ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বেলুন ইস্যুতে কালোতালিকায় চীনের ৬ কোম্পানি

প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

চীনের স্পাই বেলুন ইস্যুতে দেশটির ছয়টি কোম্পানিকে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কালোতালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। এসব কোম্পানি দেশটির সামরিক আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করছে এবং বিশেষত চীনের আকাশযান ও গোয়েন্দা বেলুন প্রকল্পের সঙ্গে এসব কোম্পানির সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে, বেইজিংয়ের সামরিক আধুনিকীকরণ প্রচেষ্টাকে জোরদার করার ক্ষেত্রে- বিশেষ করে এয়ারশিপ ও বেলুনসহ মহাকাশ কর্মসূচির সঙ্গে সম্পর্কিত ছয়টি চীনা কোম্পানিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে গত সপ্তাহে উত্তর আমেরিকার উপর দিয়ে উড়ে আসা সন্দেহভাজন গুপ্তচর বেলুনের বিষয়ে চীনের তীব্র নিন্দা করেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। তার আগে শনিবার মার্কিন সামরিক বাহিনী চীনা বেলুনটি গুলি করে ধ্বংস করে। বেলুনটি আলাস্কা থেকে দক্ষিণ ক্যারোলিনা পর্যন্ত দিনব্যাপী উড়ার পর সেটি ধ্বংস করা হয়। এতে তীব্র আপত্তি জানায় বেইজিং।

খবরে বলা হয়েছে, কালো তালিকায় যুক্ত করা চীনা কোম্পানিগুলো সরকারি অনুমোদন ছাড়া মার্কিন সরঞ্জামাদি ও প্রযুক্তিপণ্য সংগ্রহ করতে পারবে না।

শুক্রবারের বিবৃতিতে মার্কিন শিল্প ও নিরাপত্তা এবং বাণিজ্য বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি অ্যালান এস্তেভেজ বলেন, উঁচুতে উড়তে সক্ষম বেলুন ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে পিপলস রিপাবলিক অব চায়না।

তিনি আরও বলেন, আজকের এই পদক্ষেপ স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষতি করতে চায়- এমন কোনো সংস্থা বা কোম্পানিকে মার্কিন প্রযুক্তি প্রাপ্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।

নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- বেইজিং নানজিয়াং এরোস্পেস টেকনোলজি কোম্পানি, চায়না ইলেকট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রুপ কর্পোরেশন, ৪৮তম গবেষণা ইনস্টিটিউট, ডংগুয়ান লিংকং রিমোট সেন্সিং টেকনোলজি কোম্পানি, ঈগলস মেন এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ কোম্পানি, গুয়াংজু তিয়ান-হাই-জিয়াং এভিয়েশন টেকনোলজি কোম্পানি, শানঝি ঈগলস মেন এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ।

ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, চীনের সামরিক বাহিনী হাই অল্টিটিউড (উচ্চ-উচ্চতার) বেলুন ব্যবহার করে গোয়েন্দা তথ্য এবং অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যা মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্র নীতির স্বার্থের পরিপন্থী।

তবে চীন এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জোর দিয়ে বলেছে, প্রধানত আবহাওয়া সংক্রান্ত গবেষণার উদ্দেশ্যে বেলুন ছাড়া হয়েছে। 


চীনা বেলুন   মার্কিন নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানি রকেট ৪০০ কিমি দূরে আঘাত হানতে সক্ষম

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

অত্যাধুনিক রকেটের পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী। ফাতাহ- নামের এই রকেটটি ৪০০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম। এই অস্ত্র পাকিস্তানের সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সফলভাবে ফাতাহ- গাইডেড রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে। এই রকেট সিস্টেমের পাল্লা ৪০০ কিলোমিটার।

রকেট সিস্টেমটি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটির সেনাবাহিনীর প্রচলিত অস্ত্রাগারের নাগাল এবং প্রাণঘাতী সক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে আপগ্রেড করবে।

দ্য ডন বলছে, গাইডেন্স সিস্টেম এই রকেটটিকে নির্ভুল অস্ত্র করে তুলেছে। কারণ এর ফলে অস্ত্রটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা এবং কার্যকারিতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ট্র্যাজেক্টোরি মোড এবং টার্মিনাল গাইডেন্স প্রযুক্তির ফলে এই রকেটটি শত্রুর অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল সিস্টেমও এড়াতে সক্ষম।

পরীক্ষার পর ফাতাহ- রকেটটিকে এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আর্টিলারি ডিভিশনে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে এবং এটি এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান, তিন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী প্রকৌশলীরা এই রকেট সিস্টেমের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ প্রত্যক্ষ করেন।


পাকিস্তানি   রকেট  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

২৫০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র   ভিসা নিষেধাজ্ঞা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ১৬ শ্রীলঙ্কান নিহত

প্রকাশ: ০১:৪৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভাড়াটে সেনা হিসেবে অংশ নিয়ে পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার ১৬ জন নাগরিক নিহত হয়েছেন। শ্রীলঙ্কার উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রমিথা তেনাকুন বুধবার রাজধানী কলম্বোতে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্য জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা বলেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী গত বছর থেকে শ্রীলঙ্কার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা এই যুদ্ধে যোগ দেওয়া শুরু করেন এবং পর্যন্ত দেশটির সেনাবাহিনীর মোট ২৮৮ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য এই যুদ্ধে যোগ দেওয়ার উদ্দেশে শ্রীলঙ্কা ত্যাগ করেছেন। নিহত ১৬ জন এই ২৮৮ জনের মধ্যেই পড়েন।

অবসরপ্রাপ্ত এই সেনারা কোন পক্ষে যোগ দিয়েছেন, সংবাদ সম্মেলনে তা স্পষ্ট করেননি প্রামিথা, তবে শ্রীলঙ্কায় বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতা গামিনি ওয়ালেবোদা জানিয়েছেন, সাবেক এই সেনা সদস্যদের অধিকাংশই রুশ বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।

বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে প্রমিথা পেনাকুন বলেন, যুদ্ধে সেনা পাঠানোর জন্য রাশিয়া কিংবা ইউক্রেনের সরকারের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার সরকারের কোনো চুক্তি হয়নি। তাই যে চক্রটি সেনাদের রিক্রুট করছে, তারা মানবপাচারকারী। শ্রীলঙ্কার সরকার এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে সাবেক সেনা সদস্যদেরও মানব পাচারকারীদের ফাঁদে পা না দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।

এটি একটি স্পর্শকাতর ইস্যু। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়েই আমাদের বন্ধু। যেসব নাগরিক সেখানে রয়েছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা দুদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করছি।


রাশিয়া   ইউক্রেন   শ্রীলঙ্কা  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সিএনএনের মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণে বাইডেন-ট্রাম্প

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হতে যাচ্ছে চলতি বছরের নভেম্বরে। সেই নির্বাচনের প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে মুখোমুখি বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এবং দু’জনই সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। আগামী ২৭ জুন সিএনএনের মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে এই ‘মেগা ডিবেট’।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী বাইডেন বলেন, ‘আপনি যেমনটা বলেছিলেন ডোনাল্ড যে, যে কোনো সময়ে, যে কোনো স্থানে আপনি আমার সঙ্গে বিতর্কে আসতে প্রস্তুত, আমিও ঠিক তেমনই চাই। সিএনএন আমাকে আগামী ২৭ জুন বিতর্কের জন্য নিমন্ত্রণ করেছে এবং আমি তা গ্রহণ করেছি।’

বাইডেনের এই পোস্টের কিছু সময় পর নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘সিএনএন আমাকে বিতর্কের নিমন্ত্রণ জানিয়েছে এবং আমার জবাব হচ্ছে— হ্যাঁ, আমি (নিমন্ত্রণ) গ্রহণ করছি এবং আমি আসব।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক দেশটির নির্বাচনী সংস্কৃতির একটি অংশ। এই বিতর্ক আয়োজনের জন্য ‘দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট’ নামের একটি ফেডারেল কমিটিও রয়েছে। নভেম্বরের নির্বাচনের আগে তিনটি মুখোমুখি বিতর্কের আয়োজন করবে দ্য কমিশন অন প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেট। ইতোমধ্যে সেই বিতর্কগুলোর শিডিউলও ঠিক করা হয়েছে।

প্রথম বিতর্কটি হবে ১৬ সেপ্টেম্বর, টেক্সাসে। দ্বিতীয়টি হবে ১ অক্টোবর, ভার্জিনিয়ায় এবং তৃতীয়টি হবে ৯ অক্টোবর, উটাহতে।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মুখোমুখি বিতর্ক মার্কিন গণতন্ত্র ও নির্বাচনী সংস্কৃতির অংশ হলেও বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যকার বিতর্কের আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। বিশেষ করে ২০২০ সালের নির্বাচনে উভয়ের মধ্যে ব্যাপক দ্বৈরথ এবং নির্বাচনের পর মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা দুই জনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে অন্য মাত্রা দিয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো সেটিই ধরতে চাইছে। যুক্তরাষ্ট্রের অপর সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, তারা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বাইডেন এবং ট্রাম্পের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বিতর্কের আয়োজন করেছে এবং সেই বিতর্কেও উপস্থিত থাকতে সম্মতি দিয়েছেন দুজনই।

ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন বাইডেন এবং ট্রাম্প। বুধবার এক ভিডিওবার্তায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলমান মামলা নিয়ে খোঁচা দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘২০২০ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আমার দু’বার বিতর্ক হয়েছিল এবং দু’বারই তিনি হেরেছিলেন। তারপর অনেক দিন আর বিতর্কের প্রতি তিনি আগ্রহ দেখাননি। এখন তিনি আবার আমার সঙ্গে বিতর্ক করতে চাইছেন।’

‘আমি রাজি আছি ডোনাল্ড। আমার মনে যে কোনো বুধবার বিতর্কের জন্য ভালো দিন হবে; কারণ আমি শুনেছি যে ওই দিন মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকে এবং আপনি ফ্রি থাকেন।’

সেই ভিডিওবার্তার জবাবে ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘কুটিল জো’র মুখোমুখী হওয়ার জন্য আমিও আগ্রহী।’


সিএনএন   বিতর্ক   জো বাইডেন   ডোনাল্ড ট্রাম্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অস্ত্র উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক ছিন্নের দাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১০:৪৬ এএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অষ্টম মাসে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে উপত্যকাটিতে ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বেশির ভাগই নারী শিশু। বলা হচ্ছে, আধুনিক বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক সংঘাতগুলোর একটি চলছে গাজায়।

প্রাণহানির পাশাপাশি গাজার মানবিক সংকটও চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে চলমান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন দেশটির প্রগতিশীল ফিলিস্তিনপন্থী অনেক অধিকারকর্মী।

দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র ওয়াশিংটন। ইসরায়েলকে প্রতিবছর প্রায় ৩৮০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেয় তারা। ছাড়া গত বছরের অক্টোবর সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলকে অতিরিক্ত শত শত কোটি ডলারের সহায়তা দিয়েছে দেশটি। ওই সহায়তা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার কাজে লাগানো হয়েছে।

ইসরায়েলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এই এককাট্টা সমর্থনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে মুখর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকা অস্ত্র উৎপাদনকারীসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষার্থীরা।

দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মহাকাশ গবেষণা খাতকে সহায়তা করে আসছে দেশটির উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই সম্পর্কের প্রভাব নিয়ে বহু আগে থেকেই উদ্বেগ রয়েছে। যেমন ১৯৬১ সালে দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার শিক্ষা খাতে সামরিক শিল্পের প্রবেশের বিপদ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন।

ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড্যানিয়েল বেসনার আলজাজিরাকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সম্পর্কের উত্থানের পথ তৈরি করে দিয়েছিল গত শতকে যুক্তরাষ্ট্র তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যকার স্নায়ুযুদ্ধ।

১৯৫৭ সালে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ-স্পুতনিকউৎক্ষেপণ করে সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষের চেয়ে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ার ঝুঁকির মধ্যে পড়ে ওয়াশিংটন। পরের বছরই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসেন্যাশনাল ডিফেন্স এডুকেশন অ্যাক্টনামের একটি আইন পাস করা হয়। ফলে যুদ্ধের সঙ্গে একপ্রকার জড়িয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও।

শিক্ষাবিদ সামরিক বাহিনীর মধ্যে এই সম্পর্কের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত হয়ে ওঠে ক্যালিফোর্নিয়া। প্রতিরক্ষা মহাকাশ গবেষণা খাতের জন্য এই অঙ্গরাজ্যটির পরিচিতি রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট অফিস জানিয়েছে, ২০২১ অর্থবছরে সেখানকার প্রতিরক্ষা শিল্প খাতে আয় হয়েছে ১৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

ক্যালিফোর্নিয়ায় ছাত্র আন্দোলনের ইতিহাস পুরোনো। সেই ধারাবাহিকতা আজও চলছে। অঙ্গরাজ্যটির শিক্ষার্থীরা এর আগেও ভিয়েতনামে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের প্রতি মার্কিন সমর্থন ইরাক যুদ্ধের বিরুদ্ধেও আন্দোলন করেছেন তাঁরা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা শিল্প খাতের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রকৌশল গণিত বিভাগের। আন্দোলনকারীরা বলছেন, এই বিভাগগুলোয় গবেষণা প্রকল্প, নিয়োগ, চাকরি মেলা অনুদানের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করে অস্ত্র নির্মাতা মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো।

দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার হার্ভে মাড কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠনমাডার্স এগেইস্ট মার্ডার্সেরএক সদস্য পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মতো নিরপেক্ষ পরিচয় দিয়ে তারা আসে। সরাসরি অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে সম্পর্কিত এমনটা প্রকাশ করে এই প্রভাব খাটানো হয় না।

অনেকেই আবার প্রতিরক্ষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ফলাও করে প্রচার করে। যেমন সান্তা বারবারার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইসিএসবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স সেন্টার। অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেথিয়নের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ককে নিজেদের ওয়েবসাইটে তারাসফলতার গল্পহিসেবে উল্লেখ করেছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অধিভুক্ত বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইটে অস্ত্র নির্মাতা রেথিয়ন, নর্থরোপ গ্রুম্যান, বোয়িং লকহিড মার্টিনের নাম রয়েছে। আর ২০২২২৩ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ১০ লাখ ডলার অনুদান দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় রয়েছে লকহিড মার্টিন ছাড়া ওপরের বাকি প্রতিষ্ঠানগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে এই সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে আলজাজিরার কাছে কোনো মন্তব্য করেনি রেথিয়ন। তবে অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের সমর্থন করে বলছে, এটি একটি অংশীদারত্বের সম্পর্ক, যার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষই উপকার পাচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন শিক্ষার্থীরা মূল্যবান অভিজ্ঞতার সুযোগ পাচ্ছে, অপরদিকে বৈজ্ঞানিক গবেষণাও এগিয়ে যাচ্ছে। 

তবে এমন বক্তব্যে বিশ্বাস করেন না অনেকে। অস্ত্র নির্মাতা সরকারি প্রতিরক্ষা কার্যক্রম থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দূরে থাকার দাবি তুলেছেন তাঁরা। সান্তা ক্রুজের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসাবেল কাইন তাঁদেরই একজন। বিশ্ববিদ্যালয়েরিসার্চার্স এগেইনস্ট ওয়্যারনামের একটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি।

বিগত সপ্তাহগুলোয় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে কয়েক ডজন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন বিক্ষোভ হচ্ছে। এসব কর্মসূচি থামাতে লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ইউসিএলএ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মারমুখী হয়েছে পুলিশ। ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন ইসরায়েলপন্থীরাও। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে গ্রেপ্তার বহিষ্কার করা হয়েছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে।

বিশ্লেষকদের অনেকে বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগকে তাদের একটি বৃহৎ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে। ওই প্রচেষ্টার মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে চায়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুইঞ্চি ইনস্টিটিউট ফর রেসপনসিবল স্টেটক্র্যাফটের গবেষক বেঞ্জামিন ফ্রিম্যান বলেন, ‘আপনি যেদিকেই তাকাবেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রভাব দেখতে পাবেন। এই শিল্প খাতের আকার বিশাল। তারা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় আসে, তখন সেখানকার মেধাকে ভিন্ন দিকে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে বড় প্রভাব ফেলে।উদাহরণ দিতে গিয়ে বেঞ্জামিন ফ্রিম্যান বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদন খাতে কাজ করার বদলে তরুণ উদীয়মান শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি এমন সব প্রতিষ্ঠানের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, যাদের আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে অস্ত্র তৈরি।


ফিলিস্তিন   গাজা   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন