ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্প কি ২০২৪ সালের নির্বাচনে জিতবেন?

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১০ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

রিপাবলিকান রাজনীতিক ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে প্রচারণা শুরু করেছেন। যদিও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশবাসীর সেবা করার আগ্রহ খুব সামান্যই রয়েছে তাঁর। আগে যা–ই হোক, এখন ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার এই উচ্চাভিলাষ অদূর ভবিষ্যতে তাঁর দল রিপাবলিকান পার্টির জন্য রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদটি বাগিয়ে নেওয়াকে কঠিন করে তুলতে পারে।

২০১৬ সালে ট্রাম্প তাঁর সমালোচকদের প্রধানত একহাত নিতে ও নিজের নানা ব্যবসায়িক উদ্যোগের প্রচার–প্রসার ঘটানোর লক্ষ্য নিয়ে নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেছিলেন। একপর্যায়ে পুরো রিপাবলিকান পার্টির ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন, এমনকি তিনি নিজেও এতে বিস্মিত হন।

রিপাবলিকান পার্টির নেতা ট্রাম্প ২০২০ সালে আবারও নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন। কারণ, প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তিনি যেসব কর্মকাণ্ড করেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা–সুবিধা ব্যবহার করে সেসবের আইনি সুরক্ষার প্রয়োজন ছিল। তাই পুনর্নির্বাচন করাটা নিজের জন্য অপরিহার্য বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে যখন হেরে গেলেন, পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করে বসলেন তিনি। কোনো প্রমাণ ছাড়াই ট্রাম্প দাবি করলেন, এ নির্বাচনী ফলাফল অবৈধ। আর এখন, ট্রাম্প আবার নির্বাচনী মঞ্চে ফিরেছেন। কেননা, তিনি চান হারানো পদ ও ক্ষমতা ফিরে পেতে; তাঁর ধারণা, যা তাঁর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

যাহোক, ২০২৪ সালে আমরা আগের মতো ট্রাম্প–বাইডেন লড়াই দেখব—এ সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন পাবেন—এটি অসম্ভব প্রমাণ করা যদি না–ও যায়, তবে নিশ্চিতভাবেই কঠিন।

ট্রাম্প ২০১৬ সালে যখন জিওপির (রিপাবলিকান পার্টি) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মনোনীত হন, তখন ‘ঘোর ট্রাম্পবিরোধী’ রিপাবলিকানরা প্রার্থী বাছাই দৌড় থেকে ছিটকে পড়েন। নির্বাচনে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেতার পরও যে কয়েকজন প্রকাশ্যে তাঁর সমালোচনা চালিয়ে যান, তাঁরাও রাজনীতি থেকে হয় অবসরে গেছেন, না হয় ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে কোনো না কোনো সময় পদ হারিয়েছেন। এটি ট্রাম্পকে দলের ওপর পাকাপাকি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করাসহ ২০২০–এর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অংশগ্রহণের সহজ সুযোগ করে দেয়। অবশ্য, ওই সময়ের পর অনেক কিছুই এখন বদলে গেছে।

২০২০ সালের নির্বাচনে হারার পর ২০২২ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনে খারাপ ফল করেছে ট্রাম্পের দল। রিপাবলিকান পার্টির প্রভাবশালী অনেকেই এখন সাবেক এই প্রেসিডেন্টের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন; যাঁদের মধ্যে রয়েছেন এমন কয়েকজন, যাঁরা ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প হারার পর তাঁর ‘ভোটের ফলাফল চুরির’ গল্পকে সমর্থন করেছিলেন।

এ ছাড়া রিপাবলিকান ভোটারদের অনেকে ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন। এর কারণ, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলা একের পর এক আইনি ঝামেলা ও প্রতিবন্ধকতা। তাঁদের আশঙ্কা, ট্রাম্প এসব উতরে যেতে পারবেন না। তাই অনেকেই পরবর্তী নির্বাচনের জন্য বিকল্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর চিন্তাও করে রাখছেন। বিকল্পের দাবিও জোরদার হচ্ছে।

এ পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের বিকল্প হিসেবে কয়েকজনের নাম আলোচনায় এসেছে। তাঁদের একজন রন ডিস্যান্টিস। তিনি ফ্লোরিডার গভর্নর হিসেবে সম্প্রতি আবার নির্বাচিত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ডিস্যান্টিস রিপাবলিকান পার্টিতে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। বিশেষত ট্রাম্পের বিরোধিতা করা, করোনার টিকাবিরোধী অবস্থান, সমকামীদের পক্ষে কথা বলে তিনি আলোচনায় এসেছেন। অন্তত দুটি জনমত জরিপ আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী চূড়ান্তের সম্মুখযুদ্ধে ট্রাম্পের চেয়ে তাঁকে এগিয়ে রেখেছে।

আরও কয়েকটি পরিচিত মুখ ২০২৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হতে ট্রাম্পের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেন। তাঁদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূত নিকি হ্যালি রয়েছেন। তাঁরা তিনজনই ট্রাম্পের প্রশাসনে কাজ করেছেন। ট্রাম্প তাঁদের নিজ নিজ পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন। আলোচনায় আরও শোনা যাচ্ছে ভার্জিনিয়ার গভর্নর ও রিপাবলিকান উদীয়মান নেতাদের একজন গ্লেন ইয়ংকিনের নাম। দলটির ভোটার ও নেতাদের অনেকের ধারণা, এই নেতাদের কেউ একজন ট্রাম্পকে পাশ কাটিয়ে রিপাবলিকানদের ‘মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন’ নীতি এগিয়ে নিতে সক্ষম হবেন।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র, দেশটির গণতন্ত্র ও রিপাবলিকান পার্টির জন্য কার্যকর কৌশলগুলোর একটি হলো প্রার্থিতার দৌড় থেকে ট্রাম্পের সরে দাঁড়ানো এবং রিপাবলিকান প্রার্থী হিসেবে রনকে তাঁর (ট্রাম্পের) সমর্থন জানানো। তবে ট্রাম্পের স্বভাব ও চরিত্রের সঙ্গে যাঁরা পরিচিত, তাঁরা জানেন, এটা স্বপ্নাতীত কল্পনা। আরেকটি ঘটনা ঘটতে পারে, একের পর এক আইনি ঝামেলায় জর্জরিত ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হতে পারলেন না, প্রচারে অংশ নিতে পারলেন না। তবে এরপরও রিপাবলিকান পার্টি ট্রাম্পের প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারবে, এমনটা ভাবার অবকাশ নেই।

দৃশ্যপট যেটাই হোক না কেন, রিপাবলিকান পার্টির বিকল্প প্রার্থীকে ট্রাম্পের কাছে নির্বাচনের আগে মাথা নোয়াতে হবে, তাঁকে ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে মানিয়ে চলতে হবে, একই কাতারে দাঁড়াতে হবে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী কেভিন ম্যাকার্থিকে এমন সংকটেই পড়তে হয়েছে। ট্রাম্প সমর্থকদের ‘বিদ্রোহে’ স্পিকার পদে তাঁর নিয়োগ ঝুলছিল। ১৫তম বারের ভোটাভুটিতে এসে স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। স্পিকার নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট অচলাবস্থা শনিবার টানা পঞ্চম দিনে গড়ায়। এর আগে শুক্রবার মধ্যরাত নাগাদ ১৪ দফা ভোটেও স্পিকার নির্বাচিত করতে ব্যর্থ হয় প্রতিনিধি পরিষদ।

কেভিন ম্যাকার্থির ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প নিজে কিংবা তাঁর পছন্দের কেউ রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত না হলে, সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থীকে নিজ দলেই যথেষ্ট ভুগতে হবে। কেননা, ট্রাম্পের অতীতের কর্মকাণ্ড বুঝিয়ে দিয়েছে, ক্ষমতাকেন্দ্রের কাছাকাছি থাকতে তিনি সবকিছু করতে পারেন, করেনও।

এটা ঠিক যে, ২০২৪ সালের নির্বাচনের এখনো অনেক সময় বাকি আছে। মাঝের সময়টায় পরিস্থিতি নানা দিকে মোড় নিতে পারে। বদলে যেতে পারে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট। চলতি বছরের শেষ নাগাদ ট্রাম্পের জেলে যাওয়ার ঝুঁকি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমনটা হলে ট্রাম্প সমর্থকদের অনেকেই পিছটান দিতে পারেন। জড়ো হতে পারেন রিপাবলিকান পার্টির বিকল্প কোনো প্রার্থীর ছাতার নিচে।

আর ট্রাম্প যদি শেষ পর্যন্ত প্রার্থিতার দৌড়ে টিকে যান, আরেকজন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় যাওয়া ঠেকাতে পুরো রিপাবলিকান পার্টি এক হয়ে তাঁকে সমর্থন দেয়, তাহলে নতুন করে আরেকটি বিপর্যয় দেখা যেতে পারে। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে।

রিপাবলিকান পার্টিতে ট্রাম্প যে বিভক্তি তৈরি করে রেখেছেন, তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন বেশি জোরালো ও প্রকাশ্য হয়ে উঠেছে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে ট্রাম্প মরিয়া হয়ে রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে নিজ দলে ও দলের বাইরের ট্রাম্পবিরোধীরা একজোট হয়ে আগামী নির্বাচনের আগে তাঁকে প্রতিহত করতে পারেন। আর তা না হলে জো বাইডেন কিংবা ডেমোক্রেটিক পার্টির অন্য কোনো প্রার্থীর হোয়াইট হাউসে প্রবেশ কঠিন হতে পারে।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ফিলিস্তিনিদের রাফা ছাড়ার নির্দেশ দিলো ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৪:৩৬ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাফাতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী।  সোমবার (০৬ মে) 'সীমিত পরিসরে' অভিযান চালানোর অংশ হিসেবে তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। তবে এটা স্থল অভিযানের প্রস্তুতির অংশ কিনা সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের খবরে কিছু বলা হয়নি। খবর রয়টার্সের 

গত সাত মাস ধরে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। তাদের ভাষ্য, রাফাতে হাজার হাজার হামাস যোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এখন এ অঞ্চলের দখল ছাড়া আমাদের বিজয় অসম্ভব। 

এদিকে রাফায় ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েল সেখানে হামলা চালালে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পশ্চিমা বিশ্ব ও প্রতিবেশী দেশ মিশর। 

একটি স্থল অভিযান চালানোর আগে রাফাতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের ‘মানবিক এলাকায়’ চলে যাওয়া নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েল বাহিনী। 

সোমবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাফাহ থেকে ফিলিস্তিনিদের সরে যেতে টেক্সট ম্যাসেজ, ফোন কল এবং মিডিয়ায় ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। 


ফিলিস্তিন   রাফা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মন্ত্রীর পিএসের গৃহকর্মীর বাসায় কোটি কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৪:১০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে এক মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীর (পিএস) গৃহকর্মীর বাসায় পাওয়া গেল কোটি কোটি টাকা।

সোমবার (৬ মে) দেশটির আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অভিযান চালিয়ে সেসব উদ্ধার করে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ঝাড়খণ্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচির একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়েছে ইডি। অভিযানে ২৫ কোটি রুপি নগদ উদ্ধার করা হয়। এসব আয় বহির্ভূত কালো অর্থ।

এ দিন ঝাড়খণ্ডের গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী আলমগীর আলমের ব্যক্তিগত সচিব সঞ্জীব লালের এক গৃহকর্মীর বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ৭০ বছর বয়সী আলমগীর একজন কংগ্রেস নেতা। তিনি ঝাড়খণ্ডের পাকুড় আসনের বিধায়ক।

তবে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই টাকার স্তূপে ২০ থেকে ৩০ কোটি রুপি থাকতে পারে। এখনো গণনার কাজ চলছে। এসব খুব চতুরতার সঙ্গে এখানে লুকানো ছিল।

এ বিষয়ে ঝাড়খণ্ড বিজেপির মুখপাত্র প্রতুল শাহদেব বলেন, এই অর্থ উদ্ধারের ঘটনা ইঙ্গিত দেয়, চলমান লোকসভা নির্বাচনে তা ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিল।


মন্ত্রী   পিএস   ঝাড়খণ্ড   ভারত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস অফিসে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। ইতোমধ্যেই প্রথম দুই দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে হামলা হয়েছে কংগ্রেস অফিসে।

ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের আমেঠিতে বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের অফিসে হামলা চালিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। 

রবিবার (৫ মে) মধ্যরাতে  পার্টি অফিসের বাইরে পার্ক করা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

গাড়ি ভাংচুরের শব্দ পেয়ে পার্টি অফিসের সামনে আসেন দলীয় কর্মীরা। এ সময় কর্মীদের সাথে দুর্বৃত্তদের হট্টগোল হয়। পরে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষোভ শুরু করেন কর্মীরা।

ঘটনার পরই পার্টি অফিসে ছুটে আসেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল।

এই ঘটনায় কংগ্রেসের কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং তারা রাতেই উত্তেজিত হয়ে বিক্ষোভে নামেন। ঘটনার পরই পার্টি অফিসে ছুটে আসেন কংগ্রেস জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বিজেপির দুর্বৃত্তরা উত্তরপ্রদেশের এই কেন্দ্রে কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যুব কংগ্রেস নেতা শুভম সিংকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই ঘটনায় দুই বিজেপি নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

মধ্যরাতের এই ঘটনার পর পার্টি অফিসে পৌঁছান কংগ্রেসের জেলা সভাপতি প্রদীপ সিঙ্গল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ বাহিনী। পার্টি অফিসের বাইরেই হাঙ্গামা শুরু করেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছান সিও মায়াঙ্ক দ্বিবেদীও। ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দেওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয়।

গোটা ঘটনার জন্য কংগ্রেস স্মৃতি ইরানিকে দায়ী করেছে। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমেঠির বিজেপি প্রার্থীকে অভিযুক্ত করে পোস্ট করা হয়েছে। এতে লেখা হয়েছে, 'স্মৃতি ইরানি এবং বিজেপি কর্মীরা আমেঠিতে ভয় পেয়ে গেছে। পরাজয়ের ভয়ে বিজেপির দুষ্কৃতীরা লাঠি, রড নিয়ে কংগ্রেসের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। অফিসের বাইরে রাখা গাড়িও ভাঙচুর করেছে তারা। আমেঠির মানুষ এবং কংগ্রেসের কর্মীদের ওপর আঘাত হানার চেষ্টা হয়েছে। অনেকেই এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। জঘন্য হামলা চালানো হয়েছে।' 

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও ফুটেজও শেয়ার করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, 'ঘটনার সময় সাধারণ মানুষের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশ নির্বাক। এই হামলা প্রমাণ করছে আমেঠিতে বিজেপি হারছে।' 


উত্তরপ্রদেশ   কংগ্রেস   হামলা   গাড়ি ভাঙচুর  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সোনা কিনতে দুবাই ছুটছেন ভারতীয়রা

প্রকাশ: ০২:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

দুবাইয়ে সারা বছর লেগে থাকে পর্যটকদের ভিড়। এদের একটি বড় অংশই ভারতীয়। অন্যসময় এসব পর্যটক দুবাই ঘুরতে যান ধরে নিলেও এই সময়টায় যারা যাচ্ছেন, তাদের অনেকেরই উদ্দেশ্য ভিন্ন। এখন বহু ভারতীয় পর্যটক সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাঁকজমক শহরটিতে ছুটছেন কেবল সোনার কেনার উদ্দেশ্যে।

আগামী ১০ মে অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব উদযাপন করবেন ভারতসহ গোটা বিশ্বের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। অক্ষয় তৃতীয়া হলো হিন্দু পঞ্জিকার বৈশাখ মাসের শুক্লা তৃতীয়া অর্থাৎ শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। এটি হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ সময়।

অক্ষয় শব্দের অর্থ হলো যা ক্ষয়প্রাপ্ত হয় না। বৈদিক বিশ্বাস অনুসারে, এই পবিত্র তিথিতে কোনো শুভকাজ সম্পন্ন হলে তা অনন্তকাল অক্ষয় হয়ে থাকে। আধুনিককালে এই তিথিতে সোনার বা রূপার গয়না কেনা হয়। মনে করা হয়, এই শুভ তিথিতে রত্ন বা জিনিসপত্র কিনলে গৃহে শুভযোগ হবে, সুখ-শান্তি ও সম্পদ বৃদ্ধি হবে। এই আশাতেই এদিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা কিছু না কিছু কিনে থাকেন।

বর্তমানে সোনা ক্রেতা ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেরই প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। অন্যবারের মতো এবারও অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে সোনাদানা কিনতে শহরটিতে ছুটছেন অনেকে।

লিয়ালি জুয়েলারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনুরাগ সিনহা বলেন, হ্যাঁ! কিছু লোক সোনা কেনার জন্য ভারত থেকে দুবাই ভ্রমণ করেন, বিশেষ করে অক্ষয় তৃতীয়ার মতো উৎসবের সময়। তিনি বলেন, এখানে বিভিন্ন ধরনের সোনার গয়না, কয়েন ও বার পাওয়া যায়। এ কারণে ভারত এবং অন্যান্য দেশের সোনা ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই।

পাভাদ গোল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফুল ঢাকন বলেন, দুবাইয়ের সোনার বাজার এর বৈচিত্র্য এবং প্রতিযোগিতামূলক দামের জন্য পরিচিত। এটি অবশ্যই দুবাইকে সোনা কেনার জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল গন্তব্য করে তুলেছে। অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপনকারী ভারতীয়রাও এতে আকৃষ্ট হচ্ছেন।

বাফলেহ জুয়েলার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রমেশ ভোরা জানান, ভারতীয় পর্যটকরা জানেন, অক্ষয় তৃতীয়ার সময় দুবাইয়ে বিভিন্ন ধরনের অফার থাকে। তাই সেই অনুযায়ী তারা ভ্রমণের তারিখ নির্ধারণ করেন।

খালিজ টাইমসের খবর অনুসারে, অক্ষয় তৃতীয়া উৎসব চলাকালীন দুবাইয়ের অনেক জুয়েলার্স সোনা, হীরা এবং মূল্যবান ধাতব গহনা কেনার জন্য ক্রেতাদের জন্য বিশেষ ছাড়, গহনা বানাতে শূন্য মজুরি এবং উপহারের অফার দিচ্ছে।

কল্যাণ জুয়েলার্সের নির্বাহী পরিচালক রমেশ কল্যাণরামন বলেন, দুবাই সারা বছরই জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। তবে এই মৌসুমে ভারতীয় পর্যটকরা যদি মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণ করেন, তাহলে তারা সোনা কেনার সম্ভাবনাই বেশি।


দুবাই   ভারত   সোনা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আবহাওয়া অফিস স্বস্তির খবর দিলো পশ্চিমবঙ্গে

প্রকাশ: ০২:৪৭ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের পর স্বস্তির পূর্বাভাস দিয়েছে কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর। আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) কালবৈশাখী ঝড়ে সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। সোমবার (৬ মে) বিকেল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

সোমবার থেকে আগামী শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে ভিজবে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। এছাড়াও পূর্বাভাস অনুযায়ী, একাধিক জেলায় কালবৈশাখীর সম্ভাবনাও রয়েছে। বৃষ্টি শুরু হলেই তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

সোমবার বিকেল থেকে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, নদিয়া, উত্তর২৪ পরগনা, দক্ষিণ২৪ পরগনা, হুগলি, পুরুলিয়া, মেদিনীপুরসহ একাধিক জেলায় প্রতি ঘন্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। কোথাও কোথাও ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

কলকাতা আবহাওয়া দফতরের পরিচালক সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, সোমবার কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। স্বাভাবিকের চেয়ে ১ ডিগ্রি বেশি হতে পারে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রী বেশি। কলকাতায় বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতা সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশের কাছাকাছি থাকতে পারে। সোমবার সকালে কলকাতায় বৃষ্টি না হলেও বিকেলে বা সন্ধ্যার দিকে বজ্রপাত আঘাত হানতে পারে। সোমবার সকাল থেকেই আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে।

উত্তরবঙ্গের দুই পাহাড়ি জেলা দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে বজ্রপাতসহ মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। এছাড়াও কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে বজ্রপাতসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে জানানো হয়েছে, সাগর থেকে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস ঢুকেছে রাজ্যে। ফলে বিকেল থেকেই শুরু হতে পারে বৃষ্টি। বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণবাতের প্রভাবের ফলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। সমুদ্র উপকূল ও সমুদ্রের মধ্যে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া থাকবে। সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সতর্কতা জারি করেছে কলকাতা আবহাওয়া দফতর। মৎস্যজীবীদের সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।


আবহাওয়া অফিস   পশ্চিমবঙ্গে  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন