১৯৫০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ইতালির
অর্থনীতি কেমন ছিল তা খুবই উল্লেখযোগ্য বিষয়। দেশটির অর্থনৈতিক গল্পের বড় অংশ সহজেই
ধরা যায়। ১৯৫৭ সালে ইউরোপীয় অর্থনৈতিক কমিউনিটি প্রতিষ্ঠাতা করতে ছয়টি দেশ রোমে একত্রিত
হয় চুক্তি করতে। তাদের মধ্যে ইতালি ছিল সবচেয়ে গরিব রাষ্ট্র। তখন দেশটির অর্থ আসতো
ব্রাসেলস থেকে। তারপরও উচ্চ মানের উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতালির একটি ঐতিহ্য ছিল।
ইতালি দ্রুতই ব্লকের সর্বনিম্ন মূল্যের
অনেক পণ্য প্রস্তুতকারীতে পরিণত হয়। এর মধ্যে ছিল গাড়ি, ম্যাশিন টুলস থেকে রেফ্রিজারেটর
পর্যন্ত। নিম্ন-উৎপাদনশীল খামারের কর্মচারীদের উচ্চ-উৎপাদনশীল উৎপাদন ও সার্ভিসগুোতে
স্থানান্তর প্রবৃদ্ধিকে গতিশীল করতে শুরু করে। ১৯৮৭ সালের দিকে দেশটির অর্থনীতি কম-বেশি
ঘুরে দাঁড়ায়। মাথাপিছিু জিডিপিতেও তখন তারা ব্রিটেনকে পেছনে ফেলে।
১৯৯০ সালের শেষের দিকে ইতালিকে আর ইউরোপের
ফান্ডের সুবিধা নিতে হয়নি। তখন এটির ইউনিট শ্রমিক মজুরি বাড়তে থাকে।
দেশটির অর্থনৈতিক পরিবেশ যখন ইতিবাচক
তখন বেশি কিছু আঘাত আসে বাইর থেকে। প্রথম আঘাত আসে ১৯৯৯ সালে ইউরোপের একক মুদ্রা নীতির
কারণে। জার্মানি ১৯৯২ সালের মাস্ট্রিচ চুক্তির কনভারজেন্স মানদণ্ড তৈরি করে। এতে ধীরে
ধীরে ঋণগ্রস্ত হতে থাকে ইতালি।
চুক্তির প্রধান বিষয় ছিল বাজেট ঘাটতি
জিডিপির তিন শতাংশের বেশি হবে না এবং সরকারি ঋণের যে সীমা বেধে দেওয়া হয় তা ইতালির
জন্য কঠিন ছিল। কিন্তু শুরু থেকেই এতে যোগ দিতে চায় স্পেন। তখন তৎকালীন ইতালির প্রধানমন্ত্রী
নোমানো প্রডি মনে করেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে এই চুক্তিতে তাদের
অবশ্যই থাকা উচিত।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী ইউরোতে যোগ দেওয়ার
ব্যাপারে অনঢ় ছিলেন। কিন্তু বিতর্ক ছিল যে এই সংবেদনশীল অর্থনীতির সঙ্গে খাপ খেতে পারবে
না দেশটি। একক মুদ্রানীতিতে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিপত্রের দাম ও
মজুরি কামতে বাধ্য হয় দেশটি। পতন হয় লিরার মানে। কারণ মুদ্রা নীতি ও বিনিময় হারে ইতালিকে
ছাড় দিতে হয়।
তবে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালের ইতালির সরকার
বেশি কিছু ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও ইতালি একক মুদ্রানীতির কারণে কিছুটা সুবিধা পাচ্ছিল।
তবে এই মেয়াদে আগের মতো আবার শ্রম ও পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে ধীরে ধীরে ইউরোপীয়
জোনের থেকে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যায় ইতালি।
এরপর বেশি কিছু কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা
আরও খারপ হয়। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ২০০১ সালে চীনের বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় আরোহন। তিন
বছর পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধিও একটি কারণ। এতে সমস্যায় পড়ে ইতালির উৎপাদনখাত।
২০০৭ ও ২০০৯ সালে আসে অর্থনৈতিক মন্দা।
সম্প্রতি ইতালির অর্থনীতিতে বড় চাপ তৈরি করেছে করোনা মহামারি। পরবর্তীতে আসে রাশিয়া-ইউক্রেনের
মধ্যে যুদ্ধ। সবচেয়ে বেশি আঘাত হেনেছে জ্বালানি খরচ। এই মুহূর্তে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে
মনে হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় ইতালি বেশি সংগ্রাম করছে।
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি আল-জাজিরার
মন্তব্য করুন
কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান। গতকাল শনিবার রাতে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হামলার পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে পাকিস্তানে ফেরেন এই শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (১৯ মে) আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, কিরগিজস্তান থেকে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সহিংসতার পর যেসব পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য এমন আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে একদল কিরগিজ নাগরিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান মিশরীয় শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে বিশকেকের বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকেও হামলা চালানো হয়। সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয়রাও রয়েছেন।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। সৌদি শহর ধহরানে দুজনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এবারর বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে খসড়া কৌশলগত চুক্তির সেমিফাইনাল সংস্করণ পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই চুক্তিটি এখন প্রায় চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
বড় ধরনের একটি চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি ও বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে ওয়াশিংটন ও রিয়াদ। এই চুত্তির আওতায় সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অধরা থাকলেও পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন ও সৌদি সরকার।
মন্তব্য করুন
সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। সৌদি শহর ধহরানে দুজনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।