ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জ্বালানি-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি: দরিদ্রতার হুমকিতে ১৪ কোটি মানুষ

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail

করোনা মহামারি ও লকডাউনের সময় দারিদ্র্য নিয়ে জরিপ ও গবেষণা করেছে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা। লকডাউন ও অন্যান্য বিধিনিষেধের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে গেছে, যাদের নতুন দরিদ্র হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে এসইব গবেষণায়।

কোভিডজনিত বিধিনিষেধ এখন আর কোথাও নেই বললেই চলে। কিন্ত পৃথিবী একভাবে কোভিডমুক্ত হলেও এখানেই শেষ নয়। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কয়েক দফায় বেড়েছে জ্বালানির দাম। এই মূল্যবৃদ্ধির অভিঘাতে বিশ্বের ১৪ কোটি ১০ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের কাতারে নেমে যেতে পারে।

টানা কয়েক বছর কম থাকার পর ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে আবার বাড়তে শুরু করে জ্বালানির দাম। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ ভাগে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করলে পশ্চিমারা রাশিয়ার জ্বালানি খাতে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ফলে দ্রুতই বাড়তে শুরু করে জ্বালানির দাম। তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ১০০ ডলার ছাড়িয়ে ১৩৯ ডলার পর্যন্ত উঠে যায়। একে একে বৃদ্ধি পায় এলএনজিসহ সব ধরনের জ্বালানির দাম।

নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা বিশ্বের ১১৬টি দেশে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব নিয়ে মডেলিং করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, বৈশ্বিক পরিসরে পারিবারিক জ্বালানির ব্যয় ৬২ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে ১১২ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এ ছাড়া দেশে দেশে সরকারের নানা উদ্যোগ সত্ত্বেও পারিবারিক ব্যয় গড়ে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা

অর্থনীতিবিদেরা বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় নিম্ন ও সীমিত আয়ের পরিবার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে গেলেও এই শ্রেণির মানুষের আয় বাড়ে না। প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে।

বলা হয়েছে, জ্বালানির উচ্চ মূল্যের কারণে নিম্ন ও সীমিত পরিবার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়। ফলে যেকোনো সময় তারা দরিদ্রের কাতারে নেমে যেতে পারে। উচ্চ আয়ের দেশগুলোতেও মানুষ জ্বালানির উচ্চ দামের কারণে ভুক্তভোগী হয়। কিন্তু এই ধাক্কা মোকাবিলা করার সক্ষমতা তাদের আছে।

দেখা গেছে, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত দেশগুলো বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইনফ্লেশন রিডাকশন অ্যাক্ট বা মূল্যস্ফীতি হ্রাস আইন করেছে বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশের সরকারগুলো জনগণের পাশে দাঁড়াতে তেমন কিছু করেনি। মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে এসেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত। যেসব দেশ বিপদে পড়ে আইএমএফের ঋণ নিচ্ছে, তারা শর্ত পূরণে জ্বালানিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাত থেকে ভর্তুকি প্রত্যাহারে বাধ্য হচ্ছে। এসব দেশের সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করতে তেমন কিছু করছে না, করার উপায়ও নেই। কারণ, তাদের রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত কম। আবার ডলারের বিনিময় মূল্য বৃদ্ধির কারণে এসব দেশের আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়ছে দাম। সে কারণে এসব দেশের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উলি শান দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘জ্বালানির উচ্চ দামের কারণে পারিবারিক অর্থনীতি দুইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রথমত, জ্বালানির দাম বাড়লে পরিবারের জ্বালানি ব্যয় সরাসরি বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ত, বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবা উৎপাদনে জ্বালানির যে ব্যবহার হয়, তাতে এগুলোর দামও বেড়ে যায়। বিশেষ করে খাদ্যের দাম, যার কারণে মানুষ পরোক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়’।

বিশ্লেষকেরা বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের ব্যয়ের সবচেয়ে বড় খাত হলো খাদ্য। খাদ্যের দাম বাড়লে তাই এসব মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না।

শান আরও বলেন, ‘জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে অরক্ষিত জনগোষ্ঠী জ্বালানি দারিদ্র্যের কবলে পড়বে। এমনকি অনেকে চরম দরিদ্রদের কাতারে নেমে যাবে’।

জ্বালানির দামের সঙ্গে আরও অনেক কিছুর দাম জড়িয়ে আছে—বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে শিল্প ও খাদ্য উৎপাদন—কোথায় নেই তার ব্যবহার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, গত এক বছরে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ১ শতাংশ, মাখনের দাম ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ, আটার দাম ২০ দশমিক ৪ শতাংশ, রুটির দাম ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ, চিনির দাম ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ, দুধের দাম ১১ শতাংশ, মুরগির দাম ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে।

সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাজ্যের। গত বছর দফায় দফায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে তাদের মতো উন্নত দেশেও অনেক মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছে। শীতকালে কীভাবে ঘর গরম রাখা হবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় বিপুলসংখ্যক মানুষ। শেষমেশ এবার শীত তেমন একটা না পড়ায় এবং ইউরোপের গ্যাসের মজুত বৃদ্ধি পাওয়ায় অত সমস্যা হয়নি। কিন্তু এই অনিশ্চয়তা তাদের মধ্যে একধরনের হীনম্মন্যতার সৃষ্টি করেছে বলে বিশ্লেষকেরা বলছেন।

এ বছরও বাড়তি থাকবে

প্রতিবেদনের তথ্যানুসারে, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় খাদ্য উৎপাদকেরা বলেছেন, চলতি বছর খাদ্যের দাম কমার সম্ভাবনা তো নেই, বরং বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। নেসলে, ইউনিলিভার ও প্রোক্টর অ্যান্ড গ্যাম্বলের মতো বৃহৎ কোম্পানিগুলোর প্রধান নির্বাহীরা এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিশ্ব অর্থনীতি হয়তো মূল্যস্ফীতির চূড়া পেরিয়ে গেছে। কিন্তু জ্বালানি ও খাদ্যের দাম আরও দুবছর বাড়তি থাকবে।

এ পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকেরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর অতিনির্ভরশীলতার কারণে কোটি কোটি মানুষ এভাবে অরক্ষিত হয়ে পড়ছে। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎপাদন বৃদ্ধির পক্ষে মত দেন তাঁরা।



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারত সফর স্থগিতের পর চীনে গেলেন ইলন মাস্ক

প্রকাশ: ০৭:০৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের মালিক ইলন মাস্ক ভারতে তার নির্ধারিত সফর স্থগিত করেন এবং এই সফর স্থগিতের কয়েকদিন পরই হঠাৎ করে চীন সফরে গেছেন তিনি। 

রোববার(২৮ এপ্রিল) টেসলার একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে অনেকটা আকস্মিকভাবেই রোববার চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন তিনি। টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চীন সফরের বিষয়ে অবগত দুই ব্যক্তি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই তথ্য জানিয়েছেন।  

২১ এপ্রিল ভারত সফরে যাবার কথা ছিল ইলন মাস্কের। সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তার বৈঠক ও ভারতে টেসলার বিনিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করার কথা ছিল।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের একদিন আগে এক্সে দেওয়া বার্তায় টেসলার এই প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, 'দুর্ভাগ্যবশত টেসলায় ব্যাপক কাজ জমে যাওয়ায় ভারত সফর পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তবে আমি চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত মুখিয়ে আছি।' 

টেসলার সিইওর ভারত সফর স্থগিতের এক সপ্তাহ পর চীন সফরের তথ্য এলো। চীনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে টেসলার স্বচালিত (এফএসডি) বৈদ্যুতিক গাড়ির যাত্রা শুরুর বিষয়ে আলোচনার জন্য বেইজিংয়ে চীনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করছেন। স্বচালিত ড্রাইভিং প্রযুক্তির উন্নতির জন্য অ্যালগরিদম প্রশিক্ষণে চীনে সংগৃহীত ডাটা বিদেশে স্থানান্তর করার অনুমতির বিষয়েও চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় মাস্ক বলেছেন, চীনে শিগগিরই ব্যবহারকারীদের জন্য এফএসডির সরবরাহ শুরু করবে টেসলা। রয়টার্স বলছে, ২০২১ সাল থেকে চীনা নিয়ন্ত্রকদের শর্ত অনুযায়ী সাংহাইতে টেসলার চীনা বহরের সংগৃহীত সব ডাটা সংরক্ষণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তা স্থানান্তর করেনি।


ভারত   সফর   স্থগিত   চীন   ইলন মাস্ক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গ্রেফতার আতঙ্কে নেতানিয়াহু, প্রতিরোধের সর্বাত্মক চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের (আইসিসি) মামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে ভুগছেন। আর সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে সর্বাত্মক কূটনৈতিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ আরও কিছু ইসরায়েলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে যাচ্ছে আইসিসি।

নিউজ সাইট ওয়ালায় বিশ্লেষক বেন কাসপিট লিখেছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে হেগের বিশ্ব আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কায় ‘অস্বাভাবিক চাপে’ রয়েছেন। নেতানিয়াহু এবং অন্যান্য ইসরায়েলি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অর্থ হল- ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সুনামে বড় ধরনের আঘাত।

কাসপিট লিখেছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রতিরোধে নেতানিহুয়া ‘বিরতিহীনভাবে টেলিফোনে চেষ্টা করে’ যাচ্ছেন। বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের সাথে তিনি সর্বক্ষণ যোগাযোগ রাখছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎসের বিশ্লেষক অ্যামোস হারেল লিখেছেন, ইসরায়েলি সরকার এই ধারণা নিয়ে কাজ করছে যে আইসিসির প্রসিকিউটর করির খান চলতি সপ্তাহেই নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আইডিএফ প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারেন।

হারেল জানিয়ছেন, আমেরিকা ইতোমধ্যেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকানোর জন্য জোর তৎপরতা শুরু করে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, আইসিসির রোম চুক্তিতে ১২৪টি দেশ সই করলেও যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল তাতে স্বাক্ষর করেনি। যুদ্ধের ব্যাপারে নেতানিয়াহুর সর্বশেষ সরকারি বিবৃতিতে দাবি বলা হয়েছে, আইসিসির আসন্ন সিদ্ধান্ত ‘বিপজ্জনক নজির’ সৃষ্টি করতে পারে।


গ্রেফতার   নেতানিয়াহু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গরমে ট্রাফিক পুলিশকে স্বস্তিতে রাখতে ‘এসি হেলমেট’

প্রকাশ: ০৪:৫২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রচণ্ড গরমে টানা রোদে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয় ট্রাফিক পুলিশদের। সড়কে দায়িত্বরত পুলিশদের কিছুটা শীতল ও স্বস্তিতে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ভারতের লখনৌর ট্রাফিক বিভাগ। ‘ঠান্ডা উদ্যোগ’ নামে পরিচিত এই প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে বেশকিছু ‘এসি হেলমেট’ উন্মোচন করা হয়েছে। লখনৌতে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক পর্বের অংশ হিসেবে চারটি এসি হেলমেট চালু করা হয়। 

সোমবার (২২ এপ্রিল) হজরতগঞ্জের অটল চক মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মীদের এসব হেলমেট দেয়া হয়। 

এই হেলমেটগুলোতে একটি স্বচ্ছ প্লাস্টিকের ঢালসহ মাথায় শীতলতা নিশ্চিতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এসি ভেন্ট রয়েছে। চোখকে সূর্যের প্রখর আলো ও উত্তাপ থেকে রক্ষা করতে এটি গগলস হিসেবে কাজ করে। হেলমেটটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কোমরে বাঁধা একটি বড় ব্যাটারির সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে উপরে থাকা একটি লাল আলো সতর্ক বার্তা দেবে।

এ বিষয়ে লাখনৌ পুলিশের এডিসিপি অজয় কুমার সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘এই প্রকল্প সফল হলে হায়দরাবাদভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানকে কমপক্ষে পাঁচশ এমন এসি হেলমেট প্রস্তুতের দায়িত্ব দেয়া হবে। এই হেলমেটের ওজন সাধারণ হেলমেটের প্রায় অর্ধেক এবং আমাদের ট্র্যাফিক পুলিশ এটি ব্যবহার ও পরিধানে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন।’


ট্রাফিক   পুলিশ   প্রকল্প  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান

প্রকাশ: ০৪:১৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের পর এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরায়েলের সেনাপ্রধান। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে না পারা, হামাসের হাত থেকে ইসরায়েলি জিম্মিদের উদ্ধার করতে না পারা, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়াসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করতে পারেন সামরিক বাহিনীর প্রধান।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে তুরস্কভিত্তিক বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সামরিক বাহিনীর ব্যর্থতার প্রতিবাদে ইসরায়েলজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েল সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফ পদত্যাগ করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে গত সোমবার ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের অভ্যন্তরে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান   হামাস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলে রকেট হামলা, বেজে উঠল সাইরেন

প্রকাশ: ০৪:২৪ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

লেবাননের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্রবাহিনী হিজবুল্লাহ ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।   

স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে এ হামলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। 

এদিকে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় আরও এক মার্কিন সামরিক ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি বেশ শক্তিশালী এবং গত শুক্রবার দেশটির ভেতরেই ড্রোনটিকে গুলি করে ভূপাতিত করার এই ঘটনা ঘটে। 

ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী জানায়, লেবানন থেকে অন্তত ২৬টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এগুলো ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের বার ইয়োহাই অঞ্চলের খোলা জায়গায় আঘাত হেনেছে। মেরন পর্বতের আশপাশে আকাশ হামলা সতর্কীকরণ সাইরেন বাজানো হয়। তবে এই হামলায় কেউ হতাহত হয়নি বা কোনো ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি বলে জানিয়েছে বাহিনী।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ‘বিস্ফোরক ড্রোন ও সুনির্দিষ্ট লক্ষে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে আল মানারা সামরিক কমান্ডের সদর দপ্তরও গোলানি ব্রিগেডের ৫১তম ব্যাটলিয়নের কিছু সদস্যের ওপর হামলা চালিয়েছে।'

ইসরারায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, নিজস্ব আকাশ হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম সাফল্যের সঙ্গে লেবানন থেকে আসা এই হামলা প্রতিহত করেছে। হামলার উৎসে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ।


ইসরায়েল   রকেট   হামলা   সাইরেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন