমাত্র নারী অভিযুক্ত রয়েছেন
আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আল-জাজিরার
মন্তব্য করুন