ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে ভারতের দাপট

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

২০২২ সাল খুব একটা ভালো কাটেনি দক্ষিণ এশিয়ার জন্য। শ্রীলঙ্কায় অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে, মূল্যস্ফীতি ৭০ শতাংশে পৌঁছেছে, খাদ্য ও জ্বালানির অভাব দেখা দিয়েছে, জনগণের তোপের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন প্রেসিডেন্ট। পাকিস্তান দেউলিয়াত্বের শঙ্কায় পড়েছে, ভয়াবহ বন্যায় আনুমানিক চার হাজার কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অবিরত আন্দোলনে অশান্ত হয়ে উঠেছে দেশটি। এ বছর বাংলাদেশে ভয়ংকর শিল্প দুর্ঘটনা ঘটেছে, বন্যা দেখা দিয়েছে এবং ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী সামলাতে গিয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে জনগণ। আর নেপাল পড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটে।

কিন্তু দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে এমন অন্ধকারের মধ্যেও একটি জায়গা জ্বলজ্বল করেছে সারা বছর। ২০২২ সালে বেশিরভাগ মানদণ্ডেই ভালো করেছে ভারত। মহামারি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ায় জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধি ধনী দেশগুলোর তুলনায় কম নৃশংস ছিল। মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় সাত শতাংশ, যা যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের তুলনায় ইতিবাচক, আর পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার তুলনায় তো কথাই নেই!

পূর্বাভাসে ২০২২ সালে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ ধরা হয়েছে, যা বেশিরভাগ বড় অর্থনীতিগুলোর তুলনায় বেশি। মার্কিন ডলারের বর্তমান মূল্যে পরিমাপ করলে যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে ভারত এখন বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। ২০২৩ সালে দুই দেশের মধ্যে এই ব্যবধান আরও বাড়বে বলে মনে করছে আইএমএফ।

উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির পুনর্নির্বাচিত হওয়া অঞ্চলগুলোতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে পারে। বিদেশের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক মিত্র রাশিয়া এবং ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকা পশ্চিমাদের মধ্যে একটি জটিল ভারসাম্যমূলক কৌশল গ্রহণ করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়ায় ভারতের অধিকারের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছেন।

ভারতীয়দের এমন অসাধারণ চলার গতি ২০২৩ সালেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। চীন যখন স্ব-প্রবর্তিত মন্থরতায় ভুগছে, পশ্চিমের কিছু অংশ যখন অর্থনৈতিক মন্দার কিনারায় দাঁড়িয়ে, তখন ভারতের প্রবৃদ্ধি খুব সামান্যই কমতে পারে। নতুন বছরে এর অর্থনীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম কারণ হলো অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ। দেশটির বৃহত্তম ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলো সৌর, বায়ু, হাইড্রোজেনসহ সবুজ জ্বালানির পেছনে অর্থ ঢালছে। ইলেকট্রনিকস, ওষুধ, ড্রোন ও ব্যাটারিসহ ১৪টি ‘মূল শিল্প’ উত্পাদনকে উত্সাহিত করতে সরকারি ভর্তুকিতে প্রলুব্ধ হচ্ছে বহু কোম্পানি৷ আদানি ও রিলায়েন্সের মতো ভারতীয় জায়ান্ট, কিংবা ওলা’র মতো রাইড-শেয়ারিং ও ইলেকট্রিক-স্কুটার স্টার্টআপের মতো নতুন সংস্থাগুলো এর সুবিধা নিচ্ছে৷

অবশ্য তারপরও যে ২০২৩ সালে ভারতের চলার পথটা খুব মসৃণ হবে, তা নয়। দক্ষিণ এশিয়ার বাকি অংশের মতো এটিও নিয়ন্ত্রণের বাইরের কিছু ঘটনা ও প্রবণতার ঝুঁকিতে রয়েছে। মূলত তিনটি বিষয় ২০২৩ সালে এ অঞ্চলকে অস্থিতিশীলতার হুমকিতে রেখেছে।

প্রথমটি হলো- জীবনযাত্রার ব্যয়। অর্থনৈতিক ও জলবায়ু সংকট শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানে বহু মানুষের জীবন অসহনীয় করে তুলেছিল। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মূল্য চুকাতে হয়েছে পুরো অঞ্চলকেই। এই যুদ্ধ খাদ্য ও জ্বালানির খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর মুদ্রানীতি। এটি অন্য সব কিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০২৩ সালে দক্ষিণ এশিয়ার বাকি অংশের তুলনায় ভারতে মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি হয়তো অতটা খারাপ হবে না, তবে কিছু ক্ষতি তো করবেই।

আরেকটি বড় উদ্বেগ হলো- ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকট। পাকিস্তান এবং উত্তর ভারতে গত মার্চ-এপ্রিলে রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহের কারণে স্থবির হয়ে গিয়েছিল শহরগুলো। বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছিল বাসিন্দাদের। পরে দুই দেশই প্রবল বৃষ্টিপাতের শিকার হয়। অঞ্চলটি পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ। ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে আরও রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহ, খরা ও বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

সম্ভাব্য অস্থিতিশীলতার তৃতীয় কারণ হলো- ভূরাজনীতি। ২০২০ সালে লাদাখে উদ্ভূত সীমান্ত বিরোধ এখনো মেটাতে পারেনি ভারত ও চীন৷ পারস্পরিক সন্দেহের কারণে তাদের ছোটখাটো শোডাউনগুলো হঠাৎই বড় হয়ে উঠতে পারে; বিশেষ করে, ভারত ক্রমেই পশ্চিমা-ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠার কারণে।

২০২২ সালের ১২টি মাস বেশ অস্থিরতায় কেটেছে দক্ষিণ এশিয়ার। ফলে এ অঞ্চলের দেশগুলো আশা করবে, নতুন বছর শান্ত, স্থিতিশীল ও আরও সমৃদ্ধ হোক। অর্থনীতির টার্নিং পয়েন্টে পৌঁছানো ভারতের আশাও থাকবে একই।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। খবর আল-জাজিরার

এদিকে পার্স টুডের খবরে বলা হয়, হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রাহমাতিসহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। 

সীমান্ত এলাকায় আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে একটি বাঁধ উদ্বোধনের পর তিনি শহরে ফিরছিলেন। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে এখনও উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি। 

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   আল-জাজিরার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিরগিজস্তান থেকে ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরালো পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান। গতকাল শনিবার রাতে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হামলার পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে পাকিস্তানে ফেরেন এই শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার (১৯ মে) আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, কিরগিজস্তান থেকে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সহিংসতার পর যেসব পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য এমন আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে একদল কিরগিজ নাগরিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান মিশরীয় শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে বিশকেকের বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকেও হামলা চালানো হয়। সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ভারতীয়রাও রয়েছেন।


কিরগিজস্তান   দেশ   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি যুবরাজ সালমানের সঙ্গে সুলিভানের বৈঠক

প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। সৌদি শহর ধহরানে দুজনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এবারর বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে খসড়া কৌশলগত চুক্তির সেমিফাইনাল সংস্করণ পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই চুক্তিটি এখন প্রায় চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

বড় ধরনের একটি চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে ওয়াশিংটন রিয়াদ। এই চুত্তির আওতায় সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অধরা থাকলেও পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন সৌদি সরকার।


সৌদি যুবরাজ   সালমান   সুলিভান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত

প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী শিশুও রয়েছেন এবং তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

ব্রেক ফেল করে গাড়ি খাদে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। রোববার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নওশেরায় শনিবার ব্রেক ফেল করে একটি মিনি-ট্রাক গভীর খাদে পড়ে গেলে পুরুষ, নারী শিশুসহ একই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।


পাকিস্তান   সড়ক   দুর্ঘটনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করার চেষ্টা করছেন মোদি: কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচন চলছে। সাত দফার নির্বাচনের মধ্যে ইতোমধ্যেই চার দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন নরেন্দ্র মোদি।

নির্বাচনের মধ্যেই মোদির ব্যাপক সমালোচনা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, মোদি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের ভোটেও একই কাজ করার চেষ্টা করছেন। 

এমনকি রাশিয়ার সঙ্গেও ভারতের তুলনা করেছেন কেজরিওয়াল। শনিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত শুক্রবার ভারতের পরিস্থিতিকে রাশিয়ার সাথে তুলনা করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পরোক্ষভাবে উপহাস করেছেন। একইসঙ্গে ভারত 'খুব বিপজ্জনক' পর্যায়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে (বিকেসি) বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে কেজরিওয়াল বলেন, 'বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট... পুতিন হয় তার সব প্রতিদ্বন্দ্বী নেতাদের জেলে পাঠিয়েছেন, আর না হয় তাদের হত্যা করেছেন। তারপর (পুতিন) নির্বাচন পরিচালনা করেন এবং ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন'।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন, 'বাংলাদেশে, সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। (নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে) সব বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়েছেন। পাকিস্তানের নির্বাচনে দেশটির প্রবীণ নেতা ইমরান খানকে জেলে পাঠানো হয়েছিল, তার দলকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এরপরই নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে...,'।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মোদিজি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শেখার পরে এখানে, ভারতে একই জিনিস প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা আমাকে জেলে রেখেছিল, (দিল্লির সাবেক ডেপুটি সিএম) মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে রাখা হয়েছিল... কংগ্রেস পার্টির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আটকে দেওয়া হয়েছিল... এভাবেই আপনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং জিতবেন। এটি কাপুরুষতার চিহ্ন।'


দিল্লি   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   বাংলাদেশ   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন