আদানি
গ্রুপের বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ
নিয়ে এবার ভারতের পার্লামেন্টে
ব্যাপক শোরগোল হয়েছে। এমনকি, বিরোধীদলগুলোর চেচামেচিতে লোকসভা ও রাজ্যসভা- দুই
কক্ষের অধিবেশনই মুলতবি রাখা হয়। অন্যদিকে,
কংগ্রেসসহ তাদের সমর্থনকারী বিরোধী দলগুলো আদানি গ্রুপের জালিয়াতি ও প্রতারণার বিষয়
তদন্তে সংসদীয় কমিটি অথবা সুপ্রিম কোর্ট
মনোনীত কমিটি গঠনের দাবি করে।
গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পার্লামেন্টে
বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে
বিরোধীদলীয় কক্ষে একত্র হন কংগ্রেস ও
তার সমর্থনকারী দলের নেতারা। সেখান
থেকেই দাবি ওঠে, আদানি
ও হিনডেনবার্গের অভিযোগ নিয়ে আলোচনা হোক।
শেয়ার
বাজারে আদানি গ্রুপের ধস নিয়ে আলোচনার
দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যসভা।
বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা দাবি
করেন, এলআইসি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বিনিয়োগ থাকায় কোটি কোটি ভারতীয়
সঞ্চয় বিপদের মুখে আছে।
তবে
বিরোধীদের সব দাবি খারিজ
করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান।
এরপরই বিরোধী দলগুলোর নেতারা হইচই শুরু করেন।
আসন থেকে উঠে রাজ্যসভার
চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। শেষ
পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে,
বিরোধীদের দাবি না মানায়
ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় লোকসভাতেও। পরে
দুপুর ২টা পর্যন্ত মুলতবি
রাখা হয় বাজেট অধিবেশন।
বর্তমানে
ভারত ও বিশ্বব্যাপী তুমুল
আলোচনার বিষয় হলো, আদানি
গ্রুপের অনিয়ম ও জালিয়াতের অভিযোগ।
২৪ জানুয়ারি মার্কিন বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা ‘হিনডেনবার্গ রিসার্চ’ আদানির ‘করপোরেট জালিয়াতি’ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের
পরপরই বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
হিন্ডেনবার্গ
রিসার্চের ওই প্রতিবেদনে বলা
হয়, এক দশক ধরে
শেয়ারের দামে কারচুপি করছে
আদানি গ্রুপ। আর্থিক লেনদেনেও প্রতারণা করে এসেছে গ্রুপটি।
কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম কয়েক গুণ
বাড়িয়ে আদানি গ্রুপ বিশাল সম্পদ গড়েছে। এ প্রতিবেদন প্রকাশের
পর থেকেই চরম বিপর্যয়ের মুখে
পড়েছে গ্রুপটি।
গত বছরের আগস্টে মুকেশ আম্বানিকে টপকে ভারতের সবচেয়ে
ধনী ব্যক্তির স্থান দখল করেন গৌতম
আদানি। এমনকি, খুব অল্প সময়ের
মধ্যে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির তকমাও
অর্জন করেন তিনি।
সেসময়
‘ক্রেডিট সাইট’ নামের একটি বিদেশি আর্থিক
লগ্নি সংক্রান্ত পরামর্শদাতা সংস্থা জানিয়েছিল, আদানি গ্রুপের ব্যবসার প্রসারের পেছনে রয়েছে বিশাল পরিমান আর্থিক দেনা। তাছাড়া গ্রুপটি বিদেশি মুদ্রায় যে ঋণ নিয়েছে,
তার পরিমাণও অনেক। এসব কারণে গ্রুপটি
বিপদে পড়তে পারে।
অন্যদিকে,
হিনডেনবার্গ রিসার্চ তাদের প্রতিবেদনে বলে, কৃত্রিমভাবে শেয়ারের
দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে ও কারচুপি করেই
তিন বছরে আদানির শেয়ারসংক্রান্ত
সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে ৮০০ শতাংশেরও বেশি।
ধোঁকাবাজির
এ অভিযোগ ওঠার পর থেকেই
আদানি গ্রুপের ১০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের
দরপতন শুরু হয়, যা
কোনোভাবেই থামছে না। আদানি গ্রুপকে
নিয়ে দুই বছর তদন্তের
পর গত মাসে গুরুতর
অভিযোগের বিশদ বিবরণসহ একটি
বিস্ফোরক প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিনডেনবার্গ রিসার্চ।
এতে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে
‘করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজি’র
অভিযোগও তোলে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থাটি।
হিনডেনবার্গের
প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ৪১৩ পৃষ্ঠার জবাব
দেয় আদানি গ্রুপ। সেখানে বলা হয়, প্রতিবেদনটি
সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটি
কেবল নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানির ওপর
অন্যায় আক্রমণ নয়, বরং ভারতের
ওপর, ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা, অখণ্ডতা-গুণমান ও ভারতের আকাঙ্ক্ষিত
প্রবৃদ্ধির ওপর পরিকল্পিত আক্রমণ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে কিছু সময়ের জন্য
হলেও বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় দ্বিতীয়
অবস্থানে উঠে এসেছিলেন আদানি।
ওই সময় এ ধনকুবের
ও তার পরিবার নিয়ন্ত্রিত
প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট সম্পদের পরিমাণ
ছিল ১৫ হাজার ৪৭০
কোটি ডলার।
হিনডেনবার্গের
প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বিশাল জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন ও কিছু প্রমাণও
দেখিয়েছে আদানি গ্রুপ। কিন্তু এসবের পরও শেয়ার পতন
ও সম্পদ খোয়ানো থামাতে পারছেন না আদানি।
আদানি গ্রুপ ভারতীয় সংসদ তদন্তের দাবি
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় মিশর সীমান্তবর্তী শহর রাফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয় এবং আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
এ হামলায় নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অবরুদ্ধ গাজার রাফা শহরের তিনটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ১৩ জন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা ১৫ বলে জানিয়েছে হামাস মিডিয়া আউটলেট।
রাফায় এই হামলা এমন এক সময়ে হল যখন ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার জন্য হামাস নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে মিশর।
এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী তাৎক্ষণিক কোনও মন্তব্য করেনি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় বিরামহীনভাবে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি হামলায় সেখানকার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার এই ধ্বংসস্তূপ সরাতে ১৪ বছর লেগে যাবে বলা হচ্ছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ।
গাজা রাফা ইসরায়েল বিমান হামলা ফিলিস্তিনি ১৩ নিহত
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে বড় ধরনের রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ইভিএম বাদ দিয়ে ভোট গণনার পুরনো ব্যালট পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়ে রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার এই রায় দেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার দ্বৈত বেঞ্চ।
রায়ে দুই বিচারপতি বলেছেন, “আমরা বিস্তারিতভাবে সমস্ত প্রটোকল, সমস্ত টেকনিকাল দিক মিলিয়ে দেখেছি। একটা সিস্টেমকে (ইভিএম) কিছু না জেনে সেটাকে ভেঙে দেওয়াটা ঠিক হবে না।”
সর্বসম্মত এই রায় দেওয়ার পর বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেছেন, “এই ব্যবস্থার যেকোনও দিক নিয়ে অন্ধ আলোচনা অযৌক্তিক সংশয় সৃষ্টি করতে এবং অগ্রগতিতে বাধা দিতে পারে”। “তার চেয়ে বরং সিস্টেমের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে প্রমাণ এবং যুক্তির মাধ্যমে একটি গঠনমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করা উচিত।”
এ নিয়ে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট দুটি নির্দেশনা দিয়েছেন।
১. ভিভিপ্যাট ও ইভিএম সংক্রান্ত নির্দেশিকা। সিম্বল লোডিং ইউনিটকে অন্তত ৪৫দিন স্টোর করে রাখতে হবে। মেশিনে সিম্বল লোড করার পরে এই নির্দেশিকা মানতে হবে। বিশেষত ১ জুন যেদিন ভোট পর্ব শেষ হয়ে যাবে তারপর থেকেই এই সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষিত করে রাখতে হবে। এমনকি এই সিম্বল লোডিং ইউনিটকে সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। সেখানে প্রার্থীর সইও রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
সেই সিল করা ইভিএমগুলো স্টোর রুমে রাখতে হবে। ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরে অন্তত ৪৫দিন ওই ইভিএমগুলোকে রাখতে হবে।
সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছেন, ইভিএমের মাইক্রো কন্ট্রোলারকে পরীক্ষা করতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারদের টিম দিয়ে তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। প্রার্থীদের অনুরোধ এলেই তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই যাচাইয়ের ব্যাপারটির জন্য যে খরচ করা হবে তা বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকেই। তবে ইভিএমে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সেই অর্থ ফেরত দিতে হবে।
২. ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছেন, ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের যে ব্যবস্থা থাকে সেটা গণনা করার জন্য কোনও মেশিনের ব্যবস্থা করা যায় কি না সেটা দেখা যেতে পারে।
১৯ এপ্রিল ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। ৪ জুন ভোট গণনা হওয়ার কথা রয়েছে। এবারের নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নির্বাচিত হতে পারেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে ভোটের রেকর্ড রাখতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করে আসছে ভারত। তবে সম্প্রতি ভোট গনণায় এই সিস্টেমের স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
ভারত লোকসভা নিবার্চন ব্যালট ইভিএম সুপ্রিম কোর্ট
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বর্জন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলন দমাতে শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ।
গত ১৮ এপ্রিল নিউইয়র্ক পুলিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবির সরিয়ে নেয় এবং শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে। এর পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাম্পাসগুলো থেকে অন্তত ৯০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এরপর থেকে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে শিবির স্থাপন করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রিকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানিয়েছে।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, শনিবার বোস্টনের নর্থইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, অ্যারিজোনা স্টেট ইউনিভার্সিটি, ব্লুমিংটনের ইন্ডিয়ানা ইউনিভার্সিটি এবং সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভ থেকে ২৯০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া এবং টেক্সাসের বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ সদস্যরা তাদের নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা ভোট গ্রহণ করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘গণহত্যা থেকে বিচ্ছিন্ন’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। যেসব প্রতিষ্ঠান অস্ত্র উৎপাদনসহ নানা উপায়ে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় সহযোগিতা করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানের বৃত্তি না দেওয়ার দাবিও তুলেছেন তারা।
ইসরাইল বিক্ষোভ উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র গ্রেপ্তার ৯০০
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরে অসহনীয় তাপমাত্রা সহ্য করতে পারছেন না মানুষ। ফলে হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য স্বাস্থগত ঝুঁকিতে পড়ছেন মানুষ। শুধু বাংলাদেশ নয়, তালিকায় আগে ভারত, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডেও।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, এসব দেশে এপ্রিল মাসে সবচেয়ে বেশি তাপ পরিলক্ষিত হয়েছে। কিন্তু আবহাওয়ার বিশেষ অবস্থা ‘এল নিনোর’ কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এল নিনো এই অঞ্চলে উষ্ণ পানি ও শুষ্ক অবস্থা নিয়ে আসে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এটির প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে।
এখন প্রশ্ন হলো- এল নিনো কী? ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের তথ্য অনুযায়ী, এল নিনো হলো একটি জলবায়ু প্যাটার্ন। এটির মাধ্যমে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের পানি উষ্ণ হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, সমুদ্রের তাপমাত্রা, গতি, মহাসাগরীয় স্রোত, উপকূলীয় মৎস্যসম্পদের স্বাস্থ্য এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে দক্ষিণ আমেরিকার এবং এরও বাইরের অঞ্চলের ওপর প্রভাব পড়ে। এল নিনো দুই থেকে সাত বছরের বিরতি দিয়ে অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে। এটি কোনো নিয়মিত চক্র নয় অথবা এ নিয়ে আগে থেকে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।
পেরুর উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা এল নিনো সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সমুদ্রের পানির অস্বাভাবিক উষ্ণতা দেখে। আবহাওয়ার এই বিশেষ অবস্থাকে স্প্যানের অভিবাসীরা এল নিনো নামে ডাকতেন। যার বাংলা অর্থ ‘ছোট বালক’। পরবর্তীতে এল নিনোর মাধ্যমে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের বিষয়টি বোঝানো শুরু হয়। এল নিনোর কারণে প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাঞ্চলীয় দেশ পেরু, ইকুয়েডর ও চিলির উপকূলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে এক প্রকার উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ করা যায়।
এই উষ্ণ স্রোতের কারণে দক্ষিণ থেকে উত্তরমুখী শীতল সামুদ্রিক স্রোতের প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়, ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের বিভিন্ন অঞ্চলের সমুদ্রে বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়, উদ্ভিদ প্ল্যাংকটনের পরিমাণ হ্রাস পায় এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় এবং স্থলভাগের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। এল নিনোর প্রভাবে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চলে খরা বা অনাবৃষ্টি দেখা দেয়। কোনো কোনো অঞ্চলে অতিবর্ষণও ঘটে থাকে। সাধারণত ২ থেকে ৪ বছর স্থায়ী হয় এল নিনো।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আরও ৭২ ঘণ্টা এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ ২৮ এপ্রিল থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিও বৃদ্ধি পেতে পারে।
গত বছরের এপ্রিল মাসে জলবায়ুবিদরা এল নিনোর ব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, ২০২৩ সালে এটির প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। যদি ২০২৩ সালে প্রভাব না পড়ে তাহলে ২০২৪ সালে এটি বেশ ভালোভাবে পরিলক্ষিত হবে।
মন্তব্য করুন
ফিলিস্তিনের গাজা যুদ্ধের প্রতিবাদে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকার ৪০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। কয়েকশ’ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না স্থানীয় প্রশাসন। মূলত নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
এবার কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ। মার্কিন ক্যাম্পাসের আন্দোলনের মিল রেখে ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও তাঁবু টানিয়ে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আন্দোলনে বসেছেন শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা ম্যাকগিল এবং কনকর্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তহবিল প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর এভাবে তাঁবু টানানো অনুমোদিত নয়। এই ধরনের কার্যকলাপ যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো মুখোমুখি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ফিলিস্তিনি যুব আন্দোলন মন্ট্রিয়েল শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান (তাঁবুতে) কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। গ্রুপটি বলছে, তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে গণহত্যায় অংশীদার হতে দিতে চায় না। ফিলিস্তিনপন্থী একাধিক গ্রুপ এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে আসছে।
ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা শিক্ষার্থীদের অন্দোলন সম্পর্কে অবগত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন যে পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনকে অনুমোদন করে সেই সীমা পর্যন্ত তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে তারা সম্মান করবে।
কানাডা বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ
মন্তব্য করুন
ভারতে চলছে লোকসভা নির্বাচন। সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। এরই মধ্যে দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা প্রক্রিয়া নিয়ে বড় ধরনের রায় দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। ইভিএম বাদ দিয়ে ভোট গণনার পুরনো ব্যালট পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়ে রায় দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত। শুক্রবার এই রায় দেন বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার দ্বৈত বেঞ্চ।