নেদারল্যান্ডসের
গুপ্তচর পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগে বেশ কয়েকজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করার তথ্য জানিয়েছে
ডাচ সরকার।
নেদারল্যান্ডসে
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং বৈশ্বিক রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ ওয়াচডগ অবস্থিত। দেশটিতে
গোয়েন্দা পাঠানোর চেষ্টার অভিযোগে ডাচ সরকার কয়েকজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
খবর আল জাজিরার।
এই ঘটনাকে রাশিয়ার
সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের কূটনৈতিক সম্পর্কের ‘সর্বশেষ পাক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে
মস্কো কিয়েভে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযান শুরু করলে ডাচ সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার
কূটনৈতিক বিরোধ শুরু হয়। ১৭ জন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে আমস্টারডাম। পাল্টা জবাবে
মস্কো নেদারল্যান্ডসের ১৫ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করে।
শনিবার এক বিবৃতিতে
ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াপকু হুকস্ট্রা বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক
প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু কূটনীতিকের আড়ালে রাশিয়া নেদারল্যান্ডসে গোয়েন্দা কর্মকর্তা
ঢোকাতে চাচ্ছে। আমরা এটা এখন কিংবা কখনই করতে দিব না। যেকোনো সময়ের থেকে রাশিয়ার সঙ্গে
তার দেশের সম্পর্ক জটিল থাকা সত্ত্বেও যোগাযোগ রক্ষার চ্যানেল হিসেবে দূতাবাস খোলা
রাখা গুরুত্বপূর্ণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
খবর অনুসারে,
রুশ কূটনীতিকদের নেদারল্যান্ডস ছাড়তে দুই সপ্তাহের সময় দেওয়া হয়েছে। আমস্টারডামে অবস্থিত
রাশিয়ার একটি ব্যবসায়ী অফিস মঙ্গলবারের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রুশ কূটনীতিক বহিষ্কার নেদারল্যান্ডস
মন্তব্য করুন
দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। এর ফলে বর্তমানে যেসব দীর্ঘাকৃতির মাছ সাগরে পাওয়া যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটি আর পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন চমক জাগানিয়া তথ্য উঠে এসেছে।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র গবি ও জেব্রাফিশ থেকে শুরু করে বিশালাকার টুনা, তিমি ও হাঙর। মাছের মাধ্যমে অত্যাবশ্যক খাদ্য সরবরাহ হয় বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মাছ জলজ বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বিশ্বজুড়ে এখন হুমকির মুখে।
বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর উল্লেখযোগ্যহারে প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে উষ্ণ হয়ে আসছে মাছের আবাসস্থল। আর এতে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরে উত্তর সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি আকারে ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ এই সময়ে সেখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওপর উষ্ণ জল অত্যন্ত খারাপ ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, বড় মাছের ক্ষেত্রে এই প্রভাব খুবই উল্লেখযোগ্য। বড় মাছ আকারে ছোট হয়ে গেলে দ্রুত পরিপক্ব হয় এবং অল্প বয়সে প্রজননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে আকারে ছোট হতে থাকে মাছের পরবর্তী প্রজন্ম।
তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হওয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি মাছের বর্তমান থেকে নতুন প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘মৎস্য-প্ররোচিত বিবর্তন‘ নামে পরিচিত। এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাছ আকারে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ছোট মাছ আনুপাতিকভাবে কম সন্তান উৎপাদন করে। মাছের আকার ছোট হওয়ার অর্থ হলো প্রতিটি মাছের কম সন্তান হবে এবং বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে। পরিবেশগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং তা সরাসরি আঘাত করবে মানবজাতিকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন