ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি কেমন হবে?

প্রকাশ: ১১:১১ এএম, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করে ক্ষমতায় আসেন জো বাইডেন। ২০২১ সালের ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউজে প্রবেশ করেন তিনি।

যুক্তরাজ্যের ৪৬তম এ রাষ্ট্রপতির প্রথম দুই বছরের বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে নিজ দলের বিবাদমান নেতাদের মধ্যে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টায়। এখন পর্যন্ত সমাধান না হওয়া এ বিষয়টি, আগামী দুই বছরে জো বাইডেনের জন্য আরও কঠিন হবে বলে ধারণা করছেন মার্কিন রাজনীতিবিদরা।

এ বছরের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানরা হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়। এর মাধ্যমে ২০২৩ সালে দেশটির রাজনীতি বিভক্ত সরকারব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণে থাকবে ও ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত এভাবেই চলবে।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে চলে যাওয়ায়, ক্ষমতাসীন দল চাইলেই এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। এমন পরিস্থিতিতে দেশের জন্য খুব ভালো কিছু ঘটবে না বলে দাবি করছেন দেশটির অনেক সাধারণ নাগরিক।

অনেকে বলছেন, স্পিকার ও রাষ্ট্রপতির দল আলাদা হওয়াটা দেশের আইন প্রণয়নসংক্রান্ত বিষয়গুলোকে বেশ জটিল কর তুলবে ও এমনটি হওয়া অপরিহার্য ছিল না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে স্পিকারের ভূমিকা অনিয়মিত ও সমঝোতামূলক আইনপ্রণেতা থেকে অপরিহার্য আইন প্রণেতায় পরিণত হয়েছে।

বিরোদী দল থেকে স্পিকার আসার বিষয়টি যেকোনো ক্ষমতাশীল দলের জন্য চ্যালেঞ্জিং। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ১৯৮১ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তৎকালীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রোল্যান্ড রিগানের সঙ্গে স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডেমোক্র্যাট দলের টিপ ও’নিল।

ন্যান্সি পেলোসির রিপাবলিকান উত্তরসূরি কেভিন ম্যাকার্থি যে ক্ষমতাসীন দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করবেন তা ভাবার কোনো কারণ নেই। সুতরাং সাধারণ মার্কিন নাগরিকরা যে ভয়টি পাচ্ছেন, আগামী বছর ঠিক তেমনটিই হতে চলেছে।

বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ও চীনের বিষয়টি বাদ দিয়ে অন্যান্য যেকোনো বিষয়ে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা যে একমত হবেন, তার সম্ভাবনা খুবই কম।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ২০২৩ সাল থেকে মার্কিন কংগ্রেসের মাধ্যমে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয়ের জন্য বরাদ্দ একত্রিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ অথচ তুলনামূলক ছোট বিষয়গুলো এগিয়ে যাবে। কিন্তু বাকি সবকিছু বিভক্ত সরকারের অধীনে ধীরে ধীরে আগাবে। সুতরাং ২০২২ সালের পর জো বাইডেনের জন্য তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য অর্জনের সুযোগ থাকবে না।

এদিকে প্রগতিশীলরা আশা করেছিলেন, বাইডেন কংগ্রেসের গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ থেকে বৃহৎ সামাজিক-কল্যাণ ও জলবায়ুর ‍ক্ষতিরোধে ব্যাপক সাফল্য লাভ করবেন। সাফল্য তিনি কিছুটা পেয়েছেন, কিন্তু তা আশানুরূপ নয়।

জো বাইডেন হয়তো এখন নতুন আইন প্রণয়নের চেয়ে দূষণরোধ ও ব্যবসাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশি তৎপর হবেন, যাকে সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ‘বড় অবকাঠামোগত পরিবর্তন’ বলে দাবি করছেন। তবে এসব ক্ষেত্রেও বাইডেনের দল একা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না।

দ্য ইকোনমিস্টের মতে, আগামী নির্বাচনে বেইডনে ও ট্রাম্প দুজনই অংশ নিতে চান। তবে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বয়স বেশি হয়ে যাওয়ায় ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জো বাইডেনকে অযোগ্য বিবেচনা করা হতে পারে।

যদি তাই হয়, তাহলে ডেমোক্র্যাট দলের মধ্যে উত্তরাধিকার প্রতিযোগিতা শুরু হবে।২০২০ সালের সালের প্রাথমিক নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যপন্থী ও প্রগতিশীল ধারার মধ্যে যে গভীর ফাটল দেখা দিয়েছিল, তা আরও একবার দেখা যাবে। প্রতিযোগীদের মধ্যে উত্তরাধীকার হিসেবে এগিয়ে থাকবেন বর্তামান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে শিকাগোতে ৬৮ জন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ০১:৩৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে মার্কিন প্রশাসন। এবার ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের 'শিকাগো আর্ট ইনস্টিটিউট' এর বিক্ষোভ থেকে ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কলাম্বিয়া কলেজ এবং শিকাগোর স্কুল অব আর্ট ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের স্থাপন করা ক্যাম্পে হানা দেয় স্থানীয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের স্থাপন করা তাঁবু গুড়িয়ে দিয়ে সেখান থেকে অন্তত ৬৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এবিসি৭ টেলিভিশন জানিয়েছে, ছয় দিন ধরে এই আন্দোলন অব্যাহত রেখেছিল শিক্ষার্থীরা। তবে এই প্রথম ফিলিস্তিনিপন্থী ওই শিবিরে পুলিশ এভাবে চড়াও হল।


ইসরায়েল   বিক্ষোভ   শিকাগো   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ঘুমিয়ে ছিলেন স্টেশন মাস্টার! সিগন্যালের অপেক্ষায় ট্রেন

প্রকাশ: ১২:১২ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অনেক সময় চালকের ঘুমের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এবার ঘটেছে এক ভিন্ন ঘটনা। ডিউটির মধ্যেই ঘুমিয়ে গেছেন স্টেশন মাস্টার! এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেন। এ ঘটনা ভারতের উত্তরপ্রদেশের। 

একটি স্টেশনে কর্তব্যরত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন স্টেশন মাস্টার। এর ফলে প্রায় আধা ঘণ্টা সিগন্যালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে পাটনা-কোটা এক্সপ্রেস। 

গত ৩ মে (শুক্রবার) এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে ইটাওয়াহর কাছে উড়ি মোর রোড স্টেশনে। পরে অভিযুক্ত স্টেশন মাস্টারকে শোকজ করেছে রেল কতৃপক্ষ। 

জানা গেছে, পাটনা-কোটা এক্সপ্রেসের চালক বারবার হর্ন দিয়েও ঘুম ভাঙাতে পারছিলেন না স্টেশন মাস্টারের। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি প্রায় ৩০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকার পর স্টেশন মাস্টারের ঘুম ভাঙে এবং সেটি সবুজ সিগন্যাল পায়। 

ইতোমধ্যে দোষ স্বীকার করে ওই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন অভিযুক্ত। তিনি যুক্তি দেন, ঘটনার সময় পয়েন্টম্যান লাইন পর্যবেক্ষণে গিয়েছিলেন। ঘুম ভাঙাতে পাশে কেউ ছিলেন না। তার ফলেই বিপত্তি ঘটে।

আগ্রা রেলওয়ে ডিভিশন পি আর ও প্রশান্ত শ্রীবাস্তব বলেন, গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে বিষয়টিকে। ইতোমধ্যে স্টেশন মাস্টারের বিরুদ্ধে চার্জশিট তৈরি করা হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


স্টেশন মাস্টার   ট্রেন   সিগন্যাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন

প্রকাশ: ১১:২০ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে। সেখানে সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনিরা ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে। খাবার এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটছে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির। এ ধ্বংসযজ্ঞ যখন পুরো বিশ্বে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন সামনে এলো গাজার অন্তঃসত্ত্বা নারীদের করুণ চিত্র।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন। প্রায় ১ লাখ ৫৫ হাজার নারী খুবই কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশির ভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউ-এর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। অভিযানের নামে সেখানে ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। বিশ্ব জুড়েই গাজা সংঘাত বন্ধের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং রাফা এবং অন্যান্য শহরে হামলার তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে।

গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৭৭ হাজার ৮৬৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। হতাহতের শিকার এই বিপুল সংখ্যক মানুষের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।


গাজা   অন্তঃসত্ত্বা   নারী   পানিশূন্যতা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেফতার ২৫

প্রকাশ: ১১:০৩ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দেশটির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়া এই বিক্ষোভ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বাইডেন প্রশাসন। চলছে ধরপাকড়।

সর্বশেষ শার্লটসভিলের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শিবির ভেঙে দিয়েছে মার্কিন পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের তাদের ওপর পিপার (মরিচ) স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছে। সেখান থেকে অন্তত ২৫ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ভার্জিনিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট জিম রায়ান বলেন, বিক্ষোভকারীরা ক্যাম্পাসে তাঁবু স্থাপন করে আন্দোলন করতে থাকে। তারা অবস্থান থেকে সরে যেতে অস্বীকার করার পর তাদের ছত্রভঙ্গ করতে স্থানীয় পুলিশ বাহিনীকে ডাকা হয়।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি শান্ত করতে তাদেরকে সরে যেতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা সংঘর্ষ বাঁধানো ও হামলার চেষ্টা করে। ফলে পুলিশ ওই সমাবেশকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং যারা সেখান থেকে সরে যেতে অস্বীকার করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এদিকে, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ক্যাম্পাসভিত্তিক এই আন্দোলন থেকে ইতোমধ্যে দুই হাজার চার শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে মার্কিন প্রশাসন। তবে তারপরও দমে যাননি শিক্ষার্থীরা। তারা অবিলম্বে ইসরায়েলের সঙ্গে ওই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্ন ও গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।  


ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ   ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যাল   গ্রেফতার ২৫  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেক্সিকোতে তাঁবু গেড়ে অবস্থান শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজায় চলমান ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও। মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, কানাডাসহ বিশ্বের আরও অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয়। লন্ডন, প্যারিস ও রোম থেকে সিডনি, টোকিও, বৈরুতসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি একটাই- ‘গণহত্যা বন্ধ হোক’। পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি তোলা হচ্ছে। সম্প্রতি ব্রিটেনের নিউক্যাসল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ভবনের বাইরে তাঁবু গেড়ে অবস্থান নেয় শত শত শিক্ষার্থী। ফিলিস্তিনের সহমর্মিতায় বিক্ষোভ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডার মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়েও। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ-কারীদের হটাতে যে দমনপীড়ন চালানো হচ্ছে, সেটাও তাদের প্রতিবাদে শামিলে উৎসাহিত করছে বলে জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ইউরোপ, এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়েছে এই আন্দোলন।

এদিকে, মেক্সিকোর বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিদাদ ন্যাসিওনাল অটোনোমা ডি মেক্সিকোতে তাঁবু খাটিয়ে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার থেকে কমপক্ষে ৪০টি তাঁবু খাটানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ‘গাজায় সাম্রাজ্যবাদী গণহত্যা’ বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করছেন বলে জানান। এসব বিক্ষোভে আরবের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইহুদি শিক্ষার্থীরাও অংশ নিচ্ছেন। ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও মেক্সিকোর সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।


ইসরায়েলবিরোধী   বিক্ষোভ   মেক্সিকো  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন