ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অন্য দেশের নিরাপত্তা বিষয়ে প্রশ্ন তোলা যুক্তরাষ্ট্র নিজেই নিরাপত্তাহীনতায়

প্রকাশ: ১১:০২ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

একটা কথা আছে, নিজের ঘরের সামনে কাদা থাকলেও কোনো খবর থাকে না, অথচ অন্যের ঘরের সামনের কাদা পরিষ্কার নিয়ে যত মাথাব্যথা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলোর বর্তমানে অবস্থা কিছুটা এরকমই। যে অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র‍্যাবের কয়েক সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেই অবস্থা এখন তার দেশে অতি বেশি মাত্রায় বিরাজমান। সম্প্রতি টেক্সাসের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১৯ শিশুসহ মোট ২১ জনকে হত্যা করেছে।

গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে চলতি বছর জানুয়ারি ১ ্তারিখ থেকে শুরু করে এপর্যন্ত দেশটিতে মোট ৭২টি বন্দুক হামলা হয়েছে যেখানে মারা গেছে অন্তত ১১৭ জন। এসময় আহত হয়েছে আরও ২৯৩ জন। বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশ হিসেবে খ্যাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতার শিকার হচ্ছে তা এ ঘটনায় প্রকাশ পেল। কারণ আফ্রিকার কিছু গৃহযুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ ছাড়া বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে এমন ঘটেছে কি না বলা মুশকিল।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এরকম বন্দুক হামলার (ম্যাস শুটিং) বিচ্ছিন্ন মাঝেমধ্যেই, বলা যায় নিয়মিত বিরতি দিয়ে ঘটে। এই স্কুল শুটিংয়ের মাত্র এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্ক রাজ্যের বাফেলো শহরের একটি শপিং মলে গণগোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে এবং সেখানেও দশজন কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হন। শুধু তাই নয়, এরকম ভয়াবহ গণ গোলাগুলি ছাড়াও এই সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে এবং বেশ কয়েকজন মারাও গেছে। কয়েক বছর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি স্কুলে এরকম গণগোলাগুলির ঘটনা ঘটেছিল এবং সেখানেও বিশ ছাত্র নিহত হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে এরকম বন্দুক নিয়ে নির্বিচারে গুলি করে মানুষ হত্যা করা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। প্রাওয় প্রতিদিনই বন্দুকধারীর গুলিতে কেউ না কেউ নিহত বা আহত হচ্ছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে যেভাবে প্রতিদিন গোলাগুলির ঘটনা ঘটে এবং বন্দুকধারীর গুলিতে মানুষ মারা যায় তেমনটা বিশ্বের আর কোনো দেশে ঘটে কি না আমার জানা নেই।

এসব ভয়াবহ বিশেষকরে ম্যাস শুটিং ঘটনার নেপথ্যের সঠিক কারণ কখনই সাধারণ মানুষ জানতে পারে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘাতকদের গুলি করে মেরে ফেলে, যাকে আমাদের দেশের ভাষায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যায়িত করা হয়। টেক্সাসের স্কুল শুটিং যে বালক ঘটিয়েছে তাকেও পুলিশ আটক না করে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে গুলি করে মেরে ফেলেছে। নভাস্কশিয়ার সেই হত্যাকারী ১৭ বছরের বালককেও পুলিশ আটক না করে গুলি করে মেরে ফেলে। হত্যাকারীকে আটক না করে এভাবে গুলি করে মেরে ফেলার ঘটনা এখানে প্রায়ই ঘটে। এছাড়া উপায়ও নেই। কারণ পুলিশ ভালো করেই জানে যে তাদের আটক করে জেলে ভরলে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে একই কাণ্ড ঘটাবে।

এ বিষয় নিয়ে তেমন কোনো সমালোচনা বা আন্দোলন সংগ্রামও নেই। জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বে ভয়ানক আন্দোলন শুরু হয়েছিল কারণ তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন আসন্ন ছিল এবং এর পিছনে কিছু ভোটের হিসাবনিকাশ ছিল। এখন ১৯ জন শিশু সন্তানকে এভাবে প্রাণ হারানোর পরেও কোনো আন্দোলন নেই। কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বা মন্ত্রী বা কোন জনপ্রতিনিধির পদত্যাগের দাবিও নেই। এমনকি এসব লোমহর্ষক গণগোলগুলির পরও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বা নীতিনির্ধারকদের এতটুকু সৎসাহস হয়নি যে এই মুহূর্তে ঘোষণা দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য বন্দুক ব্যবহার নিষিদ্ধ করবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলাসহ প্রতিদিনই গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে এবং এসব ঘটনায় অসংখ্য নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু এসব ঘটনা বন্ধ করতে পারছে না এবং আইনশৃঙ্খলার উন্নতি ঘটাতে পারছে না তাই তাদের এখন অন্য কোনো দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কোনোরকম মন্তব্য করা শোভা পায় না। যে অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের র‍্যাবের কয়েক সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেই অবস্থা এখন তার দেশে অতি বেশি মাত্রায় বিরাজমান। তাই তাদের উচিত এই নিষেধাজ্ঞা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয়া। তাদের বোঝা উচিত এবং বুঝতেও পারছে যে, মানবাধিকার শুধু যারা মানুষ এবং মানবিক তাদের জন্য।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি বন্দুক নিয়ন্ত্রণ (গান কন্ট্রোল) করা অর্থাৎ খেলনা পিস্তলের মতো এভাবে খোলাবাজারে কেনাবেচা এবং সাধারণ মানুষের হাতে বন্দুক রাখার কোনো সুযোগ থাকবে না। মোটকথা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ব্যাতিরেকে কোনো সাধারণ নাগরিক বন্দুক কিনতে বা রাখতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশে কেন সাধারণ নাগরিকের ব্যাক্তিগতভাবে বন্দুক রাখার সুযোগ থাকবে?

মানবাধিকার শুধু যারা মানুষ এবং মানবিক তাদের জন্য। সমস্যা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বা নীতিনির্ধারকরা কখনই তার দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝার চেষ্টা করে না। এই অবস্থা আমরা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে দেখেছি এবং পঞ্চাশ বছর পরে এসে বর্তমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ও দেখছি।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে রকেট হামলা, বেজে উঠল সাইরেন

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্রবাহিনী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।   

স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এ হামলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। 

এদিকে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় আরও এক মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বেশ শক্তিশালী এবং গত শুক্রবার দেশটির ভেতরেই ড্রোনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার এই ঘটনা ঘটে। 

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে অন্তত ২৬টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এগুলো ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বার ইয়োহাই অঞ্চলের খোলা জায়গায় আঘাত হেনেছে। মেরন পর্বতের আশপাশে আকাশ হামলা সতর্কীকরণ সাইরেন বাজানো হয়। তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বা কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি বলে জানিয়েছে বাহিনী।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ‘বিস্ফোরক ড্রোন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আল মানারা সামরিক কমান্ডের সদর দপ্তরও গোলানি ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটলিয়নের কিছু সদস্যের ওপর হামলা চালিয়েছে।'

ইসরারায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, নিজস্ব আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম সাফল্যের সঙ্গে লেবানন থেকে আসা এই হামলা প্রতিহত করেছে। হামলার উৎসে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।


ইসরায়েল   রকেট   হামলা   সাইরেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কংগ্রেসে বড় ধাক্কা, দিল্লি প্রধান অরবিন্দর সিংয়ের পদত্যাগ

প্রকাশ: ০২:১৩ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস দেশে লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই বড় ধাক্কার সম্মুখীন হয়েছে। দিল্লি প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দিল্লির কংগ্রেস প্রধান অরবিন্দর সিং লাভলি। তবে দল থেকে পদত্যাগ করেননি তিনি। লোকসভা নির্বাচনে ইতোমধ্যেই দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণও সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের মধ্যে তার এই দল ছেড়ে যাওয়াকে কংগ্রেসের জন্য বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। 

রোববার (২৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ ছেড়েছেন অরবিন্দর সিং লাভলি। দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বাঁধার কারণেই ক্ষোভে তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।

রোববার সকালে অরবিন্দর সিং লাভলি জানান, তিনি কংগ্রেসের দিল্লি শাখার সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থরক্ষা করতে পারেননি তিনি। তাই দলের সভাপতির পদে থাকার আর কোনও কারণ দেখছেন না তিনি।

উল্লেখ্য, অরবিন্দর সিং লাভলি দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা। মাঝখানে ২০১৭ সালের দিকে একবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কয়েক মাসের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। আম আদমি পার্টির প্রবল বিরোধী হিসাবে পরিচিত লাভলি।

লোকসভা ভোটের মধ্যে লাভলির পদত্যাগে দিল্লি কংগ্রেসে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। পদত্যাগপত্রের পাশাপাশি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে লেখা চিঠিতে আম আদমি পার্টি তথা আপের সঙ্গে জোট নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে অরবিন্দর লিখেছেন, ‘যে দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৈরি হয়েছে, তাদের সঙ্গে জোটের সম্পূর্ণ বিরোধী ছিল দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট। এরপরও দল সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লিতে আম আদমি পার্টির (এএপি) সঙ্গে জোট গঠনের।’

এছাড়া দলের প্রদেশ পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে লাভলি চিঠিতে বলেছেন, ‘এখন আমার কোনও কথাই গুরুত্ব পায় না। এমনকী দলের ব্লক সভাপতিদের নিয়োগেরও অনুমতি দেওয়া হয় না।’


কংগ্রেস   দিল্লি   অরবিন্দর সিং   পদত্যাগ   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন