ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বুড়ো হয়ে যাচ্ছে চীন, করোনা বাড়িয়েছে সঙ্কট

প্রকাশ: ০৮:৫২ এএম, ১৭ জানুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে ভাইরাসটির সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে গত তিন বছর কঠোর বিধিনিষেধ জারি ছিল দেশটিতে। বছরের পর পর এ বিধিনিষেধে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে সেখানকার মানুষ। জীবন নিয়ে তাদের মনে তৈরি হয় অনিশ্চয়তার। এমনই  একজন ভূক্তভোগি ঝ্যাং কি। সাংহাইভিত্তিক একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তিনি। এই অনিশ্চয়তার মধ্যে সন্তান না নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন ঝ্যাং।

এরই মধ্যে গত বছরের শেষে এসে চীণ সরকার ‘শূন্য কোভিড নীতি’ থেকে সরে দাঁড়ালে হঠাৎ করেই আবারো করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে হাসপাতালগুলোতেও রোগীদের ঠাঁই হচ্ছে না। পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা বোঝা যায় সম্প্রতি চীন সরকারের প্রকাশ করা কোভিডে মৃত্যুর পরিসংখ্যান থেকে।

সরকারি হিসাব বলছে, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় প্রায় ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

চীনের হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীর চাপে মা ও শিশুরাও চিকিৎসা নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে। এসব ঘটনা ঝ্যাং কির সন্তান নেওয়া—না নেওয়ার সিদ্ধান্তে বড় প্রভাব ফেলেছে। ৩১ বছর বয়সী ঝ্যাং বলেন, ‘শুনেছি সরকারি হাসপাতালগুলোতে সন্তানের জন্মদান ভয়াবহ একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে সন্তান নেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

শুধু ঝ্যাংই নয়, করোনার কারণে সন্তান নেওয়ার বিষয়ে চীনের অনেক নাগরিকই তাঁদের সিদ্ধান্ত বদলেছেন। ফলে এর যে নেতিবাচক প্রভাব দেশটির জনসংখ্যার ওপর পড়েছে তা হয়তো ১৭ জানুয়ারি প্রকাশ পাবে। সেদিন ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবে দেশটির সরকার। অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, ওই তথ্য প্রকাশিত হলে দেখা যাবে ২০২২ সালে চীনের জনসংখ্যা কমেছে। এর আগে ১৯৬১ সালে দেশটিতে মহা দুর্ভিক্ষের সময় জনসংখ্যা কমার ঘটনা ঘটেছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, ২০২২ সালে চীনে শিশুর জন্ম রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। গত বছরে দেশটিতে ১ কোটির কম শিশুর জন্ম হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২১ সালে চীনে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হয়েছিল। এই সংখ্যাটাও ২০২০ সালের চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। অর্থাৎ সন্তান জন্ম নেওয়ার হার দ্রুত কমছে। চীনের এই পরিস্থিতি বৈশ্বিক অর্থনীতি ও বিশ্বব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক ওয়াং ফেং। তাঁর ভাষ্যমতে, শিশুর জন্মহার কমার মধ্য দিয়ে চীন জনসংখ্যা কমার একটি দীর্ঘ ও অপরিবর্তনীয় প্রক্রিয়ার মধ্যে ঢুকে পড়েছে।

এটা চীন—এমনকি বিশ্বের ইতিহাসেও প্রথম। আগামী ৮০ বছরের কম সময়ে চীনের জনসংখ্যা ৪৫ শতাংশ কমতে পারে। ফলে সে সময় নতুন এক চীনকে দেখবে বিশ্ব।

২০২১ সালে চীনের জনসংখ্যা মাত্র ৪ লাখ ৮০ হাজার বেড়েছিল। সে বছর দেশটির জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪১ কোটি ২৬ লাখে। জাতিসংঘের অনুমান বলছে, চলতি বছর থেকে চীনের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে শীর্ষ স্থান হারাবে। আর চলতি বছরেই চীনকে ছাড়িয়ে এই স্থান দখল করে নেবে ভারত।

তবে শুধু চীনই নয়, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল ১০টি দেশের ৯টিতেই সন্তান জন্মদানের হার কমেছে। ২০২২ সালে চীনে এই হার ছিল ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। দেশটির ইতিহাসে এই জন্মহার ছিল সবচেয়ে কম। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থার (ওইসিডি) মান অনুযায়ী, একটি দেশের জনসংখ্যা স্থিতিশীল রাখতে জন্মহার ২ দশমিক ১ শতাংশ হতে হবে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে ১৯৮০ সালে ‘এক সন্তান নীতি’ নেয় চীন। ২০১৫ সাল পর্যন্ত তা বলবৎ ছিল। তবে সেই চীন গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করছে যে তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেকটা কমে গেছে। চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনও বলছে, ২০২৫ সালের আগেই দেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। এ পরিস্থিতিতে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং জানিয়েছিলেন, জন্মহার বাড়ানোর জন্য তাঁর সরকার নতুন নীতি প্রণয়ন করার কথা ভাবছে।

প্রতিকূল পরিস্থিতি

জন্মহার বাড়ানোর জন্য ২০২১ সাল থেকে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে চীন সরকার। সন্তান বেশি নিতে উৎসাহী করার জন্য করহার কমানো, মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বাড়ানো, স্বাস্থ্যবিমায় সুবিধা বাড়ানো, বাড়ি কেনা ও নির্মাণে প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে এসব পদক্ষেপের প্রভাব এখনো পড়তে শুরু করেনি।

শিশুদের বহনের জন্য বিশেষ গাড়ি (বেবি স্ট্রোলার) নিয়ে চীনের সার্চ ইঞ্জিন বাইডুতে মানুষের খোঁজখবর নেওয়ার ঘটনা ২০২২ সালে ১৭ শতাংশ কমেছে। ২০১৮ সালের তুলনায় এই কমার হার ৪১ শতাংশ। একই সময়ে শিশুদের খাওয়ানোর কাজে ব্যবহৃত বোতল নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া এক–তৃতীয়াংশ কমেছে। পক্ষান্তরে, বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া আগের বছরের তুলনায় আট গুণ বেড়েছে।    

এদিকে ভারতের চিত্র আবার উল্টো। দেশটি যে জনসংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। গুগলের হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে ভারতে শিশুদের জন্য বোতল নিয়ে গুগলে খোঁজখবর করার হার আগের বছরের চেয়ে ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া শিশুদের বিছানা নিয়ে খোঁজ প্রায় পাঁচ গুণ বেড়েছে।  

চলতি মাসে ইউওয়া পপুলেশন রিসার্চ নামে চীনের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলেছে, সন্তানের শিক্ষার ব্যয়ের চাপ, কলেজে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিতে ভয়াবহ ধরনের চাপ এবং তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের নার্সারিতে ভর্তির হার মাত্র ৫ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসা চীনে জন্মহার কমানোর ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলেছে।

চীনে বয়স্ক মানুষের দেশে পরিণত হওয়ার অর্থনৈতিক প্রভাবও উল্লেখযোগ্য হবে। জনসংখ্যাবিদ সি ফুশিয়ানের ধারণা, ২০৫০ সালের মধ্যে চীনে ৬৫ বছর বা এরও বেশি বয়সী মানুষ মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশে গিয়ে ঠেকবে। অথচ ২০২২ সালেই এই হার ছিল ১৪ শতাংশ এবং ১৯৮০ সালে একই হার ছিল মাত্র ৫ শতাংশ।

সি ফুশিয়ান বলেন, ‘বয়স্ক মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়লে চীনের অর্থনীতির গতি ধীর হবে, রাজস্ব কমবে, বাড়বে ঋণ। চীন ধনী হওয়ার আগেই বুড়ো হয়ে যাচ্ছে।’



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের খোঁচায় বাইডেন, মাদক পরীক্ষার দাবি

প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।

গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’ ট্রাম্প অবশ্য নিজে এ পরীক্ষা করাবেন কি না, তা বলেননি।

স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য বাইডেনের মাদক পরীক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আগে তাই তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। অবশ্য ওই সময় ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই মাদক পরীক্ষা করাননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের দুই বিতর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাকর মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোনো দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না। বিতর্কটি উপস্থাপনা করবেন জেক ট্যাপার ও ডানা ব্যাশ। ট্রাম্প অবশ্য জেক ট্যাপারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে দ্বিতীয় বিতর্কটির আয়োজন করছে সংবাদমাধ্যম এবিসি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই প্রার্থীই সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মনমোহন সিং

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।

বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি প্রয়োগ করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে।


ভোট   মনমোহন সিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা করেছে।

আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো, যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে। সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।

তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।


সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস   সিএনএন সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। নিহতরা জাবালিয়ার আল-ফালুজা নামক একটি এলাকায় পানি আনতে গিয়েছিলেন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ব্যাপারে বলেন, “আমরা ফালুজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলাম, যেটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ইসরায়েলিরা সেখানে গোলা ছুড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাব।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গত কয়েকদিন ধরে জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। স্থল হামলা ছাড়াও বিমান থেকে প্রতিনিয়ত সেখানে বোমা ফেলছে তারা।

গাজার মধ্যে যেসব শরণার্থী শিবির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো জাবালিয়া। যুদ্ধের আগে এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকতেন। এখনো শরণার্থী শিবিরটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।


ইসরায়েল   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভূমিধসে ৫০ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে হড়কা বান-ভূমিধসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই প্রদেশের পুলিশ।

শনিবারের বিবৃতিতে ঘোর প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাদ্রি বলেন, ‘শুক্রবারের হড়কা বান-ভূমিধসে প্রদেশে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’

বিবৃতিতে আবদুল রহমান বাদ্রি আরও জানান, শুক্রবারের হড়কা বানে প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং আরও কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, শত শত একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শতাধিক সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে। 

বানের পানি, বাড়িঘর-গাছ-পাথরের ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে প্রদেশের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।


আফগানিস্তান   ভূমিধস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন